‘লায়ন সিটি’ বা ‘সিংহ নগর’ নামে পরিচিত এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর শহর হলো সিঙ্গাপুর। মালয় উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে এশিয়ার একটি রৌদ্রোজ্জ্বল দ্বীপে আধুনিক সিঙ্গাপুরের অবস্থান। এটি এমন এক দেশ যেখানে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট সৌন্দর্যের সর্বোত্তম সমন্বয় ঘটিয়ে দেশটিকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
কি নেই সিঙ্গাপুরে? ছিমছাম এই শহরের বাকেঁ বাকেঁ রয়েছে প্রযুক্তি ও আধুনিকতার ছোঁয়া। যত দূর চোখ যায় সাজানো-গোছানো রাস্তা-ঘাট, সেতু, খেলার মাঠ, আর সু-উচ্চ দালানকোঠাগুলোতে যেন প্রযুক্তি ও আধুনিকতার সমন্বয় ঘটানো হয়েছে।
ঝকঝকে ও পরিপাটির তালিকায়ও সিঙ্গাপুর অনেক বড় বড় দেশ থেকে এগিয়ে রয়েছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে সিঙ্গাপুরে জনগণের আইন-কানুন মেনে চলার কারণে। ইতিমধ্যে সিঙ্গাপুর উন্নত এবং দক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত লাভ করেছে। এবং স্বাধীনতার পর থেকে দেশটি এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে।
পেছনে ফিরে দেখা
ছোট এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি এখন আধুনিক পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। এবং উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে। অথচ,আজ থেকে ৬০ বছর পেছনে থাকালে দেখা যাবে তখনকার সিঙ্গাপুরের ছিল সম্পূর্ন ভিন্ন চিত্র। জীবন জীবিকা নির্বাহ করার উপায় ছিল একমাত্র মাছ ধরা। এমনকি সেই সময় সিঙ্গাপুরে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছুই ছিল না, যেখানে উন্নয়ন তো দূরের কথা! কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি অতি ক্ষুদ্র এই দেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে বিশ্ব দরবারে উচ্চতার কাতারে পৌঁছেছে।
সিঙ্গাপুরের উন্নয়নের এই পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে একজন মহান নেতার অনেক বড় অবদান, যা উল্লেখ না করলেই নয়। এই মহান নেতা হলেন দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউ। যিনি তার ৩১ বছরের (১৯৬৫-১৯৯০) শাসনামলে একটা জেলেপল্লীকে বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত করতে সফল হয়েছিলেন।
একজন নেতা ইচ্ছা করলে কিভাবে একটি দেশের চেহারা পরিবর্তন করে দিতে পারেন তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো আধুনিক এই সিঙ্গাপুর। এখানকার নাগরিক সুযোগ-সুবিধা, যেমন- ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ, পানি, উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা যা যেকোনো উন্নত দেশের তুলনায় কোনো অংশে কম নয়। এমনকি চিকিৎসা ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও সিঙ্গাপুর অনেক এগিয়ে রয়েছে। এছাড়াও উন্নত আবাসনের সু-ব্যবস্থা ও বেকারদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে দেশের সরকার অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
স্বাধীনতা অর্জন
প্রতিটি দেশেরই স্বাধীনতা অর্জন হলো সেই দেশটির জনগণের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। কিন্তু মজার বিষয় হলো, সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে তা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম হয়ে দাঁড়ায়। সিঙ্গাপুরের স্বাধীনতার ব্যাপারটি ছিল সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ। কারণ মালয়েশিয়া সরকার সিঙ্গাপুরকে আলাদা করার আগ পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের জনগণ স্বাধীনতা চায়নি।
ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, সিঙ্গাপুরের কিংবদন্তি নেতা লি কুয়ান ইউ, তিনি ছিলেন স্বাধীনতার অগ্রনায়ক। তিনি মালয় ফেডারেশনে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন ১৯৬৩ সালে, যার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্রের উন্নয়ন।
বাস্তবতা চরম নিষ্ঠুর, ১৯৬৪ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে সহিংসতার সূত্রপাত ঘটে, এবং প্রাণ হারান অনেকেই। এর ফলে ১৯৬৫ সালে তৎকালীন মালয়েশীয় সংসদ সিঙ্গাপুরকে তাদের ফেডারেশন থেকে বের করে দেয় এবং নিষিদ্ধ ঘোষনা করে। যার ফলশ্রুতিতেই বিশ্বে স্বাধীন সিঙ্গাপুর দেশের আবির্ভাব ঘটে।
১৯৬৫ সালে যখন দেশটি স্বাধীনতা অর্জন করে তখন দেশটির মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৫০০ ডলার। চারদিকে হাজারো মানুষের হাহাকার, মাত্র ৪০% শিক্ষিত মানুষকে টেনে তুলে ধরা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থান সেবা নিশ্চিত করা ছিল কষ্টকর। দেশ স্বাধীন করার কঠিন সিদ্ধান্তটি যে সিঙ্গাপুরের জন্য আশীর্বাদ তা প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউ তা প্রমাণ করেন।
অর্থনীতি
স্বাধীনতার পর কয়েক দশকে সিঙ্গাপুর দ্রুত নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত হয়। তাই সিঙ্গাপুরের জিডিপি বৃদ্ধি বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যা ছাড়িয়ে যায়। একটু পেছনে গেলে দেখা যায় স্বাধীনতার পর থেকে সিঙ্গাপুরের জিডিপি গড়ে ৭.৭% এবং প্রথম ২৫ বছরে ৯.২% শীর্ষে ওঠে।
এমনকি ১৯৬০-এর দশকে খুব দ্রুত শিল্পায়ন-এর লক্ষ্যে দ্বীপের এই দেশটির উন্নয়নের গতিপথকে আর গতিশীল করতে উৎপাদন বৃদ্ধির প্রধান চালক হয়ে ওঠে। ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে, সিঙ্গাপুর পূর্ণ কর্মসংস্থানে পৌঁছেছিল।
এমনকি,সিঙ্গাপুর এশিয়ার নতুন শিল্পায়নের অর্থনীতি হিসাবে এক দশক পরে হংকং SAR, রিপাবলিক অফ কোরিয়া এবং তাইওয়ানের সাথে যোগ দেয়। এতে উৎপাদন এবং পরিষেবা খাতগুলি সিঙ্গাপুরের উচ্চ মূল্য সংযোজন করে এবং অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করে।
ধর্ম
২০২০ সালে সিঙ্গাপুর একটি জরিপে প্রকাশ পেয়েছে, সেখানে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩১.১ শতাংশ হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। এবং সরাসরি ২০ শতাংশ মানুষ কোন ধর্মে বিশ্বাস করে না, ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।
এছাড়াও মোট জনসংখ্যার ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। ৮ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করে এবং ০.৬% মানুষ বিশ্বাস করে অন্যান্য ধর্মে।
রাজনীতি
