লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপ

4890
0

প্রায় ১৫ দিন ধরে গার্লফ্রেন্ডের কাছে ফেসবুকের পাসওয়ার্ড চাচ্ছি, সে কিছুতেই পাত্তা দিচ্ছে না।। দুনিয়ার সব বিষয় নিয়ে সে কথা বলতে রাজী, কিন্তু এই বিষয় আসলে আকডুম বাকডুম ঘোড়াডুম সাজে, ডাক ঢোল ঝাজর বাজে এইসব উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে কথা কাটিয়ে নেয়।। আমিও নাছোড়বান্দা, প্রতিদিন এই বিষয় নিয়ে তাগাদা দেই- আর সে এড়িয়ে চলে।।

আসলে, আমাদের লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপ।। মেয়ে সিলোটি পুরি, আমি টাংগাইলের।। যদিও আমরা ঢাকা থাকি বেশ ক’ বছর ধরে।।
লং ডিসটেন্স রিলেশনগুলো অদ্ভুত হয়, শুধু কমিটমেন্ট আর বিশ্বাসের উপর টিকে থাকে- কেউ কাউকে যাচাই করার তেমন সুযোগ পায় না।।
তবে, লং ডিসটেন্স হলেও- ছন্দার সাথে আমার পরিচয় কিন্তু ফেসবুকের মাধ্যমে না।।

ছোট বেলায় বাবার পুলিশের চাকরীর সুবাদে সিলেট শুভেচ্ছাঘাট এলাকায় থাকতাম।। আমরা তখন এই ছন্দাদের বাসায় ভাড়া থাকতাম।। আমি যখন ক্লাস ওয়ানে পড়ি, তখন ছন্দার জন্ম হয়।। কতদিন মেয়েটাকে কোলে নিয়ে আদর করেছি, কি কিউট একটা বাবু ছিলো।। স্কুল থেকে এসেই আগে ছন্দাদের বাসায় যেতাম, গুলুগুলু বাবুটাকে কোলে নিয়ে পাপ্পি দিয়ে আদর করতাম।। আন্টি খুব ভয় পেতো ছন্দাকে আমার কোলে দিতে- কারণ আমি নাকি ছন্দাকে নিয়ে খুব বেশি লাফাতাম।। অনেক চঞ্চল ছিলাম।।

ছন্দাকে কোলে নিয়ে আম্মুকে বলতাম- আমরা বাবুটাকে আমাদের সাথে নিয়ে যাবো গা, যখন আমরা চলে যাবো।। আম্মু হাসতো, ছন্দার আম্মুও হাসতো।। আসলে আমার কোন ভাই বোন কেউ ছিলো না তখন- তাই সারাদিন ছন্দা বাবুকে নিয়ে পরে থাকতাম।। স্কুলে গেলেও পিচ্চিটার কথা মনে পড়তো।। আমার মনে আছে যেবার বাবা সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ বদলী হলো, আমি হাউমাউ করে কেঁদেছি।। আমার এত কস্ট হয়েছে বলে বোঝাতে পারবো না।। স্কুলের বন্ধুদের হারানো কস্টের চেয়ে ছন্দা পিচ্চিটার উপর অনেক মায়া পড়ে গিয়েছিলো।।
আমি অনেক পাগলামি করতাম সুনামগঞ্জ এসে- ঠিকমত খেতে চাইতাম না, বাইরে খেলতে যেতাম না, কোথাও কোন কাজ ভালো লাগতো না।।
মনের পুরোটা সিলেটে ছন্দাদের বাসায় পড়ে থাকতো।।

আম্মু এক দুইবার বাধ্য হয়ে সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট আমাকে নিয়ে গেছে, শুধু ছন্দাদের সাথে দেখা করানের জন্যে।। পরে আস্তে আস্তে যোগাযোগ কমতে থাকে, তখন তো ফোনের তেমন চল ছিলো না।।
এদিকে, আব্বু আবার বদলী হয়ে সুনামগঞ্জ থেকে মাগুরা চলে যায়- এভাবেই ছন্দাদের পরিবারের সাথে প্রায় যোগাযোগ, দেখা সাক্ষাত বন্ধ।।

