বিশ্বের ৫ টি নিষিদ্ধ জায়গা যেখানে কারোর যাবার অনুমতি নেই

511
0

প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের কারণে, পৃথিবীর  কিছু অংশ এখনও অনাবিষ্কৃত ও রহস্যে আবৃত রয়েছে এবং এসব স্থান সম্পর্কে  জানা বেশ অসম্ভবও বলে মনে হয়। তাই এই স্থানগুলো সম্পর্কে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই ।আজকে জানব বিশ্বের ৫ টি নিষিদ্ধ জায়গা নিয়ে যেখানে কারোর যাবার অনুমতি নেই।

Image source:traveltriangle

আমাদের এই পৃথিবী সুন্দর ও আশ্চর্য এমন সব স্থানে পরিপূর্ন যা নিজ চোখে দেখার জন্য পর্যটকরা হাজার হাজার মাইল ভ্রমণ করতে প্রস্তুত। এসব স্থানের মধ্যে কিছু আছে প্রাকৃতিক বিস্ময়, কিছু আছে প্রাচীন যুগের স্তম্ভ, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ বা রহস্যে ঘেরা জায়গাও রয়েছে যা মূলত রোমাঞ্চপ্রিয় পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

তবে এর মধ্যে অনেক জায়গা রয়েছে যা দুর্গম।আবার তাদের মধ্যে কিছু স্থান ভয়ঙ্কর, কোন স্থান শতাব্দীকাল ধরে প্রাচীন গোপনীয়তা বজায় রাখছে, কোনটি আবার আপনার জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ।তাই কখনও কখনও আমাদের এই সত্যেকে মেনে নিতে হয়।  

বিশ্বের ৫ টি নিষিদ্ধ জায়গা

এখানে বিশ্বের এমন ৫ টি নিষিদ্ধ জায়গা নিয়ে বর্ণনা দিচ্ছি  যেখানে পর্যটকদের যাবার অনুমতি নেই।

১/ ভ্যালে ডো জাভারি, ব্রাজিল: 

ভ্যালে ডো জাভারি,ব্রাজিল Image source: The Rio Times

পৃথিবীর বৃহত্তম রেইনফরেস্ট  অ্যামাজনের মোট আয়তনের প্রায় ৬০% দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে অবস্থিত।আর অ্যামাজনের এ অঞ্চলে এমন একটি এলাকার অস্তিত্ব আছে যেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এ অঞ্চলের নাম ভ্যালে ডো জাভারি।

ভ্যালে ডে জাভেরি বিশ্বের বৃহত্তম আদিবাসী অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি।  এই অঞ্চলে ব্রাজিলের কিছু আদিবাসী উপজাতি রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে মাতিস, ম্যাটসেস, কুলিনা, মায়োরুনা, কোরুবো ইত্যাদি।

ব্রাজিল সরকারের আদিবাসী ফাউন্ডেশন – FUNAI-এর মতে, এই এলাকা প্রায় ৬,০০০ বাসিন্দা সহ ১৪টি ভিন্ন আদিবাসী উপজাতির বাসস্থান।  এই উপজাতিদের সাথে বাইরের বিশ্বের  যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার খবর প্রায় সবারই জানা। কিন্তু তা সত্ত্বেও বারবার জোরপূর্বক তাদের সম্পদ-সমৃদ্ধ ভূখণ্ডে অনেকেই  প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে।

কিন্ত ভ্যালে ডো জাভারির আরেকটি অজানা ও অপ্রিয় সত্য হল এ স্থানটি আন্তর্জাতিক কোকেন পাচারের পথ, যেখানে মাদক ও অস্ত্রের বিনিময়ে সোনার বিনিময় হয়, ফলস্বরূপ এ জায়গা মারাত্মক অপরাধের হটস্পট হিসেবে পরিচিত ।

১৯ শতকের দিকে এ এলাকায় কতিপয় পেরুভিয়ানরা বনের রাবার চুরি ও পাচার করতে এখানে এসেছিল।এছাড়াও  ধর্ষণ, নারী ও শিশু অপহরণ এবং দাসত্বের মত  বেশ কয়েকটি অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এই উপজাতিদের উপর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।  ফলস্বরূপ, তাদের সাথে যোগাযোগ এড়াতে এই আদিবাসীদের অ্যামাজনের আরও গভীর অংশে ঠেলে দেওয়া হয়।

