আইফেল টাওয়ার: ফরাসি প্রকৌশলীর এক অনন্য নিদর্শন

2360
0

শুরুর কথা

প্যারিসের কথা শুনলেই সবার আগে মাথায় আসে আইফেল টাওয়ার এর নাম। বর্তমানে পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থাপনা বুর্জ খলিফা। কিন্তু উনিশ শতকের পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থাপনাটির নাম বলতে পারবেন? উত্তরটি হচ্ছে আইফেল টাওয়ার। ১৮৮৯ সালে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল আকাশছোঁয়া এই নান্দনিক স্থাপত্য। শুধু তাই নয় দীর্ঘ ৪০ বছর এটি পৃথিবীর উচ্চতম স্থাপনার আসন দখল করে রেখেছিল। 

আর এরই ধারাবাহিকতায় লৌহনির্মিত এই স্থাপত্য হয়ে উঠেছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস, তথা সমগ্র দেশের প্রতীক। প্যারিসের আরেক ঐতিহ্যবাহী শেন নদীর পাড়ঘেষা চ্যাম্প ডি মার্সে অবস্থান করছে বিশ্বসেরা এই স্থাপনাটি। ১৮৮৯ সালে নির্মিত আইফেল টাওয়ারটি একনজর দেখতে প্রতিবছর ৭০ লাখ মানুষ আসে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। আইফেল টাওয়ার নিয়ে মানুষের কৌতূহলেরও শেষ নেই। বিখ্যাত এই স্থাপনার ইতিহাস, নানান ঘটনা আর অবাক করে দেওয়া তথ্য নিয়েই মূলত আজকের আয়োজন।  

আইফেল টাওয়ারের যাত্রা

ফরাসী বিল্পবের শতবছর উদযাপনের জন্য নানান পরিকল্পনা শুরু করে তৎকালীন ফ্রান্স সরকার। বিশ্বের কাছে ফ্রান্সকে নতুন করে তুলে ধরতে রাজধানী প্যারিসে বিশ্বমেলার আয়োজনের কথা ভাবা হয়। শতবর্ষ উদযাপনের এই আয়োজনটিকে স্মরণীয় করে রাখবার বিভিন্ন পরিকল্পনার হাত ধরেই আসে আইফেল টাওয়ারের ভাবনা। মূলত বিশ্বমেলার প্রবেশদ্বার হিসেবেই অস্থায়ীভাবে এই স্থাপত্য নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। 

নির্মাণাধীন আইফেল টাওয়ার। Photos: toureiffelparis.com

এই স্থাপত্য নির্মানের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় তখনকার সময়ে প্যারিসের অন্যতম সফল প্রকৌশলী আলেকজান্ডার গুস্তাভ আইফেলকে। মূলত তার নাম অনুসারেই আইফেল টাওয়ারের নামকরণ করা হয় পরবর্তীতে। সেই থেকে আজ অবধি আইফেল টাওয়ার সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে প্যারিসের বুকে। আইফেল টাওয়ার নির্মাণে আরো দুজনের কথা না বললেই নয়; আর তারা হলেন – প্রকৌশলী মরিস কোচিন ও এমিল নুগুইয়ার। আইফেল টাওয়ারের নকশার কৃতিত্ব মূলত এই দুজনারই। কেননা, দুজনই ছিলেন গুস্তাভ আইফেলের ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মের চিফ ইঞ্জিনিয়ার।

২ বছর ২ মাস ৫ দিনের আয়োজন

১৯ শতকের স্থাপত্যগুলোর মধ্যে আইফেল টাওয়ার একদমই অনন্য আর সেরা। এই দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য আজও মানুষকে মুগ্ধ করে দেয়। আধুনিকতা আর প্রযুক্তির অপূর্ব নিদর্শন হচ্ছে বিশ্বসেরা আইফেল টাওয়ার। ১৮৮৭ সালের ২৮ জানুয়ারি এই স্থাপনার কাজ শুরু হয়; আর শেষ হয় ১৮৮৯ সালের ৩১ মার্চ। স্থাপত্যটি নির্মাণে সময় লেগেছিল ২ বছর ২ মাস ৫ দিন।

যার মধ্যে ৫ মাস কেবল মাটির নিচে ফাউন্ডেশনের ভিত শক্ত করার কাজেই ব্যয় হয়েছিল। স্থাপত্যশৈলীর ভাবনা আর প্রযুক্তির কল্যাণে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছিল অপূর্ব এই সৃষ্টি। প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রতীক হিসেবে আইফেল টাওয়ার তার ভাবমূর্তি অটুট রেখেছে আজ অবধি। উনিশ শতকের শেষ অবধি এটিই ছিল গুস্তাভ আইফেল নির্মিত ফরাসি প্রকৌশলের সেরা নিদর্শন।   

