১৯৩১ সালের এপ্রিল মাস। ‘চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার অভিযানের’ বিচার হচ্ছে। বিপ্লবীদের বিচারের জন্য সারিবদ্ধ করা হয়েছে। সহযোদ্ধারা সিদ্ধান্ত নেন, জেলের প্রাচীর ও কোর্ট হাউস ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে তাদের মুক্ত করবেন। এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চট্টগ্রামে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা মাস্টারদা সূর্য সেন। এটিকে ব্রিটিশরা ‘ডিনামাইট ষড়যন্ত্র’ বলে অভিহিত করেছিল।
বিপ্লবী দলে ছিলেন রসায়নের এক মেধাবী শিক্ষার্থী। তার বিস্ফোরক এবং বারুদ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান ছিল। তাকে এই অভিযানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি জেলের ভেতর এসব পাচার করে সঠিক স্থানে রাখাও শুরু করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিস্ফোরকের শেষ ব্যাচের জায়গাটি পুলিশের নজরে পড়ে যায়। ফলে পরিকল্পনাটি ব্যর্থ হয়। নেতাদের আজীবনের জন্য স্থানান্তর করা হয় এবং সেই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই সাহসী বিপ্লবী ব্যক্তিটি ছিলেন কল্পনা দত্ত। তার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ না থাকায় দুই মাস পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে তাকে হোম রেস্ট্রেন্ট অর্ডারে রাখা হয়। তিনি সেসময় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের একজন অন্যতম সহযোদ্ধা ছিলেন যখন সবার ধারণা ছিল, মেয়েদের শারীরিক গঠন এবং পোশাক এই ধরনের কঠোর অভিযানের জন্য বাধা। তাছাড়া তারা ধরা পড়লে শত্রুর অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে পারবে না। তবুও প্রীতিলতা ও কল্পনার নেতৃত্বে মেয়েরা হাল ছাড়ত না। জালালাবাদ যুদ্ধের পর যখন বিপ্লবীরা গেরিলা যুদ্ধ সংগঠিত করার জন্য জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তখন মাস্টারদা তাদের দলে নারী সদস্যদের যুক্ত করেন।
জন্ম
সময়টি ছিল ১৯১৩ সাল, যখন একদিকে ১ম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল আর অন্যদিকে ভারত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। অসহযোগ আন্দোলন এবং খিলাফত আন্দোলন উভয়ই ধীরে ধীরে দানা বেঁধে উঠছিল। কল্পনা দত্ত চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর শ্রীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা বিনোদ বেহারী ব্রিটিশ সরকারের অধীনে কাজ করতেন। তার দাদা দুর্গাদাস দত্ত একজন প্রখ্যাত চিকিত্সক হিসাবে ‘রায় বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন।
শৈশব
শৈশব থেকেই তিনি তার বয়সের অন্যান্য বাচ্চাদের থেকে সবসময়ই আলাদা ছিলেন। তিনি ছেলেদের সাথে বেশি খেলতেন। দৌড়ানো, সাঁতার কাটা এবং পাহাড়ে ওঠা এসব ছিল তার পছন্দের কাজ। এটি তার সুস্থতায় অবদান রেখেছিল। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন অভিযান এবং জটিল মিশনে তাকে সাহায্য করেছিল।
শিক্ষাজীবন
গ্রামেই তার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। মাধ্যমিকের সময় তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম শহরে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শহরের সেরা মেয়েদের স্কুল ড: খাস্তগীর স্কুলে তাকে ভর্তি করা হয়। নতুন স্কুলে নতুন মেয়েদের মাঝেই তিনি নিজেকে খুঁজে পান। চমৎকার বিষয় হলো, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ছিলেন তার এক বছরের সিনিয়র। সেই বয়সেও তিনি আসল রত্ন খুঁজে পেতে ভুল করেননি।
