সময়টা ১৯৬৮ সাল! ম্যাচ রেফারী একটি কয়েনকে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি এবং তর্জনীর মধ্যে শক্ত করে ধরে রেখে ইতালীর অধিনায়ক জিয়াকিন্তো ফ্যাচেত্তিকে হেড বা টেইলস বেছে নেয়ার জন্য ইশারা করলেন! ফ্যাচেত্তি উত্তরে টেইলস বললেন! রেফারী দ্রুততার সাথে হাতটি উপরে নিয়ে বৃদ্ধাঙ্গুলির সাহায্যে কয়েনটিকে ফ্লিক করলেন, দুই অধিনায়কের ভাগ্য নিয়ে খেলায় মেতে উঠা কয়েনটি বাতাসের মধ্যে ঘুরপাক খেয়ে নিচের দিকে নেমে এলো দ্রুতগতিতে! আপাতদৃষ্টিতে ব্যাপারটা স্বাভাবিক মনে হলেও মোটেও তা ছিল না।
কোন দল প্রথমে কিক করবে বা কোন দল কোন প্রান্তে খেলবে তা নির্ধারণ করার পরিবর্তে ওই টসটি হয়েছিল কোন দল ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালে যাবে, তা নির্ধারণ করতে! একটি টসের মাধ্যমে একটি ফুটবল ম্যাচের মীমাংসা? তাও একটি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে? নিজের প্রিয় দলের প্রতি এমন দোদুল্যমান ফলাফল কি আপনি মেনে নিতেন? এই ঘটনা কি সবাই মেনে নিয়েছিল? ভাগ্যদেবীই বা কাদের প্রতি প্রসন্ন হয়েছিল!
এই প্রশ্নগুলোর উত্তরসহ এরকম আরো অসংখ্য অদ্ভুতুড়ে ঘটনা, তর্ক বিতর্কের সমাধান খুজেঁ বের করতে আজ আপনাদের নিয়ে যাব ফুটবল বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ ফুটবলীয় আসর ইউরো ফুটবলের দুনিয়ায়! চলুন, স্বপ্নসারথী হয়ে ঘুরে আসা যাক সেই দুনিয়া থেকে যেখানে ইউরোপের ফুটবলীয় পরাশক্তিরা ফুটবল মাঠে এক প্রবল উত্তেজনাকর স্নায়ুযুদ্ধে লিপ্ত হয় যা প্রতি চারবছর পরপর ফুটবল বিশ্বকে তীব্র উন্মাদনা দিয়ে যায়!
১৯৫৮ সালে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হলেও এর পেছনের গল্পটা একটু পুরনো! ১৯২৭ সালের কথা, তখন ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের প্রশাসক ছিলেন হেনরি ডেলাউনাই। তিনিই প্রথম একটি প্যান ইউরোপিও ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রস্তাব করেছিলেন।কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিযোগিতাটি শুরু হওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। তার সম্মানে টু্র্নামেন্টের ট্রফির নামকরণ করা হয় তারই নামানুসারে!
বর্তমানে সবাই টুর্নামেন্টটিকে ‘ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ’ নামে এক নামে চিনলেও তখন এর নাম ছিল ‘ইউরোপিয়ান ন্যাশনস কাপ।’ ২০২০ সালের ইউরো টুর্নামেন্ট ২৪টি দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলেও ১৯৬০ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম ইউরো টুর্নামেন্টে মাত্র ৪টি দল অংশগ্রহন করেছিল। ১৭টি দল বাছাই পর্বে অংশ নিলেও ঐ ৪টি দলই (ফ্রান্স, যুগোস্লাভিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন) মূল পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছিল।
উল্লেখ্য, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং আয়ারল্যান্ড প্রতিযোগিতাতে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী ছিল না। অন্যদিকে ইতালি, নেদারল্যান্ডস এবং ১৯৫৪ বিশ্বকাপজয়ী পশ্চিম জার্মানিও সেবারের ইউরো টুর্নামেন্ট প্রত্যাখ্যান করেছিল। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ইতিহাসের এই প্রথম আসরেই যে অঘটনগুলো ঘটেছিল বা যে চমকপ্রদ ঘটনাগুলোর অবতারণা হয়েছিল, সেগুলো নিয়ে লিখতে গেলেও কয়েক হাজার শব্দের প্রয়োজন। তারপরও সংক্ষেপে কিছু কথা না বললেই নয়!
৪টি দলের অংশগ্রহণে ইউরোর মূল পর্বটি নক আউট পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সেমিফাইনালে যুগোস্লাভিয়া ৫-৪ গোলে ফ্রান্সকে এবং দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ৩-০ গোলে চেকোস্লোভাকিয়াকে পরাজিত করে। ফাইনাল ম্যাচে সোভিয়েত ইউনিয়ন ২-১ গোলের ব্যবধানে যুগোস্লাভিয়ার বিপক্ষে জয়লাভ করে। ফলে তারা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে সর্বপ্রথম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
সেবারের আসরে মাত্র চারটি ম্যাচ খেলা হলেও ম্যাচ প্রতি গড়ে ৪.২৫টি করে মোট ১৭টি গোল হয়, যা ইউরোর ইতিহাসে যে কোন সংস্করণে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গড়!
