ওল্ড ক্যাসল থেকে গল্প যখন বেরিয়ে আসে নগরে,
স্বপ্নভুমির বিচরণে, আজো মানুষ গল্প মাতায় প্রাগে!
অধুনা পৃথিবীর ঐশ্বর্যকে বাড়িয়ে তোলার এক অপূর্ব সাক্ষী চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগ। বর্ণিল স্থাপত্য থেকে শুরু করে শিল্পের সাথে সংস্কৃতির আলিঙ্গনের এক অপার ভূমি। ইউরোপের বুকে অবস্থিত সবচেয়ে সৌন্দর্যমণ্ডিত একটি শহর, যার লাস্যময়ী রূপে প্রতিবছর হাজারো মানুষের আনাগোনা হয় এই শহরে। ভলতোভা নদীর দু’পাশে স্থাপত্যের নৈপুণ্য আর প্রাসাদগুলোর টাওয়ার দ্বারা বেষ্টিত, প্রাগ আধুনিক পৃথিবীতে নগরায়নের নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সম্রাট চতুর্থ চার্লসের সময়ে নির্মিত এই শহরটি মধ্যযুগীয় শিল্পের এক সর্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৃহত্তম শহরগুলোর মধ্যে প্রাগের অবস্থান ১৩ তম। ভলতোভা নদীর ঠিক উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এক দর্শনীয় শহর প্রাগ। বর্তমানে এই শহরটির মোট ১৯২ বর্গমাইলের মধ্যে প্রায় ১.৩ মিলিয়ন মানুষের বসবাস।
প্রাগের অতীত ইতিহাসে ফিরে গেলে জানা যায়, নবম শতাব্দীতে নগরকেন্দ্র হিসেবে প্রাগের আবির্ভাব। ৮৮০ খ্রিস্টাব্দে প্রিমিস্লিড রাজবংশের রাজপুত্র বোরিভোজ প্রাগ ক্যাসল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই শহরের গোড়াপত্তন করে। পরবর্তীতে প্রিমিস্লিড রাজবংশের কিছু সদস্য সিরিল দ্বারা চেক ভূমিতে আনা খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে। পরে ৯৭৩ সালের দিকে বিশপ পদ সৃষ্টির মাধ্যমে প্রাগে খ্রিস্ট ধর্মের প্রসার লাভ করে। যদিও ১০৮৫ সালের দিকে প্রথম চেক রাজা হিসেবে দ্বিতীয় ভ্রাতিস্লাভের নাম পাওয়া গেলেও সার্বভৌম ক্ষমতা তখনো রোমান আর জার্মানদের হাতেই বন্দী ছিল।
ধীরে ধীরে শহরায়নের ছোঁয়াতে চতুর্দশ শতকের দিকে প্রাগ তার সমৃদ্ধির এক নতুন ধারাতে পৌঁছায়। প্রাগের প্রথম স্বর্ণযুগ বলে একে আখ্যায়িত করা হয়। এই সময়ে প্রাগ হয়ে ওঠে ইউরোপের অন্যতম সমৃদ্ধ শহর এবং সাংস্কৃতিক রাজধানীর কেন্দ্রস্থল। চতুর্থ চার্লস এই সময়টাতে দেশ শাসন করেন এবং এখনো প্রাগের মানুষ তাকে সবচেয়ে সফল চেক রাজা হিসাবে স্মরণ করে থাকে।
সফলতার কীর্তিতে প্রাগ যে দুঃসময় দেখেনি, তাও কিন্তু নয়। ধর্মযুদ্ধের আমলে হুসাইট যুদ্ধগুলো যা হুসাইট এবং রোমান সাম্রাজ্যের সাথে সংঘটিত হয়, যে যুদ্ধ প্রাগের ঐতিহ্যের স্মৃতি ম্লান করে দেয়। হুসাইটরা ছিল চেক প্রোটো-প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিস্টান আন্দোলনের সংস্কারক জন হুসের অনুসারী। যিনি বোহেমিয়ান সংস্কার আন্দোলনের জন্য সর্বাধিক পরিচিত ছিলেন। ষোল শতাব্দীর দিকে প্রাগ আবার পুনর্গঠিত হয় নব্য রেনেসার ছোঁয়াতে। তখন প্রাগ ক্যাসলগুলোর নির্মানশৈলী স্থাপত্যশিল্পের চূড়ান্ত রূপ দেখায়, বিশেষ করে বিনোদন শৈলীর জন্য নির্মিত রয়েল গার্ডেন, বলগেম আর বেলভেডেয়ার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