তারা দুজনই মেধাবী ছিলেন। তবে, পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের রাজনীতিতে বেশি আগ্রহ ছিল। ব্রিটিশবিরোধী লড়াইয়ের দুই ধারা- অহিংস অসহযোগ আন্দোলন এবং সশস্ত্র সংগ্রাম, দুটি সম্পর্কেই তাদের ধারণা ছিল। তবে সশস্ত্র আন্দোলনের পথ তাদের বেশি আকৃষ্ট করে।
বিপ্লবীসত্তা
তারা শহীদ ক্ষুদিরাম ও কানাইলালসহ বিভিন্ন দেশের সশস্ত্র সংগ্রামের তথ্য, লিফলেট, হ্যান্ডআউট, বই সংগ্রহ করতে থাকেন। কল্পনা ও প্রীতিলতা বিজ্ঞানী হতে চেয়েছিলেন, যা তাদের পরিবারেরও ইচ্ছা ছিল। ধীরে ধীরে তাদের জীবনের লক্ষ্য পরিবর্তন হয়। এখন তারা ঝাঁসির রানী লক্ষ্মী বাই হতে চান, যিনি ঘোড়ায় চড়ে হাতে খোলা তলোয়ার নিয়ে সামনে থেকে সৈন্যদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
ছাত্রী সংঘে যোগদান
উভয়ই এসএসসি পরীক্ষায় বেশ কয়েকটি বিষয়ে লেটার মার্কসহ প্রথম বিভাগ অর্জন করেন। প্রথমে প্রীতিলতা পাশ করে বেথুন কলেজে পড়ার জন্য কলকাতায় চলে যান। তিনি সেখানে বিপ্লবী যুবকদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেন। এরপরেই কল্পনা তার সাথে যোগ দেয়। তারা আদর্শবাদী নেত্রী বিনা দাসের নেতৃত্বে আধা বিপ্লবী সংগঠন ‘ছাত্রী সংঘের’ ব্যানারে সাইকেল চালানো, শারীরিক প্রশিক্ষণ, নৌকা চালানো এবং অন্যান্য অনুশীলন শুরু করেন।
কল্পনার বিশেষ আগ্রহ ছিল রসায়নে। কারণ তিনি রাসায়নিক দ্রব্য সম্পর্কে জানতে এবং বিস্ফোরক তৈরি করতে আগ্রহী ছিলেন, যা তাদের বিপ্লবী কাজে সাহায্য করতে পারে। তারা ড্যান ব্রিনের ‘আইরিশ বিপ্লবের জন্য আমার লড়াই’ (My fight for Irish Revolution) বই থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত হচ্ছিল।
চট্টগ্রামে ফিরে যাওয়া
কল্পনা জানতেন চট্টগ্রাম, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রভাগে ছিল। সেখানে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভারতীয় রিপাবলিকান আর্মি গঠন করা হচ্ছিল। ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল- মাতৃভূমির জন্য যুদ্ধ করে বিজয়ী হওয়া বা শহিদ হয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করা। তার চাচা সবসময়ই তাকে সমর্থন করতেন। তার বাবা তাকে উপদেশ দিয়েছিলেন, পড়াশোনা করে নিজের জন্য যা ভালো তা বেছে নিতে।
তিনি চট্টগ্রাম কলেজে বিএসসি কোর্সে ভর্তি হন আবার। এর মধ্যে প্রীতিলতা ‘অপর্ণা চরণ গার্লস স্কুলের’ প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন। সেই সময়ে মাস্টারদা সূর্য সেন প্রথমে নন্দনকানন স্কুল এবং পরে উমাতারা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। চট্টগ্রামের বিপ্লবীদের সাথে প্রীতিলতা এবং কল্পনার যোগাযোগ ছিল। তাদের মাধ্যমে তারা নেতা মাস্টারদা সূর্য সেনের কাছে যান। কিন্তু, তাদের অভিযানে অংশ নেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়। কারণ সেনাবাহিনী তখন পর্যন্ত শুধু পুরুষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তবুও তারা তথ্য সরবরাহ, অস্ত্র বহন, আশ্রয় প্রদানকারীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