শূন্য থেকে আইফেল টাওয়ার নির্মাণের বিভিন্ন সময়কার ছবি। Photos: pixabay.com

টাওয়ারের ভেতরকার কথা

১,০২৪ ফুট উচ্চতার আইফেল টাওয়ার পুরোটাই লৌহনির্মিত। যার তিনটি ভাগ বা ফ্লোর রয়েছে। মজার বিষয় হচ্ছে, লৌহনির্মিত এই স্থাপত্যের উচ্চতা যত বেড়েছে তত সরু হয়ে গেছে এর গঠন। প্রথম ভাগের উচ্চতা ১৮৭ ফুট আর আয়তন ১৪,৪৮৫ বর্গফুট। দ্বিতীয় ভাগটি প্রথম অংশ থেকে ৩৭৭ ফুট উচ্চতায় যার আয়তন ৪,৬৯২ বর্গফুট।

সব থেকে উপরের অংশ রয়েছে দ্বিতীয় অংশ থেকে ৯০৬  ফুট উচ্চতায় এবং এই অংশের আয়তন ৮২০ বর্গফুট। সেইজন্যই ৭৫ কিলোমিটার দূর পর্যন্তও এই টাওয়ারের চূড়া দেখা যায়। আইফেল টাওয়ারের কাজে ব্যবহৃত ধাতব ফ্রেমের ওজন ৭,৩০০ টন। আর সব মিলিয়ে আইফেল টাওয়ারের মোট ওজন ১০,১০০ টন। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ২৫ লাখ নাটবল্ট। এবং পুরো টাওয়ার নির্মাণে কাজ করেছেন ৩০০ জন শ্রমিক।  

আরো একটি মজার বিষয় হচ্ছে, ঋতুভেদে আইফেল টাওয়ারের উচ্চতার পরিবর্তন হয়ে থাকে। রড আয়রনের নির্মিত বলে বিভিন্ন ঋতুতে তাপমাত্রা পরিবর্তনের প্রভাব টাওয়ারের উচ্চতার পরিবর্তন ঘটায়। গ্রীষ্মের সময় তাপমাত্রার কারণে আইফেল টাওয়ারের উচ্চতা ৬ ইঞ্চির মত বৃদ্ধি পায়। শীত আসতেই পুনরায় আগের উচ্চতায় ফিরে আসে আইফেল টাওয়ার। 

উনিশ শতকে তোলা আইফেল টাওয়ারের একটি ছবি। Photos: discoverwalks.com

শুরুতে এই স্থাপত্য অস্থায়ীভাবে মাত্র ২০ বছরের সময়সীমার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রথম প্রথম প্যারিসবাসীর তীব্র নিন্দা আর সমালোচনার মুখে পড়েছিল এই স্থাপত্য। এমনকি প্যারিস থেকে এই স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য আন্দোলনও হয়েছিল প্যারিসের রাজপথে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আইফেল টাওয়ার প্যারিসবাসীদের ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় এক স্থাপত্য হয়ে উঠেছে।

এছাড়াও, আইফেল টাওয়ার বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা শুরু হয় নির্মাণের পর থেকেই। আইফেল টাওয়ার ১৮৯৮ সালে প্রথম প্যানথিয়ন টাওয়ার থেকে রেডিও সংকেত গ্রহণ করে। এবং ১৯০৩ সালে সামরিক রেডিও পোস্ট হিসাবে ব্যবহার হয়। ১৯২৫ সালে প্রথম পাবলিক রেডিও প্রোগ্রাম  এবং তারপরে আরও সম্প্রতি টিএনটি-তে টেলিভিশন সম্প্রচার করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি বেতার তরঙ্গ সম্প্রচার করার কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল। আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যেন এই টাওয়ার নাৎসি বাহিনী ব্যবহার না করতে পারে তাই এর লিফটের তার কেটে দেয়া হয়েছিল তখন।  

দ্য পেইন্টিং

প্রকাণ্ড এই স্থাপনা নির্মাণে কোনো কিছুরই কমতি ছিল না। এই টাওয়ারে রং করাও কিন্তু মহা আয়োজনের মতো এক ব্যাপার। ১৯০০ সালে ৩০০ মিটার টাওয়ার (The 300-Meter Tower) বইয়ে গুস্তাভ আইফেল লিখেছিলেন, 

আমরা অনেকেই  টাওয়ারটি রং করার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারি না। অথচ টাওয়ারটিকে সংরক্ষন আর দীর্ঘস্থায়ী করতে রং করার গুরুত্ব অপরিসীম। 

