পাহাড়ের নিজস্ব একটা বুনো ঘ্রাণ আছে। জামপাতা হাতে নিয়ে ঢললে নিজের হাতের ঘ্রাণের সাথে জামপাতার ঘ্রাণ, পাতার শিরায় থাকা কষের ঘ্রাণ মিলে যেমন অদ্ভুত এক ঘ্রাণের সৃষ্টি হয়। সেরকমই পাহাড়ের বুনো ঘ্রাণের সাথে মিশে থাকে মাটির সোঁদা গন্ধ, ঝিরিতে শেওলা পড়া পাথরের শীতল গন্ধ, পাহড়ি জুম আর ফলের মিশেল গন্ধ, আর রাতের নিস্তব্ধতায় একাকীত্বের গন্ধ। এই গন্ধে নেশা হয়। যাকে একবার এই নেশায় পায় সে আর কখনো পাহাড়কে ভুলতে পারে না।
বারবার ফিরে আসে পাহাড়ের বুকে। কণ্টকাকীর্ণ পথ পেড়িয়ে এসে দেখে আকাশ পাহাড়ের কাঁধে মাথা রেখে অঝোর ধারায় কান্না করে মিলন না হবার প্রবল বিষণ্ণতায়। যা ঝিরি বেয়ে ঝর্ণায় রূপ নিয়ে নদীতে মিশে আবার ফিরে যায় সেই আকাশেরই কাছে। ভালোবাসার এমন অদ্ভুত বন্ধনের মোহে আটকা পড়ে যার মন, পাহাড়কে ভালোবাসে গহীন অরণ্যে বারবার হারায় সেইজন।
পরের দিন সকাল সকাল ঘুম ভাঙে পাহাড়ের প্রথম কলরবে। শরীর প্রচণ্ড ক্লান্ত থাকায় এবং কায়িক পরিশ্রম অনেক বেশি হওয়ায় সকলের চোখেই ছিল রাজ্যের ঘুম। সবার ঘুম থেকে জেগে উঠতে খানিকটা বেলা হয়ে যায়।
নুডুলস দিয়ে সকালের নাস্তা সেড়ে থোয়াইন দাদার থেকে বিদায় নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করি পরবর্তী গন্তব্যের সন্ধানে। আগের দিন শুধু পাহাড়ের উপরে উঠেছি আর এইদিন ছিল পাহাড় থেকে নামার পালা। পাহাড় থেকে নামা একটু কষ্টকর কেননা অতি সতর্কতার সাথে পা ফেলতে হয়। পা ফসকানোর ভয় থাকে তাই সাবধানে হাঁটতে হয়।
রেম্বক পাড়া থেকে নামার পথে ক্রাতং ঝর্ণার দেখা পাওয়া যায়। ক্রাতংয়ের মোট ৩টি ধাপ যা ক্রাতং-১, ক্রাতং-২ এবং ক্রাতং-৩ নামে পরিচিত। রেম্বক পাড়া থেকে সরাসরি আমরা নেমে যাই ক্রাতং-১ এ। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, টানা কয়েকদিন বৃষ্টি না হওয়ায় ক্রাতংয়ের ঝিরিতে ছিল না ঝরে পড়ার মতো যথেষ্ঠ পানি।
যে কারণে ঝর্ণার একদম উপরের মূল পয়েন্টে দাঁড়িয়েও খানিকটা পানিরও দেখা পাইনি সেদিন। যেহেতু পানি নেই তাই সময় নষ্ট না করে আবার নামতে শুরু করি।
ক্রাতং থেকে নামতে বাঁশ এবং গাছ বেয়ে খাঁড়া নেমে যেতে হয়। কাঁধে ব্যাকপ্যাক আবার হাতে একটা পানির বোতলের ব্যাগ নিয়ে নামতে সেখানটাতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। ত্রাতং থেকে নীচে নামার পুরো রাস্তাটাই একদম খাঁড়া আর ঝুরা মাটিতে পূর্ণ। যদিও নামতে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না; কিন্তু হাতে একটা অতিরিক্ত ভারী ব্যাগ বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছিল দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে এই ব্যাগ।
তবুও সবার সাথে তাল মিলিয়ে নেমে এসেই ঝিরির পানিতে গাঁ এলিয়ে দেই সবাই। মুহূর্তেই যত ক্লান্তি আর অবসাদ যায় নিমিষে ঝিরির পানির সাথে ভেসে। পাহাড়ের সবচেয়ে শান্তির বিষয় এটাই যে, অনেক কষ্ট সত্ত্বেও এক আজলা ঝর্ণার পানি পান অথবা ঝিরির পানিতে শরীর ভেজালেই নিমিষে কেটে যায় সমস্ত ক্লান্তি। আকাশ-পাহাড়ের সম্মিলিত সৌন্দর্য ভরিয়ে দেয় মন, ঝিরির জল জুড়ায়ে দেয় শরীর আর ধুয়ে নিয়ে যায় সকল ক্লান্তি; শীতল পানি তৃপ্ত করে অতৃপ্ত হৃদয়কে।
