কিং রিচার্ড আর অস্কারের মঞ্চ: একজন উইলস্মিথের নির্বাসন

1319
3

রিচার্ড উইলিয়ামস, এমন একজন মানুষ, যাকে এই পৃথিবী হয়ত উপযুক্ত সম্মান আর ভালবাসা দেয়নি; কিন্তু রিচার্ড নিশ্চিত করে গিয়েছিল তার মেয়েদের সেই উপযুক্ত সম্মান আর ভালবাসা যাতে এই বসুন্ধরা দ্বিগুণ স্বরে ফিরিয়ে দিতে পারে। হ্যা, আমাদের এই গল্পের রিচার্ড উইলিয়ামস পৌরাণিক গল্পের উত্থান থেকে উঠে আসা কোনো রাজা বা রাজপুত্তর নয়। যার নেই কোনো জমকালো রাজপ্রাসাদ আর ঐশ্বর্য ভরা আগামী। যিনি জন্মেছেন হাজার বছরের এক বঞ্চনা নিয়ে; কৃষাঙ্গ গায়ের আবরণে।

রিচার্ডের ছোটবেলা কেটেছে লুইসিয়ানার শ্রেভপোর্টে। আটপৌরে আর দশটা মফস্বলের মতোই শ্রেভপোর্ট। যেখানে সপ্তাহ পেরোলে গ্রাম থেকে মানুষ শহরে যায় সদাই কিনতে। এমন একদিনের কথা। সেদিন বসেছিল হাটবাজার। ছোট্ট রিচার্ড বাবার হাত ধরে কেনাকাটা করতে আসে শহরে। তার বাবা বাড়ির জন্য বেশকিছু সদাই কিনে এক দোকান থেকে।

কেনাকাটার পরে রিচার্ডের হাতে টাকা দেওয়া হয় দোকানদারকে দেওয়ার জন্য। কিন্তু টাকা দিতে গিয়ে এক অঘটনের সম্মুখীন হয় রিচার্ড। ছোট্ট রিচার্ডের হাতের স্পর্শ লেগে যায় দোকানদারের সাথে। তৎকালীন সময়ে এটি ছিল ঘোরতর অন্যায়। কারণ, তখন সমাজে কৃষাঙ্গদের অস্পৃশ্য হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কোনো কৃষাঙ্গ স্পর্শ করতে পারত না শেতাঙ্গকে। আর রিচার্ড যার হাত স্পর্শ করে ফেলে সে দোকানদার ছিল শেতাঙ্গ!

রিচার্ড উইলিয়ামস, গ্রেটেস্ট টেনিস ফাদার অফ অল টাইম। Image from Black Tennis Magazine

মুহূর্তে ছোট্ট রিচার্ডের উপর সমস্ত পৃথিবীর আক্রোশ ভেঙে পড়ে। বুটের লাথিতে লাল হয়ে যায় অভিশপ্ত গায়ের কালো আবরণ! অজ্ঞান হওয়ার আগ মুহুর্তে রিচার্ড ভীড়ের মধ্যে দেখতে পায় তার বাবাকে; ভয়ে তার বাবা দৌড়ে পালাচ্ছিল প্রাণপ্রিয় সন্তানকে ফেলে। লাথিতে পিষ্ট হতে হতে ছোট্ট রিচার্ড দেখতে থাকে তার বাবার পলায়নকে। আসলে এই বঞ্চনার ইতিহাসকে উপেক্ষা করে রিচার্ডকে বাঁচানোর সাধ্য তার বাবার ছিলনা! 

এভাবেই রিচার্ড উইলিয়ামসের বেড়ে উঠা। ধীরে ধীরে রিচার্ড গায়ের রঙের এই বঞ্চনার ইতিহাস ভুলে যায় দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করে; স্ত্রী ওরাসিন প্রাইচ আর সন্তানদের মায়াতে। কিন্তু, তাও কি ভোলার উপায় থাকে?

