As we come marching, marching,
we battle, too, for men—
For they are women’s children and
we mother them again.
Our days shall not be sweated
from birth until life closes—
Hearts starve as well as bodies:
Give us Bread, but give us roses.– James Oppenheim
সভ্যতার অগ্রগতির অন্যতম নিয়ামক নারী। আদমের হাওয়া থেকে শুরু করে একবিংশ শতাব্দীর একজন বলিষ্ঠ গার্মেন্টস কর্মী, সবাই এই যৌথ যাত্রাপথের সঙ্গী। তবুও অসম ভাবনা পদদলিত করে অগ্রগতিকে। বৈষম্য প্রগাঢ় হয়ে ভেসে উঠে নারী-পুরুষের আবরণে। তেমনি এক বাস্তবতার নাম নাসরিন আকতার। নাসরিন আকতার একজন গার্মেন্টস কর্মী। চট্টগ্রাম ইপিজেডে যার প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৬ ঘন্টা কাজে কেটে যায় ফিনিশিং সেকশনে। কয়েকদিন ধরে মেয়েটির মাঝে অদ্ভুত রকমের ব্যবহার লক্ষ্য করছে বাকি সহকর্মীরা। একদিন লাঞ্চের সময় সবাই খেয়াল করল নাসরিন একাই বসে বসে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছে। একটু পরে মেঝেতে বসেই হাত-পা ছুঁড়তে শুরু করে। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রোডাকশন ম্যানেজারের শরণাপন্ন হয় কয়েকজন। স্বচক্ষে ব্যাপারটি এসে দেখে প্রোডাকশন ম্যানেজার!
এক পর্যায়ে, তাৎক্ষনিকভাবে বেপজার মানসিক হাসপাতালে নেওয়া হয় নাসরিনকে। এবার বেরিয়ে আসে চক্ষুচড়কগাছ হওয়ার মতো ঘটনা। গত দুইমাস ধরে নাসরিন চাকরির নিদিষ্ট ঘন্টার পাশাপাশি ওভারটাইমও করছে অবিরাম। গার্মেন্টস থেকে কড়াকড়ি শিপমেন্টের আগে কেউ ছুটিতেও যেতে পারবে না। ফলে, নিদ্রাহীনতা, অমানবিক পরিশ্রম আর ক্লান্তিতে একসময় নাসরিনের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়!
নাসরিনের এই ঘটনাটি মাথায় রেখে এবার একটু ইতিহাসের পর্দা সরানো যাক। ১৯০৮ সালে নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমে আসে প্রায় ১৫ হাজারের মতো নারী। যারা নিয়োজিত ছিল বস্ত্রশিল্পের শ্রমিক হিসেবে। ন্যায্য কিছু দাবীর জন্য; কাজের সুস্থ পরিবেশ, সময় ও যোগ্য মজুরি, ভোটের অধিকার, কর্মক্ষেত্রে সমতার মতো কিছু মৌলিক অধিকারের দাবীতে। সেই সময়ে গার্মেন্টস ইন্ড্রাস্ট্রিতে দিনে ১৬ থেকে ১৭ ঘন্টা করে কাজ করতে হতো, যেমনটা এখন বাংলাদেশের গার্মেন্টসগুলোতে হয়ে থাকে! নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমে আসা সেই ১৫ হাজার শ্রমিককের উপর ঝাপিয়ে পরে পুলিশ। বর্বরভাবে আক্রমণ করে ভেঙ্গে দেয় মিছিল। অনেক নারী শ্রমিক আহত হন।
এর প্রায় এক বছর পরে ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিকে আমেরিকার সোশ্যালিস্ট পার্টি ‘ন্যাশনাল উইমেন্স ডে’ ঘোষণা করে। পরের বছর জার্মান সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেত্রী ক্লারা জেটকিন “ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অফ ওয়ার্কিং ওমেন ইন কোপেনহেগেন” নারী দিবসকে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মান দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন। ১৭টি দেশের ১০০ জন নারীর উপস্থিতিতে এই প্রস্তাব রাখা হয় এবং সর্বসম্মতিক্রমেই অনুমোদিত হয়।
ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় এই দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। মূলত, ক্লারা এখানে ১০০ জন নারী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রতি বছর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব দেন। প্রথম ১৯১১ সালের ১৯ মার্চ অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডে প্রায় এক মিলিয়ন নারীর সাথে পুরুষরাও একাত্মতা জানিয়ে রাজপথে নেমে আসে ভোটদান ও সরকারি অফিসে কাজ করার অধিকার আদায়ের দাবি জানিয়ে। বলাবাহুল্য, নারী দিবসের এই আইডিয়া যদিও যুক্তরাষ্ট্রের, কিন্তু প্রথম উদযাপিত হয় এটি জার্মানিতে!
