লায়োনেস: সমুদ্রের বুকে হারিয়ে যাওয়া রাজ্য

1342
6

কয়েক বছর আগেকার কথা। সমুদ্রের তলদেশে প্রায় ১২০০ বছরের জমে থাকা বালি ও তলানি সরিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় হারিয়ে যাওয়া এক শহর। মিশরের এই শহরটির নাম হেরাক্লিয়ন। ডুবে যাওয়া এই শহরটি ছিল সমুদ্রের তীর থেকে ৬.৫ কিলোমিটার দূরে। যেখানে পাওয়া গিয়েছিল মিশরীয় দেবতা আমন ও তার ছেলে খনসৌর মন্দিরের কিছু অংশ। 

আর অঢেল স্বর্ণমুদ্রা, পাথরের বাটখারা, সোনার তৈরি অনেক তৈজসপত্র এবং প্রায় ৬৪টিরও বেশি জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও ৭০০টিরও বেশি নোঙর। সমুদ্রের নিচে এই চাপা বিস্ময় দেখে আধুনিক মানুষ অবাক হয়ে যায়। যদিও হারিয়ে যাওয়া রাজ্যের ভিড়ে হেরাক্লিয়ন একা নয়। হারিয়ে যাওয়া শহরের তালিকায় আটলান্টিসের কথাও মনে পড়ে।  

এমনই এক রাজ্য ছিল লায়োনেস। ব্রিটিশ আইল্যান্ডের সিসিলি দ্বীপে অবস্থিত বিশাল এক রাজ্য। কর্নওয়ালের পশ্চিম প্রান্ত থেকে সিসিলি পর্যন্ত ৩০ মাইল বিস্তৃত সুন্দর এই রাজ্যের প্রসার ছিল ব্যাপক। কিন্তু হঠাৎ, একদিন, বিশাল এই রাজ্যকে গিলে নেয় উত্তাল সমুদ্র! এমনকি কেউ কেউ মনে করে থাকে বর্তমানে সিসিলিতে অবস্থিত ১৪০টি দ্বীপ আসলে সেই ডুবে যাওয়া রাজ্যের পাহাড়চূড়া!  

দ্য মিথ অফ লায়োনেস। Image Source: deviantart.com

খিস্ট্রপূর্ব চতুর্দশ শতাব্দীতে উইলিয়াম ওরচেস্টারের লেখা ভ্রমণবৃত্তান্ততে সর্বপ্রথম কর্নওয়াল উপকূলে হারিয়ে যাওয়া এক সভ্যতার কথা উল্লেখ পাওয়া যায়। লেখকের ভাষ্যে, 

প্লাবনের পূর্বে সমুদ্র থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মাইল দূরে বিস্তৃত এক অচেনা স্থান ছিল। বিশাল বন, অবারিত মাঠসহ ১৪০টি গির্জা নিয়ে বিস্তৃত ছিল এই রাজ্য। অথচ সবই আজ ডুবে আছে পর্বত ও সিসিলি দ্বীপের মধ্যবর্তী স্থানে।

ইতিহাসের বহু কাহিনীতে এই লায়োনেস রাজ্যের কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত গল্পটি হলো কিং আর্থারের কিংবদন্তী। সেখানে বিখ্যাত বীর টিস্টানের বাসস্থান হিসেবে লায়োনেসের উল্লেখ রয়েছে। শুধু তাই নয়, যে প্রলয়ের ফলে লায়োনেস ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল তা আসলে ঘটেছিল কিংবদন্তী কিং আর্থারের সময়কালে। 

তবে গবেষকরা উক্ত স্থানে খোঁজাখুঁজি করে হারানো সেই শহরের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাননি। ধারণা করা হয়, ৩,০০০ বছর নিমজ্জিত থাকার ফলে গোটা সভ্যতাটি সমুদ্রের বহু গভীরে হারিয়ে গিয়েছে। 

আসলে, ব্রিটিশ মিথে পাওয়া তথ্যে, এই রাজ্যটিতে বাস করতো উচ্চবংশীয় সুদর্শন বীর যোদ্ধারা। ঈশ্বরের প্রতি লায়োনেসের জনগণ এতটাই অনুগত ছিল যে, তারা সেখানে ১৪০টি চার্চ স্থাপন করেছিল। অনেকের মতে, লায়োনেসে বিশাল এক ক্যাথেড্রাল ছিল। পরিশ্রমের ফসলে উর্বর ছিল লায়োনেসের ভূমি। অথচ মনোভিরাম এই রাজ্য একদিনেই তলিয়ে যায় উত্তাল সমুদ্রের বুকে। 