৬০ টন রং লাগে আইফেল টাওয়ারের জন্য। এ পর্যন্ত ১৮ বার আইফেল টাওয়ার রং করা হয়েছে। নির্মাণের পর থেকে গড়ে ৭ বছর পর পর রং করা হয়েছে এই টাওয়ার। ২৫ জন দক্ষ শিল্পী আইফেল টাওয়ারকে নিপুণভাবে রং করেন । এতে সময় লাগে ১৮ মাস। ব্যবহার করা হয় ৫ হাজারটি শিরিষ কাগজ, ১৫০০টি ব্রাশ, ১০০০টি স্ত্রাপার, ১০০০ জোড়া চামড়ার গ্লোভস। 

টাওয়ারে রঙের কাজ চলছে। Photos: toureiffelparis.com

শিল্পী আর জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এ সময়ে আইফেল টাওয়ারের আশপাশ জুড়ে সেফটি লাইন থাকে ৫০ কিলোমিটার জুড়ে। শুধু তাই নয় সেফটি নেট ব্যবহার করা হয় প্রায় ২ হেক্টর সমপরিমাণ জায়গা জুড়ে। সব মিলিয়ে আইফেল টাওয়ার রং করতে ব্যয় হয় প্রায় ৪ মিলিয়ন ইউরো।     

এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার আইফেল টাওয়ারের রং বদল হয়েছে। লাল-বাদামী থেকে হলুদের, পরে চেস্টনাট ব্রাউন এবং বর্তমানে ব্রোঞ্জ কালার। তবে প্রতিবারই ঐতিহ্য ধরে রাখতে হাতে রং করা হয় টাওয়ারটিকে। ঠিক যেমন প্রথমবার করা হয়েছিল। তবে সবচাইতে মজার তথ্য হচ্ছে যে, ১৮ মাস ধরে রং করা হলেও একদিনের জন্যও জনসাধারণের জন্য বন্ধ থাকে না আইফেল টাওয়ার।  

আলোকিত আইফেল টাওয়ার  

রং নিয়ে তো কথা হলো এবার আসি আইফেল টাওয়ারের লাইটিং বিষয়ে। মোট ২০ হাজারটি বাল্ব,৩৩৬টি প্রজেক্টর আর ১টি বিকন আলোকিত করে রাখে এই টাওয়ারকে। আইফেল টাওয়ার সবচাইতে সুন্দর দেখায় রাতের বেলায়। তবে এমন নয় যে সারা রাত ধরে একনাগাড়ে ঝলমল করে আইফেল টাওয়ার। মূলত প্রতি সন্ধ্যায় প্রতি ঘণ্টায় ১ বার ৫ মিনিটের জন্য ঝলমল করে নিজেকে প্রকাশ করে এই টাওয়ার যা চলে রাত ১ টা পর্যন্ত।  

রাতের আইফেল টাওয়ার। Photos: © E.Li_

তবে কপিরাইট আইনের জন্য রাতের বেলা আইফেল টাওয়ারের ছবি তোলার পর তা বিক্রয়ের অনুমতি নেই। কারণ, ইউরোপে আইফেল টাওয়ারের মত সৃষ্টিগুলোর কপিরাইট আইন বহাল থাকে নির্মাতার মৃত্যুর ৭০ বছর পর্যন্ত। তাই গুস্তাভ আইফেলের মৃত্যুর ৭০ বছর পর কপিরাইট আইনের সমাপ্তি ঘটে। তাই দিনের আইফেল টাওয়ারের ছবি তুলতে কিংবা তা বিক্রি করতে কোনো বাধা নেই। 

তবে রাতের আলোকিত আইফেল টাওয়ারের ছবি বিক্রয়ে কপিরাইট আইন আজও বহাল রয়েছে। কারণ ১৯৮৫ সালে আইফেল টাওয়ারের লাইটিং নিয়ে কাজ করেছিলেন ইলেকট্রিশিয়ান এবং আলোক প্রকৌশলী পিয়েরি বিদাউ। তিনি এখনো জীবিত আছেন বিধায় কপিরাইটের অনুমতি নেই। আর এ কারনে রাতের আইফেলের ছবি বিক্রয় করা বেআইনি। 

লিফট সমাচার

১৮৮৯ সালের ৬ মে থেকেই আইফেল টাওয়ারের ভেতরে যাওয়া যেত। তবে প্রথমে লিফট না থাকায় দর্শনার্থীরা ১,৭১০ ধাপ সিড়ি পার হয়ে টাওয়ারের উপরে যেতেন। কিন্তু মানুষের আগ্রহ আর সুবিধার জন্য ১৮৮৯ সালের জুনে ৫টি হাইড্রোলিক লিফট চালু করা হয়।