তবে এক সপ্তাহেরও কম ব্যবধানে ২৫ মার্চে নিউ ইয়র্ক সিটিতে মর্মান্তিক ‘ট্রায়াঙ্গেল ফায়ার’ ১৪০ জনেরও বেশি কর্মজীবী নারীর জীবন কেড়ে নেয়, যাদের বেশিরভাগই ছিল ইতালীয় এবং ইহুদি অভিবাসী। এই বিপর্যয় যুক্তরাষ্ট্রের কাজের পরিবেশ ও শ্রম আইনের ফাঁটল আরো একবার আঙ্গুল উঁচিয়ে উম্মোচিত করে। যা পরবর্তীতে বৈশ্বিক নারী দিবসের সম্মেলনগুলোর কেন্দ্রবিন্ধুতে পরিণত হয়। ১৯১১ সাল আরো একটি ক্যাম্পেইনের জন্য উল্লেখযোগ্য সেটি হলো “ব্রেড এণ্ড রোজেস ক্যাম্পেইন”।
এর কিছুকাল আগে ১৮৫৭ সালের ঘটনা। মূলত, জাগরণের সূত্রপাত তখনই। আজ থেকে প্রায় ১৬৪ বছর আগেকার কথা। ১৮৫৭ সালে নিউইয়র্কের এক গার্মেন্টসে আগুন লেগে অনেক নারী শ্রমিক মারা যায়। যে গার্মেন্টসে আগুন লাগে সেই গার্মেন্টসের পাশেই ছিল একটি মিমোসা ফুলের গাছ। সেই কারণে এই ফুল হলো নারী দিবসের প্রতীক। আর সেই অগ্নিকান্ডের প্রতিবাদে নারী শ্রমিকেরা মিছিল নিয়ে নেমে আসে রাজপথে। মিছিলে পুলিশের আক্রমণে অনেক নারী শ্রমিক আহত হন।
এই ঘটনার ঠিক ৫০ বছর উপলক্ষে ১৯০৭ সালে নিউইয়র্কে নারী শ্রমিকরা ৮ মার্চ একই দাবীতে বিশাল মিছিলের আয়োজন করে। এরপর থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেশে নারী দিবস পালন শুরু হয়, যা এখনও চলছে। মূলত, বস্ত্রকারখানার নারী শ্রমিকদের রাজপথে নেমে আসার এই ফলশ্রুতিই নারী দিবসের সূচনা। আন্দোলনের ভিত্তি কাজের সময় ১২ ঘণ্টা থেকে ৮ ঘণ্টায় কমিয়ে আনার দাবি ও বৈষম্যহীন ন্যায্য মজুরি আদায়ের তাগিদ। এই আন্দোলনে আটক হন অনেক নারী শ্রমিক। যেটা গড়ায় ১৯০৮ সালের সংগ্রামে।
৮ মার্চ দিবস হিসেবে উদযাপন করা শুরু হয় ১৯১৩ সাল থেকে। যদিও দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনে নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে ১৯১১ সাল থেকে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা করা হয়। এরপর জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এমনকি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানানো হয়।
১৯১৩ সাল থেকে ১৯১৪ সালের মধ্যে প্রথম বারের মতো রাশিয়া ফেব্রুয়ারির শেষ রবিবার পালন করে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। যুদ্ধকালীন সময়ে ১৯১৪ সালের ০৮ মার্চ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়ার দাবিতে ইউরোপে নারীরা র্যালি বের করেন। সে বছর বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশেই দিনটি পালন করা শুরু হয়। এদিকে, ১৯৭১ সালে ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম পালিত হয় নারী দিবস। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তজার্তিক স্বীকৃতি পায় নারী দিবস। সেই থেকে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে।
তখন থেকে পুরো পৃথিবী জুড়েই নারীর সমঅধিকার আদায়ের দাবিতে উদযাপিত হচ্ছে দিনটি। সম অধিকারকে উদযাপনের মাধ্যমে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখছে পৃথিবীবাসী। বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশেই নারীর প্রতি সম্মান জানাতে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আনুষ্ঠানিকভাবে “সরকারি ছুটির দিন” পালন করা হয়। আবার কিছু দেশে এদিনে শুধু নারীরাই সরকারিভাবে ছুটি পেয়ে থাকে যেমন, চীন, মেসিডোনিয়া, মাদাগাস্কার, নেপাল।