উনিশ শতকের বৈপ্লবিক উপাখ্যানের পর্বে প্রাগেও পরিবর্তনের জোয়ার আসে। ক্রমবর্ধমান শিল্পের প্রসারণের ফলে গ্রাম থেকে দলে দলে মানুষ ভিড় করে এসে প্রাগে। জাতীয়তাবোধের স্পৃহা বৃদ্ধি পেতে থাকে, চেক ইতিহাস তার সমৃদ্ধির পথে যাত্রা অব্যাহত রাখে। প্রাগকে এমন সমৃদ্ধির জন্য ‘লিটল জেরুজালেম’ বলে ডাকা হতো তখন। এখনো প্রাগে দর্শনার্থীদের ঢল দেখলে সেই অগ্রযাত্রা আয়নার মতো চোখে ভাসে। বর্তমানে বার্ষিক প্রায় ৬.৪ মিলিয়ন দর্শনার্থী আসে এই শহর ভ্রমণে। এর মূলে রয়েছে শহরটির সমৃদ্ধ স্থাপত্যশৈলী, যা বোহেমিয়ান এবং আরবান শিল্পের দুটি বিপরীত দিক হিসেবে প্রাগকে পৃথিবীর বুকে তুলে ধরেছে।
চারিদিক পাহাড় বেষ্টিত শহরটির গির্জা আর টাওয়ারগুলো অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে পুরো শহর জুড়ে। এজন্যই প্রাগকে ‘একশো চূড়ার শহর’ বলা হয়। ১৯৯২ সালে শহরটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রায় এগারশ বছরের শিল্পের ছোঁয়াতে প্রাগ শহরটি অসামান্য স্মৃতিসৌধে সমৃদ্ধ। যেমন- প্রাগ ক্যাসল, গথিক চার্লস ব্রিজ, ওল্ড টাউন চার্চ থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থাপনাগুলো প্রাগের সমৃদ্ধ ইতিহাসকে প্রতিফলিত করে। প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে চার্লস ব্রিজের ওপর দেখা যায়।
ভূ-তাত্ত্বিকভাবে বাফারজোনে অবস্থিত প্রাগ তার প্রতিরক্ষা নীতিতে বিশ্বাসী। মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরেই রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে প্রাগকে সম্প্রসারণ করা হয়। নদী তীরের এই শহরের অপার সৌন্দর্যে মানুষ প্রতিনিয়ত বিমোহিত হয়। যদিও অন্যান্য পূর্ব ইউরোপীয় দেশের শহরগুলোর মতো প্রাগেও আবাসন আর রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যা রয়েছে। তবুও দেশটি তার পেরিফেরিয়াল জোন যেমন- সাউথ জোন, নর্থ জোন, সাউথ-ওয়েস্ট টাউন প্রসারণের মাধ্যমে তার আবাসন সংকট ঠেকাতে সুনগর পরিকল্পনার পরিচয় দিয়েছে। যে কেউ প্রাগে প্রবেশ করলেই সুনগর পরিকল্পনার ছাপ স্পষ্টই দেখতে পাবে।
প্রাগের খাদ্য সংস্কৃতিতে মধ্যাহ্নের খাবারকে ‘দিনের প্রধান খাবার’ হিসেবে ধরা হয়। পোর্ক অথবা গরুর মাংস এখানে তুমুল জনপ্রিয়। সাথে সাইড ডিশ হিসেবে দেখা যায় ডাম্পলিং আর পটেটো। প্রাগের মানুষজন মাছ খুব একটা পছন্দ করে না। কিন্তু, হাঁস ও ডাম্পলিং প্রাগের একটি অতি জনপ্রিয় স্থানীয় খাবার। প্রাগ দর্শনে গিয়ে স্থানীয় খাবার না খেলে ভ্রমণ যেন পরিপূর্ণতা পায় না। প্রাগের পানীয়ের তালিকায় উপরেই রয়েছে বিয়ার। প্রাগের মানুষ ভীষণ রকম বিয়ার পছন্দ করে। এমনকি বিয়ারের ক্রেতার দিক থেকে প্রাগ বৈশ্বিকভাবে সর্বোচ্চ পার ক্যাপিটা ইনকাম করে। মিষ্টির জন্যও এই শহর বিখ্যাত!