পরে ১৯০০ সালে গুস্তাভ আইফেল টাওয়ারের লিফটে প্রযুক্তির পরিবর্তন করে লিফট আরো আধুনিক করেন। আজকের দিনে সহজ মনে হলেও এটি ছিল সেই সময়ে সত্যিকারের প্রযুক্তির বিজয়। বর্তমানে দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে সিঁড়ি আর লিফট দুটি ব্যবস্থাই রাখা হয়েছে। 

আইফেল টাওয়ারের লিফট। Photos: © E. Livinec

এখনো সেই শুরুর দুটি লিফট ব্যবহার করা হয় আইফেল টাওয়ারে। বর্তমানে নিচতলা এবং দ্বিতীয় তলার ৫টি লিফটের মধ্যে ১টি ৪ টনের লিফট ব্যবহার করেন আইফেল টাওয়ারের কর্মীরা। ৩টি ব্যবহার করেন দর্শনার্থীরা। আর ১টি বৈদ্যুতিক লিফটের ব্যবহারকারী জুলস ভার্ন রেস্টুরেন্টের গ্রাহকরা। আর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলার জন্য ব্যবহার করা হয় ২টি ডাবল-কেবিন বৈদ্যুতিক লিফট।

রেস্টুরেন্ট

১৮৮৯ সালে বিশ্ব মেলায় জনসাধারণের জন্য প্রথম তলার স্টিফেন সৌভেস্ত্রে ৪টি কাঠের রেস্টুরেন্টের নকশা করেন। প্রতিটি রেস্টুরেন্টে ৫০০ জন আসন গ্রহণ করতে পারতেন। বর্তমানে আইফেল টাওয়ারে কয়েকটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এই রেস্টুরেন্টগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে। খাবারের অপূর্ব স্বাদের সঙ্গে এত উঁচু আর বিখ্যাত এক স্থাপনা থেকে প্যারিস দেখার সুযোগ কেইবা হাতছাড়া করতে রাজি থাকবে! 

বিশ্বের সর্বাধিক দর্শনীয় স্মৃতিস্তম্ভ

যে আইফেল টাওয়ারকে সাদরে গ্রহণ করেনি প্যারিসবাসি সেই টাওয়ার আজ তুমুল জনপ্রিয় বিশ্বব্যাপী। প্রতিবছর ৭ মিলিয়ন দর্শনার্থী আসে আইফেল টাওয়ার দেখতে। যাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই আসেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। আইফেল টাওয়ার ১৯৬৪ সালে হিস্টোরিক মনুমেন্ট – ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং ১৯৯১ সাল থেকে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। এটি বিশ্বের সর্বাধিক পরিদর্শন করা ফি-চার্জিং মনুমেন্ট। 

টাওয়ারের উঁচু থেকে। Photos: pixabay.com

দ্য গ্রেট টাওয়ার

নির্মাণের সময় এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু স্থাপনা ছিল। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে আইফেল টাওয়ারের অনুকরণে রেপ্লিকা টাওয়ার নির্মাণ করা আছে। সবচাইতে বড় রেপ্লিকাটি রয়েছে যুক্তরাষ্টের লাস ভেগাসে। যার উচ্চতা ৫৪১ ফুট। এটি ১৯৯৯ সালে বিলাসবহুল হোটেল-ক্যাসিনো কমপ্লেক্সের কাছে নির্মাণ করা হয়। আজকের যুগে আইফেল টাওয়ার এর থেকেও বেশি উচ্চতার স্থাপনা থাকলেও নিজের অনন্যতা ধরে রেখেছে আইফেল টাওয়ার। 

যে আইফেল টাওয়ার নির্মান করা হয়েছিল মাত্র ২০ বছরের জন্য তা আজ বিশ্ব সেরা স্থানগুলোর একটি। ১৮৮৯ সাল থেকে এখন অবধি প্রায় ৩০০ মিলিয়ন দর্শনার্থী আইফেল টাওয়ারে এসেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুভির শুটিং স্পট হিসেবে ব্যবহৃত হয় আইফেল টাওয়ার। সারা বছর জুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা সেমিনারের আয়োজন করা হয় আইফেল টাওয়ারকে ঘিরে। বর্তমান বিশ্বে আইফেল টাওয়ার থেকে উঁচু টাওয়ার থাকলেও আইফেল টাওয়ার সবার সেরা হয়ে রয়েছে নিজস্ব বৈচিত্র্যে। আর তাই বিশ্ব মানচিত্রে আইফেল টাওয়ার এক ও অনন্য। 

 

 

Feature Image: pixabay.com
তথ্যসূত্রসমূহ:  

01. The Tower 
02. Eiffel Tower
03. 10 things you didn’t know about Eiffel tower
04. আইফেল টাওয়ার: লোহার তৈরি আশ্চর্য এক কাঠামো
05. আইফেল টাওয়ারের নাইটটাইম ফটো তোলা কেন অবৈধ?
06. Eiffel Tower information