ফ্লোরেন্স ক্যাথেড্রাল হলো ইতালির ফ্লোরেন্স শহরের একটি রোমান ক্যাথলিক গির্জা। আনুষ্ঠানিকভাবে যাকে বলে ক্যাটেড্রেল ডি সান্তা মারিয়া দেল ফিওরে। এটি ফ্লোরেন্স শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক এবং ইতালির সবচেয়ে রাজকীয় গির্জাগুলির মধ্যে একটি।
রোমের সেন্ট পিটার, লন্ডনের সেন্ট পল এবং মিলানের ডুওমোর পরে ফ্লোরেন্সের ক্যাথেড্রালটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম গির্জা। এর ভিতরের বিশাল নেভ, জানালা, ফ্রেস্কো, স্মৃতিস্তম্ভ, মূর্তি, গম্বুজ দেখলে যে কেউই মুগ্ধ হবে। এজন্য এই ক্যাথেড্রাল এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান।
এটি ১২৯৬ সালে গথিকশৈলীতে আরনোলফো ডি ক্যাম্বিও’র ডিজাইনে নির্মাণ শুরু হয়েছিল এবং ১৪৩৬ সালে ফিলিপ্পো ব্রুনেলেস্কির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছিল।
ইতিহাস
১৩ শতকের শেষের দিকে ফ্লোরেন্সের নেতারা প্রতিদ্বন্দ্বী শহরগুলির বড় ক্যাথেড্রাল থাকার চিন্তায় বিচলিত হয়ে পড়েন। তাই তারা একটি নতুন গির্জা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। ইতালিয় গথিকশৈলীতে একটি নতুন গির্জার জন্য আরনোলফো ডি ক্যাম্বিও’র নকশা বেছে নেওয়া হয়েছিল এবং ১২৯৬ সালে নির্মাণ শুরু হয়েছিল।
ফ্লোরেন্স ক্যাথেড্রাল ডুওমো নামেও পরিচিত। বিখ্যাত স্থপতি এবং ভাস্কর আরনোলফো ডি ক্যাম্বিও’র নকশার অধীনে ১৩ শতকের শেষের দিকে এর নির্মাণ শুরু হয়েছিল। ক্যাথেড্রালের একটি কেন্দ্রীয় নেভ (গির্জার মূল অংশ), দুপাশে করিডোর এবং পেছনে একটি পথ রয়েছে। ডি ক্যাম্বিও মারা যাওয়ার পর ক্যাথেড্রালের নির্মাণ কিছুদিন স্থগিত ছিল। পরে ১৩৩৪ সালে বেল টাওয়ারের নকশাকার জিওট্টো পুনরায় এই নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
জিওট্টোর বেল টাওয়ার ছিল ৮৫ মিটার উঁচু এবং এর ৪১৪টি সিঁড়ি বেয়ে শীর্ষে ওঠা যেত, যেখান থেকে ফ্লোরেন্সের মনোরম দৃশ্য দেখা সম্ভব ছিল। কিন্তু ১৩৩৭ সালে তিনি মারা গেলে নির্মাণ কাজ আবার বাধাগ্রস্ত হয়। এরপর ১৩৫৯ সালে আন্দ্রেয়া পিসানো এবং ফ্রান্সেসকো ট্যালেন্টি এর নির্মাণ পুনরায় শুরু করেন।
১৪ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ফ্লোরেনটাইন শিল্পীরা গথিকশৈলীকে বাদ রেখে রোমান শৈলীকে গুরুত্ব দেন। তবে ক্যাথেড্রালের এই গথিক ধারা কিন্তু সিয়েনার লাল মার্বেলে, ক্যারারার সাদায় এবং প্রাটোর সবুজের আড়ালে লুকিয়ে ছিল। পরবর্তীতে কামার লরেঞ্জো ঘিবার্টি এবং ভাস্কর ফিলিপ্পো ব্রুনেলেস্কি ফ্লোরেন্সের ক্যাথেড্রাল শেষ করার বিশেষাধিকার পেয়েছিলেন।
ফিলিপ্পো ব্রুনেলেস্কি ফ্লোরেনটাইন ক্যাথেড্রালকে তার সময়ের সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় বানাতে গম্বুজের জন্য অনেক মূর্তি তৈরি করেছিলেন এবং একটি উদ্ভাবনী প্রকল্প ডিজাইন করেছিলেন। তিনি ১৪২১ সালে এই প্রকল্পের নির্মাণ পুনরায় শুরু করেন যদিও এর বহুভুজ ভিত্তি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছিল। ৪৫ মিটার ব্যাসের এবং ১০০ মিটার উঁচু ক্যাথেড্রালের লাল গম্বুজটি শীঘ্রই তখনকার বিশ্বের বৃহত্তম এবং ফ্লোরেন্সের প্রতীক হয়ে ওঠে।
