উপাখ্যানের ভূবন গড়ে মিথে আর দ্বন্দ্বে,
মানুষ আজো ব্রীজে হাঁটে আদম-রামের মন্ত্রে!
লোকটা হাঁটতে হাঁটতে পৌছে গেল একদম শেষ মাথায়। ব্রিজটা তখনো কুয়াশার জন্য ভালো করে দেখা যাচ্ছে না। কুয়াশায় চারপাশ ঝাপসা হয়ে আছে। আশেপাশের সুউচ্চ পাহাড়গুলোও কুয়াশার চাদরে ঢাকা। বিশালদেহী এক মানুষ বিরাট পায়ে এগিয়ে আসছে সামনের পর্বতের দিকে। চারপাশ জুড়ে এক গুমোট গম্ভীরতা! যতই এগিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ লোকটার মাঝে এক বিষন্নতা ভর করছে। অবশেষে ভয়ার্ত পায়ে প্রথম পদক্ষেপ রাখে ব্রীজের অগ্রভাগে।
হঠাৎ করেই চারপাশে দেখতে পায় এক অদ্ভুত আলোড়ন! তবে কি এই ব্রীজকে নিয়ে বহুল প্রচলিত মিথ সত্যি? কিছুটা চোখ মেলতেই চোখে ধরা দিল সম্মুখের এডামস পিক। মিথের কল্পনায় বাস্তবের আয়নাতে জ্বলজ্বল করছে তাবৎ রহস্যের ভাণ্ডার হয়ে। আর আদম বা রাম সেতু এভাবেই প্রতিনিয়ত লাখো মানুষকে মোহগ্রস্ত করে রাখে বিজ্ঞান আর মিথের দ্বন্দ্বে পূর্ণ আদিরূপে!
আজো পৃথিবীর বুকে আছে মিথের বেড়াজালে আদম বা রাম সেতু এখনো একইভাবে টিকে আছে ঠিক উপরের কল্পিত মানুষের ভাবনার মতোই। নাম শুনলেই বোঝা যায় মিথের এই রহস্য ধর্মের তত্ত্ব থেকে এসেছে। ইতিহাসও গড়েছে সেই উপাখ্যানে। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান কি বলে? আজকের বয়ান ভারত-শ্রীলংকার মাঝে সংযোগকারী এই সেতুর অতল নিয়ে।
ভৌগোলিকভাবে, শ্রীলঙ্কা দক্ষিণ-পূর্ব ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে পক প্রণালী দিয়ে। এই পক প্রণালীর নাম ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজের গভর্নর রবার্ট পকের নামে নামকরণ করা হয়েছে। কিন্তু মানচিত্রে ভালো করে দেখলে বোঝা যায় এ দুটি দেশ আমরা যা ভাবি তার চেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত! ভারতের পামবান দ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কার মান্নার দ্বীপের মধ্যবর্তী প্রবাল দ্বীপ এবং বালুকাময় শৈলচূড়ার একটি বাঁধ প্রণালী জুড়ে ঘুরছে। পৃথিবী জুড়ে এটিকে অ্যাডামস (আদম) বা রাম সেতু বলা হয়। আপনি চাইলে পদব্রজেও এই ব্রীজ পাড়ি দিতে পারেন।
পামবান দ্বীপ যার অবস্থান তামিলনাড়ুর দক্ষিন-পুর্ব অঞ্চলে রামনাথপুরে। এটি রামেশ্বরম নামেও পরিচিত। আদম বা রাম ব্রীজটি এই রামেশ্বরম এবং শ্রীলঙ্কার উত্তর-পশ্চিম মান্নার দ্বীপে অবস্থান। মগ্নচূড়ায় ঘেরা। আমরা ভূগোলে পক প্রণালীর কথা জেনেছি যা বিভক্ত করেছে ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে; সংযুক্ত করেছে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরকে। ঠিক তেমন এই সেতুটিও একদা ভারত আর শ্রীলংকাকে সংযুক্ত করে রেখেছিল। সেতুটি দৈর্ঘ্য ৩০ মাইল (৪৮ কি.মি)। এ সেতুটি মান্নার উপসাগরকে পক প্রণালী থেকে পৃথক করেছে। মগ্নচূড়া গুলো অগভীর অর্থাৎ কোনোটিই চার ফুটের চেয়ে গভীর নয়।
অগভীর এই চূড়াগুলোর জন্য জাহাজ চলাচলেও বাধার সম্মুখীন হতো। ১৮৩৮ সালের দিকে একবার ড্রেজিং করা হয়েছিল কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। জাহাজ চলাচলের জন্য চ্যানেল বা প্রণালী করার জন্যই মূলত ড্রেজিংটি করা হয়েছিল। প্রায় ১৮,৪০০ বছর আগের এই সেতুটি নিয়ে আন্না ইউনিভার্সিটি এবং মাদ্রাজ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা অভিনব তথ্য দেয়। তাদের দাবী তাদের গবেষণাটি রামেশ্বরম আর মান্নার উপসাগরের গভীর থেকে ড্রিল করা ভূভাগের অংশ থেকে নেওয়া। যেটি এযাবতকালের যত নমুনা নেওয়া হয়েছে সেতুটিকে নিয়ে, ভূভাগের সবচেয়ে কাছের মধ্যে এটিই প্রথম।
পঞ্চদশ শতাব্দীর দিকে এ জায়গাতে মানুষ পায়ে হেঁটেই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতো। তখন শ্রীলঙ্কা উপদ্বীপ ছিল, দ্বীপরাষ্ট্র হয়নি। ভারতের সরকারী নথি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, স্যাটেলাইটের সহায়তায় Indian Space Research Organisation (ISRO) এর বিভাগ Marine and Water Resources Group of the Space Application Centre থেকে তথ্য অনুসারে, আদম বা রাম ব্রীজে ১০৩টি প্রাচীর এবং বালির তীর রয়েছে যা শ্রীলঙ্কার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের দিকে বক্রভাবে ছড়ানো। ভাটার সময় অনেকগুলি ঢেউ এসে এখানে আছড়ে পড়ত। এবং কাছাকাছি একটি মন্দিরের বিবরণ থেকে জানা যায় যে, ১৪৮০ সালে এক ঘুর্ণিঝড়ে সেতুটি ভেঙে যায়।
আদম বা রাম সেতু নিয়ে চিরকালই এক মিথোলজিক দ্বন্দ্বে ইতিহাস আবদ্ধ। আদম ব্রীজ নামটি যেভাবে এসেছে; শ্রীলঙ্কায় অবস্থান গার্ডেন অফ ইডেনের। শ্রী পদ, একটি শ্রীলঙ্কার পর্বত, যার চূড়ায় পায়ের ছাপ চিহ্ন রয়েছে। এটিকে অ্যাডামস পিক বলা হয়। মধ্য শ্রীলংকায় অবস্থান এই পর্বতের, যার উচ্চতা ৭,৩৫৯ ফুট। এবং এটি সেই স্থানের সাথে জড়িত যেখানে প্রথম মানুষ ‘আদম’ গার্ডেন অফ ইডেন থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর পৃথিবীতে এসে পড়েছিল।
তিনি অনুতপ্ত হয়ে এই পর্বতচূড়ায় টানা এক হাজার বছর প্রার্থনা করেন এক পায়ে দাঁড়িয়ে। যেভাবে এই বিরাট পায়ের ছাপের আখ্যান রচিত হয়। মুসলিম হাদিসে অ্যাডামকে ৯০ ফুটেরও বেশি লম্বা হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে! যা এই বিশাল পায়ের ছাপ থেকেই ব্যাখ্যাটি এসেছে। এছাড়া এমনও বর্ণিত আছে, তিনি পৃথিবীতে ভূপতিত হওয়ার সময় যে প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে মাটিতে প্রথম পায়ে আঘাত করেন, সেটির কারণেই এই পায়ের ছাপ সৃষ্টি হয়েছিল। আবার বলা হয়ে থাকে, তিনি এই চূড়া থেকে নেমে স্থলপথে এই সেতুটি অতিক্রম করেন। ভারতে চলে গিয়ে একসময় আরাফাতের ময়দানে পৌঁছান, যেখানে জেদ্দায় পতিত বিবি হাওয়ার সাথে পুনর্মিলিত হন তিনি। মূলত তিনি এশিয়ায় যাত্রা করার সময় যে পথটি নিয়েছিলেন তাই ‘আদম ব্রীজ’ নামে খ্যাত।
বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন যে এই অস্বাভাবিক মগ্নচূড়াগুলো কীভাবে গঠিত হয়েছে? এটি কি পক প্রণালীর জন্য ভূত্বকের পাতলা স্তর দিয়ে গঠিত? নাকি সমুদ্র স্রোত দ্বারা জমতে জমতে বালির স্তুপ ? নাকি শ্রীলঙ্কা-ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগ থেকেই একটি প্রাচীন প্রবাল উপকূলের অবশিষ্টাংশ? এ নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রাচীন সংস্কৃত মহাকাব্যে একটি চমৎকার বর্ণনা পাওয়া যায়।
বাল্মীকি রচিত রামায়ণের ষষ্ঠ পরিচ্ছেদে বলা আছে, রাবণ যখন সীতাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দেবতা রাম এবং তার সঙ্গীরা লঙ্কা রাজ্যে একটি ভাসমান সেতু তৈরি করেন। যাতে রাম তার প্রিয় সীতাকে রাক্ষস-রাবণের হাত থেকে উদ্ধার করতে পারেন। ফলস্বরূপ, ভারতীয়রা আদমের সেতুকে ‘রাম সেতু’ বলে। রামেশ্বরম শহরের কাছে রামা সেতুর ভারতীয় প্রান্তটি হিন্দু ধর্মের অন্যতম পবিত্র স্থান এবং একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান।
মিথের অন্তরালে এবার ইতিহাস কী বলে বিখ্যাত এই ব্রীজটি নিয়ে দেখা যাক। ব্রীজ এবং পাশের সমুদ্রটির নাম পশ্চিমা বিশ্বে সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন ঐতিহাসিক ইবনে খোরদাদবেহ।। তিনি নবম শতাব্দীতে তার ‘বুক অফ রোডস অ্যান্ড কিংডম’ বইতে এটি ব্যবহার করে। ৮৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে বইটি বের হয়। এই বইতে ব্রীজটিকে সেত বান্ধাই বা দরিয়ার সেতু হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
সেতুটি সম্পর্কে প্রথম যে মানচিত্রে পাওয়া যায় তা একজন বিট্রিশ মানচিত্রকারের। সেখানে অ্যাডামস ব্রিজ নামে উল্লেখ করা হয়। ১৮০৪ সালে এই ব্রিটিশ মানচিত্রকারের চিত্রে একটি আব্রাহামিক মিথের উল্লেখ পাওয়া যায়। যেখানে অ্যাডাম বা আদম একটি পর্বতে পৌঁছানোর জন্য সেতুটি ব্যবহার করেছিলেন, যা ব্রিটিশরা অ্যাডামস পিক নাম দেন। এখানেই তিনি প্রথম পায়ের ছাপ ফেলেছিলেন, সেই অনুতপ্ত পায়ের ছাপ যা আজ অব্দি বড় ফাঁপা চিহ্নের স্বাক্ষর হয়ে রয়ে গেছে।
ঐতিহাসিক ভিন্নতা আর মিথের কল্পনাতে ব্রীজটির রহস্য আজো আবৃত। ১৯ শতকের দিকে দুটো তত্ত্ব উঠে আসে ব্রীজটিকে নিয়ে। একটি তত্ত্ব মতে, সমুদ্রের বুকে চর জেগে ভূমির উত্থান হয়। ফলশ্রুতিতে, ব্রীজটির সূচনা। আরেকটি মতে, ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে শ্রীলঙ্কাকে বিচ্ছিন্ন করার ফলে এটি গঠিত হয়।
Geological Survey of India (GSI) প্রজেক্ট রামেশ্বরম নামে একটি গবেষণা করে যেখানে উঠে আসে এই রামেশ্বরম দ্বীপটি গঠিত হতে শুরু করে অনুমানিক ১ লাখ ২৫ হাজার বছর আগে। Centre for Remote Sensing (CRS) সার্ভেকাল টিমের কার্বন ডেটিং অনুযায়ী, রামেশ্বরম ও তালাইমান্নারের মাঝের অংশটা সমুদ্র থেকে উঠতে শুরু করে ৭,০০০ থেকে ১৮,০০০ বছরের আগে!