মানচিত্রে এক সমগ্র বিস্ময়ের নাম লায়োনেস। Image Source: Pinterest, Uploaded by Cosma D. Churruca

আজো লায়োনেসকে নিয়ে হাজারো কথা শোনা যায়। এমনও বলা হয়, পশ্চিম উপকূল ছাড়িয়ে সমুদ্র থেকে এখন অবধি ভেসে আসে চার্চের ঘণ্টাগুলির মধুর আওয়াজ। অনেক প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, আজো মধুর আওয়াজের বার্তা নিয়ে নয়; বরং প্রচণ্ড ঝড়ের সময় ভেসে আসে চার্চের ঘণ্টাগুলির লোমহর্ষক শিহরণ জাগানো সেই আওয়াজ। 

লায়োনেসের বিখ্যাত ক্যাথেড্রালটির অবস্থান ছিল বর্তমান সিসিলির সেভেন স্টোন রীফের কাছে। আবার অনেকে বর্তমান স্কটল্যান্ডেও লায়োনেসের অবস্থান ছিল বলে উল্লেখ করেন। এই মতটি পাওয়া যায় ট্রিস্টান এবং ইসেউল্ট এর কাহিনীতে। টিস্টান আর ইসেউল্ট এর প্রেমের কাহিনি কমবেশি সবারই জানা। বিখ্যাত লেখক জ্যাক ভ্যান্সের লায়োনেস ট্রিলজি জ্বলজ্বল করে দেখিয়ে দেয় অমর সেই উপাখ্যানের কথা।  

টিস্টান ছিল কর্নিশের নাইট। আর ইসেউল্ট আইরিশ রাজকন্যা। ঘটনার সূত্রপাত হয় টিস্টানের ঘাড়ে যখন দায়িত্ব চাপে ইসেউল্টকে আয়ারল্যান্ডের কর্নওয়ালে পৌঁছে দেওয়া নিয়ে। টিস্টানের চাচা রাজা মার্কের সাথে ইসেউল্টের বিয়ের কথা চলছিল। সে উদ্দেশ্য ইসেউল্টকে কর্নওয়ালে নিয়ে যাওয়া। 

কিন্তু পথিমধ্যে টিস্টান আর ইসেউল্ট দুজনে নিষিদ্ধ প্রেমের জাদুকরী পানীয় পান করে। আর সমাজ, প্রথা সব ভুলে দু’জনে জড়িয়ে পরে প্রেমের এক অলৌকিক ভুবনে। টিস্টান ভুলে যায় ইসেউল্ট আসলে তার চাচার পাণিপ্রার্থী হওয়ার কথা। 

শিল্পীর তুলিতে টিস্টান আর ইসেউল্ড। Image Source: Wikipedia

ইতিহাস সাক্ষী হয়ে যায় আরেক অমর প্রেমের! টিস্টান আর ইসেউল্ট পৃথিবীর বুকে এক হতে পারেনি। জীবন দিয়ে সমাধি হয়েছিল অমর প্রেমের এই কাহিনির! অমর এই প্রেমের যুগলবন্দী সেলুলয়েডের পর্দায় ভেসে আসে ২০০৬ সালে কেভিন রেইনল্ডস-এর পরিচালনায়। 

টিস্টান আর ইসেউল্টের সেই কাহিনিতেই ভেসে আসে লায়োনেসের কথা! ট্রিস্টানের কাহিনীগুলো যে সময়ে ঘটে, তার কিছু পরেই লায়োনেস সমুদ্রে বিলীন হয়ে যায়। কর্নওয়ালের ঐতিহ্যের সাথে লায়োনেস যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ইতিহাস তারই সাক্ষ্য বহন করে। 

নব্যপ্রস্তরযুগীয় মানুষেরা যখন সিসিলিতে বসবাস করতো তখন দ্বীপগুলো একটি আরেকটির সাথে সংযুক্ত ছিল। সেখানে অনেকগুলো সমাধিস্তম্ভ তৈরি হয়েছিল। সাথে ছিল অনেক প্রাচীর এবং বাসস্থান যেগুলোর বর্তমান ঠিকানা জলসীমার নিচে। 

ধারণা করা হয়, বহু আগে থেকেই দ্বীপপুঞ্জের সংযোগস্থল বন্যাপ্রবণ এলাকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। আর রোমানরা এসব এলাকার নাম দেয় স্কিলোনিয়া ইনসুলা; যা একটি মাত্র দ্বীপ অথবা মূল দ্বীপকে বোঝানো হতো।  

লায়োনেস। Image Source: The Artwork of Cory Ench

যদিও ৫ম এবং ৬ষ্ঠ শতকের দিকে দ্বীপগুলি বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে, তবুও এখনকার মতো পানিতে নিমজ্জিত ছিল না। রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার মতো যথেষ্ট পরিমানে ভূমি আর সম্পদও সেখানে বিদ্যমান ছিল। সেই সময়েই মূল সমতল ভূমি প্লাবিত হয় এবং আজ পর্যন্ত প্লাবিত হয়েই চলেছে। গত দুই হাজার বছরের মধ্যে সিসিলি দ্বীপপুঞ্জের চারপাশের জলসীমা ৫ মিটার পর্যন্ত উন্নীত হয়েছে! 

