এখন তুমি দূর শহরে। পারছি না তাই ছুঁতে-
তোমার কথা আমায় এসে জানাচ্ছে মেঘদূতে!
– বারিষওয়ালা
১৯৬৯ সালের কথা। ক্রিস্টা জনসন তার প্রিয় জন্মস্থান ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে টেক্সাসে। তার বয়স ৬৮ বছর। ক্রিস্টার জন্মস্থান চাট্টানুগা। আমেরিকার টেনিসির দক্ষিন-পূর্বের ছোট্ট একটা শহর চাট্টানুগা। যেখান থেকে দলে দলে মানুষ অন্য শহরে সরে যাচ্ছে। বলতে গেলে পালিয়েই যাচ্ছে। কিন্তু কেন? অজ্ঞাত মহামারী কি আক্রমন করেছে সেখানে? না, অজ্ঞাত কোনো মহামারী নয়। মানবিক সৃষ্ট বিপর্যয়ে চাট্টানুগার এই পরিণতি! চাট্টানুগার আকাশ দূষনে আর নীলাভ দেখায় না। কলকারখানা থেকে শুরু করে গাড়ির যান্ত্রিক কালো ধোঁয়াতে শহরটি বিপর্যস্ত প্রায়। যেজন্য শহরটিকে ওয়াল্টার ক্রনকাইট ‘আমেরিকার সবচেয়ে নোংরা শহর’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
সত্যি বলতে চাট্টানুগা শহরটি আমেরিকার আর দশটি শহরের মত তেমন জনপ্রিয় নয়। রাস্তা দিয়ে চলার সময়ে কেউ হয়তো এই শহরটির নাম শুনতো, ব্যাপারটা এমনই ছিল। আদ্যোপান্ত মিলে চাট্টানুগা আমেরিকার সেই মধ্যম সারির টিপিক্যাল ঘরানার শহর। কিন্তু, তারপরেও এই শহরটি উপাখ্যানের মত মহাকাব্য রচনা করেছে মানুষের মনে। তার পরিবেশের বিপুল অদল-বদলের জন্য।
আজ মানুষ চাট্টানুগা বলতেই তার চমৎকার টুরিস্ট স্পট, বিশ্বের প্রথম মিনি গলফ কোর্ট, প্রথম কোকা-কোলার ফ্যাক্টরি থেকে শুরু করে সবুজ পরিবেশের কথা প্রথমেই মনে আসে। সাহিত্যে খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তনের মতোই চাট্টানুগার নিজেকে ফিরিয়ে আনা। তাই তো, এই শহরকে এখন গিগ সিটি বলা হয়। নামটি এসেছে ফাইবার-অপটিক নেটওয়ার্ক থেকে; যেখানে সেকেন্ডে এক গিগাবিট স্পিডনির্দেশ করে। যা সম্ভবত, আমাদের এশিয়া মহাদেশের সংযোগের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি দ্রুততর। এমনকি চাট্টানুগার এই গিগ নেটওয়ার্ক ৪ বিলিয়ন ডলারের ইনভেস্ট আনা হয়েছিল, তার ক্রান্তিলগ্নের পর থেকেই। যার ফলে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য এই শহরটি ভূ-স্বর্গে পরিণত হয়েছে। এমনকি ২০১৭ সালে র্যান্ডি জুগারবার্গও শহরটি দর্শনে আসে! ততদিনে পাহাড় আর সবুজ নৈসর্গিকতার মিশেলে অ্যাপালাচিয়েন পর্বতের পাদদেশে একটুকরো সবুজের মক্কা ‘চাট্টানুগা’।
কিন্তু সবচেয়ে লোমহর্ষক ঘটনা তো এখনো বলা বাকি! আমেরিকার এই শহরটি তার পরিবেশের চড়াই-উতরাই ইতিহাসের জন্য বিখ্যাত। আগেই বলেছি, ১৯৬৯ এর দিকে ফেডারেল এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্টে যে শহরটিকে সবচেয়ে দূষনের আর নোংরা বলে অভিহিত করা হয়েছিল ২০১৭ এসে আমেরিকান লাঞ্চ এসোসিয়েশন সেই একই শহরটিকেই অন্যতম পরিচ্ছন্ন শহর বলে অভিহিত করেছিলেন!
বিপর্যয়ের সময়গুলোতে চোখ বুলালে, ষাটের দশকের দিকে চাট্টানুগাতে অপরিকল্পিতভাবে শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠতে থাকে। ব্যাপারটা একসময়ে গিয়ে এমন দাঁড়ালো যে, নিঃশ্বাস নেওয়াই দুষ্কর হয়ে গেল। অবিবেচিতভাবে শিল্পকারখানা, রেলগাড়ি আর বর্জ্য নিক্ষেপ চাট্টানুগার হরিদ্রা বনের রূপ সম্পূর্ন পালটে দেয়। টেনিসি নদী হারায় তার স্রোতস্বিনী ধ্বনি!