যেহেতু শ্রী রামের সাথে সেতুটির সম্পর্কে নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা স্পর্শকাতর, তাই সেতুটিকে কেন্দ্র করে ভারত সরকারের শিপিং খাল তৈরির প্রস্তাব ঘৃণাভারে প্রত্যাখান করা হয় বিজেপিসহ হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন। প্রস্তাবটির নাম Sethusamudram Shipping Canal Project। ২০০১ সালে মাল্টিমিলিয়ন ডলার প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়। যার উদ্দেশ্য ছিল একটি শিপিং চ্যানেল তৈরি করা।
অর্থাৎ ধনুশকোডির কাছে অগভীর সমুদ্রের তলে ড্রেজিং করে পক প্রণালী জুড়ে একটি জাহাজের চ্যানেল তৈরি করা। চ্যানেলটি শ্রীলঙ্কার চারপাশে সমুদ্রপথ থেকে ৪০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়। যার জন্য রাম সেতুর মধ্যে ড্রেজিং প্রয়োজন হয়। যা ভারতের প্রত্যেকটি বড় হিন্দু সংগঠনের দ্বারা প্রবল বিরোধিতার সম্মুখীন হয়।
এর পরে, Archaeological Survey of India ভারত সরকার সুপ্রিম কোর্টকে ২০০৭ সালে জানায়, রাম কর্তৃক সেতু নির্মাণের কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই।
২০০৭ সালে ভারতের ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং এজেন্সির প্রকাশনাতে বলা হয়, সেতুটি মনুষ্য নির্মিত হতে পারে। তবে Archaeological Survey of India থেকে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়। তাই এটি তেমন জোরালো হাওয়া বয়ে আনতে পারেনি। University Grant Commission (UGC) এবং Indian National Centre for Ocean Information Service (INCOIS) দ্বারা পরিচালিত গবেষণাটি মান্নার উপসাগরীয় অঞ্চলের সৃষ্টির ভূ-কাঠামো জানার জন্য করা হয়েছিল। ২০১৫ ব্রীজের ভূ-ভাগের বালির নিরিক্ষার মাধ্যমে গবেষকরা বেশ কিছু সিদ্ধান্তে উপনিত হতে সক্ষম হয়। গবেষকরা সিবিসাইড নামের একধরনের মাইক্রোফসিল খুঁজে পান। যার ভিত্তিতে এ অঞ্চলের অতীত সৃষ্টির রহস্য নিয়ে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব দাঁড় করাতে সক্ষম হয়। তাদের মতে,
আমরা আশংকা করছি উক্ত সময়ে বড় কিছু ঘটেছিল এই অঞ্চলে। এই জীবাশ্মগুলি জলবায়ু এবং পরিবেশগত পরিবর্তনের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং সুনামি বা ভূমিকম্পের মতো বড় ঘটনাগুলি এ অঞ্চলের জনসংখ্যাকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। ফলে, আমরা সঠিক সময়কাল নির্ধারণের জন্য নমুনাগুলি মার্কিন প্রতিষ্ঠান বিটা অ্যানালিটিক্সে পাঠানো হয়। যেটি আমেরিকার শীর্ষ রেডিও কার্বন ডেটিং ল্যাবগুলির মধ্যে অন্যতম।
আগেই বলেছিলাম প্রায় ১৮,৪০০ বছর আগের এই ব্রীজ; যেটা মূলত এই ফসিলগুলো থেকে লব্ধ গবেষণা থেকে পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে প্রফেসর শ্রীনিবাসালু বলেন, আমরা প্রথম বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে এজন্যেই ব্রীজটির প্রাথমিক নির্মাণের সূত্র পেতে সক্ষম হই। এখন, এটি নিশ্চিত যে এই অঞ্চলটি কমপক্ষে 18,400 বছর আগে সৃষ্টি হরেছিল।
মিথে ভরা এ ব্রীজটি উপাখ্যান নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক প্রফেসর ওবাইদুল করিম বলেন,
এ্যাডামস্ পিক লোকালয় থেকে অনেক দূরে। এ্যাডামস্ ব্রীজ সমুদ্রের উপরে বা প্রণালীর উপরে সেতু৷ লোকালয় নেই এর কাছে, কিনারে৷ সমাজতত্ত্বের ভাষায় সামাজিক সম্পর্ক থেকে বাইরে বা দূরেI বিশ্বাস নিয়ে হাঙ্গামাও নেইI যত বিতর্ক আর সংঘাত তা সামাজিক সম্পর্কের ভেতরে অবস্থান করা মানুষগুলোর মধ্যে।
মিথ বা অলৌকিকতা অথবা বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব যাই বলি না কেন, দিনশেষে আদম বা রাম সেতু এখনো লাখো মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে। সেই আগ্রহের অতলে এডামস পিক রহস্যের চূড়া হয়ে এখনো আমাদের স্পন্দিত করে। অতলের সন্ধানে এ যাত্রাপথে মানবসভ্যতা যেন প্রতিনিয়ত পৌরাণিক উপাখ্যানকে সাথী করে এগিয়ে যায় নতুন ভোরের দিকে।
ফিচার ইমেজঃ Wikimedia commons
তথ্যসূত্রঃ
- Adam’s Bridge
- The Many Legends of Adam’s Bridge
- The Mythical Bridge Over the Ocean
- Ram Setu 18,400 years old: Study
কী চমৎকার বর্ণনা। শুরুটা অসাধারণ।
চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে লেখা। শুরুটা এত আবেশে মাখা দুর্দান্ত লাগলো। লেখিকার জন্য শুভকামনা। আমাদেরপ্যারিস ব্লগে তার এমন দারুণ সব লেখা নিয়মিত চাই।
অফুরান ভালবাসা রইলো।
চমৎকার লেখা। পড়তে ভীষণ উপভোগ্য ছিল। নিয়মিত এমন চাই।
সুন্দর বর্ণনা। রাম সেতুতে একদিন যাবো চিন্তা করতেছি।