“অতীত উদযাপন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা” নারী দিবসের প্রথম থিম। যেটি ছিল ১৯৯৬ সালে। এরপর থেকে প্রায় প্রতি বছর একেকটি থিমে পালন করা হয় এই দিবসটি। যা ১৯৯৭ সালে “শান্তি টেবিলে নারী”, ১৯৯৮ সালে “নারী এবং মানবাধিকার”, ১৯৯৯ সালে “নারী সহিংসতা মুক্ত বিশ্ব” নামে পালন করা হয় এবং এ ধারা চলতে থাকে এখনো অব্দি সময়োপযোগী থিম নিয়ে। যদিও বিশ্বজুড়ে নারীর অবস্থানে খুব একটা তারতম্য চোখে পড়েনা এত কিছুর পরেও। আর এভাবেই ৮ মার্চ প্রতিটি নারী দিবস নারীর হাজার বছর ধরে বঞ্চনার ইতিহাস আয়নায় মেলে ধরে।
এবারের নারী দিবসের থিম “ভাঙ্গো পক্ষপাতিত্ব”। গতবারের থিম ছিল ‘মহামারি নারী নেতৃত্ব গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব’। করোনা মহামারির কারণে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলোকে চিহ্নিত করে এই স্লোগান নেওয়া হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবসে। বিশেষ করে নীতি নির্ধারণ ও পেশাগত ক্ষেত্রে নারীরাও যে সমান অংশীদার হতে পারেন, এই থিমের মাধ্যমে তাই বোঝানো হয়েছে। এবারের থিমে পরিস্থিতির চাহিদা অনুযায়ী, ভবিষ্যতের সমানাধিকার এবং মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য নারীদের চেষ্টা সকলের সামনে তুলে ধরা ছিল অন্যতম উদ্দেশ্য। বিশেষত করোনাকালীন সময়ে ঘরে ঘরে নারী উদোক্তাদের বৈপ্লবিক উত্থান ছিল চোখে পড়ার মতো। দ্য ইয়েলো ওয়াল-পেপার খ্যাত লেখিকা শার্লট পারকিন্স গিলম্যান বলেন,
“এটি সত্য যে একজন নারীর সর্বপ্রথম কর্তব্য তার ঘর এবং মাতৃত্বকে ভিত্তি করে গড়ে উঠে। এখানে ঘর বলতে পুরো দেশকেই বোঝায়; শুধুমাত্র তিন বা চারটি কক্ষ অথবা একটি শহর বা একটি রাজ্যের মধ্যে আবদ্ধ থাকাকে বোঝায় না।”
বেগুনি, সবুজ এবং সাদা রঙকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতীকী রঙ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের নিজস্ব ওয়েবসাইটের তথ্যমতে “এখানে বেগুনি ন্যায়বিচার এবং মর্যাদাকে নির্দেশ করে। সবুজ আশার প্রতীক এবং সাদা বিশুদ্ধতার প্রতিনিধিত্ব করে“। যদিও এটি নিয়ে নানা মতবিরোধ রয়েছে। ১৯০৮ সালের যুক্তরাজ্যের উইমেন’স সোশ্যাল অ্যান্ড পলিটিক্যাল ইউনিয়ন থেকে রঙের এই ধারণার উদ্ভব হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
আধুনিকতার আবরণে নারী সহিংসতা আর প্রতিরোধের মাধ্যমও পেয়েছে ভিন্নতা। প্রকাশের ব্যাপ্তি পেয়েছে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির ছোঁয়া। উদাহরণস্বরুপ বলা যায়, কে ভুলতে পারে #MeToo আন্দোলনের প্রভাব। যা ২০১৭ সালে শুরু হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়াতে হ্যাশট্যাগ দিয়ে, হয়রানি এবং যৌন নির্যাতনের অভিজ্ঞতার বিরুদ্ধের জাগরণ হিসেবে। এই হয়রানি আধুনিক বিশ্বে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা এই আন্দোলনের মাধ্যমে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, অগ্রহণযোগ্য এবং হীন ব্যাক্তিকে বয়কটের মাধ্যমে হাজারো নারীকে সামনে নিয়ে আসে। সমাজের উচ্চবর্গের মুখোশ উন্মোচিত করে #MeToo আন্দোলন।
ইতিহাসের পর্ব থেকে বাস্তবে উঠে আজো পাণ্ডুবের বৈতরণী থেকে গেছে নিগৃহীত! নাসরিন আকতারের মতো লক্ষ লক্ষ গার্মেন্টস নারীকর্মী সেই নিগৃহীতার স্বরূপ দেখিয়ে দেয় আজো এই নগ্ন আধুনিক নরকে। ট্রেনে-বাসে রিজার্ভ সিটের জন্য নয়, লড়াইটা শুরু হয়েছিল যোগ্যতার ভিত্তিতে বেতনের, প্রাপ্ত অধিকার আর মানবিকতার। টাইটানিকের রোজের সেই উক্তিতে যদি বলতে হয়, “অ্যা উইমেন হার্ট ইজ অ্যা ডিপ ওশেন” কিন্তু সেই ওশেনের গভীরতা কি কেউ বুঝতে চেয়েছিল এত শতাব্দীর পরেও!
যতবার আঘাতদায়ী বিশ্ব জেগে উঠে মার্চের আটে,
মিমোসার রঙে পৃথিবী নাচুক, বাঁচুক নারী মুক্ত বিহঙ্গে!