যেখানে কৃষিভিত্তিক সমাজের চিন্তার সুরে চাট্টানুগার এগিয়ে যাওয়ার কথা, সেখানে বাস্তবতা দেখা গেল সম্পূর্ন ভিন্ন! ১৮৭০ সালের দিকে প্রায় ৫৮টির মতো শিল্পকারখানাতে ভরে গেল শহরটি। ১৮৮৫ সালে চাট্টানুগা প্রকৃত অর্থেই শিল্প নগরে রূপান্তরিত হয়ে যায় এবং ১৯২০ সালে চাট্টানুগা বয়লার উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থান নিয়ে নেয়। এবং ক্রমবিকাশমান এই ব্যবস্থার বিস্ফোরণটি চাট্টানুগার মানুষ স্ব-চক্ষে অনুধাবন করে ১৯৭০ এর দিকে!
এত দ্রুত অবস্থা খারাপ হওয়ার পেছনে শহরটির ভৌগেলিক অবস্থানও দায়ী। চাট্টানুগা শহরটি নদীবিধৌত ভূমিখন্ডের অর্থাৎ টেনিসের প্রায় মাঝ বরাবর অবস্থিত। সোজা কথায়, এই স্থানটি একটি বাটি যেখানে বাকি জায়গা থেকে যাবতীয় দূষণ এসে জমা হতো! ফলে, যখন বায়ু পরিবর্তন হয় তখন পাহাড়ের উপর দিয়ে প্রবাহিত ঠান্ডা বাতাস ভেতরে দূষিত উষ্ণ বাতাসের স্তরের নিচে দূষণের সাথে আটকে যায়।
পৃথিবীর তাবৎ দূষণকারী দেশের সাথে চাট্টানুগার বৈচিত্র্য এই শহরটি নিজেই দূষণের বেড়াজালে জড়িয়ে গিয়েছিল। যেখানে বাকি দেশগুলো দূষণ সম্প্রসারিত করতো মাইল থেকে মাইলে! উদাহারণস্বরূপ বলা যায়, চীন থেকে দূষণ যেভাবে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে বিলীন হয়েছে! সেখানে দূষণ ছড়ানোর দায়ভারও এই শহরটির ছিল না। কিন্তু, ক্রমেই চাট্টানুগার আকাশ নীলের পরিবর্তে ছাইবর্ণ হয়ে পরে দূষণের কবলে।
দূষণ যে কত মারাত্মক পরিমাণে পৌঁছে গিয়েছিল তা অনুমান করাও কষ্টসাধ্য। অবস্থা এমন বেগতিক হয়ে গিয়েছিল যে, দূষণের ফলে দিনের বেলাতেও লোকজন পরিষ্কারভাবে কিছু দেখতে পেতো না। এমনকি দিনের বেলায় চাট্টানুগার রাস্তায় গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখা হতো! বাতাস, পানি থেকে শুরু করে সর্বত্র দূষণ আর দূষণ। মানুষ কাজের জন্য বের হলেও শরীরে দূষণের আস্তরণ পরে যেতো! তাই সবচেয়ে দূষিত শহরের তকমা পাওয়াটা একদমই চাট্টানুগার জন্য আশ্চর্যের ছিল না। Environmental Protection Agency (EPA) এমনকি ঘোষণা দিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দূষিত শহর হচ্ছে চাট্টানুগা।
এরপরেই, ভীতিকর এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য চাট্টানুগা ঘুরে দাঁড়ায়। সংক্ষেপে বলতে গেলে সুষ্ঠু সরকারব্যবস্থা, পরিকল্পিত ভাবনা এবং নাগরিক সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম আজকের সবুজ আড়ম্বর চাট্টানুগার উত্থানের পেছনের গল্প। সর্বপ্রথম এর সংগ্রামের সূচনা হয় ১৯৬০ সালে। আস্তে আস্তে শিল্পাঞ্চল কমতে শুরু করে। যে শহরটি একসময় শিল্পের রাজধানী ছিল, দেখা গেল ১৯৭০ সালের মধ্যে ৩০.৪ শতাংশ হয়ে গেল শিল্পখাতের অবস্থান। চাট্টানুগার বাসিন্দাদের জন্য এটি বেশ আশ্চর্যজনক ছিল। যেহেতু শহরটির পুনর্গঠনের প্রয়োজন ছিল, তাই চাট্টানুগার নতুন অর্থনৈতিক বাস্তবতা পৃথিবীর অবলোকনে আসতে শুরু করে।
পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৯৬৯ সালে চাট্টানুগাকে সবচেয়ে নোংরা শহর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। যতবার চাট্টানুগা দূষণের শীর্ষে উপনিত হচ্ছিল ততবার শহরের মানুষ মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছিল। নগরকর্তারা নিজেদের গদিতে লজ্জায় ডুবে যাচ্ছিল বিষণ্ণভাবে। ফলে শহরের প্রশাসন ঢালাও ভাবে পরিবর্তনের ব্যবস্থা নিতে শুরু করে। চাট্টানুগার এই পূর্ণজাগরণের পেছনে ডেভিড ওডের নাম অগ্রগণ্য!