দুই মেয়ে ভেনাস ও সেরেনাকে নিয়ে রিচার্ড উইলিয়ামস। Image from Pinterest

সেই দশকগুলোতে কালো জাতিদের না ছিল নিরাপত্তা অথবা শিক্ষা। রাস্তায় ড্রাগ, প্রতিপক্ষের সাথে খুনোখুনি আর অস্ত্রহাতে স্বেচ্ছাচারিতায় এরা নিজেরায় নিজের জাতির জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছিল। এমনিভাবে রিচার্ড উইলিয়ামস ও শিকার হয় মারধরের; আশেপাশের উঠতি বখাটে ছেলেদের কাছে। তবুও মুখ বুঝেই তার এগিয়ে যেতে হয় অধরা স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য। 

রিচার্ড উইলিয়ামসের স্বপ্ন শুরু হয়েছিল তার ছোট দুই মেয়েকে নিয়ে। ভেনাস আর সেরেনা উইলিয়ামস, যারা জন্মের আগেই বাবা ঠিক করে রেখেছিল তার ঘরে দুই টেনিস কিংবদন্তীর উত্থান হবে এবার।

হয়তোবা অর্থবিত্ত অথবা পর্যাপ্ত টাকা ছিলনা রিচার্ড বা তার স্ত্রীর। কিন্তু অ্যাথলেট হিসেবে তাদের দু’জনের ছিল অদম্য স্পৃহা আর মনোবল। প্রফেশনাল না হয়েও অপ্রতিরোধ্য আত্মবিশ্বাস আর পরিশ্রমের সাথে সমস্ত প্রতিকূলতা ঠেলেও যারা এগিয়ে যাচ্ছিল দুই মেয়েকে অ্যাথলেটে কিংবদন্তির কাতারে নিয়ে যাওয়ার আহবানে।

স্বপ্নপূরণের রথযাত্রায় টেনিস কোর্টে দুই মেয়ের সাথে রিচার্ড উইলিয়ামস। Image from The Hollywood Reporter

এভাবেই রিচার্ড উইলিয়ামস এগিয়ে যায় তার স্বপ্নের সেই সৌপানে। তার দুই মেয়ের কিংবদন্তীর ইতিহাস এই অতুল পৃথিবী কতটুক ধারণ করতে পেরেছে অথবা শুরুর সেই কথায় যদি বলি যে সম্মান রিচার্ড নিজে পাইনি তার মেয়েরা সেই সম্মানের রাজমুকুট মাথায় তুলতে কতটুকু পারে এই নিয়ে গল্প এগিয়ে যায়। গল্পের সেই মেয়ে দু্টো বাস্তবের দুই লিজেন্ড। এখন এই দুই কিংবদন্তীর পুরস্কারের ঝোলা দেখলেই বোঝা যায় সফলতার উপাখ্যান।

দুই বোনের মধ্যে ভেনাস উইলিয়ামস সাতটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম একক শিরোপা, পাঁচটি উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপ এবং চারটি অলিম্পিক স্বর্ণপদক জিতে নিয়ে কিংবদন্তীর কাতারে নিজেকে সঁপে দেয়৷ এবং ছোট বোন সেরেনা তার নিজের ২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম একক শিরোপা, সাতটি উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপ এবং চারটি অলিম্পিক স্বর্ণপদক জিতে বাবার সেই কথাটিকে সত্যি করে দেয়।

উপরের আখ্যানটির উপযুক্ত উত্তর পাওয়া যাবে এই বছরের ৯৪তম একাদেমি অ্যাওয়ার্ডস বা অস্কারের মঞ্চে, যার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার মুকুট আসে কিং রিচার্ডের ঘরে। সিনেমার নাম কিং রিচার্ড। টেনিস মহারথি উইলিয়াম বোন আর তাঁদের বাবা রিচার্ড উইলিয়ামের সেই সংগ্রামের ইতিহাস। যেখানে ফুটে উঠেছে ভেনাসের সেরা হয়ে উঠার প্রস্তুতি পর্বের কথা।

সিনেমার একটি দৃশ্য। Image from uzair

বায়োপিকের এই মুভিতে একপর্যায়ে বাবা রিচার্ড উইলিয়ামস সেরেনা উইলিয়ামসকে বলে,

“তুমি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হবে”