………
আমার দুই বোন সহ পরিবারের সবাই এখন ছন্দাদের বাসায়।।
আমি ছন্দাকে দেখার জন্যে ছটফট করছি।। জানি ছন্দা আমাকে দেখলে চিনবে না, মাত্র ১ বছর বয়সে ছন্দাকে রেখে আমরা সুনামগঞ্জ চলে গিয়েছিলাম।। মাঝে দুই একবার যাও আসছি, তখনও ছন্দা বেশ ছোট।।
কে জানে আন্টি আমাদের কথা বলেছে কিনা ছন্দাকে, ওদের বাসায় তো কত ভাড়াটিয়া আসে যায়।। আজ থেকে ১৮-১৯ বছর আগের কথা, কেউ কি আর মনে রাখে।।

আমরা সবাই এইবার শাহজালাল শাহপরাণের মাজার জিয়ারত করতে সিলেট আসছি।।
এখানে এসে আম্মু হুট করে আমাকে বললো- শোভন তোর ছন্দা বাবুর কথা মনে আছে।। আমি সত্যিই ভুলে গিয়েছিলাম, এসব।। খানিক ভেবে নিলাম মনে পড়তেই সমস্বরে হ্যাঁ হ্যাঁ মনে আছে বলে উঠলাম।।
আম্মু বলে- অনেক বড় হয়ে গেছে হয়তো।। শান্তা শিলার চেয়ে তো বড় ছন্দা।।
আমার দুই বোন শান্তাশিলাও ছন্দাকে দেখতে চাইলো, ওরা ছন্দার থেকে বছর দুয়েকের ছোট হবে।। আসলে, ছন্দাকে শান্তাশিলার চেয়ে আমার দেখার আগ্রহ বেশি।।
আব্বুকে বলে কয়ে রাজী করিয়ে ছন্দাদের বাসায় এনেছি।।

আন্টি আমার দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন।। আদর করে দিলেন, শান্তা শিলার কথা জানতেন না।। ওদের দেখে অবাক হয়ে গেলেন।। সিলেটি ভাষায় অস্থির খুশি প্রকাশ করতে থাকলেন।। বেচারি কি রেখে যে কি করবেন- সে এক অদ্ভুত দৃশ্য!!
ছন্দার বাবা আগে লন্ডন থাকতেন, এখন স্থায়ী ভাবে দেশে এসে ব্যবসায় শুরু করেছেন।। ছন্দার বড় একটা ভাই ছিলো, আর আমরা সিলেট ছাড়ার পরে ওর আর একটা বোন হয়।। ওরাও এখন আমাদের মত এক ভাই দুই বোন।।
আন্টি বার বার আমাকে আর শান্তা শিলাকে আদর করে করে বাবা সোনা বলে ডাকছে।। আন্টিকে এত বছর পর দেখেও, আমি চিনে ফেলেছি।।
ছন্দার ছোট বোনের নাম নন্দা, মিলিয়ে রাখা নাম।। নন্দা প্রায় শান্তা শিলার সমান।। তিনজনেই এইবার এইস এস সি পরীক্ষা দেবে।। মূলত, শান্তাশিলার পরীক্ষাকে কেন্দ্র করেই- মাজারে আসা।। আম্মুর একটা অদ্ভুত বিশ্বাস ভক্তি, জন্মে আছে এই মাজারের প্রতি।।

……..
দুপুরে সবাই আমরা খাওয়া দাওয়া করলাম।। বাসায় আপাতত আন্টি একাই ছিলো।। ছন্দার বাবা ব্যবসায়িক কাজে বাইরে, ছন্দা ভার্সিটিতে, নন্দা কলেজে।। আর ছন্দার বড় ভাই এখন লন্ডন থাকে।। সিলেটের সাথে লন্ডনের এক অদ্ভুত যোগসূত্র আছে।।

বিকেল ৩ টার দিকে নন্দা কলেজ থেকে ফিরে এলো।। আমাদের সাথে আন্টি পরিচয় করিয়ে দিলেন।। মেয়েটা অতীব চঞ্চল, ঠিক আমার ছোট বোন শান্তার কার্বন কপি।। শান্তা শিলার সাথে নন্দার মূহুর্তেই বন্ধুত্ব হয়ে গেলো, আমি আছি ছন্দাকে দেখার আশায়।। নন্দা আমাদের কথা আগে তেমন শোনে নি আন্টির কাছে, ওর সেদিকে খেয়াল নেই- সে শান্তা শিলাকে পেয়ে মহা খুশি।।

বিকেল চারটার কিছু পরে ছন্দার আগমন।। মেয়েটার চুলগুলো কুঁকড়ানো, গায়ের রঙ উজ্জ্বল শ্যামলা বলা চলে, চোখগুলো সুন্দর, ছিপছিপে গড়নের স্বাস্থ্য, ওর চেহারার মধ্যে শান্ত গম্ভীর একটা ভাব আছে।। আমি খুব আগ্রহ নিয়ে দেখলাম, অদ্ভুত এক অনুভূতি।। এই মেয়েটাকেই ছোট বেলায় আদর করার জন্যে আমি পাগল হয়ে যেতাম।।
ইস, কি দিনগুলো চলে গেছে- আর বুঝি ফেরত আসবে না।।
ছন্দা কিন্তু রীতিমত লজ্জা পাচ্ছে।। শান্তা শিলা নন্দা একসাথে অন্যরুমে আড্ডা দিচ্ছে, আর আব্বু আম্মু আন্টি আমি ছন্দা ড্রয়িং রুমে বসা।। আম্মু এটা ওটা কত স্মৃতিচারণ করছে, ছন্দা শুধু শুনে মুচকি মুচকি হাসে।। তবে, আমি সিওর মেয়েটা একবারও আমার দিকে তাকায় নি।। আমি বরং সব লজ্জা উপেক্ষা করে ছন্দাকে দেখে যাচ্ছি।।

সন্ধ্যার দিকে ছন্দাদের বাসা ত্যাগ করি আমরা, ভাবলাম এটাই বুঝি শেষবারের মত এই পরিবারের সাথে দেখা।।
বের হবার খানিক আগে, ছন্দার বাবা এসেছিলো- উনার সাথেও দেখা হয়ে যায়।।

……..
ঢাকায় এসে শান্তা শিলা আমাকে বলে, ভাইয়া শুনো- নন্দা না তোমাকে পছন্দ করেছে।। আমি ফিক করে হেসে দেই, বলি একটা চড় লাগামু।। পোলাপান মানুষ আবার পছন্দ কি- আজাইরা কথা।। আর তোদের এই বয়সে এইগুলান করার বয়স, যা পড়তে বয়।। আর কখনো আমাকে কিছু বলবি না খবরদার।।
শান্তা শিলা বলে- কিন্তু নন্দা তোমার ফেসবুক আইডি চাইছিলো, আমরা কিন্তু দিয়া দিছি।।
আমি যাস্ট চুপ করে রইলাম, ওদেরকে আর কি বলবো!!

প্রতিদিন ফেসবুকে ৪-৫ টা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসে।। ঘেঁটে দেখলাম নন্দার কোন রিকোয়েস্ট আসছে কিনা, না এই নামে কিছু নেই।। পরে আদার’স বক্সে স্বপ্ন কুমারী নামের আইডি থেকে ম্যাসেজ পাই।।
হাই ভাইয়া, আমি নন্দা।। চিনছেন আমাকে, সিলেটে আমাদের বাসায় যে আসলেন, রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করেন কুইক।।

