রমজানের তাৎপর্য: ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে

311
0
Image source:ucf.edu

রমজান মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পবিত্র মাস। এই মাসে বিশ্বের কোটি কোটি মুসলিম সম্প্রদায় একত্রে রোজা পালন করে থাকে। রোজা রাখা মানে সুবেহ সাদিক হতে সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত উপোস থেকে ইবাদত করা। এবং সূর্য ডোবার পর অর্থাৎ, মাগরিবের আজান শুনে রোজা ভঙ্গ করে খাবার খাওয়া।

এই রোজা মুসলমানদের মাঝে একতা ও সংহতির অনুভূতি তৈরি করে। রমজান আধ্যাত্মিক প্রতিফলন, আত্ম-উন্নতি এবং উপাসনার প্রতি ভক্তি বৃদ্ধির একটি মাস। কিন্তু ধর্মীয় তাৎপর্যের বাইরেও রমজানের আরও অনেক তাৎপর্য রয়েছে। সেসব নিয়েই আজকের আয়োজন রচিত। 

রমজান ও রোজা কি?

রমজান ইসলামি তথা আরবি ক্যালেন্ডারের নবম মাস এবং ইসলামি সংস্কৃতিতে সবচেয়ে পবিত্র মাস। এই মাস জুড়ে বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা রোজা পালন করে।   

প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা রমজান মাসের প্রথম দিন নতুন চাঁদ দেখে রোজা রাখা শুরু করে। রমজান মাসে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাদ্য, পানীয় এবং অন্যান্য শারীরিক চাহিদা থেকে বিরত থাকার নামই রোজা।  

Ramadan Facts | Donate to Muslim Charity | Muslim Aid
Image source:Muslim Aid

গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে রমজান মাস প্রতি বছর একই দিনে হয় না। কারণ ইসলামি ক্যালেন্ডার চন্দ্রমাস অনুসরণ করে। রমজানের শুরু এবং শেষ সৌদি আরবের একটি চাঁদ দেখা কমিটি দ্বারা নির্ধারিত হয়। কমিটি নতুন অর্ধচন্দ্রের দেখা পাওয়ার পরের দিন থেকে রোজা শুরু হয়।

তবে ব্যাপারটা নির্ধারণ করা বেশ কঠিন কারণ নতুন চাঁদ বেশ ম্লান এবং প্রায় ২০ মিনিটের জন্য দেখা যায়। কুয়াশা বা মেঘের কারণে চাঁদ খালি চোখে দেখা না গেলে, চাঁদের গণনা আকাশে আছে কিনা তা অনুমান করতে ব্যবহৃত হয়। অবশ্য বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশেও চাঁদ দেখা কমিটি আছে। তারাও নিজ দেশের ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী চাঁদ দেখে রোজা রাখে।

রমজানের উৎপত্তি

ইসলামি ক্যালেন্ডারের অন্যতম মাস রমজানও প্রাচীন আরবদের ক্যালেন্ডারের অংশ ছিল। রমজানের নামকরণ আরবি মূল ‘আর-রমাদ’ থেকে এসেছে, যার অর্থ জ্বলন্ত তাপ। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ৬১০ খ্রিস্টাব্দে দেবদূত জিব্রাইল নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর কাছে আবির্ভূত হয়েছিলেন এবং তাঁর কাছে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কুরআন অবতীর্ণ করেছিলেন। 

সেই ঘটনাটি লায়লাতুল কদর বা ‘ভাগ্য রজনী’, রমজান মাসে ঘটেছে বলে মনে করা হয়। কুরআন নাযিলের স্মরণার্থে মুসলমানরা সেই মাসে রোজা রাখে।  

Image source:islamicity.org

রমজান মাসের করণীয় বিষয় সমূহ: 

রমজান মাসে একজন মুসলমানের জীবনের এক একটি দিন হয় সক্রিয়, শান্তিময় এবং শৃঙ্খলাপূর্ণ। কেননা রমজান মাসে মুসলিমরা অতিরিক্ত কিছু কাজ ও নিয়ম পালন করে যা তাদের জন্য কর্তব্য।

১. তারাবীহ (অতিরিক্ত) নামাজ: রমজান মাসের চাঁদ দেখার পরপর রাতের এশার নামাজের পরে কোরআন তেলাওয়াত করে ২০ রাকআত নামাজে জামাতে পড়াই হলো তারাবীহ নামাজ। পুরো রমজান মাস জুড়ে এই নামাজটি আদায় করা হয়। এগুলো তাহাজ্জুদের স্থলেও পড়া যায়। 