চট্টগ্রাম স্বাধীনতা অভিযান
১৮ এপ্রিল ভারতের ইতিহাসে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। প্রায় ৬০ জন যুবক, কয়েকটি পিস্তল নিয়ে টেলিগ্রাফ অফিসে হামলা চালায় এবং ব্রিটিশ বাহিনী অস্ত্রাগার, সহায়ক বাহিনীর অস্ত্রাগার আক্রমণ করে দখল করে। একই সাথে চট্টগ্রামের (ফেনীর কাছে) ট্রেন লাইন বিচ্ছিন্ন করে এবং সূর্য সেনের নেতৃত্বে আইএনএ চট্টগ্রাম শাখার অধীনে চট্টগ্রামকে স্বাধীন ঘোষণা করে। চারদিন এই স্বাধীনতা বজায় ছিল।
জালালাবাদ যুদ্ধ
চট্টগ্রাম সেনানিবাসের কাছে জালালাবাদ পাহাড়ের দিনব্যাপী যুদ্ধে ১২জন বিপ্লবী শহিদ হন। কিন্তু তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ শেষ হয়ে আসছিল। তারা জানতো যে শত্রুরা পরের দিন অনেক বেশি শক্তি ও হিংস্রতা নিয়ে আক্রমণ করবে। তাই তাদের দলগুলোকে ভেঙে ছোট ছোট দলে বিভিন্ন এলাকায় গেরিলা যুদ্ধ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ
কল্পনা দত্তের পরবর্তী কাজটি ছিল প্রীতিলতার নেতৃত্বে পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করা। বাড়ির নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তিনি পুরুষের ছদ্মবেশে বাইরে যেতেন। তিনি বহুবার পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়েছেন। আক্রমণের মাত্র এক সপ্তাহ আগে আরেক বিপ্লবী নির্মল সেনের সাথে ক্লাবের রেকি করতে গেলে, পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি জেলে থাকা অবস্থায় অপারেশনে তার সিনিয়র মহান বিপ্লবী প্রীতিলতার সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের খবর পান। জড়িত থাকার প্রমাণ না থাকায় কল্পনাকে আবার কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এই সময় তিনি দ্রুত আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যান এবং অস্ত্র নিয়ে ছোট আকারের গেরিলা অপারেশনে অংশ নিতে শুরু করেন। এই সময়ের মধ্যে সরোজিনী পাল, নলিনী পাল, অনিতা সেনের মতো অন্যান্য মেয়েরাও বিপ্লবীদের সাথে যোগ দিয়েছেন। কল্পনা এতটাই সাহসী ছিলেন যে তিনি বেশিরভাগ মাস্টারদা, নির্মল সেন এবং তারকেশ্বর দস্তিদারের মতো সিনিয়র নেতাদের সাথে বিভিন্ন অভিযানে থাকতেন।
গাইরালা গ্রাম
১৯৩৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে নেত্রো সেন নামে একজন বিশ্বাসঘাতক ১০,০০০ টাকা মুক্তিপণ আদায় করতে পুলিশকে মাস্টারদার একটি আস্তানার কথা জানিয়ে দেয়। পুলিশরা তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেললে বিপ্লবীরা গুলি চালাতে থাকে। এই হামলায় এক ব্রিটিশ মেজর এবং একজন স্থানীয় র্যাঙ্কার মারা গেলেও মাস্টারদা এবং ব্রজেন সেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কল্পনা ও তারকেশ্বর দুই হাতে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যায়। এই স্থানটি ছিল গাইরালা গ্রাম।
কিন্তু সেই স্বাধীনতা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। তারা আবার পূর্ণ তালুকদারের বাড়িতে হামলার স্বীকার হয়। গোলাগুলিতে পূর্ণা প্রাণ হারায় এবং কল্পনা ও দস্তিদারকে আটক করা হয়। এরপরই মাস্টারদা, তারকেশ্বর দস্তিদার, কল্পনা দত্ত এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার অভিযানের সম্পূরক সারসংক্ষেপ বিচার শুরু হয়।
নির্বাসন