আমি দিন দু’য়েক ফেসবুকে নন্দার সাথে টুকটাক কথা বললাম।। একদিন, নন্দাকে ছন্দার কথা জিজ্ঞেস করলাম।। নন্দা মনে হলো, ছন্দার কথা জিজ্ঞেস করাতে নাখোস হয়।। তবুও একদিন নন্দার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ছন্দার মোবাইল নাম্বার চেয়ে নিলাম।। নন্দা রাগ করে ছন্দার নাম্বার দিয়ে, আমাকে ফেসবুক থেকে ব্লকি করেই দিলো-

কিছুদিন পর কোন এক বিকেলে ভয়ে ভয়ে ছন্দাকে কল দিলাম, কথা শুরুর আগেই নিজের পরিচয় জানিয়ে নিলাম।। ছন্দাকে কল দেয়াতে বেশ খুশিই মনে হইলো।। আস্তে আস্তে আমাদের কথা এগুতে থাকে, ভালোই লাগে।। ছন্দার সিলেটি টানে শুদ্ধ বলার চেস্টা, আমাকে যাস্ট পাগল করে দেয়।।

একদিন, ছন্দার কাছে ফেসবুক আইডি চাইলাম।। ছন্দা জানায় তার নাকি ফেসবুক আইডি নাই।। আমি যেনো আকাশ থেকে পড়ি- ভার্সিটিতে অনার্স পড়ুয়া একটা মেয়ের আইডি নাই, অদ্ভুত ব্যাপার।।
ছন্দা বলে- ছিলো, অইটার আইডি পাসওয়ার্ড সব ভুলে গেছি- আর ঢুকতে পারি না, আসলে আমার তেমন ভালোও লাগে না ফেসবুক।।

ইস, কত ভালো লক্ষী মেয়ে।। আমার ছন্দার প্রতি ভালোলাগা আরো বেড়ে যায়।।
ক’দিন পরে নিজেদের যোগাযোগের স্বার্থে আমিই ছন্দাকে নতুন একটা আইডি খুলে দেই।।
আজ ৩ মাসের মত সম্পর্কের বয়স আমাদের।।
আমার খুলে দেয়া সেই আইডির পাসওয়ার্ড চেয়ে চেয়ে মরে যাচ্ছি।। আর সে দিবে দিবে করে ঘুরাচ্ছে।। কেমনডা লাগে-

………
আসলে, ছন্দার মুখে জনি নামে একটা ছেলের কথা প্রায় শুনি।। জনি ছেলেটা ছন্দার বড় ভাই সুজনের ফ্রেন্ড।। এই ছেলেটাও লন্ডন থাকে।। সুজন নাকি ছন্দাকে এই জনির সাথে বিয়ে দিতে চায়।। তবে, ছন্দার বাবা মা তেমন রাজী না।। আমার সাথে পরিচয়ের আগে থেকেই নাকি, জনির সাথে টুকটাক কথা চলতো ছন্দার।।
জনির সাথে এখনো কথা হয় কিনা, হলে কি টাইপ কথা হয়- সেটা জানার জন্যেই আইডির পাসওয়ার্ড চাওয়া।।

আবার, এই তিন মাসে আমাদের একবারও দেখা হয় নি।। ঢাকা থেকে সিলেট দেখা করার ঝামেলা যাও পোহাতাম- ছন্দার তেমন আগ্রহ পেতাম না, দেখা করার ব্যাপারে।। ম্যাসেঞ্জারে ছবি চাইলে দিতে চাইতো না, এই তিন মাসে ১০ টা ছবি দিছে কিনা সন্দেহ।। অথচ আমি খাইতে বইতে উঠতে যাইতে শত শত ছবি দিতাম।। সে ইনিয়ে বিনিয়ে চেয়ে নিতো।।
আর ইদানিং বুঝলাম না, ছন্দা মাঝে মাঝেই ম্যাসেঞ্জারে কলে বিজি থাকে।। খুব সন্দেহজনক কথা বলে, আমার অস্থির লাগে।। ফোন বিজি, ওয়েটিং প্লাস আমাকেও পাত্তা কম দেয়।। আর কারণে অকারণে জনির নাম নেয়- আমার সন্দেহ বেড়ে বেড়ে তা তো মহামারি অবস্থা।।