এরপর থেকে ব্রাজিল সরকার তার আদিবাসী উপজাতিদের নিরাপত্তা এবং তাদের ঐতিহ্য ও জীবনধারা রক্ষার জন্য মূলত এই বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।তবে বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে বাইরের বিশ্বের সাথে যে কোনও যোগাযোগ এখানকার স্থানীয়দের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে কারণ বাইরের অধিবাসীদের থেকে এমন রোগ ছড়াতে পারে যা সম্পূর্ণ উপজাতিদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে।

২/ পোভেগলিয়া,ইতালি : 

ইতালির পোভেগলিয়া,Image Source:worldatlas.com

বিশ্বের ৫ টি নিষিদ্ধ জায়গার মধ্যে ইতালির পোভেগলিয়া অন্যতম। ইতালির ভেনিস ও লিডোর মধ্যবর্তী একটি দ্বীপ হল এই পোভেগলিয়া যেটা বহু শতাব্দী ধরে পরিত্যক্ত ও ভূতুড়ে দ্বীপ হিসেবে পরিচিত। 

৪২১ সালের দিকে প্রথম এ দ্বীপে জনবসতি গড়ে ওঠে। এরপর ধীরে ধীরে জনসংখ্যা বাড়তে থাকে এবং দ্বীপটির গুরুত্বও বাড়ে।১৩৪৮ সালে ভয়াবহ প্লেগ রোগে দ্বীপের অনেক মানুষ মারা যায়। এতে দ্বীপটি অনেকটা জনশূন্য হয়ে পড়ে।পরবর্তীতে ইতালিতে প্লেগ ছড়িয়ে পড়লে প্লেগ রোগীদেরকে এ দ্বীপে নির্বাসিত করা হত।

এভাবে পোভেগলিয়া হয়ে যায় রোগীদের নির্বাসন কেন্দ্র।কিন্ত ক্রমবর্ধমান প্লেগ রোগী থেকে সুস্থদের দূরে রাখতে ইতালির শাসকগোষ্ঠীর অসংখ্য প্লেগ রোগীকে এ দ্বীপে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে।এরপর ১৬৩০ সালের দিকে আবারও প্লেগ ইতালিতে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়লে একইভাবে পোভেগলিয়া দ্বীপে আরেকবার পুড়িয়ে মারা হয় হাজার হাজার প্লেগ রোগীকে।

জীবন্ত মানুষকে পোড়ানোর ফলে এ দ্বীপের চারপাশে এমন হাজার হাজার কঙ্কাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে। তখন থেকে এ দ্বীপটিকে মৃত্যু্পুরী বা Island of Dead বলা হয়।আস্তে আস্তে রহস্যময় হয়ে ওঠে দ্বীপটি।

১৯২২ সালে এ দ্বীপে একটি মানসিক হাসপাতাল তৈরি করা হয়।কিন্তু পরে দেখা যায় এখানকার রোগীরা সুস্থ হওয়ার বদলে আরও অসুস্থ হচ্ছে এবং হাসপাতালের কর্মকর্তা ও নার্সরাও এখানে এসে বেশিদিন টিকতে পারছে না।এর কারণ তারা নাকি অদ্ভুত শব্দ পেতেন।এরকম ভৌতিক পরিবেশে কেউই চাকরী করতে চাইত না।লোকমুখে শোনা যায় এখানে সেই পুড়িয়ে ফেলা প্লেগ রোগীদের আত্মা ঘুরে বেড়ায় যারা এখানে কারও উপস্থিতি মেনে নিতে পারছে না।

এ বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয় যখন হাসপাতালের রোগী,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনেকেই উন্মাদ হয়ে যায় এবং হাসপাতালের পরিচালক এ দ্বীপেই আত্মহত্যা করেন।এরপর ১৯৬৮ সালের দিকে ইতালির সরকার এ মানসিক হাসপাতাল বন্ধ করে দিলে এ দ্বীপ যেন আরও ভৌতিক ও রহস্যময় হয়ে ওঠে। এজন্য তখন থেকেই এখানে ইতালির সরকার  সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয়।

৩/ মেজগরি, রাশিয়া:

মেজগরি,রাশিয়া,Image Source:apart eria.com

পৃথিবীতে এমন সব জায়গা আছে যেখানে মানুষ যেতে চায় কিন্তু যেতে পারে না, কারণ পৃথিবীর অনেক জায়গায় জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ।এমনি একটি জায়গা হল রাশিয়ার মেজগরি শহর।এ জায়গাটি এত গোপন যে খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বের করতে পারেনি এখানে কী আছে বা কী হয় বা কেনই প্রবেশ নিষেধ ।ধারণা করা হয় এ জায়গাটি রাশিয়ার গোপন পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের শহর বা সামরিক শহর।