যদিও শেতাঙ্গ আর কৃষাঙ্গের বিষয়ভিত্তিক এসব মুভি নিয়ে এখন আর আমাদের মধ্যে হাইপ কাজ করেনা। তাই দিনশেষে একজন জর্জ ফ্লয়েডের সেই পিষ্ট হওয়া চিৎকার ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছিনা’ এই একবিংশের দুয়ারে এসেও সয়ে নিতে হয়! যাই হোক, কিং রিচার্ড মুভির আলোচ্য উপাখ্যান দুই টেনিস কিংবদন্তীর গড়ে উঠার দৃশ্য; আমরা দেখতে পাই তাদের বাবার কঠোর অধ্যাবসায়ে।

কিং রিচার্ড মুভির পোস্টার। Image from Pinterest

আর এই চরিত্রটি যে মানুষটি রূপোলী পর্দায় চিত্রিত করেছে তার চেয়ে যোগ্য হয়ত এ চরিত্রের জন্য আর কাউকে পাওয়া দুষ্করই ছিল।

পৃথিবীতে মানুষের চোখ এক রহস্যভরা সম্ভার। যে অতল সম্ভার নিয়ে আজো কাব্য বা সাহিত্যের শেষ নেই। পৃথিবীতে যতবার প্রিয় মানুষের চোখ ভেসেছে, প্রতিবার শান্ত নদী চোখে আকন্ঠ ডুবেছি নতজানু হয়ে! সমস্ত জীবনের ব্যর্থতা, আবেগ আর প্রাপ্তির এক অপূর্ব চিত্র আঁকতে পারে মানুষের চোখ।

কিং রিচার্ডের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরষ্কার পাওয়া উইল স্মিথও সেই কাজটি নিঁখুত ভাবে করতে পারে তার চরিত্রে। “দ্য পারসুইট অফ হ্যাপিনেসের” সেই ব্রোকার, যে দারিদ্র্যতার কষাঘাতে পিষ্ট হতে হতে অভুক্ত ছোট ছেলেকে নিয়ে রেলস্টেশন থেকে শুরু করে আশ্রয়কেন্দ্রেও দিনযাপন করে; দিনশেষে যার ছোট ছেলেটি নির্মল দুটি হাতে স্মিথের গালে হাত বুলিয়ে বলে উঠে ‘ইউ আর দ্য গুড ড্যাডি’ অথবা ৯৪তম একাদেমি অ্যাওয়ার্ডসের মঞ্চের কিং রিচার্ডের আবরণে সেই বাবা যিনি মেয়েকে বলে, 

”ইউ আর নট অনলি রিপ্রেজেন্টিং ইউ, ইউ গনা রিপ্রেজেন্টিং এভ্রি ব্ল্যাক গার্ল অন দ্য আর্থ’। 

সিনেমার আবেগঘন সেই দৃশ্যটি। Image from Movie maker magazine

উইল স্মিথ তেমনি এক নাম। এই মুভিতে শুধুমাত্র স্মিথের চোখের সমুদ্রেই মানুষ ডুবেছে, কেঁদেছে অথবা হেসেছে! তাই, এমন সমুদ্র যার চোখে থাকে, তাকে বিশ্ব বেঁধে দিতে পারেনা কোনো নিয়মের জাল, জাজমেন্ট করতে পারেনা তার ব্যক্তি কার্যকারণ নিয়ে।

কারণ, দিনশেষে এই আবেগের জন্যই মানুষ রূপোলী পর্দায় ভীড় জমায়, এই আবেগ দেখেই দর্শক হাতে তালি দিয়ে উঠে! তাই, সেই আবেগ নিয়ে কিং রিচার্ডের মোড়ক খুলে ব্যক্তি স্মিথ এসে পুরষ্কার হাতে অশ্রুসিক্ত করে সমস্ত মঞ্চকে, সেখানে রচিত হয় তেমনি এক নিগুঢ় ব্যাথার প্রতিফলন।