মাস্টারদা এবং দস্তিদারকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয় এবং কল্পনা মেয়ে হওয়ায় তার জীবন রক্ষা পায়। তাকে আন্দামানে নির্বাসন দেওয়া হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সি এফ অ্যান্ড্রুস, গান্ধীজি এবং অন্যান্যরা এর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করেন। অবশেষে ১৯৩৯ সালে তাকে মুক্ত করা হয়। কারাগারে থাকার সময়ে তিনি পড়াশোনায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। বিশেষ করে বিশ্বে কৃষক ও শ্রমিকদের লড়াই সম্পর্কে প্রচুর বই পড়েছিলেন।
রাজনীতিতে যোগদান
কল্পনা দত্ত সমাজতন্ত্র এবং কমিউনিজম পড়েছিলেন। তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে বিশ্বকে সাম্রাজ্যবাদ এবং পুঁজিবাদ থেকে মুক্ত করতে, সমগ্র বিশ্বের সর্বহারা শ্রেণির লড়াই করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৪০ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন।
১৯৪৩ সালে কমিউনিস্ট পার্টির বোম্বে সম্মেলনে যোগ দেন এবং বাংলায় পার্টির জন্য কাজ করতে ফিরে আসেন। সেখানে তিনি দুর্ভিক্ষের সময় মানুষের জন্য যেমন কাজ করেছেন, তেমনি শাসকগোষ্ঠীর শোষণের বিরুদ্ধেও লড়াই করেছিলেন। ১৯৪৬ সালে চট্টগ্রামে তার দল থেকে বঙ্গীয় আইনসভায় নির্বাচন করেন, কিন্তু অল্প ব্যবধানে হেরে যান।
ব্যক্তিজীবন
ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি কমরেড পি সি যোশীর সাথে বিয়ের পর তিনি কলকাতায় চলে যান। যেখানে ভারতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটে যোগ দেন। অবসর গ্রহণ পর্যন্ত সেখানেই দায়িত্ব পালন করেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি শরণার্থী শিবিরে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। ১৯৭২ সালে তিনি বঙ্গবন্ধুর আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফর করেন।
এই মহান বিপ্লবী আত্মা ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার অভিযান এবং সংশ্লিষ্ট বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের স্মৃতিচারণ করে বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। চট্টগ্রামের অভিযানের উপর ভিত্তি করে ‘খেলেঙ্গে হাম জি জান সে’ নামে একটি হিন্দি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছিল যেখানে দীপিকা পাড়ুকোন তার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
ইতিহাসবিদদের মতে, কল্পনার বয়স মাত্র ১৪ বছর যখন তিনি চট্টগ্রাম ছাত্র সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পান। তিনি তার বক্তৃতায় বলেছিলেন,
“আমাদের যদি পৃথিবীতে গর্বের সাথে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হয়, তাহলে আমাদের কপাল থেকে দাসত্বের কলঙ্ক মুছে ফেলতে হবে। বন্ধুরা, ব্রিটিশের কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শক্তি সঞ্চয় কর। বিপ্লবীদের সমর্থন করো। ব্রিটিশদের সাথে যুদ্ধ করো।”
কল্পনা দত্তের জীবন শুধু একজন বিপ্লবীর আত্মকথাই নয়, এ এক সাহসী নারীর উপাখ্যান। তার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অগ্নিকন্যা।’ তিনি প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে যাবেন। আর নারীদের সাহস এবং উৎসাহ দিয়ে যাবেন প্রচলিত রীতিনীতির শেকল ভেঙ্গে মুক্ত হতে।
Featured Image: Indiatimes
References: