সুকাত্রা: এক এলিয়েন দ্বীপের আদ্যোপান্ত

359
0

এ যেনো এক ভিন্ন গ্রহ,কিংবা হলিউড মুভিতে দেখানো রূপকথার কোনো দৃশ্য৷ পৃথিবীর অন্যসব অংশ থেকে দেখতে ভিন্ন৷ভৌগলিক পরিবেশ,এন্ডেমিক উদ্ভিদ কিংবা প্রাণীকূল,আর অনন্য সৌন্দর্যের সমাহার এই দ্বীপটিকে অন্য সব দ্বীপ থেকে আলাদা করে তুলেছে৷ তাই অদ্ভুত এই দ্বীপে এলিয়েনের দেখা না মিললেও একে “এলিয়েন দ্বীপ” বলা হয়৷আয়তনে ৩৭৯৬ বর্গ কিলোমিটার এই অদ্ভুত দ্বীপটির নাম সুকাত্রা৷

গারদাফুই চ্যানেল ও আরব সাগরের মাঝামাঝিতে অবস্থান৷ সুকাত্রার পশ্চিমে গারদাফুই চ্যানেল,উত্তর- পশ্চিমে গালফ অব অ্যাডেন, দক্ষিণে সোমালি সাগর,পূর্বে আরব সাগর৷

সোমালিয়া থেকে ১৫৫ মাইল উত্তর পূর্ব দিকে এর অবস্থান৷এটি ইয়েমেনের অংশ এবং মূল ভূখন্ড থেকে প্রায় ২১০ মাইল দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত৷

ইয়েমেনের মানচিত্রে সুকাত্রা। Image Source: researchgate.net

প্রায় ১৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ, ৫০ কিলোমিটার প্রস্থ বিশিষ্ট সুকাত্রাকে যদিও দ্বীপ বলা হয়, তবে এটি দ্বীপপুঞ্জ৷ মোট ৪টি দ্বীপ রয়েছে এখানে৷ সুকাত্রা, আবদ আল কুরি, দারসাহ ও সামহাহ৷ এদের মধ্যে আকারে সুকাত্রা সবার বড়৷ সুকাত্রার রাজধানী হাদিবু৷

তিন ধরনের ভূমির সমন্বয়ে সুকাত্রা গঠিত৷ উপকূলীয় সমভূমি,চুনাপাথরের মালভূমি এবং হাজির পর্বত। হাজির পর্বতসমূহ সুকাত্রাকে ঘিরে রেখেছে৷ উত্তরে সংকীর্ণ কোস্টাল প্লেন, দক্ষিণে ব্রোডার প্লেন, দক্ষিণ-পশ্চিম ও পশ্চিমে রয়েছে সামহাহ এবং দারসার ছোটো দ্বীপসমূহ যেগুলোকে বলা হয় আল- ইখওয়ান বা the brothers এবং আবদ আল কুরি৷

অতীতে গন্ডোয়ানা মহাদেশের অংশ ছিল এই দ্বীপ৷ অর্থাৎ দ্বীপটি একসময়ে আফ্রিকা ও আরবের মূল ভূখন্ডের সাথে সংযুক্ত ছিল৷ কিন্তু ধীরে ধীরে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে সরে এসে এটি এশিয়া মহাদেশের অংশ হয়ে যায়৷ সুকাত্রার সর্বোচ্চ পর্বতের নাম মাশানিগ উচ্চতায় ৪৯৩১ ফুট৷

সুকাত্রার পাথুরে ভূমি,Image Source:unsplash.com

সুকাত্রা শব্দের উৎপত্তি

সুকাত্রা নামের উৎপত্তি নিয়ে খানিকটা ভিন্নমত আছে৷ ধারণা করা হয় যে সুকাত্রা নামটি একটি গ্রিক শব্দ যা দক্ষিণ আরবীয় কোনো একটি উপজাতি গোষ্ঠী থেকে উৎপত্তি হয়েছে ৷কেউ কেউ আবার এর সাথে ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, সুকাত্রা শব্দটি সংস্কৃত শব্দ “সুখাদ্রা” থেকে এসেছে যার অর্থ হলো “আশীর্বাদপুষ্ট ভূমি”৷

উদ্ভিদকুল

১৯৯০ এর দশকে জাতিসংঘের জীববিজ্ঞানীদের একটি দল সুকাত্রায় জরিপের জন্য যায়৷ যেখানে তারা এই দ্বীপপুঞ্জের উদ্ভিদ ও প্রাণীকূলের