“লাভ উইল মেক ইউ ডু অল ক্রেজি থিংস” অস্কারের মঞ্চে স্মিথের এই দীপ্ত উচ্চারণ আরো একবার স্মরণ করিয়ে দেয় আমাদের নাগরিক সত্তার ভেতরে গুমড়ে মরা অলৌকিক ভালবাসাকে। যে মানুষ পর্দায় ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট ধরে মানুষকে বেধে রাখে ছন্দে, যে রিচার্ড উইলিয়ামস মেয়েদের খেলার কোর্টে কঠোর প্রশিক্ষণ দেওয়াতে প্রতিবেশির দ্বারা পুলিশের হাতে নির্যাতনের অভিযোগে হেনস্তা হয়, সেই পর্দার রূপকার ব্যক্তিগত আঘাত কীভাবে আর ঢাকবে অস্কারের মঞ্চে!

শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরষ্কার হাতে অস্কারের মঞ্চে অশ্রুসিক্ত চোখে উইল স্মিথ। Image from billboard.com

সিনেমাতো বাস্তবতার প্রতিফলনের প্রেক্ষাপট, সেখানে স্মিথ ব্যাতিক্রম আর কীভাবেই বা হবে? কারণ, এই মানুষটিকে দেখেই অজস্র মানুষ কেঁদেছে, হেসেছে সিনেমার প্রতি প্লটে প্লটে। অস্কারের এই মঞ্চে হয়তো বছর দশেক অতল চোখের কারিগর স্মিথকে আর দেখা যাবেনা।

ঘটনার সূত্রপাত এবারের অস্কারের আসরে। মঞ্চে তখন ছিলেন মার্কিন কমেডিয়ান ক্রিস রক। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে তিনি মঞ্চে উঠেছিলেন পুরস্কার দিতে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে উইল স্মিথের স্ত্রী জাডা পিংকেট স্মিথকে নিয়ে ঠাট্টা করেন ক্রিস। সবাই কমবেশি হেসে দিলেও গম্ভীর হয়ে যান জাডা। এরপরই ঘটনাটি ঘটে সবার চোখের সামনে। মঞ্চে এসে ক্রিস রককে সপাটে চড় কষান স্বামী উইল স্মিথ। 

অস্কারের মঞ্চে কালিমাযুক্ত সেই ঘটনা। Image from People.com

পরে অবশ্য মঞ্চে উঠে ক্ষমা চান স্মিথ। যদিও সরাসরি তিনি ক্রিস রকের নাম উচ্চরণ করে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেননি। তবে সেই ক্ষমা চাওয়ার উপলক্ষটাও ছিল স্মিথের জন্য বড় ঘটনা। তিনি সেরা অভিনেতার অস্কার নিতে তখন আবারও মঞ্চে এসেছিলেন। ‘কিং রিচার্ড’ ছবিতে রিচার্ড উইলিয়ামস চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ৯৪তম অস্কারে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন উইল স্মিথ।

কিন্তু অস্কারের মঞ্চে এই কার্যকলাপের জন্য স্মিথকে দশ বছরের জন্য নির্বাসন দেওয়া হয়। তাই পরবর্তী দশবছর অস্কার তার বন্ধ্যাত্ব নিয়ে বেঁচে থাকুক!

কিং রিচার্ড মুভির সবচেয়ে শক্তিশালী দিক ডায়লগ। প্রত্যেক অভিনেতা অভিনেত্রীর ডায়লগ থ্রোয়িং ছিল অনবদ্য। ডায়ালগ গুলোর জন্যই মুভিটি এতো সুন্দর করে প্রতিটি ইমোশন ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। যেহেতু এটি বায়োপিক তাই প্রতিটি ডায়লগ এতটা সত্যি কীভাবে হতে পারে, সেটা ভাবতেই বিস্ময় লাগে আর নিজের মধ্যে আলাদা অনুপ্রেরণা জাগে।