রাশিয়ার এক লুকানো পাহাড়ে লুকিয়ে আছে এই ছোট্ট মেজগরি শহরটি।এটি সম্ভবত ইউরাল পর্বতমালায় অবস্থিত একটি গোপন শহর যেখানে সাধারণ মানুষ বা দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে।

এ শহরটিতে রাশিয়ার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র থাকার পাশাপাশি  কুখ্যাত মাউন্ট ইয়ামনটাউও রয়েছে।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে যে এ পর্বতটিতে রাশিয়ান সরকারের বিস্তৃত বাঙ্কার কমপ্লেক্স রয়েছে।তবে এটা নিশ্চিত যে সেখানে কিছু সামরিক আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কার রয়েছে।

তবে আর বেশি কিছু জানা নেই।বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়  এ বাঙ্কারটির  নির্মাণ কাজ ১৯৯১ সালের দিকে শুরু হয় এবং ২০০২ সালে শেষ হয়। বাঙ্কারটি এত বিশাল যে এখানে ৬০,০০০-৩,০০,০০০ লোক থাকতে সক্ষম। এটি ৫০০ কিলোমিটার টানেল নিয়ে গঠিত। তবে এসব তথ্যের সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যায় নি এখনও।

এ জায়গায় রাশিয়ান সরকার সাধারণ  লোকজনের না যাওয়ার ব্যাপারে এতটাই সিরিয়াস যে, তারা যাতে এই এলাকার কাছাকাছি কোথাও কেউ না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য শহরটিকে ঘিরে রেখেছে দুটি সামরিক দল। এটিকে রাশিয়ান সংবাদপত্রের ডেড হ্যান্ড ইনিশিয়েটিভের একটি অংশ বলে দাবি করা হয়েছে যেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরমাণু উৎক্ষেপণ করে।

৪/ স্বালবার্ড গ্লোবাল সিড ভল্ট, নরওয়ে:

স্বালবার্ড সিড ভল্ট, নরওয়ে,Image Source:Smithsonian Magazine

বিশ্বের ৫ টি নিষিদ্ধ জায়গার মধ্যে নরওয়ের সিড ভল্ট অন্যতম।যদিও এখানে কতিপয় বিশেষজ্ঞের যাওয়ার অনুমতি থাকলেও সর্বসাধারণের জন্য এ অনুমতি নেই।

স্বালবার্ড গ্লোবাল সিড ভল্ট নরওয়ের মালিকানাধীন এবং নরওয়েজিয়ান কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়, আঞ্চলিক জিনব্যাঙ্ক নর্ডজেন এবং ক্রপ ট্রাস্টের  অংশীদারিত্বে পরিচালিত।মূল ভূখণ্ড নরওয়ে এবং উত্তর মেরুর মধ্যবর্তী একটি দূরবর্তী দ্বীপে একটি পাহাড়ের প্রায় ৪০০ ফুট গভীরে অবস্থিত এই স্বালবার্ড গ্লোবাল সিড ভল্ট। 

এ সিড ভল্টে  বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ থেকে আনা ১,১৪৫,৬৯৩ টি বীজের জাত সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং এখানে এ বীজ রাখার জন্য আরও বিশাল জায়গা রয়েছে৷ 

আর এর উদ্দেশ্য হল আমাদের ভবিষ্যত খাদ্য সরবরাহের ভিত্তি সুরক্ষিত করার জন্য জিনব্যাঙ্কের সংগ্রহের ব্যাকআপ রাখা।বিশ্বব্যাপী ১৭০০ টিরও বেশি জিনব্যাঙ্ক বিভিন্ন ধরনের বিপর্যয়কর ক্ষতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা হিসাবে বিশ্বের নানা গাছপালা ও ফসল থেকে সংগ্রহ করা বীজের নমুনার ব্যাকআপ সঞ্চয় করে।

এসব বীজের সর্বোত্তম সুরক্ষার  জন্য −১৮ °সে তাপমাত্রা প্রয়োজন। এলাকাটি ভূতাত্ত্বিকভাবে স্থিতিশীল এবং আর্দ্রতার মাত্রা কম।সীড ভল্টটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ ফিট উপরে যে কারণে সমুদ্রের বন্যা থেকে সুরক্ষিত।

