গ্লোবাল ওয়ার্মিং: বর্তমান বিশ্বের হুমকি

499
0

গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বৈশ্বিক উষ্ণতা বর্তমানে বিশ্বের জন্য এক বড় হুমকি। এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উন্নত এবং উন্নয়নশীল উভয় দেশেরই সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। গত দুই শতাব্দী ধরে পৃথিবী পৃষ্ঠের বায়ুর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনাটিকে বৈশ্বিক উষ্ণতা বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলা হয়।  

এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে নির্গত গ্রীনহাউস গ্যাসের কারণে। গ্রীনহাউস গ্যাস গঠিত মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, ওজোন স্তর, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, জলীয় বাষ্প এবং ক্লোরোফ্লুরোকার্বন নিয়ে। 

এর ফলে বর্তমানে আবহাওয়ার পূর্বাভাস আরও জটিল হয়ে উঠছে, ঋতুগুলিকেও আলাদা করা যায় না এবং সাধারণ তাপমাত্রা আরও বেশি বেড়েছে। একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে হারিকেন, ঘূর্ণিঝড়, খরা, বন্যা ইত্যাদির সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েছে। এই সমস্ত পরিবর্তনের পিছনে সুপারভিলেন হলো গ্লোবাল ওয়ার্মিং। 

গ্লোবাল ওয়ার্মিং কি?

কার্বন-ডাই-অক্সাইড, সিএফসি এবং অন্যান্য দূষণকারী গ্যাসের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট গ্রীনহাউস প্রভাবের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়াকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলে। এই বিষয়ে পরস্পরবিরোধী মতামত থাকলেও বিশ্বব্যাপী বেশিরভাগ বিজ্ঞানী সম্মত হোন যে বৈশ্বিক উষ্ণতা খুবই বাস্তব একটি ঘটনা ও সমস্যা। যদি এর সমাধান না করা হয়, তাহলে তা মানব সভ্যতার উপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। আর এই সমস্যার মূল কারণ মানুষের কার্যকলাপ। 

Climate change: evidence and causes | Royal Society
গ্রীনহাউস গ্যাসের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি,Image Source:royalsociety.org

১৯৮৮ সালে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO) এবং জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (UNEP) দ্বারা জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃসরকারি প্যানেল (IPCC) গঠিত হয়েছিল। ২০২১ সালে প্রকাশিত IPCC-এর ষষ্ঠ মূল্যায়ন রিপোর্ট (AR6) উল্লেখ করেছে যে, ১৮৫০-২০১৯ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী পৃথিবী পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে সর্বোচ্চ ১.০৭°সে (১.৯° ফা)। যা শুরু হয়েছিল শিল্প বিপ্লবের পর থেকে। 

তবে ১৯৮১ সাল থেকে এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। গত ৪০ বছর ধরে প্রতি দশকে বিশ্বব্যাপী বার্ষিক তাপমাত্রা ০.১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ০.৩২ ডিগ্রি ফারেনহাইট বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এরকম অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ২১০০ শতাব্দীতে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ৩.৩°- ৫.৭° সে (৫.৯ এবং ১০.২° ফা) এর মধ্যে বৃদ্ধি পাবে। 

আর এত অল্প সময়ের মধ্যে যদি বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ২° সে (৩.৬°ফা) এর বেশি বেড়ে যায় তবে উল্লেখযোগ্য সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত ক্ষতি হবে। 

গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণ 

গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর জন্য সাধারণত পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড (CO2), নাইট্রাস অক্সাইড (N2O), এবং মিথেন (CH4) এর মতো গ্রীনহাউস গ্যাস (GHG) এর অত্যধিক সঞ্চয়কে দায়ী করা হয়। এই অতিরিক্ত GHG বিভিন্ন উৎস থেকে আসতে পারে:

জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো: যে যন্ত্রপাতি চালানোর জন্য কয়লা, তেল, পেট্রল বা প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানো হয় তা বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড (একটি প্রধান গ্রীনহাউস গ্যাস) ছেড়ে দেয়। এরকম জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর মাধ্যমে বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে। 

How do we know humans are causing global warming? - Vox
গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণ। Image Source: pinterest.com

বন উজাড় করা: উদ্ভিদ প্রাকৃতিক GHG ফিল্টার হিসাবে কাজ করে, কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং আমাদের বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন ছেড়ে দেয়। কিন্তু ব্যাপক হারে এই উদ্ভিদ তথা বন উজাড় করা পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির আরেকটি কারণ।

কৃষি পদ্ধতি: আধুনিক কৃষিকাজ মানুষের উৎপাদিত গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনের জন্য ১০% এরও বেশি দায়ী। মূলত গরু, ছাগল, ভেড়া তথা গবাদি পশু মিথেন উৎপন্ন করে যা একটি গ্রিনহাউস গ্যাস। এছাড়া ধানচাষ বা অন্যান্য ফসল চাষ করতে গিয়ে নাইট্রাস অক্সাইডও নির্গত হয়। এই মিথেন ও নাইট্রাস গ্যাস বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে।