তারপর চলমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে একে একে ইউরোর মোট ১৬টি আসর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। ১৯৬০ সালের পর এখন পর্যন্ত প্রতি চার বছরের ব্যবধানে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ আসরটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ইউরোর ইতিহাসে স্পেন ৩ বারের চ্যাম্পিয়ন হলেও তাদের প্রথম সফলতা আসে ১৯৬৪ সালে। সেই বছর তারা ঘরের মাটিতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সোভিয়েত ইউনিয়নকে ২-১ গোলে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
১৯৬৮ সালে ইতালির মাটিতে তৃতীয়বারের মতো আসরটির আয়োজন করা হয়। এই আসরেই প্রতিযোগিতাটির নাম ‘ইউরোপিয়ান ন্যাশনস কাপ’ থেকে পাল্টে ‘ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ’ রাখা হয়। সেবার সেমিফাইনালে ইতালির দেখা হয় সোভিয়েত ইউনিয়েনের সাথে, দুই বছর আগেই অর্থাৎ ১৯৬৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে যারা ইতালিকে হারিয়ে বাড়ির পথ দেখিয়েছিল!
জেতার সংকল্পে বদ্ধপরিকর ইতালির খেলোয়াড়রা প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠলেও সোভিয়েত ইউনিয়নের শক্তিশালী রক্ষণভাগের কাছে তারা বারবার পরাজিত হয়! গোলশূন্য অবস্থায় নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর দুই দলের সম্মতিতে রেফারি টস করেন। উল্লেখ্য, তখন পর্যন্ত টাইব্রেকার আবিষ্কৃত না হওয়ায় কয়েন টসের সাহায্যে জয়ী দল নির্বাচিত করা হতো। তবে যে কোন প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচ যদি ড্র হতো, তখন কয়েন টসের সাহায্য না নিয়ে পুনরায় আরেকটি ম্যাচের আয়োজন করা হতো, যাকে ‘রিপ্লে’ নামে অভিহিত করা হয়েছিল।
তো সেমিফাইনালে কয়েন টস করা হলে ইতালি ভাগ্যগুণে সোভিয়েত ইউনিয়নকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে। ফাইনালে তাদের দেখা হয় যুগোস্লাভিয়ার সাথে। ফাইনাল ম্যাচটি একস্ট্রা টাইমের পরও ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় ‘রিপ্লে’ অর্থাৎ দুইদিন পর আরেকটি ম্যাচের আয়োজন করা হয়। সেই ম্যাচে ইতালি ২-০ গোলে জয়লাভ করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। চার বছর পর ১৯৭২ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ আবারো আয়োজিত হয়। ফাইনালে গার্ড মুলারের দুই গোল এবং উইমারের এক গোলে পশ্চিম জার্মানি ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে সোভিয়েত ইউনিয়নকে হারিয়ে তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি ঘরে তোলে।
পরবর্তী আসরে অর্থাৎ ১৯৭৬ সালে চেকোস্লোভাকিয়া ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট জার্মানিকে পেনাল্টি শ্যুট আউটে ৫-৩ গোলের ব্যবধানে হারায়। ট্রফি পুনরুদ্ধারের সংকল্প নিয়ে ওয়েস্ট জার্মানি ১৯৮০ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সফর শুরু করে। একে একে সব বাঁধা ডিঙিয়ে ফাইনাল ম্যাচে তাদের দেখা হয় বেলজিয়ামের সাথে। বেলজিয়ামকে ২-১ গোল ব্যবধানে হারিয়ে তারা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপ সেরার মুকুট পরিধান করে।
মিসেল প্লাতিনির অধিনায়কত্বে এবং তার একক নৈপুণ্যে ফ্রান্স ১৯৮৪ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় করে। ফ্রান্সের ফুটবল কিংবদন্তি প্লাতিনি ঐ টুর্নামেন্টে একাই নয়টি গোল করেন। ফাইনালে ফরাসিরা স্পেনকে ২-০ গোলে হারায়। আর তারকায় ঠাসা নেদারল্যান্ড দলটি ১৯৮৮ সালের ইউরোতে নিজেদের একক আধিপত্য বিস্তার করে! কে ছিল না সেই দলে?রোনাল্ড কোয়েমন, রুড গুলিত আর কিংবদন্তি মার্কো ভ্যান বাস্তেনের ক্রীড়ানেপুণ্যে সেবার তারা নেদারল্যান্ডকে ইউরোপ সেরার আসনে আসীন করে। ফাইনাল ম্যাচের ফলাফল: নেদারল্যান্ড ২-০ সোভিয়েত ইউনিয়ন।
১৯৯২ সালের ইউরোর নাটকীয়তা যেন সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। ইউরোতে কোয়ালিফাই করতে না পারা ডেনমার্কের খেলোয়াড়রা গ্রীষ্মকালীন ছুটি কোথায় কাটাবেন সেই পরিকল্পনা করছিলেন। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে যুগোস্লাভিয়ায় চলমান বলকান যুদ্ধের কারণ হেতু যুগোস্লাভিয়াকে টু্র্নামেন্ট থেকে বাদ দিয়ে ডেনমার্ককে ইউরোর মূল পর্বে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়। ডেনমার্ক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করলেও সময়ের স্বল্পতায় দলের খেলোয়াড়রা ভালোমতো প্রস্তুতি নেয়ারও সময় পায়নি। সেই ডেনমার্কই গ্রুপ পর্বে স্বাগতিক সুইডেন ও ফ্রান্সকে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়। সেমিফাইনালে তারা কোয়েমন, ডেনিস বার্গক্যাম্প, ভ্যান বাস্তেন, রাইকার্ডদের নিয়ে গঠিত চরম পরাক্রমশালী নেদারল্যান্ডকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে পদার্পণ করে। ফাইনালে তারা শক্তিশালী জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