ক্যাথেড্রালের সম্মুখভাগটি ১৬ শতকের শেষের দিকে ধ্বংস হয়ে যায় এবং এমিলিও ডি ফ্যাব্রিস এটিকে নতুনভাবে নকশা করেন, কিছু পরিবর্তন করেন এবং বিভিন্ন রঙের মার্বেল যুক্ত করেন।
একনজরে ফ্লোরেন্স ক্যাথেড্রাল
স্থপতি: ফিলিপ্পো ব্রুনেলেস্কি, আরনোলফো ডি ক্যাম্বিও, এমিলিও ডি ফ্যাব্রিস।
অবস্থান: ফ্লোরেন্স, টুসকানি, ইতালি।
আয়তন: ৮৯,০০০ বর্গফুট।
উচ্চতা:৩৭৬ ফিট।
নির্মাণকাল: ১২৯৬–১৪৩৬ সাল।
ফ্লোরেন্স ক্যাথেড্রালের গম্বুজ
ফ্লোরেন্সের ক্যাথেড্রালটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় অংশ হলো এর গম্বুজ। প্রায় ৬০০ বছর আগে ফিলিপ্পো ব্রুনেলেস্কির নকশা করা ইতালির ফ্লোরেন্সের ক্যাথেড্রালের গম্বুজটি এখনও পর্যন্ত নির্মিত বৃহত্তম গম্বুজ। কোন পরিকল্পনা বা স্কেচ ছাড়া ব্রুনেলেস্কি কীভাবে এই অসাধারণ গম্বুজটি নির্মাণ করলেন তা এক রহস্য।
১৪১৮ সালে ফ্লোরেন্সের নগরপিতারা শেষ পর্যন্ত ক্যাথেড্রালের গম্বুজের সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কারণ তাদের ক্যাথেড্রালের ছাদে নির্মাণের শুরুতে গম্বুজ তৈরির কথা ছিল। কিন্ত নানা কারণে গম্বুজটা বানানো হয়নি ফলে ছাদের গম্বুজের স্থানটি ছিল ফাঁকা।
ফিলিপ্পো ব্রুনেলেস্কিকে সেই সময়কার সবচেয়ে বড় গম্বুজ নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। অথচ স্থাপত্যে তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছিল না। বিশেষজ্ঞরা এখনো বোঝেননি যে তিনি ফ্লোরেন্সের ক্যাথেড্রেলের গম্বুজটি তৈরি করতে কি ব্যবহার করেছিলেন!
১৪১৯ সালে একটি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ফ্লোরেন্স ক্যাথেড্রালের গম্বুজ নির্মাণের জন্য স্থপতি নির্বাচন করা হয়। পুরো ইতালি থেকে স্থপতি এবং ডিজাইনাররা অতি সম্মানীয় এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। প্রতিযোগিতাটির শর্ত ছিল কোনো ধরণের খুঁটি বা ঠেকনি ছাড়া গম্বুজ বানাতে হবে। কারণ তখন টুসকানিতে এই ধরনের একটি প্রকল্পের জন্য কাঠের ঘাটতি ছিল।
প্রতিযোগিতা থেকে ফ্লোরেন্স শহরের পৃষ্ঠপোষকরা ফিলিপ্পো ব্রুনেলেস্কিকে প্রধান স্থপতি এবং ঘিবার্টিকে সহকারী স্থপতি হিসাবে নির্বাচিত করেছিলেন। অথচ ১৪০১ সাল থেকে এই দুজনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। ঘিবার্টি ফ্লোরেনটাইন ব্যাপটিস্ট্রিতে ব্রোঞ্জ দরজার জন্য নির্বাচিত হোন এবং ব্রুনেলেস্কি গম্বুজটি নির্মাণের জন্য।
ব্রুনেলেস্কি ফ্লোরেন্স ক্যাথেড্রালের গম্বুজের নির্মাণকাজ ১৪২০ সালের আগস্টে শুরু করেন এবং ১৪৩৬ সালে শেষ করেছিলেন। আজ এটি শুধুমাত্র ইতালিতে নয়, বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্থাপত্যের কীর্তিগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়।