বর্জ্য নিষ্পত্তি: প্লাস্টিক এবং অন্যান্য নন-বায়োডিগ্রেডেবল বর্জ্য পচে গেলে তা পরিবেশে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত করে। যা তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী।

যানবাহন ব্যবহার: যানবাহন জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়ায় যা বায়ুমন্ডলে প্রচুর পরিমাণে কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ নির্গত করে যার ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

ক্লোরোফ্লুরোকার্বন: এয়ার কন্ডিশনার এবং রেফ্রিজারেটরের অত্যধিক ব্যবহারের সাথে সাথে মানুষ পরিবেশে CFC যোগ করছে যা বায়ুমণ্ডলীয় ওজোন স্তরকে প্রভাবিত করে। ওজোন স্তর সূর্য থেকে নির্গত ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে পৃথিবীর পৃষ্ঠকে রক্ষা করে। CFC অতিবেগুনী রশ্মির জন্য ওজোন স্তর হ্রাসের পথ তৈরি করেছে, যার ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শিল্পায়ন: শিল্পায়নের প্রভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কলকারখানা থেকে নির্গত ক্ষতিকর ধোঁয়া পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ায়।

খনিজ খনন: আধুনিক জীবন খনি এবং ধাতুশিল্পের উপর নির্ভরশীল। ধাতু এবং খনিজ পণ্য নির্মাণ, পরিবহন এবং উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রধান কাঁচামাল।মাটির নিচের খনন, নিষ্কাশন থেকে ডেলিভারি পর্যন্ত, এই সমস্ত প্রক্রিয়া পরিবেশে ৫% গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনে দায়ী। 

গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর প্রভাব 

তাপমাত্রা বৃদ্ধি: গ্লোবাল ওয়ার্মিং মানেই পৃথিবীর তাপমাত্রা অবিশ্বাস্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়া। ১৮৮০ সাল থেকে পৃথিবীর তাপমাত্রা ১° ডিগ্রিরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে হিমবাহ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা উপকূলীয় অঞ্চলে বিধ্বংসী প্রভাব ফেলতে পারে। 

What is global warming? | New Scientist
গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর প্রভাব,Image source:newscientist.com

ইকোসিস্টেম নষ্ট: গ্লোবাল ওয়ার্মিং প্রবাল প্রাচীরকে প্রভাবিত করেছে যা উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রবাল প্রাচীরের ভঙ্গুরতাকে আরও খারাপ করে তুলেছে। ফলে সার্বিকভাবে ইকোসিস্টেম হুমকির মুখে পড়বে।

জলবায়ু পরিবর্তন: বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটেছে। কোথায় খরা, কোথায় বন্যা। যেমন বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ হলেও এখন যেন চার ঋতুর দেশ হয়ে গেছে। শীতকালের স্থায়িত্ব কমে গেছে। গরমের দিনের স্থায়িত্ব বেড়েছে এবং তাপমাত্রা অসহ্য হয়ে উঠেছে। শুধু ফ্যানের বাতাসে গরম দূর করা যাচ্ছে না। আবার সারা বছরই কম বেশি বৃষ্টি দেখা যাচ্ছে। প্রলয়ংকরী ঝড়ের সংখ্যাও বাড়ছে। মূলত জলবায়ুর এই ভারসাম্যহীনতা বিশ্ব উষ্ণায়নের ফল।

রোগের বিস্তার: গ্লোবাল ওয়ার্মিং তাপ এবং আর্দ্রতার ধরণে পরিবর্তন ঘটায়। এর ফলে অ্যালার্জি, হাঁপানি, এবং সংক্রামক রোগ বৃদ্ধিতে দায়ী পরাগ-উৎপাদনকারী কীটপতঙ্গের বৃদ্ধি, উচ্চ মাত্রার বায়ুদূষণ এবং রোগজীবাণু ও মশার জন্য অনুকূল পরিবেশের বিস্তার ঘটে।আর রোগ জীবাণু ছড়ায়। 

উচ্চ মৃত্যুর হার: বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে বন্যা, সুনামি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে গড় মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও এই ধরনের ঘটনা মানুষের জীবনকে ব্যাহত করতে পারে এমন রোগের বিস্তার ঘটাতে পারে। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে আড়াই লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে৷ 

বাসস্থানের ক্ষতিসাধন: জলবায়ুর বৈশ্বিক পরিবর্তনের ফলে বেশ কিছু উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল নষ্ট হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে প্রাণীদের তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল থেকে স্থানান্তরিত হতে হবে এবং অনেক প্রাণী এমনি করে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এটি জীববৈচিত্র্যের উপর বৈশ্বিক উষ্ণায়নের আরেকটি বড় প্রভাব। 

কিভাবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ন্ত্রণ করা যায়? 

বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্রীনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রধান কারণ। গ্লোবাল ওয়ার্মিং সমস্যার সমাধানে নিম্নোক্ত কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়: 

নবায়নযোগ্য শক্তি: বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রতিরোধের প্রথম উপায় হলো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো। এর বিকল্প হিসেবে সৌর, বায়ু, বায়োমাস এবং জিওথার্মালের মতো নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করলে উষ্ণতা কমতে পারে। 

Climate change: Six everyday things you can do to help stop global warming | UK News | Sky News
গ্লোবাল ওয়ার্মিং সমস্যার সমাধান,Image Source:news.sky.com

মানসম্মত ইলেকট্রনিকস পন্য ব্যবহার: আমরা অনেক সময়ই কমদামি ইলেকট্রনিকস পন্যসামগ্রি কিনে থাকি। মনে করি যে এতে আমাদের অর্থ সাশ্রয় হলো। আসলে এটা ঠিক নয়। বরং এতে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি পরিবেশ তথা পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করা হয়। যেমন কম দামি কম পাওয়ারের বাল্ব জ্বালালে কিন্তু কার্বন নির্গমনের পরিমাণ কমবে না। বরং এর পরিবর্তে অধিক পাওয়ার সম্পন্ন এলইডি বাল্ব প্রতিস্থাপন করলে তাতে পরিবেশের জন্য ভালো হবে। এরূপভাবে রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন, হিট পাম্প ওয়াটার হিটার এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার সময় ভালো ও মানসম্পন্ন কোম্পানি থেকে এনার্জি স্টার লেবেল দেখে কেনা উচিত। 

যানবাহনের ব্যবহার কমানো: বিশ্বের তাপমাত্রা কমাতে যানবাহনের ব্যবহার কমানোর বিকল্প নেই। এর পরিবর্তে আমাদের দৈনন্দিন যাতায়াতের পথটুকু পায়ে হেঁটে, সাইকেল চালিয়ে বা বিদ্যুৎ চালিত গাড়িতে অতিক্রম করার অভ্যাস করলে তা পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক হবে। কারণ ইঞ্জিন, পেট্রোল,ডিজেল চালিত গাড়ি থেকে প্রচুর কার্বন নির্গত হয়।

রিসাইকেল করা: আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে পরিমাণ বর্জ্য তৈরি হয় তা যদি রিসাইকেল করা হয় তাহলেও প্রতিবছর প্রায় ১০০০ কেজিরও বেশি কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন রোধ করা যাবে। তাই বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে রিসাইকেল করতে হবে বেশি বেশি। 

পানির অপচয় রোধ: আমাদের বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি কমাতে পানি ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। পানি অপচয় করা যাবে না।কারণ বিশুদ্ধ পানি পেতে হলে তা মটর দিয়ে পাম্প করতে হয়, ফিল্টার করতে হয় বা বিশুদ্ধকরণ করতে হয় যার জন্যও কিন্তু কার্বন নির্গত হয়। এছাড়া পানি গরম করতে প্রচুর শক্তি লাগে। এর ফলেও কিন্ত কার্বন নির্গমন হয়। এজন্য ঠান্ডা ও গরম যেমনি হোক না কেন পানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

পন্যের প্যাকেজিং ও প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো: কোনো পন্যের অতিরিক্ত পরিমাণে প্যাকেজিং করা রোধ করতে হবে। এতে বর্জ্যের সৃষ্টি হয়। আবার প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশবান্ধব তথা মাটির সাথে মিশে যায় এমন পন্য দিয়ে ব্যাগ ও প্যাকেজিং করা উচিত। কারণ প্লাস্টিক মাটির সাথে মেশে না বরং শত শত বছর পরেও তা মাটিতে অবিকৃত অবস্থায় পাওয়া যাবে।

বৃক্ষরোপণ: একটি গাছ তার জীবদ্দশায় এক টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করবে। তাই এই কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমাতে গাছ লাগানোর ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ!

ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার বন্ধ করুন: আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন টেলিভিশন, ডিভিডি প্লেয়ার, স্টেরিও, কম্পিউটার, ফ্রিজ, এসি ইত্যাদি কম ব্যবহার করতে হবে। কারণ এগুলো থেকেও বছরে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়৷ 

গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বৈশ্বিক উষ্ণতা বর্তমান বিশ্বের জন্য এক বড় হুমকি। এতে আমাদের বর্তমান জীবন যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতির পরিবর্তনে আমাদের এখন থেকেই নড়ে চড়ে বসতে হবে।নিজেদের লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে এবং পরিবারের সবাইকে এই ব্যাপারে সচেতন করতে হবে। এভাবে সারা দেশ তথা বিশ্ববাসী গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ভয়াবহতা উপলব্ধি করে এ সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখলে আমরা আগামীতে সুন্দর পৃথিবী পাব। 

 

Feature Image: vox.com 
References: 

01. What is global warming? 
02. Global Warming 101. 
03. Global Warming. 
04. Global Warming.