ভাবলাম, শান্তা শিলার সাথে একটু পরামর্শ করি।। বোনদের সাথে মোটামোটি ফ্রি মাইন্ড সম্পর্ক।। কিন্তু, এই বয়সে মাইয়া পুলা সবার এক সমস্যা, সারা দিন ফোন নিয়া পইড়া থাকে।। যথারীতি ওদের রুমে গিয়ে দেখি- দুইবোন বিছানায় দুইদিকে চেগাইয়া মোবাইল চাপতাছে।।

আমি রুমে ঢুকাতে নড়েচড়ে বসলো-
কিছুক্ষণ কেঁশে কুশে বললাম-আচ্ছা ছন্দার সাথে আমার তিন মাসে এই এই এই কাহিনী।।
আমার কথা শুনে, ওদের দুইজনের ভাবসাব দেইখা মনে হইলো- এইডা কোন ব্যাপার না, এইগুলার সমাধান এদের কাছে পান্তাভাত!!
আমি ওদের দিকে তাকাইয়া বললাম- বল কিছু প্লিজ!! বোইন-
শান্তা বলে- ধুর!! ছন্দা আপু ভালো না বুঝলা, তুমি বরং নন্দাকে বাইছা নেও।। নন্দাকে কিন্তু আমার জোস লাগে, কত্ত সুন্দর কিউট একটা মাইয়া।। আবার, আমরা একটা বান্ধবীও পামু।।
শান্তার কথা শেষ হতে না হতেই হন্তদন্ত হয়ে শিলা বলে- ভাইয়া, হ ভাইয়া হ।। প্লিজ প্লিজ ছন্দাপুকে বাদ দেও- প্লিজ প্লিজ ভাইয়া।। ইস্ট এন্ড ওয়েস্ট নন্দা ইজ বেস্ট।।
আমি হইলাম রামছাগল।। বুদ্ধি নিতে গেছি এই দুই বান্দরের কাছে।। ওদের ধুর বইলা, হতাশ মনে সোজা নিজের রুমে আসলাম।।
বসে বসে ভাবছি- আইডি আমি খুলে দিছি ছন্দাকে।। পাসওয়ার্ড সে চেঞ্জ করেছে, বাট ইমেইল আইডির পাসওয়ার্ড দিয়ে কিভাবে যেনো হ্যাক করা যায়।।

রাফিকে কল দিয়ে আইডির যা জানি সব বিস্তারিত বললাম।।
হ্যাকার দোস্ত আমাকে বলে- ওরে গাধা, এইটা তো এক সেকেন্ডে মামলা।। যেখানে তুই আইডির ইমেইল এর পাসওয়ার্ড জানিস।।
দাঁড়া এখুনি তোকে সব বিস্তারিত দিচ্ছি-

………
ছন্দার ফেসবুক আইডির ইমেইল পাসওয়ার্ড আমার হাতের সামনে।। আমার বুক কাঁপছে, সত্যি আমি মেয়েটাকে ভালোবাসি।। আমার সাথে কোন চিটিং হলে আমি সহ্য করতে পারবো না- সিম্পলি না।। অথচ চারিপাশে আজকাল এসব অনেক হয়।

ভয়ে ভয়ে লগিন করলাম।। সোজা ইনবক্সে হানা দিলাম।।
কিন্তু ইনবক্সের শুরুটা দেখেই আমার চোখ ছানাবড়া-
এই আইডির লাস্ট ম্যাসেজিং, শান্তার সাথে-

>>শান্তা লিখেছে-
দোস্ত ভাইয়াকে তোর কথা সব কইলাম।। ছন্দা ফন্দা বাদ দিয়ে কইলাম তোকে বাঁইছা নিতে।। আর জনি নাটক চালাই যা, ভাইয়া সন্দেহ করে করে ছন্দাকে বাদ দিবে তাইলে।।
আচ্ছা শুন, ম্যাসেঞ্জারে কল দে তো এখুনি- আরো কথা আছে!!

লিখেছেনঃ রাজভী রায়হান শোভন