তখনকার সময়ে ফ্লোরেন্সে বাট্রেসের ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল। তাই গম্বুজটির নকশা করা হয়েছিল বাট্রেস বা ঠেকনি ছাড়া রোমের প্যান্থিয়নের মতো; যেখানে মাথার চোখা অংশটি খোলা থাকবে যাতে আলো ঢুকতে পারে ক্যাথেড্রালে। তবে খোলা অংশটি এমন কিছু পাতলা শেল দিয়ে ঘেরা থাকবে যেন ভেতরের আবহাওয়া ঠিক থাকে। এই ধরনের স্থাপত্যের গম্বুজ তৈরিতে অনেক প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ব্রুনেলেস্কি রোমের প্যান্থিয়নের গম্বুজটির নির্মাণশৈলি অনুসরণ করেন।
ব্রুনেলেস্কি এই ধরনের নকশা অনুসরণ করে গম্বুজ বানাতে বেছে নেন বেলেপাথর এবং মার্বেলের একটি ডবল শেল। পাথরের তুলনায় হালকা ওজন, সহজ গঠন এবং নির্মাণের সময় এর নিচে ঠেকনো দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় তাকে ইট দিয়ে গম্বুজটি তৈরি করতে হয়।
তার প্রস্তাবিত কাঠামোগত পরিকল্পনার চিত্র তুলে ধরার জন্য, তিনি ডোনাটেলো এবং নান্নি ডি ব্যাঙ্কোর সাহায্যে একটি কাঠের এবং ইটের ছোট আকারের মডেল তৈরি করেছিলেন। এই মডেলটি এখনও Museo dell Opera del Duomo-এ প্রদর্শিত হয়। মডেলটি কারিগরদের জন্য একটি গাইড হিসাবে কাজ করেছিল।
ব্রুনেলেস্কির গম্বুজ দুটি স্তর নিয়ে গঠিত: ১টি স্তর অভ্যন্তরীণ বিস্তৃত ব্যাসের শেল এবং আরেকটি স্তর বাইরের সমান্তরাল শেল নিয়ে গঠিত। উভয় শেলই ২৪টি পাথরের অর্ধ খিলান দ্বারা আটকানো হয়েছে যা উপরে একটি খোলা পাথরের কম্প্রেশন রিং-এ মিলিত হয়েছে।
বাইরের দিকে মাত্র আটটি খিলান দৃশ্যমান যা গম্বুজটিকে একটি অষ্টভুজাকৃতির আকৃতি দিয়েছে। ব্রুনেলেস্কি স্পষ্টতই গম্বুজের কাঠামোগত আচরণ সম্পর্কে যথেষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন যে এটি যদি অনুভূমিক স্তরে নির্মিত হয় তবে এটি সবসময় স্থিতিশীল থাকবে এবং কাঠের কেন্দ্রের বা খুঁটির প্রয়োজন হবে না।
ক্যাথেড্রালের সম্মুখভাগ
ক্যাথেড্রালটির নকশা এবং বাইরের সম্মুখভাগটি বছরের পর বছর ধরে অনেক পরিবর্তন এবং পরিবর্ধন হয়েছে। ১৪১৮ সালের মধ্যে ক্যাথেড্রালটি নির্মিত হয়েছিল; শুধু গম্বুজটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তবে এর সামনের দিকটি ১৮৮৭ সাল পর্যন্ত অসম্পূর্ণ ও খালি পড়ে ছিল।
নব্য-গথিক এমিলিও ডি ফ্যাব্রিস ক্যাথেড্রালটির সম্মুখভাগের নকশা করেছিলেন যা এখন দেখা যায়। তিনি ১৮৭৬ থেকে ১৮৮৭ সালের মধ্যে সমস্ত টুসকানি এবং ইতালির কিছু অংশ থেকে বিভিন্ন রঙের মার্বেল সংগ্রহ করে পুরো কাজটি সম্পন্ন করেন। ক্যাথেড্রালের বাইরের অংশটি গোলাপী, সাদা এবং সবুজ মার্বেলের আলংকারিক মিশ্রণে আচ্ছাদিত।
ক্যাথেড্রালের অভ্যন্তর
ক্যাথেড্রালের বাইরের অংশ যতটা আকর্ষণীয়, অভ্যন্তরটি ততটাই চিত্তাকর্ষক। প্রথমেই ম্যাডোনার জীবনী ক্যাথেড্রালের তিনটি ব্রোঞ্জের দরজায় অঙ্কিত রয়েছে নিখুঁতভাবে। যদিও অভ্যন্তরটি বাইরের তুলনায় বেশ সাদামাটা তবে সেখানে অনেক সূক্ষ্ম শিল্পকর্ম রয়েছে।
ফ্লোরেন্সের অনেক বিখ্যাত শিল্পীদের বিভিন্ন ধরনের ভাস্কর্য, মোজাইক, দেওয়ালচিত্র এবং অন্যান্য শিল্পকর্ম অভ্যন্তরের শোভা বর্ধন করেছে। প্রধান দরজাটির উপরে পাওলো উচেলোর একটি লিটারোজিক্যাল ঘড়ি রয়েছে, যেখানে চার নবীর প্রতিকৃতি রয়েছে।