ঝিরির জলে জিড়িয়ে নিয়ে আবার শুরু করি হাঁটা। সমতল ভূমিতে ঝিরির পথ ধরে এগিয়ে যাই আমরা পালংখিয়াং ঝর্ণাতে। প্রায় ঘন্টা খানেক হেঁটে চলে আসি নাম না জানা এক ঝর্নার কাছে। ঠিক তার উল্টোদিকের এক মাচা ঘরেই রাত কাটাবার ব্যবস্থা করে আমাদের গাইড। পরবর্তীতে জানা যায়, এই মাচাঘর গাইডের বাবা এবং তার এক বন্ধুর। বান্দরবান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমাদের সাথে আরো ২/৩টা টিম উঠেছিল একই মাচা ঘরে।
ব্যাকপ্যাক আর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সব মাচাতে রেখে আমরা চলে যাই পালংখিয়াংয়ের উদ্দেশ্যে। যেহেতু সোজা রাস্তা তাই গাইডকে দুপুরের রান্নার দায়িত্ব দিয়ে আমরা সবাই মিলে যাই ঝর্ণাতে শরীর জুড়াতে। হেঁটে যেতে যেতে দেখা পাই ছোটখাটো আরেকটা ঝর্ণার। পালং খিয়াংয়ের ডাউন স্ট্রিমে পানি তুলনামূলক কম থাকায় আমরা পাশ দিয়ে উঠে যাই দ্বিতীয় ধাপে বা আপার স্ট্রিমে।
পালং খিয়াংয়ের দুটো স্টেপ একদমই ভিন্ন। মানে দুটোর সৌন্দর্য দুই রকমের। নীচে ধাপে পাথরের পাড় বেয়ে মাঝখান বাদ দিয়ে দুই পাশ দিয়ে অঝোর ধারায় পানি নামছে। সেই পানি এসে পড়ছে বড় বড় পাথরের উপর আর তা ঝিরির পথ ধরছে প্রবাহের উদ্দেশ্যে। আর উপরের ধাপে ঝিরি থেকে সরু একটা পথ ধরে নেমে আসছে ঝর্নার স্রোত। আর তা সৃষ্টি করেছে প্রাকৃতিক এক সুইমিংপুলের। যেটার উপচে পড়া পানি নীচে গিয়ে ডাউন স্ট্রিম ঝর্ণার রূপ দিয়েছে।
পানিতে শরীর ভাসিয়ে দিয়ে সবাই জিরিয়ে নিচ্ছিলাম এমন সময় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে পানি প্রবাহের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। যেহেতু পানি প্রবাহের মাত্রা বেড়েছে সেহেতু ফেরার পথে সেই নাম না জানার ঝর্ণার স্রোতও বেড়ে যায়। তাই, সিদ্ধান্ত নেই ওখানে আয়েশ করে গোসল সেড়ে নেওয়ার। গোসল সেড়ে খাবার পানি নিয়ে আমরা চলে আসি মাচা ঘরে।
পড়ন্ত বিকেলে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে মাচাতে বসে আমরা উদরপূর্তি করি জুমের চালের মাখা মাখা ভাত, আলু ভর্তা, শুকনা মরিচ ও পেঁয়াজ ভর্তা, ডিমের ভর্তা এবং ঘন করে বানানো ডাল দিয়ে। খাওয়া শেষ হতেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতে শুরু করে। মাচার পাশেই হ্যামক ঝুলিয়ে যে যার মতো শুয়ে পড়ি পাহাড়ের সন্ধ্যা উপভোগ করতে।
পাহাড়ে যখন সন্ধ্যা নামে তখন খুব কম সময়ই তা থাকে। ঝুপ করে বাতি নিভে যাওয়ার মতোই খুব দ্রুতই পাহাড়ে অন্ধকার ঘনিয়ে আসে। টের পাবার আগেই অন্ধকারের চাদরে ঢুবে যায় সবকিছু।