এ ভল্টের ভিতরে ঠান্ডা কারণ এটি পারমাফ্রস্টে আবৃত। পাহাড়ের পারমাফ্রস্ট এবং স্বালবার্ডের শিলা এবং মাটি থেকে  মাইনাস -৩° থেকে-৪° তাপমাত্রার সাথে ভল্টের অতিরিক্ত শীতল ব্যবস্থার মাধ্যমে বীজ ভল্টটি হিমায়িত থাকে। বীজগুলি থ্রি-প্লাই ফয়েল প্যাকেজে সিল করে বাক্সের ভিতরে ভরা হয় এবং বীজ ভল্টের ভিতরে তাকগুলিতে সংরক্ষণ করা হয়।  বীজ ভল্টের অভ্যন্তরে নিম্ন তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার মাত্রা কম বিপাকীয় কার্যকলাপ নিশ্চিত করার মাধ্যমে  বীজকে দীর্ঘ সময়ের জন্য কার্যকর রাখে।

সীড ভল্টের প্রবেশপথও এমনভাবে তৈরি যাতে এখানে কোনো পানি ঢুকতে না পারে। এর মধ্যে রয়েছে টানেলের দেয়ালকে ওয়াটারপ্রুফ করা, টানেল থেকে তাপের উৎস অপসারণ করা এবং বাইরের ড্রেনেজ ডিচ খনন করা।

জায়গাটি পৃথিবীর অন্যতম সীমাবদ্ধ স্থান যা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়।শুধুমাত্র সিড ভল্টের সমন্বয়কারী Asmund Asdal  ভল্টে বীজ পরিবহনের ব্যবস্থা করতে বছরে তিন থেকে চার বার ভল্টে যেতে পারেন।তবে আপনি বাইরে থেকে ভল্টটি দেখতে পারেন এবং ভল্ট সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য স্বালবার্ড যাদুঘর পরিদর্শন করতে পারেন।কারণ বীজের নিরাপত্তার জন্য মূল বীজ ভল্টে প্রবেশ নিষিদ্ধ। 

৫/ Google/গুগল ডেটা সেন্টার,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র:

Google ডেটা সেন্টার, Image Source:Google 

বিশ্বের ৫ টি নিষিদ্ধ জায়গার মধ্যে আরেকটি হল Google ডেটা সেন্টার, ডেটা সুরক্ষিত করার জন্য উচ্চ-নিরাপত্তা অঞ্চল যেখানে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও এখানে যেতে পারেন না। গুগল হল ইন্টারনেট ব্যবস্থার প্রাণ।তাই সাধারণ মানুষের আগ্রহের সীমা নেই গুগলকে নিয়ে,তার মূল প্রতিষ্ঠান কেন্দ্র ডেটা সেন্টার নিয়ে।

কিন্ত এই ডেটা সেন্টারে Google তার সমস্ত ডেটা সঞ্চয় করে এবং প্রক্রিয়া করে।সমস্ত google ডেটা সেন্টারগুলি উচ্চ-নিরাপত্তা অঞ্চল এবং যেকোন ধরণের ডেটা চুরি ও ফাঁস থেকে রক্ষা করার জন্য জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।শুধুমাত্র গুগল অনুমোদিত কতিপয় ব্যক্তিরই এখানে যাওয়ার অনুমতি আছে।

৪টি মহাদেশে গুগলের ডেটা সেন্টার রয়েছে- উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া এবং ইউরোপ।যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে গুগলের প্রধান ডেটা সেন্টারে গুগলের নিজস্ব বাহিনী দ্বারা সুরক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। 

গুগল তার গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালায়। কোন যন্ত্রাংশ  মেরামতের অযোগ্য হয়ে পড়লে সাথে সাথে তা ধ্বংস করপ দেয়।এরকম নানা নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই গুগল তার ডেটা সেন্টারে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। 

উপরোল্লিখিত বিশ্বের ৫ টি নিষিদ্ধ জায়গা ছাড়াও পৃথিবীতে আরও এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে কারোর যাবার অনুমতি নেই।তবে এ নিয়ে মন খারাপ না করাই ভালো কারণ এসব জায়গা হয়ত আপনার জন্য ক্ষতিকর বা আপনি তাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারেন। 

Feature Image: holidayfy.com 
References: 

https://inf.news/en/travel/966d4eb19b33ca0dd22aef7af543b75a.html
https://www.europeantimes.news/2022/05/7-forbidden-places-in-the-world-where-a-tourist-will-not-set-foot/
https://www.travelordietrying.com/5-forbidden-places-in-the-world-you-will-never-see/
https://mysterioustrip.com/secret-town-mezhgorye-russia/?amp_markup=1
https://www.theguardian.com/world/2022/jun/09/dom-phillips-javari-valley-brazil-amazon-cocaine-smuggling