ভলতোভা নদীর পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই দেখতে পাওয়া যায় উইশ ওয়াল, বাংলায় যাকে বলে ইচ্ছে দেয়াল। এই দেয়ালে সবাই নিজের মনের কথা লিখে আসে। স্থানীয়দের বিশ্বাস এই দেয়ালে ইচ্ছের কথা লিখলে তা পূর্ণ হয়। নগরবাসীর দেখাদেখি বিপুল দর্শনার্থীও এখন উইশ ওয়ালে বিশ্বাস রাখে! যার প্রমান এর সামনে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখলেই বোঝা যায়। যদিও সারা বছর পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়ই; কিন্ত ডিসেম্বরে এই শহরটি নান্দনিক পসরা সাজিয়ে বসে যেন। সারি সারি ক্রিসমাস মার্কেটগুলো দৃষ্টিনন্দন আর চোখধাধানো এক সৌন্দর্য উপহার দেয় দর্শনার্থীদের। প্রাগের বাসিন্দারা খুব সাংস্কৃতিক মনোভাবপূর্ণ। উৎসবের দিনগুলোতে বিশেষ করে বসন্তে শহরটি তার আভিজাত্য নিয়ে সাজে।
ইউরোপীয় সংস্কৃতির নিপুণ কারিগর প্রাগ। প্রতিবছর বসন্তে এখানে বসে সুরের মেলা, যা পৃথিবী প্রাণভরে দেখার সুযোগ পায়। অর্কেস্ট্রাগুলো প্রতিবার পৃথিবীর মানুষের চিত্ত কেড়ে নেয় তার রাজকীয় সুরে। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত তাই থাকার বিষয় নিয়ে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। পর্যাপ্ত হোটেল রয়েছে চমৎকার উপস্থাপনে। আবার সেখানে বোটেলও রয়েছে। বোটেল মানে বুঝতেই পারছেন নৌকা হোটেল। আপনি চির যৌবনা ভলতোভার কিনারার প্রাগে যাবেন অথচ নৌকা ভ্রমন করবেন না তা হতেই পারেন না। চাইলে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সেবা গ্রহণ করা যায় সেখান থেকেও।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ হওয়াতে ভিসার সহজলভ্যতা প্রাগের বৈশ্বিক সমৃদ্ধির অন্যতম বিষয়। চেকপ্রজাতন্ত্রের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যাত্রা কিন্তু খুব বেশিদিনের নয়। ২০০৪ সালে চেক ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে যোগদান করে। ভেলভেট রেভ্যুলেশনের জোয়ারে প্রাগ কমিউনিস্ট শাসনের শেষ লগ্নে এসে পোঁছায় ১৯৮৯ এর দিকে। যদিও প্রাগে কমিউনিস্ট শাসনের প্রথম সূচনা যুদ্ধের দমদমাতে হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে যখন নাৎসি বাহিনী দ্বারা শহরটি দখল হয়ে যায়, সেই সময়ে সৌভিয়েত আর্মির ত্রাণদাতা হিসেবে প্রাকে কমিউনিজমের নতুন সূর্য উদয় হয়।
এরপরই আলেকজান্ডার ডাবচেকের নেতৃত্বে প্রাকে কমিউনিস্ট শাসনের নতুন উদ্যোম দেখা যায়, যাকে আখ্যায়িত করা হয় মানবিক সমাজতন্ত্রের রূপে। এই সময়কালটা প্রাক বসন্তের লগ্ন। যদিও এই বসন্তকাল দীর্ঘস্থায়ীত্ব পেতে সক্ষম হয়নি ওয়ারশ প্যাক্টের কোন্দলের ফলে। তথাপি, প্রাগের কমিউনিস্ট যাত্রাপথ জানতে হলে এই সময়কালটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাগ বসন্ত দমনের বহু বছর পর সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভ সোভিয়েত ইউনিয়নের সংস্কারের জন্য যে পেরেস্ত্রোইকা বা গ্লাসোনস্ত আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা মূলত দুবচেকের মানবিক সমাজতন্ত্রের প্রতিফলিত রূপ। তবে গণতান্ত্রিক চেকোস্লোভাকিয়ার যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সালে। ১৯৯৩ সালে চেকোস্লোভাকিয়া নামধারী দেশটি বিভক্ত হয়ে যায় চেকপ্রজাতন্ত্র এবং স্লোভাকিয়া নামে। তখন শাসনভার ছিল কমিউনিস্টদের হাতে।