সিসিলির আশেপাশে মৎস্যজীবীদের বাসস্থান। সেখানকার ধীবর সম্প্রদায়ের মতে, সেভেন স্টোনস রিফ সেই জায়গাটিতেই অবস্থিত, যেখানেই বিদ্যমান ছিল হারিয়ে যাওয়া লায়োনেস রাজ্যের একটি শহর। শহরটির নাম দ্য সিটি অফ লায়ন্স। মূল স্থলভূমি এবং সিসিলির মাঝখানে যে স্থানটি পানির নিচে তলিয়ে হারিয়ে গিয়েছে সেই জায়গাকে বলা হয় লেথেসো বা লেথোসো। সেসময়ে জেলেদের জালে উঠে আসতো চুম্বকের টুকরোসহ নানান বিচিত্র জিনিস। 

অদ্ভুত শোনালেও এটা সত্যি যে, ঝড়ের সময় পানির নিচ থেকে ভেসে আসতো চার্চের সে ঢং ঢং ঘন্টার শব্দ! মূল ভূখণ্ডের পাশে রয়েছে বিখ্যাত আইল্যান্ড সেইন্ট মাইকেল মাউন্ট। সবুজবীথি কাননে আবৃত সেইন্ট মাইকেল মাউন্টের চারপাশে অজস্র ফসিলাইজড। 

ধারণা করা হয়, আশেপাশের নিকটবর্তী এলাকাগুলো যা কিনা সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল এই ফসিলাইজডগুলো আসলে তার সাক্ষ্য হয়ে রয়ে গেছে নির্জন বনের অংশবশেষে। যা এককালে সিসিলির অংশ ছিল। 

সন্ধ্যার অগ্রভাগে লায়োনেসের চিত্র। Image Source: Cornwall Live

বিস্মিত হলেও এটা সত্যি যে, মধ্যযুগীয় বিখ্যাত আর্থারিয়ান লিজেন্ডে লায়োনেসের ডুবে যাওয়ার কোন উল্লেখ নেই। কারণ এই নামটি এমন এক জায়গাকে নির্দেশ করে যা এখনো রয়ে গেছে পৃথিবীর বুকে! এখনো পর্যন্ত লায়োনেস লিজেন্ডের উৎপত্তি সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আর্থারিয়ান লিজেন্ড এর সাথে লায়োনেস রাজ্যের সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া যায়।  

আর্থারিয়ান লিজেন্ডের ট্রাজেডি বীর প্রেমিক ট্রিস্টানের বাবার রাজ্য ছিল এই লায়োনেস। যদিও এই রাজ্যের পরাক্রমশালী কয়েকজন রাজার অস্তিত্ব এবং ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানা গেলেও তার সত্যতা এখনো প্রমাণিত হয়নি ইতিহাসের নিঢেল আবরণে। ধারণা করা হয়, লায়োনেস রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কর্নবিয়ার রাজা মারশিয়ন আব কাস্তেনিনের সময়ে।

কেলটিক মিথোলজিতেও লায়োনেসের উল্লেখ আছে। এর সম্ভাব্য উৎস হিসেবে ধরে নেয়া হয় ব্রোঞ্জ যুগ। ওই সময়ে জলসীমা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সিসিলি দ্বীপপুঞ্জ এবং মাউন্ট বের কাছে অবস্থিত পেন্সেন্স দ্বীপে বন্যার সৃষ্টি হয়।   

এই ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায় সেইন্ট মাইকেলস মাউন্ট-এর কর্নিশ নাম থেকে। যার অর্থ বনের ভেতরে সাদা পাথর। অর্থ্যাৎ মাউন্ট বে এক সময় বন ছিল।  

সেলুলয়েডের পর্দায় আর্থারিয়ান বীর টিস্টান আর ইসেউল্ডের প্রেম। Image Source: Imdb.com