জীবন প্রদ্দীপ্তকর কিছু ডায়লগ। Image from Buzzfeed.com

মুভিটির দুই কিংবদন্তী বাস্তব চরিত্র সেরেনা আর ভেনাস থেকে জিজ্ঞেস করা হলে উত্তরে তারা জবাব দেয়, এই বায়োপিকটি তাদের বাবাকে একদম হুবুহু করেই তুলে ধরেছে। এছাড়াও, কাহিনীর প্রতিটি একজিকিউশান পারফেক্ট। প্রতিটি দৃশ্যের উপস্থাপনে কোনো বেখাপ্পা লাগেনি।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মুভিটি যেহেতু স্পোর্টস নিয়ে, তাই স্পোর্টসের দৃশ্যগুলো দেখার সময়ের টানটান উত্তেজনার পরিবেশ ছিল, যার কারণে যে কেউ খুব সহজেই মুভির ভেতরে ঢুকে যেতে সক্ষম হবে।

এই সিনেমাতে রিচার্ডের দুই মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন সানিয়া সিডনি ও ডেমি সিঙ্গেলটন। কিংবদন্তি দুই চরিত্রের উত্থানের পর্বগুলো তারা দারুণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে, এক কথায় চমৎকার অভিনয় করেছেন। তাদের সাথে বাবার চরিত্রে স্মিথের রসায়ন জমে ক্ষীর হয়েছে।

এই সিনেমাতে রিচার্ডের দুই মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন সানিয়া সিডনি ও ডেমি সিঙ্গেলটন, সাথে মায়ের চরিত্রে অভিনব প্রতিভার স্বাক্ষর রাখে এনজ্যানু এলিস। Image from Gettyimages

স্মিথের পাশাপাশি সাপোর্টিং চরিত্রে মা ওরাসেন্স ব্রান্ডি উইলিয়ামস চরিত্রে এনজ্যানু এলিসকে দারুন লেগেছে। বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে দু’জনের আবেগের পরিমিতবোধ ছিল অনবদ্য। যেহেতু ছবিটা বায়োপিকের আদলেই নির্মিত তাই শেষের অংশটুকু দেখলে ছোটগল্পের মতো এক অতৃপ্তি থেকে যায়। 

সেলুলয়েডের পর্দায় চিত্রিত কিং রিচার্ডের পরিচালক রেইনাল্ডো মার্কাস গ্রিন। যিনি একাধারে একজন পরিচালক, প্রযোজক এবং লেখক। তার কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মনস্টারস এন্ড ম্যান যেটি পরিচালনার পাশাপাশি গল্পের লেখকও তিনি।

তার আরেকটি উল্লেখযোগ্য কাজ জো বেল এবং কিং রিচার্ড, যেটি এই বছরের একাদেমি অ্যাওয়ার্ডসের জন্যও মনোনীত হয়। ছবিটির সিনেমাটোগ্রাফি টানটান উত্তেজনা ছিল। আগেই বলেছি স্পোর্টস কেন্দ্রিক হওয়াতে এই দিকটি বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। ওয়ার্নাস ব্রাদার্সের এই মুভিটির স্ক্রিনপ্লেতে ছিল জ্যাক বেইলিং। 

শেষকথা তাদের জন্য, যারা বিস্বাদে রয়েছে অথবা জীবনের মঞ্চে যারা প্রতিনিয়ত হেরে যাচ্ছে অথবা হেরেছে, কিং রিচার্ড তাদের জন্য জীবনের এক উত্তম টোটকা স্বরূপ।

 

Feature image: Cinemaeafins.com.br

References: 

King Richard

Will Smith makes a racket as Venus and Serena’s Dad in King Richard

King Richard- The Oscar-nominated film authentically depicts the Williams’ history 

King Richard

King Richard Review: Will Smith aces it as the Williams sister’s tennis- Coaching Dad

Will Smith banned from Oscar ceremonies for 10 years

3 COMMENTS

  1. দুর্দান্ত! আই ওয়াস টোটালি এবজরব ইন ইট। শেষের লাইনটা আরো উদ্রেক করে দিল দেখার জন্য। আমার অসম্ভব ভাল লেগেছে। মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা।
    এগিয়ে চলুক লেখা; নিয়মিত লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।