রাতটা কেটে যায় মাচা ঘরে থাকা আরো ২/৩টা গ্রুপের সাথে আড্ডা আর সুরের তালে। নিস্তব্ধ পাহাড়ের বুক চিরে সুরের ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হতে থাকে দূর থেকে দূরান্তে। মেঘের কারণে চাঁদ নিজেকে পরিপূর্ণভাবে মেলে ধরতে না পারলেও নিজের অস্তিত্ব প্রকাশে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তাতেই মোহনীয় এক পরিবেশে আমরাও বেসুরো গলায় সুর মেলাই সমস্বরে। রাতের তীব্রতা অনুভব করে আর সকাল সকাল ওঠার তাড়নায় রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে যাই সকলে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে রয়ে যাওয়া নুডুলস রান্না করে উদরপূর্তি করা হয়। তবে তার আগে মাচার উল্টোদিকের নাম না জানা ঝর্ণাটাতে কয়েকজন মিলে যাই হাত-মুখ ধুতে। কিন্তু কি মনে করে ঝর্ণার উপরে উঠে দেখি সুন্দর একটা খুম।
সেই খুম থেকেই পাথরের গাঁ ছুঁয়ে নেমে যাচ্ছে শীতল জলরাশি আর পতিত হয়ে নাম পাচ্ছে ঝর্ণা রূপে। শীতল জলরাশিতে গাঁ ঠাণ্ডা করে ফিরে আসি মাচাঘরে। ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে রওয়ানা দেই আমরা ঢাকার পথে।
ঝিরিপথ ধরে সুন্দরমতো হেঁটে আসলেও পাহাড়ে উঠতে গিয়ে বিপত্তি বাঁধে আমার। শুরুতে অনেকখানি উঠে গেলেও হঠাৎ করেই দম ফুরিয়ে আসে, মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভব হয়। বুঝতে পারি যে, মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ হচ্ছে না। আর তার কারণ একটাই, ডিহাইড্রেশন। তবুও থেমে না থেকে ধীরে ধীরে উপরে উঠতে শুরু করি।
যাওয়ার দিন হাজিরাম পাড়া যতটা সহজে উঠেছিলাম তার চাইতে কয়েক গুণ কষ্ট হয় আমার ফেরার দিনে। ডিহাইড্রেশনে শরীর অনেক দূর্বল হয়ে আসে। প্রতি কদম হেঁটেই বিশ্রাম নিতে হচ্ছিল। শরীর থেকে ইলেক্ট্রোলাইটের পরিমাণ কমে যাওয়ায় এমনটা হয়েছিল যা পানিতে কোনোভাবেই পূর্ণ হচ্ছিল না। আরো খানিক উঠে টিমের একজনের কাছ থেকে গ্লুকোজ মেশানো পানি খাই। শরীর কিছুটা তখন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এরপর হাজিরাম পাড়া পর্যন্ত এসেই ক্লান্তিতে গাঁ এলিয়ে দেই টং দোকানের বেঞ্চিতে। আমার এমন অবস্থা দেখে পাড়ার এক দিদি পাকা আম কেটে এনে আমাকে দেয়। শুয়ে না থেকে তার কথা শুনে উঠে আম, স্যালাইন আর কলা খাই।
এরপর শরীর অনেকটাই চাঙ্গা আর সতেজ লাগে। হাজিরাম পাড়া থেকে থানকোয়াইন পর্যন্ত নেমে আসি বিরতি ছাড়াই। শরীর তখন অনেক বেশি ঝরঝরা লাগছিল।
আমাদের পূর্বপরিকল্পনা ছিল থানকোয়াইন এসে ঝর্ণাতে গোসল সেরে এরপর দোসরি বাজার যাবো। কিন্তু থানকোয়াইন নামতে না নামতেই ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়। শুরুতে হালকাভাবে শুরু হলেও খানিকবাদে ঝুম বৃষ্টি হয়। টানা ৩০/৪০ মিনিটের মতো বৃষ্টি হয়।
কিচ্ছুক্ষণ আগেও যে থানকোয়াইন ঝর্ণা ছিল শান্তশিষ্ট আর নীরব। প্রবল পানির প্রবাহে সেটাই হয়ে উঠে ভয়ঙ্কর অথচ সুন্দর। মুহূর্তেই ঝর্ণায় প্রবাহিত পানির পরিমাণ বাড়ে কয়েক গুন। আমাদের গাইড তখন সবাইকে মাচাঘরে বিশ্রাম নিতে বলে। এরিমধ্যে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় আমরা করি উদরপূর্তি।
প্রায় দেড় ঘন্টা থানকোয়াইন ঝর্ণার কাছে আটকে থেকে অবশেষে আকাশ পরিষ্কার হলে আমরা হাঁটা ধরি। পাহাড়ে ১০/২০ মিনিটের বৃষ্টিতেও ঝিরিই পরিণত হতে পারে খরস্রোতা নদীতে। থানকোয়াইন ঝর্ণার সৌন্দর্য এবার আমাদের কাছে ধরা দেয় ভয়ংকর রূপে। পায়ের গোড়ালি সমান ঝিরির পানি বেড়ে গিয়েছিল কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমর সমান।