১৯৯৬ সালে ১৬টি দল ইউরোর মূল পর্বে অংশ নেয়। চেক রিপাবলিক এবং জার্মানি ফাইনালে একে অন্যের মুখোমুখি হয়। অতিরিক্ত সময়ে বিয়ারহফের বিতর্কিত ‘গোল্ডেন গোল’ এর সুবাদে জার্মানি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে পুনরায়। বেলজিয়াম এবং হল্যান্ডে আয়োজিত ২০০০ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টে ফ্রান্স এবং ২০০৪ সালের ইউরোতে সবাইকে চমকে দিয়ে গ্রীস টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হয়।
২০০৮ সালে জাভি, ইনিয়েস্তা, ডেভিড ভিয়া, ফ্যাব্রেগাস, ইকার ক্যাসিয়াস, ফার্নান্দো টরেসদের নিয়ে গঠিত স্পেন ইতিহাস সৃষ্টি করে। ১৯৬৪ সালের পর তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটে এই শিরোপা জয়ের মাধ্যমে। ইউরোর ইতিহাসে একমাত্র দল হিসেবে স্পেন ২০০৮ সালের পর ২০১২ সালেও ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি নিজেদের মাটিতে ধরে রাখতে সক্ষম হয়।
ক্রিষ্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল ২০১৬ সালে ইউরোপের মাটিতে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করে। ফাইনালে তারা ছয় গোল নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা ঘোষিত হওয়া অ্যান্তনিও গ্রীজম্যানের ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারায়।
আর এইতো সেদিন, ২০২০ সালে, ইউরোর ১৬ তম আসরে ২৪টি দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ফাইনালে ইতালি ও ইংল্যান্ড পরস্পরের মুখোমুখি হয়। ১-১ গোলে নির্ধারিত সময় শেষ হলে অতিরিক্ত সময়েও ফলাফল অমিমাংশিত থাকায় টাইব্রেকারে খেলা গড়ায়। পেনাল্টি শ্যুট আউটে ইতালি ৩-২ গোলে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করে চার বছরের জন্য ইউরোপ সেরার মুকুট অর্জন করে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে।
সর্বোচ্চ বার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি নিজেদের ঘরে তোলার রেকর্ড স্পেন ও জার্মানির। তারা ৩ বার করে ইউরোর শিরোপা জিতে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। ইতালি ২ বার ইউরো জিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফুটবলার ক্রিষ্টিয়ানো রোনালদো। তিনি এখন পর্যন্ত ইউরোর মূল আসরে ১৪টি গোল করেছেন পর্তুগালের হয়ে। দুই নাম্বারে আছেন মিসেল প্লাতিনি, তিনি ফ্রান্সের হয়ে ৯টি গোল করেন। ইউরোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডও রোনালদোর। তিনি সর্বোচ্চ ২৫টি ম্যাচে পর্তুগালের প্রতিনিধিত্ব করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উপস্থিতি পেপের। তিনিও পর্তুগাল দলের হয়ে খেলছেন।
‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপ যখন চার বছরের জন্য বিদায় নেয়, পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফুটবলপ্রেমীরা যখন আন্তর্জাতিক ফুটবলের একটি অধ্যায়ের আবেগঘন সমাপ্তি প্রত্যক্ষ করেন, নান্দনিক ফুটবল যখন তার রং হারানোর দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই ইউরো ফুটবলের দমকা হাওয়ায় কেঁপে উঠে ফুটবল বিশ্ব! ফুটবলের নেশায় উন্মত্ত মানুষেরা আবারো যেন নেঁচে উঠে ইউরো ফুটবলের তালে, প্রিয় দলগুলোর জয় বা পরাজয়ে ফুটবল প্রেমীদের আনন্দ, খুশি কিংবা মর্মব্যথায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
পৃথিবী জানতে পারে ফুটবলের রং ফিরিয়ে আনতে অভিষেক হয়েছে ইউরো ফুটবলের! পৃথিবী জুড়ে ফুটবলপাগল মানুষেরা ধর্ম, বর্ণ, ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একাত্মতা ঘোষনা করে ফুটবলের মিছিলে। ইতোমধ্যে উয়েফা কর্তৃক ঘোষণা করা হয়েছে যে, ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের পরবর্তী আসর ২০২৪ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ফুটবলের আনন্দে আবারো আনন্দিত হবে ফুটবল বিশ্ব।