ফ্লোরেন্স ক্যাথেড্রালের অজানা কিছু তথ্য
- সান মার্কোস মিউজিয়ামে একটি ডোমিনিকান সন্যাসী মঠ রয়েছে। এই মঠটি প্রথম তলায় অবস্থিত যেখানে এনানসিয়েশনের দেয়াল চিত্রের মাধ্যমে দর্শকদের স্বাগত জানানোর ব্যবস্থা আছে।
- ফিলিপ্পো ব্রুনেলেসচি ৫ এপ্রিল, ১৪৪৬ সালে মারা যান। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য তাকে সাদা পোশাক পরানো হয়েছিল এবং মোমবাতি দিয়ে ঘেরা একটি কফিনে রাখা হয়েছিল। তার নির্মিত ইটের গম্বুজের দিকে তার নিথর দৃষ্টি ছিল।
- তাই, সম্মান জানাতে তাকে ক্যাথেড্রালের সমাধিস্থলে স্মারক ফলক দিয়ে সমাহিত করা হয়েছিল। এটি ছিল অনন্য এক সম্মান, কারণ সেই সময়ে স্থপতিদের সাধারণ কারিগর হিসাবে বিবেচনা করা হত এবং এরকম ক্রিপ্টে সমাহিত করার কোনও ব্যাপার ছিল না।
- মিউজও ডেল’অপেরা দেল ডুওমো জাদুঘরটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের জন্য বন্ধ ছিল, কিন্তু এখন বেশ কয়েকটি কক্ষ খোলা রয়েছে যা সান্তা মারিয়া দেল ফিওরের ইতিহাসকে প্রদর্শন করছে। মূল কক্ষটি নিচতলায় এবং এতে ডি ক্যাম্বিওর ওয়ার্কশপের ভাস্কর্য রয়েছে, যা একসময় ক্যাথেড্রালে ছিল। এখানে ডোনাটেলোর জন এবং অন্যান্য ধর্মীয় চিত্রকর্মও পাবেন। এছাড়াও জাদুঘরে মাইকেলেঞ্জেলোর পিয়েটা এবং ডোনাটেলোর লা মাদালেনা মূর্তি রয়েছে।
- ফ্লোরেন্সের পুরানো ক্যাথেড্রালটিকে সান্তা রেপারাটা বলা হতো। সান্তা মারিয়া দেল ফিওরের অধীনে সান্তা রেপারাটা নামে পরিচিত একই ভূমিতে তৈরি করা মূল গির্জার অবশিষ্টাংশ এখনও রয়েছে। এই গির্জাটি মধ্যযুগ এবং রেনেসাঁ সময়কালের বেশ আগে নির্মিত একটি ছোট গির্জা ছিল।
- আয়তনে ছোট হওয়ায় সান্তা রেপারাটা গির্জা শহরের বাসিন্দাদের জন্য জায়গা সংকুলান করতে পারছিল না।তাই তৎকালীন কর্তৃপক্ষ এটির উপর বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম গির্জাটি নির্মানের সিদ্ধান্ত নেয়। এখানে এখন একটি ভূগর্ভস্থ জাদুঘর রয়েছে যেখানে প্রত্নবস্তু এবং গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ইতিহাস সংরক্ষিত আছে।
- পিয়াজা দেল ডুওমোতে ক্যাথেড্রাল কমপ্লেক্সে ব্যাপ্টিস্টারি এবং জিওট্টোর বেল টাওয়ার রয়েছে। ফ্লোরেন্সের ঐতিহাসিক এই তিনটি ভবন ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের অংশ এবং টুসকানির একটি প্রধান পর্যটক আকর্ষণ। ব্যাসিলিকা হলো ইতালির বৃহত্তম গির্জাগুলির মধ্যে একটি এবং আধুনিক যুগে নতুন কাঠামোগত উপকরণের বিকাশ না হওয়া পর্যন্ত গম্বুজটি বিশ্বের বৃহত্তম ছিল। তবে এটি এখনও পর্যন্ত ইটের নির্মিত সবচেয়ে বড় গম্বুজ।
Feature Image: pinterest.com References: 01. Florence Cathedral: The Duomo of Santa Maria del Fiore / Filippo Brunelleschi. 02. the Duomo | History, Architecture, Decoration, Florence, Cathedral, & Facts. 03. Florence Cathedral Interior | Study.com