সিঙ্গাপুরের রাজনীতি সাধারণত সংসদীয় প্রজাতন্ত্রের কাঠামোয় সংঘঠিত করা হয়ে থাকে। তাই দেশটির প্রধানমন্ত্রী সরকারের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন। এই কারণেই দেশের নির্বাহী সকল ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকে, এতে সরকার প্রধান অনেক বড় বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে আইন-কানুন বা আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আইন সভা ও সরকার উভয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্র প্রধানের হাতে তেমন ক্ষমতা নেই। তাই যেকোনো সিদ্ধান্তে তার তেমন বড় কোন ভূমিকা নেই। রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের আলংকারিক। তবে ইদানীং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।
অবকাঠামো উন্নয়ন
সিঙ্গাপুরের ভৌগোলিকগত অবস্থানের কথা চিন্তা করে প্রথমেই দেশটির অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে নজর দেয়া হয়। তাই শুরুর দিকে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর এবং সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করা হয়। তাই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই সিঙ্গাপুর পরিণত হলো এয়ারলাইস্গুলোর ট্রানজিট হাব এবং এটি সারাবিশ্বেই প্রশংসা কুড়োয়।
এখন সাংহাই-এর পর সিঙ্গাপুরেই রয়েছে বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর। যেখানে আছে স্থাপত্যশৈলি ও আধুনিকতার ছড়াছড়ি।এমনকি সিঙ্গাপুরের সরকার প্রধান সুউচ্চ ভবন ও খেলার মাঠ নির্মাণ করে নাগরিকদের প্রশংসা অর্জন করে। তবে উন্নত অবকাঠামোর পাশাপাশি বাস এবং রেল সুবিধা উন্নতি করা হয়। এতে সিঙ্গাপুর হয় একটি অন্যতম যানযট মুক্ত শহর।
জনসংখ্যা
সিঙ্গাপুর শহরটি ৭১০ বর্গকিলোমিটার এবং চারটি প্রধান সম্প্রদায়ের মোট পাঁচ মিলিয়ন লোক বাস করে। চীনা (সংখ্যাগরিষ্ঠ), মালয়, ভারতীয় এবং ইউরোপীয়। প্রকৃত অর্থে, ১৯৬৫ সালে দেশটি স্বাধীন হওয়ার পর থেকে একটি সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের জন্য রয়েছে প্রাণবন্ত বসবাসের স্থান। এছাড়া তাদের রয়েছে একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি যা মূলত সিঙ্গাপুরের চারটি প্রধান সম্প্রদায়ের দ্বারা প্রভাবিত করে। সিঙ্গাপুরে প্রতিটি কথা সংস্কৃতি, ধর্ম, খাদ্য, ভাষা এবং ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে জীবনের প্রতি একটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।
সিঙ্গাপুরের ৫ টি দর্শনীয় স্থান
সিঙ্গাপুর মূলত একটি দ্বীপ শহর। এখানে রয়েছে অবিশ্বাস্য সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, রসালো প্রকৃতির রিজার্ভ এবং বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ। এই শহরের সবচেয়ে মুগ্ধ করার বিষয় হলো প্রাণীর সাথে সমৃদ্ধ রেইনফরেস্টের জায়গাগুলো। সুন্দর সাজানো-গোছানো রঙিন অবকাঠামো ও শহরের রাস্তা, এবং আর রয়েছে সবুজ বন। শিল্পপ্রেমী, ভোজনরসিক এবং অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য অত্যন্ত পছন্দের একটি জায়গা হলো সিঙ্গাপুর।
মেরিনা বে স্যান্ডস
মেরিনা বে স্যান্ডস এর কথা উল্লেখ না করলে সিঙ্গাপুরের কোনো ল্যান্ডমার্কের তালিকা সম্পূর্ণ হবে না। এটি সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে স্বীকৃত ভবনগুলির মধ্যে একটি। আকাশচুম্বী ৫৬ তলা এই ভবন থেকে পুরো সিঙ্গাপুরকেই দেখা যায়। এই সুউচ্চ ভবনটির ছাদে আছে একটি অত্যাধুনিক ইনফিনিটি পুল। বিশাল এই কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে একটি হোটেল, জাদুঘর, একটি ৭৪,০০০ বর্গমিটার শপিং সেন্টার, থিয়েটার এবং গ্যালারী।
