একটি জটিল ভিসা পদ্ধতি এবং অদ্ভুত কিছু নিয়মের জন্য এই দেশটিতে সবচেয়ে কম পর্যটক দেখা যায়। শুধু তাই নয়, দেশটির প্রেসিডেন্টদের রয়েছে উদ্ভট কিছু শখ। যেমন প্রেসিডেন্ট বারদিমুহামিদোর শখ ঘোড়া। তিনি ঘোড়া এতই ভালোবাসেন যে, তার অফিসের আসবাবপত্র জুড়ে রয়েছে কেবল একটি বিশিষ্ট মোটিফ-ঘোড়া।
আবার এই দেশটিই বিশ্বের একমাত্র দেশ যা জাতিসংঘ কর্তৃক নিরপেক্ষ দেশ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশটির নাম তুর্কমেনিস্তান, মধ্য এশিয়ার স্থলবেষ্টিত একটি দেশ। আজ ঘুরে আসবো মধ্য এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য তুর্কমেনিস্তান থেকে।
ভৌগোলিক অবস্থান
তুর্কমেনিস্তান মধ্য এশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এর উত্তর-পশ্চিমে কাজাখস্তান, উত্তর ও পূর্বে উজবেকিস্তান, দক্ষিণ-পূর্বে আফগানিস্তান, দক্ষিণে ইরান এবং পশ্চিমে কাস্পিয়ান সাগর। তুর্কমেনিস্তানের দুটি অংশ-একটি মরূদ্যান যা কোপেত-দাগ এবং অন্যান্য মরূদ্যানের সমন্বয়ে গঠিত।
একটি মরুভূমি অঞ্চল যা এর নয়-দশমাংশ জায়গা দখল করে পশ্চিম তুর্কমেনিস্তান এবং কারাকুমে বিভক্ত। কারাকুম বিশ্বের বৃহত্তম বালি মরুভূমির মধ্যে একটি। কারাকুম খাল বিশ্বের বৃহত্তম সেচ এবং শিপিং খালগুলোর মধ্যেও একটি।
জলবায়ু
এর মহাদেশীয় জলবায়ুর জন্য তাপমাত্রা প্রচুর ওঠানামা করে। এর গড় বার্ষিক তাপমাত্রা ১৪-১৬°C। গ্রীষ্মের দিনগুলোতে তাপমাত্রা ৩৫°C এর নিচে নেমে যায় এবং দক্ষিণ-পূর্ব কারাকুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫০°C-এ পৌঁছায়। বিপরীতে, শীতকালে সীমান্তের দক্ষিণে তাপমাত্রা −৩৩ °C- এ নেমে যায়। বৃষ্টিপাত প্রধানত বসন্তকালে হয়।
প্রাকৃতিক সম্পদ
তুর্কমেনিস্তান তুলা চাষ, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস আহরণে প্রসিদ্ধ। এর পশ্চিম সমভূমিতে ভূগর্ভস্থ সম্পদ এবং ক্যাস্পিয়ান সাগর বরাবর তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস, মিরাবিলাইট, আয়োডিন, ব্রোমিন, সালফার, পটাসিয়াম এবং লবণের মজুদ রয়েছে।
কৃষি
সূক্ষ্ম তুলার চাষ এবং কারাকুল ভেড়া, ঘোড়া এবং উট পালন কৃষি অর্থনীতিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে। তুর্কমেনিস্তান মধ্য এশিয়ায় রেশম পোকার কোকুন উৎপাদনেও এগিয়ে আছে, বিশেষ করে মধ্য আমু দরিয়া মরূদ্যানে। তবে আমু দরিয়ার বহিঃপ্রবাহে কীটনাশক ও রাসায়নিক দূষণের প্রভাব এবং আরাল সাগরের শুষ্কতা ও সংকোচনের ফলে মাটি ও পানির লবণাক্তকরণ একে হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
প্রাথমিক সভ্যতা এবং তুর্কমেনদের আগমন
প্যালিওলিথিক সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত দক্ষিণ তুর্কমেনিস্তানে মানুষের বাসস্থানের ইতিহাস অনুসরণ করা সম্ভব। সম্ভবত খ্রিষ্টপূর্ব ৫ম সহস্রাব্দে, মধ্য এশিয়ার কৃষির প্রাচীনতম কিছু নিদর্শন আশগাবাত থেকে প্রায় ২০ মাইল (৩২ কি.মি.) উত্তরে নিওলিথিক জেইতুন সভ্যতায় আবিষ্কৃত হয়েছিল।