মধ্য ইউরোপের প্রাচীনতম চার্লস বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রাগ নগরীতে অবস্থিত, যেটি ১৩৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সভ্যতার অগ্রযাত্রার সাথে মিল রেখে একাডেমি অফ আর্টস এবং একাডেমি অফ মিউজিকও রয়েছে শহরটিতে। চেক একাডেমী অফ সায়েন্স যেটি চেকোস্লোভাক একাডেমি অফ সায়েন্সেস নামে পরিচিত ছিল, এর খ্যাতি এখনো বিশ্বজোড়া। প্রাগের এই উন্নত শিক্ষার স্বাক্ষর বহন করে সতের শতাব্দীর মহান জ্যোতির্বিদ টাইকো ব্রাহে, জোহানেস কেপলার এর মত মানুষের কীর্তি দ্বারা। উল্লেখ্য যে, প্রখ্যাত আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন, ১৯১১-১২ সালে প্রাগে শিক্ষকতা করে আরেক সমৃদ্ধির ইতিহাস রচনা করেন। এই সময় লিখেছিলেন তার বিখ্যাত গবেষণাপত্র, ‘দ্য থিওরি অফ রিলেটিভিটি।’
১৯৮১ সালে প্রাগে প্রতিষ্ঠিত প্যালেস অফ কালচার এখনো তার স্বাক্ষরবহন করছে ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে। সম্ভবত এই শহরটির সবচেয়ে বড় রত্ন দুই হাজারেরও অধিক এবং আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত স্থাপত্য এবং শৈল্পিক সব স্মৃতিস্তম্ভ। যা রোমান থেকে শুরু করে গথিক, বারোক, রোকোকো, ক্লাসিকাল এবং নিওক্লাসিকাল সময়ের এক উজ্জ্বল নজির স্থাপন করে। ১৯৪৫ সালের পর থেকেই এই স্থাপত্যগুলোর সংরক্ষণ শুরু হয়েছিল। সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন আর উল্লেখযোগ্য স্মৃতিস্তম্ভ সম্ভবত দশম শতাব্দীর সেন্ট জর্জের গির্জা; যেটি হারডকেনির উত্তর দেয়ালের পিছনে। এটি একাদশ-দ্বাদশ শতাব্দীতে ইউরোপে প্রচলিত গম্বুজের বিশেষ একধরনের স্থাপত্য ও শিল্পকলারীতিতে নির্মিত। প্রাগ ক্যাসল হ্যাডকানিতে অবস্থিত, যেটি নিঃসন্দেহে শহরের সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি দর্শনীয় স্থান। এটি বর্তমানে চেক প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন।
অন্যান্য গথিক স্মৃতিস্তম্ভগুলির মধ্যে রয়েছে ওল্ডটাউনের স্টারোমাস্টস্কি স্কোয়ার চার্চ; মার্জিত নির্মাণের এ স্থাপনাটি শহরের মধ্যে শৌর্যবীর্য নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে হৃত গৌরব নিয়ে। এর ঠিক পাশেই রয়েছে বেথলেহেম চ্যাপেল, যেখানে জান হুস পনের শতকে প্রচার করেছিলেন বোহেমিয়ান সংস্কার আন্দোলন। প্রাচীন ইতিহাসের ধারক হয়ে এই শহরটি সাক্ষী হয়ে আছে এমনি সব অতীত ইতিহাসের। সিটি হলের লাগোয়া বিখ্যাত অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ক্লক বা জ্যোতিষ ঘড়ি, যা নির্মিত হয়েছিল ১৪১০ সালে। আজ অব্দি প্রতিদিনকার সময়, তারিখ জানিয়ে তার গৌরবের সাক্ষ্য দিয়ে যায়।
জুলিয়াস ফুচিক, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে প্রাগের এক অবিসাংবাদিত বীর, যার নামে প্রধান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, স্পোর্টস ইন্সটিটিউট ও বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে প্রাগ শহরে। এ শহর যেন তার প্রতিটি আবরণে, শোভাতে আধুনিকতার পোশাকে আদি গৌরবের সত্তা লালন করে প্রতিটি স্মৃতির কিনারায়।
মধ্য ইউরোপের আধুনিক মননের মূর্তি প্রাগ, যে বুকে ধরে রেখেছে তার হাজার বছরের ঐতিহ্যকে। যে শহর চূড়ার মত শুধু নিজেকেই উপস্থাপন করে না, তার আভিজাত্যের হাজার চূড়া নিয়ে প্রকাশ করে অতীতের পৌরাণিক উপাখ্যানগুলোকেও। এভাবেই প্রাগ আধুনিক পৃথিবীর বুকে দাঁড়িয়ে আছে ওল্ড ক্যাসলের ‘বীর’ মহিমা নিয়ে।
Feature Image: Photo by Julius Silver from Pexels
তথ্যসূত্র:
1. Prague.
2. Prague History.
3. Prague Spring begins in Czechoslovakia.
খুবই তথ্যসমৃদ্ধ লেখাটি। লাবণ্য শাহিদাকে যত দেখি ততই অবাক হই। দেশীয় জ্ঞান ছাড়িয়ে বহির্বিশ্বেও তার সমান দাপট। আজকের তরুণরা যে হতাশার নয় তা লাবণ্য বারবার প্রমাণ করে দেয়। এরকম জ্ঞান পিপাসু মাত্রাতিরিক্ত রকমের।
এ যুগের বিদ্যা বিনোদিনী বেগম রোকেয়া, শামসুন্নাহার মাহমুদ, ডঃ নীলিমা ইব্রাহীম!
আমি বহির্বিশ্ব সম্পর্কে কিছুই জানি না।
লেখাটা খিটমিটে মনে হয় নি। খুব সুন্দর লিখেছে।
তবে আমার মনোযোগের বড়ই অভাবকে দুষছি আমি।
ধন্যবাদ জ্ঞান তাপসীকে।