২. তাহাজ্জুদ (অতিরিক্ত) নামাজ: মধ্যরাতের পরে এবং ভোরের (ফজরের) নামাজের আগে স্রষ্টার একান্ত নৈকট্য লাভের আশায় পৃথকভাবে নামাজ পড়াকে তাহাজ্জুদ নামাজ বলে। যদিও এই নামাজ বছরের অন্য সময়েও পড়া যায় কিন্তু রমজান মাসে মাঝরাতে ঘুম থেকে ওঠা হয় বিধায় তাহাজ্জুদ নামাজটা পড়া সহজ হয়। 

৩. সেহরি: রোজা শুরু করার জন্য ভোর রাতে (সূর্যোদয়ের আগে) খাবার খাওয়াকে বলা হয় সেহরি। এই সময় খাবার খাওয়া হয় কারণ এরপর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনো খাবার খাওয়া যায় না। 

৪. ইফতার: রোজা ভাঙার জন্য সূর্যাস্তের সময় খাওয়া ঐতিহ্যবাহী ইসলামিক খাবারই হলো ইফতার। এসময় যে যার পছন্দমতো পানীয়, স্ন্যাকস, ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খান।  

Hyderabad-based trust serves food to around 500 people every day during Ramzan
ইফতার, Image source: Siasat.com

৫. দারস-ই-কুরআন: রমজান মাসে মসজিদে দেওয়া পবিত্র কুরআনের আয়াতের উপর বিশেষ খুতবা। এই বিশেষ উপদেশগুলিতে যোগদানের মাধ্যমে মুসলমানদের অন্তরে কুরআনের শিক্ষা প্রবেশ এবং তা জীবনে প্রতিফলন ঘটানোর সুযোগ হয়। এছাড়া রমজান মাস জুড়ে পবিত্র কুরআন পাঠ করা অনেক পুণ্যের।

৬. এ’তেকাফ (নির্জনতা): রমজানের শেষ দশ দিনে এ’তেকাফ পালন করা হয়, বিশেষ করে মসজিদে। প্রতি ঘর থেকে একজন বা এলাকা থেকে একজন মসজিদে গিয়ে এই এ’তেকাফ পালন করেন। 

৭. লায়লাতুল কদর (ভাগ্যে রজনী): রমজান মাসের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতের মধ্যে একটি বিশেষ বরকতময় রাত হলো এই লায়লাতুল কদর। পবিত্র কুরআনে এই কদর নিয়ে একটি সূরাও অবতীর্ণ হয়েছে।  

৮. ঈদুল ফিতর: ঈদুল ফিতর হলো রমজানের সমাপ্তি উপলক্ষে ইসলামিক উৎসব। এই উৎসব ধর্মোপদেশ অনুসারে সমবেত প্রার্থনার দ্বারা উদযাপিত হয়। মুসলমানরা একমাস তাদের উপবাসের বাধ্যবাধকতা পূরণের পর এমন একটি উৎসব আনন্দের সাথে পালন করে। 

Eid al-Fitr | Britannica
ঈদ-উল-ফিতর, Image source: Encyclopedia Britannica

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে রমজানের তাৎপর্য 

১. তাকওয়া শক্তিশালী করে

তাকওয়া হলো একটি ইসলামিক পরিভাষা যার অর্থ হলো ‘ঈশ্বরের ভয় ও তাঁর আদেশ নিষেধ মানা’। ইসলাম ধর্মে আল্লাহকে ভয় করা, তাঁর আদেশ নিষেধ মানা, ফরজ ও ওয়াজিব কাজগুলো পালন করা, হারাম (নিষিদ্ধ) কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার নাম তাকওয়া। 

রমজান মাস মুসলমানদের জন্য তাকওয়া অবলম্বন করার সেরা সুযোগ। কারণ রোজাদার মুসলিম তার প্রভুর আদেশ নিষেধ, হালাল হারাম ইত্যাদি মেনে চলেন। এছাড়াও রোজা অনিচ্ছাকৃত অপরাধ এড়িয়ে চলার ক্ষমতাকে উন্নত করে। ফলে রোজাদার পাপ ও অন্যায় কাজ থেকে দূরে থাকতে পারে। এভাবেই তাকওয়া শক্তিশালী হয়। 

২. ইখলাস বৃদ্ধি করে 

রমজান মাস মুসলমানদের ইখলাস অর্জনের মাস। ইসলামি পরিভাষায় ইখলাস মানে হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালের মুক্তির জন্য ভালো কাজ করা। রমজান মাসে ইখলাসের সাথে রোজা রাখতে হয়। কোনো লোক দেখানো নয়, বরং স্রষ্টার উদ্দেশ্যে রোজা রাখার চেষ্টার মাধ্যমে ইখলাস বৃদ্ধি পায়। 

৩. স্রষ্টার নিকট ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ

রমজান মাস মুসলমানদের জন্য তাদের স্রষ্টার নিকট ক্ষমা পাওয়ার এক সুবর্ণ সুযোগ। এই মাসে মুসলমানদের বেশি বেশি ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আর আল্লাহ তাদের ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু শর্ত হলো রোজা রেখে ভালো হয়ে চলতে হবে, খারাপ কাজ করা যাবে না বলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করতে হবে, এমনকি রোজার মাস চলে গেলেও এই অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। তাহলেই স্রষ্টার নিকট ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ হবে। 

Image Source: alislam.com

৪. দান করার মাধ্যমে অধিক পুণ্য লাভ

রমজান মাস মানেই মুসলমানদের জন্য দান-সদকার মাস। এই মাসে বছরের অন্যান্য মাসের চেয়ে যেকোনো ভালো কাজের জন্য বেশি পুণ্য লাভ করা যায়। তাই এই মাসে যে যত বেশি দান করবে, ততই বেশি সওয়াব (পুণ্য) পাবে। রোজা রেখে না খেয়ে একজন মুসলিম গরীব দুখীর ক্ষুধার কষ্ট বুঝতে পারে।

এই শিক্ষা অনুধাবন করে সে গরীব মানুষদের বেশি বেশি দান করতে উৎসাহিত হয়। আর এভাবেই সে পুণ্যও লাভ করে। ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে দান করলে সম্পদ কমে না বরং আরও বৃদ্ধি পায় এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

৫. ধৈর্য্য বৃদ্ধির অপার সুযোগ 

জীবনে ধৈর্য্যের প্রয়োজন অনেক বেশি। রোজার সাথে ধৈর্য্যের অর্থগত অনেক মিল আছে। রোজা রাখার মাধ্যমে মুসলিম পানাহার ও যৌন চাহিদা থেকে নিজেকে বিরত রাখার কষ্ট করে। আল্লাহর নিষেধ মেনে চলে এবং তাঁর আনুগত্য করে অত্যন্ত ধৈর্য্যের সাথে। কিন্তু এসব কষ্টই মুসলিম তাঁর স্রষ্টার নিকট থেকে পুরস্কার লাভের আশায় করে। কারণ ইসলামে ধৈর্য্যের পুরস্কার বিনা হিসাবে দেওয়া হবে।তাই রমজান মাস মুসলিমদের জন্য ধৈর্য্য বৃদ্ধির অপার সুযোগ।

বৈজ্ঞানিক  দৃষ্টিকোণ থেকে রমজানের তাৎপর্য

রমজানের ধর্মীয় তাৎপর্যের প্রতি অনেক গুরুত্ব দিলেও এর অন্যান্  তাৎপর্য প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়।  রমজান শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, সামগ্রিকভাবে ব্যক্তি ও সমাজের ওপরও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। রমজানের বৈজ্ঞানিক তাৎপর্যও অনেক। মানসিক চাপ, ক্যান্সার, আলঝেইমার ইত্যাদি প্রতিরোধই রমজানের রোজার বৈজ্ঞানিক উপকারিতা।

১. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

গত কয়েক বছরে অনেক গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে যেখানে প্রমাণিত হয়েছে যে রমজানে রোজা রাখা ক্যান্সারের মতো বড় অসুখের ঝুঁকি কমাতে পারে। যেহেতু ক্যান্সার হয় কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধির ফলে। আর রোজা কোষের এই বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করে। আবার কিছু প্রমাণে দেখা যায় যে রোজা মানুষের দেহে কেমোথেরাপির বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হ্রাস করে।

২. কোলেস্টেরল কমায় 

রমজানে রোজা রাখলে লিপিড প্রোফাইল উদ্দীপ্ত হয় ফলে রক্তের কোলেস্টেরল কমে। ফলস্বরূপ হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং অন্যান্য ব্যাধি হওয়ার সম্ভাবনা কমে। এছাড়াও যদি কেউ রমজানের পরেও রোজার রুটিন তথা স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখে, তবে তাদের কোলেস্টেরলের মাত্রাও বজায় থাকবে। 

Promotes Heart Health
রোজা হার্ট ভালো রাখে,Image source:ksaexpats.com

৩. মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে

রমজান মাসে মুসলমানরা প্রতিদিন ১২-১৪ ঘন্টা রোজা রাখে। তারা নামাজের জন্য তাড়াতাড়ি উঠে, সূর্যোদয়ের আগে খায়, পরে ঘুমায়। সন্ধ্যায় আবার খাদ্য গ্রহণ তাদের দেহে পুনরায় শক্তির সঞ্চার করে। এইভাবে  খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের দৈর্ঘ্য এবং ঘুমের ধরণ গঠনমূলকভাবে পরিবর্তিত হয়। এছাড়া পবিত্র রমজান মাস জুড়ে রোজা রাখা হতাশা, উদ্বেগ এবং মানসিক চাপের মাত্রা কমিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

৪. আলঝেইমার রোগ সারাতে সহায়তা করে

বর্তমান সময়ে একটু বয়স বাড়লেই স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এই রোগকে আলঝেইমার বলে। এই রোগ থেকে মুক্তির অন্যতম একটি চিকিৎসা হলো রোজা রাখা বা উপোস করা। একজন মানুষ যদি খাদ্য ও পানীয় থেকে মাঝে মাঝে বিরত থাকেন তবে তার মস্তিষ্কের বুড়িয়ে যাওয়া দূর হতে পারে। বিশ্বের অনেক খ্যাতনামা চিকিৎসক ১২-১৬ ঘণ্টা উপোস বা রোজা রাখার পক্ষে প্রমাণ দিয়েছেন তাই নিজের স্মৃতিশক্তির বৃদ্ধিতে মুসলিমদের জন্য এক অপার সুযোগ হলো রমজান মাসে রোজা রাখা। 

৫. টাইপ টু ডায়াবেটিস রোধে সহায়ক

টাইপ টু ডায়াবেটিসের কারণ হলো ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স। যারা টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তারা যদি এই রোগটি রিভার্স করে সারাতে চান তারা সপ্তাহে অন্তত তিন দিন বা আরও বেশি রোজা রাখবেন। ফলে তাদের স্থূলতাও কমে যাবে। 

৬. রক্ত ও কোষ পরিশোধন 

মানদেহের রক্তে নানারকম বর্জ্য ও ক্ষতিকর পদার্থ থাকে। রক্তের এসব ক্ষতিকর পদার্থ পরিষ্কারের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো রোজা রাখা। মানব দেহের আরেকটি উপাদান হলো কোষ। এই কোষে প্রতিনিয়ত নানা ক্রিয়া বিক্রিয়ায় শক্তি, হরমোন, এনজাইম তৈরি হচ্ছে। আবার নানারকম বর্জ্য পদার্থও তৈরি হচ্ছে। এই কোষকে পরিশোধনের মাধ্যম হচ্ছে রোজা রাখা। 

Boosts Immune System
রক্ত ও কোষ পরিশোধন,Image source:ksaexpats.com

৭. ওজন কমাতে সাহায্য করে 

স্থূলতার সমস্যার সমাধানের একটি কার্যকরী পদক্ষেপ হলো রোজা রাখা। মুসলিমরা ছাড়াও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে যারা স্থূলাকৃতির এবং এজন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন তারাও কিন্তু দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে ডায়েট করেন। অথচ এর ফলে তাদের উপকার ছাড়া ক্ষতি হয় না। 

রমজান মাসে রোজা রাখা মানে শুধু ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত থাকা নয়; বরং এর বাস্তবতা এবং প্রভাব কেবল অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই লাভ করা যায়। রোজা রেখে একজন যত কম খায়, তার আত্মা তত বেশি পরিশুদ্ধ হয় এবং আধ্যাত্মিক দর্শন পাওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 

একজন রোজাদার ব্যক্তিকে সবসময় মনে রাখতে হয় যে তাকে ক্ষুধার্ত থাকার পাশাপাশি ঈশ্বরের স্মরণে মগ্ন থাকতে হবে যাতে সে পার্থিব কামনা-বাসনা ও বিনোদনের বন্ধন ছিন্ন করতে পারে এবং সম্পূর্ণরূপে ঈশ্বরের অনুগত থাকে। তাই রোযার তাৎপর্য এই যে, মানুষ এক প্রকার খাবার পরিত্যাগ করে যা শুধুমাত্র দেহকে পুষ্ট করে এবং অন্য প্রকারের খাবার লাভ করে যা আত্মার জন্য স্বস্তি ও তৃপ্তির উৎস। 

 

Feature Image: istock.com
References: 

01. The True Meaning of Ramadan. 
02. Benefits of Fasting in Ramadan. 
03. Significance of Ramadan.