ব্রোঞ্জ যুগের প্রথম দিকে (২৫০০-২০০০ খ্রিষ্টপূর্ব), জেইতুন সভ্যতার পর অন্যান্য নিওলিথিক সংস্কৃতি এবং দক্ষিণ তুর্কমেনিস্তানের একটি সাংস্কৃতিক মিশ্রণ হয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে সাসানীয় বিজয় পর্যন্ত, তুর্কমেনিস্তান পার্থিয়ান সাম্রাজ্যের অংশ ছিল।
সমসাময়িক ইতিহাসবিদরা তুর্কমেনদের, ৯ম শতাব্দী থেকে এই অঞ্চলে উপস্থিত তুর্কি উপজাতিদের গোষ্ঠী ওঘুজ (Oghuz) থেকে আলাদা করেননি। তুর্কমেনরা ওঘুজ উপজাতির সেলজুক রাজবংশের (১০৩৮-১১৯৪) শাসনের অধীনে আসে। ১৩ শতকে, তারা মঙ্গোল আক্রমণ বেশ ভালোভাবে মোকাবেলা করে।
রাশিয়ান আক্রমণ
১৯২৪ সাল পর্যন্ত তুর্কমেনরা কখনো নামমাত্র রাজনৈতিক ঐক্যের অভিজ্ঞতাও পায়নি। তাদের সংগঠন ছিল একচেটিয়াভাবে উপজাতীয়। উপজাতিরা ছিল যাযাবর এবং স্বাধীন অথবা প্রতিবেশী পারস্যের অধীনস্থ বা খিভা ও বুখারার খানাতের অধীন। উপজাতিদের মধ্যে তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। ফলে ৬০-৭০ এর দশকে যখন টেকেরা রাশিয়ান আক্রমণের প্রধান বিরোধী ছিল, অন্যান্য উপজাতিরা হয় তাদের সমর্থন করতে ব্যর্থ হয়েছিল বা রাশিয়ানদের সাহায্য করেছিল।
১৮৬৯ সালে একটি রাশিয়ান সামরিক বাহিনী কাস্পিয়ান সাগরের পূর্ব উপকূলে ক্রাসনোভডস্ক (বর্তমানে তুর্কমেনবাশি) বন্দর প্রতিষ্ঠা করে। রুশ দখলের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৮৮১ সালে গোক-টেপের (বর্তমানে গোকডেপে) যুদ্ধে তা ব্যর্থ হয়।
তুর্কমেনরা রাশিয়ান শাসনের বিরুদ্ধে ১৯১৬ সালের বিদ্রোহে সক্রিয় অংশ নিয়েছিল, বিশেষ করে তেজেন শহর যেখানে অনেক রাশিয়ান বসতি স্থাপনকারী এবং কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছিল।
সোভিয়েত যুগ
রুশ বিপ্লবের পর গৃহযুদ্ধের সময় (১৯১৮-২০), তুর্কমেনিস্তান ছিল সামাজিক বিপ্লবী ট্রান্সকাস্পিয়ান প্রাদেশিক সরকার এবং তাসখন্দ থেকে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টাকারী বলশেভিক সৈন্যদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত লড়াইয়ের স্থান। ১৯১৯ সালের এপ্রিলে ব্রিটিশ বাহিনী প্রত্যাহার করা হয় এবং রেড সৈন্যরা ১৯২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্রাসনোভডস্ক দখল করে বলশেভিক শাসন প্রতিষ্ঠিত করে। দেশটি ২৭ অক্টোবর, ১৯৯১ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করে তুর্কমেনিস্তান নামটি গ্রহণ করে।
রাষ্ট্রপতিদের অদ্ভুত শখ
সাপারমুরাদ নিয়াজভকে তুর্কমেনবাশি বা তুর্কমেনের নেতাও বলা হয়। তার স্বৈরাচারী শাসনের নেতৃত্বে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার তুর্কমেনিস্তানের প্রাকৃতিক পরিবেশে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও, জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে ব্যর্থ হয়েছিল। নিজেকে আজীবন রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করার পাশাপাশি, নিয়াজভ বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন।