এমনকি সিসিলি দ্বীপপুঞ্জের আশেপাশের এলাকায় ব্রোঞ্জ যুগের বেশ কিছু আলামত খুঁজে পাওয়া গেছে যখন এসব এলাকা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উপরে ছিল। প্রমাণস্বরূপ পেন্সেন্স-এর নিকটে অবস্থানরত কর্নিশ জনগণ এখনও মাউন্ট বে-এর জঙ্গলের ফসিলে পরিণত হওয়া গাছের গুড়ি দেখতে পায় যখন সমুদ্রের পানির উচ্চতা কমে আসলে। এসব ফসিল সুউচ্চ গর্বে লায়োনেসের হারানো অতীতের কথায় হয়ত আধুনিক মানুষের চোখে এনে দেয়।  

আভিজাত্যের স্বয়ংম্ভরা নিয়ে লায়োনেস তলিয়ে রয়েছে অতল পৃথিবীর বুকে। এই রাজ্যটি সমুদ্রে তলিয়ে গিয়ে আসলে সৃষ্টি করে গিয়েছে হাজারো গল্পের আর তাবৎ রহস্যের ভাণ্ডার। যে মিথে এখনো মানুষ ভেসে যায় বীরদের উপাখ্যানের সেই গল্পগাঁথাতে। 

ভেসে যায় অমর প্রেমের ট্রাজিক সমাপ্তিতে যা এখনও মানুষের মনকে উদ্বেলিত করে তোলে। সমুদ্রে তলিয়ে যাবার পূর্বে লায়োনেসের ভূমি আর মানুষ চার্চের ঘন্টার শব্দে নিজেদের জীবনের নিয়ম তৈরি করতো। 

লায়োনেস মিথ নিয়ে জ্যাক ভ্যান্সের অবিস্মরনীয় রচনা ‘লায়োনেস ট্রিলজি’। যার জন্য ভ্যান্স ১৯৯০ সালে ওয়াল্ড ফ্যান্টাসি এওয়ার্ড ফর বেস্ট নোবেল পেয়েছিল। Image Source: Fictoplasm.net

সহস্র শতাব্দী পরে আজো ঢং ঢং শব্দ শুনতে পায় সেখানকার মানুষ। সমুদ্রের গভীর থেকে ভেসে আসা সে শব্দ কি বিশ্বাসের নাকি অলৌকিক শক্তির! এই পৃথিবীর শিয়রে দাঁড়িয়ে টিস্টান প্রিয়তমাকে বুকে নিতে পারেনি। অপ্রাপ্তির সেই যন্ত্রণা নিয়ে টিস্টান তার প্রেয়সীর সান্নিধ্য কি ডুবে আছে গভীর সমুদ্রের বুকে! 

সেই প্রশ্ন আজো অমিংমাসিত রয়ে গেছে। এখনো মধ্যরাতে ঘন্টার ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে সিসিলির প্রান্ত। এই অবাক বিস্ময়ের সীমাও হয়তো মিশরের হেরাক্লিয়নের মতো অতল পৃথিবীর বুকে ভেসে উঠবে।  

 

Feature Image: Ancient-origins.net 
Reference: 

01. Lyonesses (Isles of Scilly)02. Lyonesse trilogy by Jack Vance published by Orion Publishing Group Limited, 2010. 
03. Lyonesse: A Handbook for the Isles of Scilly published by J.C. Tonkin & Son, 1902. 

6 COMMENTS

  1. মনে হলো সিনেমা চলছে আমি বসে বসে দেখছি। পড়তে পড়তে দুটো ছবি মাথায় উঁকি ঝুঁকি দিছিল এক টাইটানিক সিনেমার জ্যাক যখন জলের তলায় তলিয়ে যাচ্ছে আর রোস জীবন বাঁচার তাগিদে চোখের জল মুছতে মুছতে প্রেম কে বিদায় দিচ্ছে। দ্বিতীয় চিত্র হলো সিন্ধু এবং হরপ্পা সভ্যতার ধ্বংসের আবিষ্কার হওয়া ছবি।

    আর শেষ প্যারাগ্রাফ পড়তে গিয়ে মনে এসেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গানের কথা…..
    “আমার পরান যাহা চায় তুমি তাই, তুমি তাই গো।
    তোমা ছাড়া আর এ জগতে মোর কেহ নাই কিছু নাই গো॥”

    অসাধারণ আরেকটি লেখা পড়লাম।

  2. অসাধারণ! অসাধারণ! অসাধারণ! লায়োনেস সম্পর্কে অত ভালো জানা ছিলো না। এই লেখা পড়ে অনেককিছুই জানতে পারলাম।

  3. বাহ! লায়োনেস ট্রিলজি পড়েছিলাম সেই কবে! ফিচার পড়তে গিয়ে সেসব স্মৃতি ভেসে এলো। খুব গোছানো আর মন দিয়ে লেখা। লেখাটাতে ভীষণ প্রেমের ছোঁয়া, এটা মন নাড়া দিয়ে উঠে।
    শুভকামনা