ফিচার ইমেজ: Sharebiz.net
তথ্যসূত্র:
01. The Surprising History Of International Women’s Day.
02. History, marches and celebrations.
03. Womens’s Day 2022.
04. History of International Women’s Day
বাহ! অসাধারণ…নারী দিবসের ইতিহাস,তাৎপর্য এবং নারীকে নিয়ে প্রত্যেকটা কোটেশন এতো সুন্দর করে পাঠকের কাছে তুলে ধরার জন্য লেখিকাকে অসংখ্য ধন্যবাদ🤍
Totally mesmerised. Thanks for this article. Greetings.
এগিয়ে যাওয়ার পথটা আরও মসৃণ হোক।পরিবর্তন আসুক আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে, দূর হোক অসমতা। নারী দিবসের শুভেচ্ছা।
খুব দ্রুতই পড়ে ফেলেছি। লাবণ্য শাহিদা তরুণ লেখক। লিখতে গিয়েই ভেঙে পড়েন লেখার রাজ্যে তরুবরের মত, ঠিক যতটা তার জ্ঞানের ভান্ডার ! নারীকে নিয়ে তার এ লেখা যেন এক আলোকবর্ষ দূরে পাঠিয়ে দিয়েছে আমাদের। সেই ক্লারা জেটকিনের কাহিনী! সেই সাথে সামনে নিয়ে এসেছে এখনো পশ্চাদপদতার কান্নার রোল। যে আমরা নারী দিবস পালন করলেও কতটা পিছিয়ে আছি,চেতনার তুলনায়। তো নারী দিবস যেন শুধু একটি দিবস হয়েই না থাকে,
অন্নপূর্ণা থেকে অধিকার যখন গোলাপের : পক্ষপাত হীন এক নারী সমাজের দিকে সবার দৃষ্টি পড়ুক। এই আর্টিকেল গুলো শুধু শব্দের অক্ষরে লিপিবদ্ধ না থেকে হয়ে উঠুক নারীদের এবং সবার।
লেখিকার লেখা অদ্ভুত সুন্দর,প্রাণবন্ত এবং চারপাশ তুলে ধরে ।
শুরু এবং শেষের কবিতাটা দু’টোই মারাত্মক সুন্দর। রেশ রয়ে যাবে ।
নারী দিবস সবার হয়ে উঠুক, আলোকিত সমাজ গঠনে অন্তরায় না হোক কোনো প্রতিবন্ধকতা,
বৈষম্য। জয় হোক মনুষত্ব্যের, মানবতার!
এত বলিষ্ঠ লেখনীর জন্য লাবণ্যকে অভিনন্দন!
সকলকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা!
লেখাটি অদ্ভুত রকমের কল্পনাশক্তি অথচ বাস্তবতায় মোড়ানো। চমৎকার একটা লেখা! হঠাৎ করে সামনে এলো। প্রায় এক টানেই খুব দ্রুত শেষ করে ফেললাম। ফিচারের মধ্যেও সাহিত্যের এক দারুণ সমন্বয় হয়েছে। মনে হচ্ছে চোখের সামনে নাসরিন আক্তারকে দেখছি। আবার উত্থানের গল্পের সাথে সাথে শেষের প্যারাটুকু সম্মিহিত করার মতো। লেখিকার আরো কয়েকটি লেখা পড়ে দেখলাম এটা পড়ে। অনবদ্য লেগেছে। ফিচারও এখন চমৎকার এক সাহিত্যকর্ম হয়ে উঠেছে ভাবতেই গর্ব লাগছে। অনেক অনেক এগিয়ে যাক ভবিষ্যতে।
শুভেচ্ছা।
নারীর জীবন গাঁথার লড়াই আদি ও বর্তমান নিষ্পেষিত l ঘরে বাহিরে তার পদচারণায় কেবল নিষ্পেষিত হবার গল্প, রাত থেকে দিন – দিন থেকে রাত l
প্রিয় লাবণ্য শাহিদা আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই নিবন্ধের জন্য, নারী দিবসের ইতিকথা লেখার মাধ্যমে নারীর জীবনের সংগ্রাম ও তাৎপর্য দুটোই আপনি তুলে ধরেছেন l
নারী দিবসের আর্টিকেলগুলোর মধ্যে খুব স্বতন্ত্র একটা এটি। শুধু দিবস নিয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে যেন বাস্তবের এক চিত্র দেখিয়ে দিল। খুব ভাল লাগল পড়ে।
টাইটেলটি চোখ কেড়ে নেই। লেখা বেশ যত্নের সাথে আর আবেগ নিয়ে হয়েছে দেখলেই বোঝা যায়।
অনেক শুভকামনা লেখিকা আর সংশ্লিষ্ট সবাইকে।