‘নিউট্রালিটি আর্চ’ নামক একটি স্মৃতিস্তম্ভের উপরে, তার একটি স্বর্ণের মূর্তি স্থাপন এর মধ্যে একটি। এমনকি মূর্তিটি সূর্যের মুখোমুখি করার জন্য নিয়মিত ঘোরানো যায় এমন ডিজাইন করা হয়েছিল। তিনি মরুভূমিতে ৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয়ে একটি ‘গোল্ডেন এজ লেক’ নির্মাণের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তার অর্ধ-আত্মজীবনীমূলক ‘রুখনামা’ (The Book of the Soul) তুর্কমেনিস্তানের সমস্ত স্কুলে পড়ার জন্য এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার একটি অংশ হিসাবে বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। তিনি দিন, মাস, চাঁদে একটি গর্ত, ঘোড়ার একটি প্রজাতি, একটি খাল এবং একটি শহর; নিজের এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে নামকরণ করেছেন।
প্রেসিডেন্ট গুরবাঙ্গুলি বারদিমুহামিদোর, নিয়াজভের এইসব নিয়ম নিজের নিয়ম দিয়ে প্রতিস্থাপন করেন। তিনি স্থান এবং প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করেছিলেন। নিয়াজভের রুখনামাকে প্রতিস্থাপন করে, ছাত্ররা ‘তুর্কমেনামা’ (তুর্কমেনদের গল্প) পড়তে শুরু করে। ২০১৫ সালে আশগাবাতে তার নিজের একটি সোনালি মূর্তি উন্মোচন করা হয়েছিল।
আশগাবাত
১৮ শতকে, রাশিয়ান সৈন্যরা এই অঞ্চলে আস্কাবাদ দুর্গ তৈরি করে (পার্সিয়ান এশক থেকে-প্রেম এবং আবাদ-শহর)। ১৯১৭ সালের বিপ্লবের পরে, তুর্কমেন অঞ্চলের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। ১৯২৭ সালে, রাজধানীটি আশগাবাত নামে পরিচিত হয়েছিল। ২০১৩ সালে, আশগাবাত ৫ বার সবচেয়ে বেশি সাদা মার্বেল ভবনের শহর হিসাবে গিনেস বুক অফ রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্ত হয়। আক্ষরিক অর্থেই শহরের কেন্দ্রস্থলের সব ভবনই সাদা!
এই স্থানটি কয়েকটি স্থাপনার জন্য বিখ্যাত। বিশাল ইনডোর ফেরিস হুইল যা ২০১২ সালে গিনেস বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নেয়। এছাড়া রয়েছে, ২০১০ সাল পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা পতাকা হিসাবে বিবেচিত দেশের প্রধান পতাকা। আশগাবাতের একটি বিশেষ বিল্ডিং হলো ওয়েডিং প্যালেস বাগত কোশগি, একটি আট-পয়েন্ট তারার আকৃতিতে নির্মিত।
আরেকটি আকর্ষণীয় সাইট হলো স্বাধীনতা মনুমেন্ট, একটি ১১৮-মিটার সাদা কলাম গিল্ডিং দিয়ে সজ্জিত। স্মৃতিস্তম্ভটি একটি অর্ধচন্দ্র এবং পাঁচটি তারার মুকুটযুক্ত, যা পাঁচটি তুর্কমেন উপজাতির প্রতীক। শহরের আরেকটি আকর্ষণ হল ঝর্ণা। তাদের মধ্য়ে অন্যতম একটি হলো ‘ওগুজখান এবং পুত্র’ এবং এটি গিনেস বুক অফ রেকর্ডসে প্রবেশ করেছে। আরও রয়েছে তুর্কমেন কার্পেট জাদুঘর, পার্ক, থিয়েটার, মসজিদ এবং চার্চ।
দরওয়াজা ক্রেটার
নরকের গেট নামে পরিচিত, এটি কোনো প্রাকৃতিক ঘটনা নয় বরং একটি প্রাকৃতিক গ্যাস ড্রিলিং অভিযানের ভয়ঙ্কর ভুলের ফলাফল। এই আগুন এখনও নিভানো হয়নি। এতে আশেপাশের বন্যপ্রাণীও ধ্বংস হয়ে গেছে।
শিল্পকলা
লিখিত তুর্কমেন সাহিত্য অন্ততপক্ষে ১৮ শতকের কবি মাহতুম কুলির সময় থেকে শুরু। যা ২০-৩০ এর দশকের শেষের দিকে নতুন প্রজাতন্ত্রের সাহিত্য প্রকাশনার শুরুতে বৃদ্ধি পায়। আব্দুল হেকিম কুলমুহাম্মদ-ওগলি এর মতো বুখারান সেমিনারিগুলোর অসামান্য স্নাতক, সোভিয়েত তুর্কমেনিস্তানে বৌদ্ধিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের নতুন ছোঁয়া নিয়ে আসে। ৩০-এর দশকে এই ধরনের সমস্ত প্রচেষ্টার সমাপ্তি ঘটে এবং সোভিয়েত-শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীরা সাংস্কৃতিক জীবনে আধিপত্য বিস্তার করে।
খাবার
তুর্কমেন রন্ধনপ্রণালীর সাথে এই অঞ্চলের অন্যান্য স্থানের অনেকটাই মিল রয়েছে। তবে যাযাবর ঐতিহ্য এবং স্থানভেদে পার্থক্য রয়েছে। সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবারগুলোর মধ্যে একটি হল চাল এবং মাংসের তৈরি একটি খাবার। তাদের খাবারে চর্বিযুক্ত ভেড়ার মাংস, দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাস্পিয়ান সাগরের কাছে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বিভিন্ন রকমের মাছ পাওয়া যায়।
সঙ্গীত এবং নাচ
তুর্কমেন সংস্কৃতিতে সঙ্গীত এবং নৃত্য একটি বড় ভূমিকা পালন করে। এছাড়া, রয়েছে ঐতিহ্যবাহী যন্ত্রের ব্যবহার যেমন দুতার (একটি লম্বা গলার বাঁশি), গিজাক (একটি তিন-তারের বাঁশি), এবং টেকেমেন্ড (এক ধরনের হাতুড়িযুক্ত ডুলসিমার)। তুর্কমেন নৃত্যও দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এতে লেভেন্ডি (একটি পুরুষদের নাচ) এবং গয়চাক (একটি নারীদের নৃত্য) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পোশাক ও হস্তশিল্প
তুর্কমেনিস্তানের ঐতিহ্যবাহী পোশাকগুলো উজ্জ্বল রঙের এবং জটিল সূচিকর্মের নকশার জন্য পরিচিত। পোশাকটি দেশের যাযাবর ঐতিহ্য দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত এবং এর সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে। তুর্কমেনিস্তান তার ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পের জন্য বিখ্যাত, যার মধ্যে কার্পেট বুনন, ধাতুর কাজ, সিরামিক এবং টেক্সটাইল রয়েছে।
মিডিয়া এবং প্রকাশনা
মিডিয়া এবং প্রকাশনা রাষ্ট্র দ্বারা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। দেশের প্রায় সব টেলিভিশন স্টেশন এবং সংবাদপত্র রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন। প্রাইভেট আউটলেটগুলোর জন্য কিছু বিধান বিদ্যমান, তবে তাদের অবশ্যই রাষ্ট্রীয় লাইসেন্সিং সুরক্ষিত করতে হবে এবং সরকারের ইতিবাচক কভারেজ প্রদান করতে হবে।
তুর্কমেনিস্তানের রয়েছে হাজার বছর পুরানো ইতিহাস ও ঐতিহ্য। এর সাথে রয়েছে উপজাতি সংস্কৃতি এবং স্থানভেদে নিয়ম এবং আচার-অনুষ্ঠানের মিশ্রণ। বিশ্বে এর পরিচিতি রয়েছে বিখ্যাত আশখাবাত শহর, কার্পেট বুনন এবং গিনিস বুকে বারবার স্থান পাওয়ার মধ্য দিয়ে।
কিন্তু, প্রতিবার তুর্কমেনিস্তানের সরকার প্রধানদের অদ্ভুত ইচ্ছা এবং কাজের জন্য বহির্বিশ্বে এর পরিচিতি ভিন্ন। কঠোর নিয়মের জন্য পর্যটকদের ভ্রমণও কম এবং বাকস্বাধীনতাও বাধাগ্রস্ত। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে এর শাসনকর্তারা এর প্রতি মনোযোগী হবেন।
Featured Image: state.gov/countries-areas/Turkmenistan References: 01. Turkmenistan. 02. Turkmen-Culture. 03. Ashgabat. 04. Turkmenistan-20-Bizarre-Facts.