মেরিনা বে স্যান্ডস-এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো এখানে একটি দৃষ্টিনন্দন স্কাইপার্ক রয়েছে, যা দর্শনার্থীদের ভ্রমণের আনন্দকে বাড়িয়ে তোলে। এই ভবনটির ছাদে রয়েছে সাজানো-গোছানো বাগান। একসাথে বহু মানুষ এই ভবনে অবস্থান করতে পারে ও যেকোনো বড় আনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারে।
গার্ডেন বাই দা
মেরিনা জলাধারের ডান দিকে ১০১ হেক্টরের এই পার্কটি বাইরে ফার্ন এবং অর্কিডে দিয়ে সাজানো হয়েছে। আর এই সবুজ দিয়ে ঘিরে থাকা স্থানকে দেখতে গাছের ভাস্কর্যের মতো মনে হয়। এই স্থানটি হাঁটার পথের জন্য সবচেয়ে সুপরিচিত। এছাড়াও এখানে আসা দর্শনার্থীরা ছবি তোলার জন্য এই স্থানকে উপযুক্ত জায়গা মনে করেন।
গার্ডেন বাই দা বে’তে রয়েছে মুগ্ধ করার মতো সবুজ প্রকৃতি ও মানুষ্যসৃষ্ট সাজানো-গোছানো বাগান। গাছের চারপাশে মোড়ানো সবুজ প্রকৃতি সম্পূর্ণরূপে সূর্যের আলো দ্বারা চালিত হয়। বিশেষ করে এই উদ্যানগুলি হলো বিশ্বের বৃহত্তম কাচের গ্রিনহাউস এবং ‘ক্লাউড ফরেস্ট’। এই গ্রিনহাউস এমন একটি প্রক্রিয়া যা গ্রীষ্মমন্ডলীয় পর্বত থেকে আবহাওয়াকে অনুকরণ করে।
সেন্টোসা দ্বীপ
সিঙ্গাপুরের এই স্থানে রয়েছে দুটি গলফ কোর্স, রিসোর্ট, একটি ইউনিভার্সাল পার্ক স্টুডিও, এবং একটি ক্যাসিনো। এখানে রয়েছে অ্যাডভেঞ্চার কোভ ও ওয়াটার পার্ক। এছাড়া সেন্টোসা দ্বীপে সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে সুন্দর কিছু সমুদ্র সৈকত রয়েছে।
এই সমুদ্র সৈকতগুলো বিশেষভাবে বিখ্যাত, তার কারণ এটি একটি হলো ঝুলন্ত সেতু। যা সমুদ্রসৈকতকে একটি ছোট দ্বীপের সাথে সংযুক্ত করে। এমনকি এই সেতুকে এশিয়ার বিষুব রেখার নিকটতম বিন্দু বলে মনে করা হয়।
হেলিক্স ব্রিজ
হেলিক্স ব্রিজ হলো সিঙ্গাপুরের অনন্য সুন্দর স্থাপত্যশৈলি। এটি ২৮০ মিটার দৈর্ঘ্যসম্পন্ন যা স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এই পথচারী ব্রিজটি রাতে আশ্চর্যজনকভাবে উজ্জ্বলতা ছড়ায়। যখন আলোগুলি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে সেই সময় একটি অন্যরকম অভিজ্ঞতা তৈরি করে যা ব্রিজটির পুরো অবকাঠামোকে হাইলাইট করে।
হেলিক্স ব্রিজটির অবকাঠামো একটু বাঁকাভাবে নকশা করা হয়েছে। ব্রিজটি পারাপারের সময় নির্দিষ্ট আলোকিত স্থানগুলো চোখে পড়ে। এই ব্রিজে থেকে দেখার মতো চারটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেখান থেকে উপসাগরের নিখুঁত দৃশ্যগুলো দেখা যায়।
ইউনিভার্সেল স্টুডিও
এটি এমন একটি জায়গা যা নতুন করে পরিচিত করার প্রয়োজন নেই, আর সেটি হলো সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সাল স্টুডিও। এই স্টুডিওটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম এবং একমাত্র। এখানকার থিম পার্ক বিশ্বজুড়ে পর্যটকের জন্য আগ্রহের তালিকায় স্থান পায়। এটি সিঙ্গাপুরের সিনেমা এবং রোলার কোস্টার বাহকদের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত ল্যান্ডমার্ক।
এখানে রয়েছে ছোট-বড় সবার জন্য মনোনীত খেলার মাঠ, রিসোর্ট, ওয়ার্ল্ড সেন্টোসা, এবং ইউনিভার্সাল স্টুডিও। এছাড়াও ২৮টি রোমাঞ্চকর রাইড এবং সাতটি থিমযুক্ত জোন রয়েছে, সেইসাথে আরও আছে উপভোগ করার মতো প্রচুর দর্শনীয় শো। এই অত্যাধুনিক পার্কটি দর্শকদেরকোন দিক দিয়ে হতাশ করবে না।
Features Source: www.unplash.com Reference: 01. About Singapore. 02. Singapore In Picture. 03. 10 Landmarks in Singapore You Shouldn’t Miss.