শোক কাটিয়ে এবার ছন্দে ফিরে আসার পালা। ১৯৮৪ সালে শহরের নগরের প্রশাসনিক বিভাগের কর্মকর্তারা মিলে সিদ্ধান্ত নেন, এবার যেভাবেই হোক চাট্টানুগা শহরকে দূষণমুক্ত করতে হবে। আবার শহরের পরিবেশ বসবাসের যোগ্য করে তুলতে হবে। চাট্টানুগা ফিরে যাবে তার চিরায়িত লাস্যময়ী রূপে। তারা একটি প্রক্রিয়া শুরু করলেন, যেটা ছিল চাট্টানুগাতে যারা বসবাস করছিল তাদের নিয়ে প্রতি সপ্তাহে জরুরি মিটিংয়ের আয়োজন করা। এই প্রক্রিয়ার নাম দেওয়া হয় ভিশন ২০০০। যথাক্রমে ২০ সপ্তাহ প্রায় ১৭০০ নাগরিকের একটানা বৈঠকের পরে কিছু মৌলিক সিদ্ধান্ত উঠে আসে। মানুষ মুক্তভাবে তাদের প্রিয় শহরকে বাঁচানোর জন্য মতামত দেয়। দশ থেকে একে পরিণত হওয়ার ঐক্যের সেতু।
নিজেদের শহরকে সবুজে মোড়াতে খরচের তহবিলেও চাট্টানুগার জনগন ঢেলে দিয়েছিল ৭৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার! প্রথম ধাপে কলকারখানাগুলোর বায়ু দূষণের নির্গমনকে শূণ্যের কৌটাতে এনে ফেলা হয়। গাড়ির ক্ষেত্রে ডিজেল চালিত বাস অপেক্ষা তড়িৎচালিত গাড়ির দিকে মানুষকে ধাবমান করা হয়। একসময়ে গিয়ে, এই গাড়িগুলোতে ভরে উঠে চাট্টানুগা! খুব শীগগির চাট্টানুগা ফেডারেল এয়ার কোয়ালিটিতে নিজেদের মান এগিয়ে নেয়।
১৯৮৯ সালের দিকে শহরে একটি অবকাঠামো নির্মাণের প্রস্তুতির পরিকল্পনা নেওয়া হয় যার উদ্দেশ্য ছিল ময়লার স্তুপগুলো সেখানে এনে পুড়িয়ে ফেলা। যা আমরা ইন্সিনারেশন বলে জেনে থাকি। প্রক্রিয়াটির বিরূপ প্রভাব হলো, চাট্টানুগার বাতাসে দূষকের পরিমাণ অসম্ভব বেড়ে যাবে ইন্সিনারেশনের ফলে। ওজন, কণা এবং অন্যান্য বিষাক্ত গ্যাসে নিষিক্ত হবে শহর। রুখে দাঁড়ালো সেখানকার মানুষ। ফলশ্রুতিতে ক্ষতিকারক দূষকের পরিমাণ চাট্টানুগার বাতাস থেকে কমে সেখানকার ফেডারেল সরকার দূষকের যে সীমা নির্ধারণ করেছিল টেনিসির আকাশে তার চেয়েও বেশি স্বচছতা নিয়ে হাজির হয়।
কিন্তু মহাকাব্যের যে এখনো বাকি! চাট্টানুগাকে যে পেতে হবে সবচেয়ে নিরাপদ সবুজ শহরের উপমা। যেহেতু অর্থনৈতিক বিরাট একটা স্থানান্তর হয়েছে তাই শহরের এনজিও, শুভাকাঙ্ক্ষীরা এগিয়ে আসে এই পর্যায়ে। ১৯৯২ সালে টেনেসি অ্যাকোরিয়াম নির্মিত হয়। এটি আজ বিশ্বের বৃহত্তম স্বাদু পানির অ্যাকোরিয়াম। এই কনসেপ্টটি পর্যটক আকর্ষণের সাথে সংরক্ষণের ধারণা দেয় মানুষের মাঝে। ১৯৯০ এর দিকে এটি বছরে প্রায় ১.৩ মিলিয়ন গ্রাহক নিয়ে আসে। এটি তৈরির বছরেই ১৩৩ মিলিয়ন ডলার এনে দেয় চাট্টানুগার হাতে!