আর স্রোতের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, পানির নীচে পা রেখে দাঁড়ানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল প্রতি পদে পদে। কোমর সমান পানিতে পাড়ি দিতে গিয়ে একবার অন্য আরেক গ্রুপদের সাথে হাত ধরে পাড় হতে হয়েছিল। যেখানে টিমের একজনের হাত ছুটে যায়। বড় কোন ক্ষতি না হলেও পানির নীচে বড় পাথরের সাথে লেগে পায়ে ব্যথা পায় সে।
তবুও আমরা না থেমে এগিয়ে যাই দোসরি বাজারের উদ্দেশ্যে। দোসরি বাজার থেকে আমতলা ঘাট যেতে প্রায় ২ ঘন্টার মতো সময় লাগে। তখন ঘড়ি প্রায় ৪টা ছুঁই ছুঁই। দোসরি বাজার থেকে আবার ট্রলার না পাওয়া গেলে হয়ে যাবে আরেক বিপদ। কেননা, আমতলা ঘাট থেকে আলীকদম বাসস্ট্যান্ড যেতে হবে এবং সেখান থেকে চকরিয়ায় থাকতে হবে রাত ৯টার ভেতর। নাহলে ফেরার গাড়ি ধরতে পারবো না।
তাই, দ্রুত পা চালিয়ে ছুটে চলি সবাই দোসরি বাজারের উদ্দেশ্যে। ৫টার দিকে চলে আসি আমরা দোসরি বাজার যেখানে আমাদের আসার কথা ছিল ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার ভেতর। তাও ভাগ্য ভালো যে, আমাদের না পেয়ে পূর্বে বলা রাখা ট্রলারের মাঝি চলে যাইনি। ট্রলার চলতে শুরু করলে বুঝতে পারি যে, তোয়াইন খালের পানি কতটা বেড়েছে! স্রোতের টানেই ট্রলার ছুটে চলছিল দ্রুতগতিতে।
আমরা আমতলা ঘাট পৌঁছে যাই দেড় ঘণ্টার মধ্যেই। বৃষ্টি হওয়ায় খালের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আর স্রোতের টানে দ্রুত আসা সম্ভব হয় আমাদের। গাইডের থেকে বিদায় নিয়ে অটোতে করে চলে যাই আলীকদম বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে চান্দের গাড়ি ভাড়া করে চালককে জানাই সাড়ে ৮টায় চকরিয়া পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে আমার বাস ছাড়বে। হাতে আধা ঘন্টা রেখেই বলি যেন দ্রুত পৌঁছাতে পারি। তখন বাজে ৭টা।
চান্দের গাড়ির চালক এই পাহাড়ি বাঁকের রাস্তাতেও গাড়ির স্পিড উঠায় ৮০/৯০। যা ছিল উড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। উনাকে বেশ কয়েকবার ধীর গতিতে চালাতে বলা হলেও উনি জানায়, এভাবে চালিয়ে উনি অভ্যস্ত। তাই, ঈশ্বরের নাম জপা ছাড়া আমাদের কাছে আর দ্বিতীয় কোন উপায় ছিল না। ৮টা বেজে ২০ মিনিটের মধ্যে চকরিয়া পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয় চালক। যা ছিল অবিশ্বাস্য এক যাত্রা। সেখান থেকে রাত ৯টায় ঢাকার বাস ধরার মধ্য দিয়ে শেষ হয় আমাদের ট্যুর।
রাতের নীরবতাকে বিদীর্ণ করে গাড়ির আলো যত বেশি দম্ভ প্রকাশ করছিল আমাদের মনে তখন ততবেশি পিছে ফিরে যাবার তাড়ণা অনুরণিত হচ্ছিল। কেননা, ফিরে যাচ্ছি সেই একঘেয়ে নাগরিক জঞ্জালের জীবনে যেখানে একাকীত্ব নিত্যদিনের সঙ্গী আর ঝুট-ঝামেলায় জীবন আমাদের বন্দি। লোকেরা বলে, সুখ ক্ষণস্থায়ী আর দুঃখ দীর্ঘস্থায়ী। কিন্তু আমাদের মনে হচ্ছিল পাহাড় থেকে সুখ সাথে করে নিয়ে যাচ্ছি আমরা মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রশান্তি আনার জন্যে।
Feature Image: Rakib Rusho