১৯৯০ থেকে ২০০০ এর দিকে ফেডারেল এয়ার কোয়ালিটিও আরো শক্তপোক্ত হতে থাকে। চাট্টানুগা যতবার বায়ুমানে এক এক করে এগিয়ে যেতো, ততবার বাটি থেকে এক ফোঁটা করে দূষণও মুক্ত হতে সক্ষত হতো। ১৯৯৭ সালের দিকে শহরটি আর্লি ইমপেক্ট এজেন্সি বাস্তবায়ন করে পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার সাথে মিশে। সেই কমপ্যাক্ট কিছু নতুন নীতিমালা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়। যেমন দেশজুড়ে ইমিশন টেস্টিং, বার্নিং রেগুলেশন, স্কুলবাসগুলোকে পুর্ণব্যস্তকরণ, স্পিড লিমিট কমানো এবং নাগরিকের পূর্ণ যোগদান করা। ২০০৫ সালে চাট্টানুগা EPA রিপোর্টে চাট্টানুগা তার কাঙ্খিত লক্ষ্যের প্রায় কাছাকাছি চলে আসে।
সম্পূর্ণ শিল্পভিত্তিক অর্থনীতি থেকে আজকের সবুজ অর্থনীতির ভিত্তিতে আসা চাট্টিখানি কথা ছিল না। তবু চাট্টানুগা সভ্যতাকে দেখিয়েছে এই বৈপ্লবিক অদল-বদলের প্রেক্ষাপট। কিছু সিদ্ধান্ত তাতে যুগান্তকারী –
- ১) নতুন নগর-পরিকল্পনা বিন্যাসে সর্বস্তরের নাগরিকদের সম্পৃক্ত করা। যেটা অনেকটা সার্ভেকাল মেথডের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছিল, সোশিওলজিতে যাকে বলা হয় ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন।
- ২) অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে নতুনভাবে বিনিয়োগ ও টুরিস্ট সেক্টর সম্প্রসারণ ছিল অন্যতম প্রধান উপাদান।
- ৩) সর্বশেষ চাট্টানুগার মানুষের সুনাগরিক গুণাবলি। তারা শেষ পর্যন্ত অটল ছিল সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর হওয়ার দৌড়ে।
মুলত ৯০ সালেই চাট্টানুগার অর্থনীতি ট্যুরিজম ভিত্তিতে দাঁড়াতে শুরু করে, যার পূর্বশর্ত ছিল পরিষ্কার বায়ু আর পানি! এর মাধ্যমে বোঝা যায় আসলেই এই শহরটি কতখানি নিজেকে ছেঁকে পরিবর্তনের গোড়ায় আনতে সক্ষম হয়েছে। যে মানুষগুলো দূষণের ফলে চাট্টানুগা ছেড়ে একসময় চলে গিয়েছিল, তারা আবার ফিরে আসে। ক্রিস্টা জনসন বয়সের ভারে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও হয়তো তার উত্তরসূরীরা আধুনিক চাট্টানুগার সবুজে আজ লালিত হচ্ছে। চার্লস ডিকিন্সের ‘অ্যা টেল অফ টু সিটির’ আক্ষরিক রূপে যেন আজ চাট্টানুগার এই সবুজাভ স্বয়ংম্ভর।
Feature Image: By Brent Moore
তথ্যসূত্রঃ
মন্তব্য না করলেই নয়, প্রিয় লেখকের প্রতিটি জানা অজানার কাহিনী পড়তে পড়তে বিমুগ্ধ হয়ে পড়ি l প্রতিটি লেখার ভিতরে নিয়ে যাওয়ার এই যে দক্ষতা লাবণ্য শাহিদার লেখায় খুঁজে পাচ্ছি l মনে হচ্ছে এই তো কিছুক্ষন আগেই তো ঘুরে এলাম লাস্যময়ী চাট্টানুগা, যাকে নিয়ে তথ্যবহুল বিশ্লেষণের ভান্ডার খুলেছেন আমাদের অতি প্রিয় লেখিকা l
অসাধারণ আরেকটা লেখা পড়ালাম.