এরদোয়ান: রুটি বিক্রেতা থেকে মুসলিম বিশ্বের নতুন নেতা

488
0

কিছু মানুষের জীবনের দিকে তাকালে অবচেতন মনেই একথা চলে আসে যে, জীবন আসলেই অনিশ্চয়তায় পরিপূর্ণ। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান তাদেরই একজন। ইস্তাম্বুলের কাসিমপাশা অঞ্চলের এক কিশোর, যার জীবিকা চলতো রুটি আর লেবুর শরবত বিক্রি করে।

তাকে দেখে কে অনুমান করতে পেরেছিল যে একদিন এই বালকটি হবে শুধু তুরস্ক নয় গোটা মুসলিম বিশ্বের একজন প্রভাবশালী নেতা। এরদোয়ানের জীবন আমাদের শেখায় কি করে একজন সাধারন মানুষ জীবনের ঘটনাচক্রে সতর্কতা, একাগ্রতা, কঠোর পরিশ্রম ইত্যাদি বিভিন্ন নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জনে সক্ষম হয়।

শৈশব

রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের জন্ম ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬ সালে ইস্তাম্বুলের কাসিমপাশা অঞ্চলে। তার পিতা আহমেত এরদোয়ান ছিলেন উপকূল রক্ষার কাজে নিয়োজিত একজন কর্মী। সেই সুবাদে তার শৈশবের একটা বড় অংশ কাটে তুরস্কের ‘রিয’ শহরে। ১৩ বছর বয়সে কাশিমপাশায় ফিরে আসেন।

১৯৬৫ সালে ‘কাসিমপাশা পিয়ালে প্রাথমিক বিদ্যালয়’ থেকে প্রাথমিক এবং ১৯৭৩ সালে ইস্তাম্বুলের ‘ইমাম হাতিপ কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়’ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন।

ফুটবলার এরদোয়া। Image Source: pinterest.com

কিশোর বয়সে ফুটবলের প্রতি প্রবল নেশা ছিল এরদোয়ানের। ১৯৬৯ থেকে ৮২ পর্যন্ত তিনি ফুটবলের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। বেশ কয়েকটি বড় ক্লাবে ঢোকার সুযোগও হাতে ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তার বাবার অনুমতি না থাকায় সে পথে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

রাজনীতিতে পদার্পন 

ফুটবল নাহয় ছেড়ে দেওয়া গেল। কিন্তু দলবদ্ধ হয়ে কাজ করা আর নেতৃত্বের যে গুনাগুণ সেটা তো এরদোয়ানের স্বভাবের অংশ হয়ে গেছে সেই কিশোর বয়স থেকেই। বাকি ছিল শুধু সেই প্রতিভাকে সমাজের কাজে লাগানো। সমাজ ও রাজনীতির বিভিন্ন বিষয় কিশোর বয়সেই এরদোয়ানের চিন্তাকে প্রভাবিত করে।

ইমাম হাতিপ স্কুলে থাকা কালেই তিনি ‘ন্যাশনাল টার্কিশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’ এর সদস্য হয়ে যান। সেখানে তিনি ন্যাশনাল স্যাল্ভেশন পার্টির নেতা নেকমেত্তিন এরবাকানের সাহচার্য্যে আসেন এবং ১৯৭৬ সালে পার্টির ইস্তাম্বুল শাখার প্রধানরূপে নির্বাচিত হন।

কিন্তু স্যাল্ভেশন পার্টির কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হয় ১৯৮০ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পরপরই। হঠাৎ সামরিক অভ্যুত্থান একটি দেশকে কিভাবে স্থবিরতার দিকে নিয়ে যায় সেই বিষয়টি এরদোয়ান বুঝতে পেরেছিলেন সেই সময়েই।

মারমার বিশ্ববিদ্যালয়। Image Source: pinterest.com

রাজনীতি থেকে কিছু সময় দূরে সরে গেলেও পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছিলেন ঠিকই। স্নাতক পাস করেন মারমারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও প্রশাসন বিভাগ থেকে। কিছুদিন হিসাবরক্ষক হিসেবে বেসরকারি খাতে কাজ করেন। ১৯৮৩ সালে সমাজকল্যান পার্টি গঠনের মাধ্যমে তিনি আবার রাজনীতিতে ফিরেন। তার পূর্বের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তাকে খুব দ্রুতই জনগনের গ্রহনযোগ্যতা পেতে সাহায্য করে। ১৯৮৪ সালে তিনি বেয়াগ্লো জেলার প্রধানরূপে উপনিত হন এবং পরের বছরেই তুরস্কের কেন্দ্রীয় কারিগরি বোর্ডের প্রধানের দায়িত্ব পান। রাজনীতির ক্ষেত্রে ধর্মের গুরুত্বের কথা বলাতে শুরুতে এরদোয়ানের জনপ্রিয়তা কম থাকলেও ধীরে ধীরে তিনি সফলতা পেতে শুরু করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৪ সালে তিনি ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হন। মেয়র হিসেবেও তার ধর্মীয় চেতনার প্রতিফলন ঘটে শহরের ভেতরকার ক্যাফেগুলো থেকে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে। ইস্তাম্বুলের দায়িত্বে থাকাকালে এরদোয়ান সফলতার সাথে শহরের পানিস্বল্পতা, বায়ুদূষণ এবং অবকাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যার নিরসন করেন। কিন্তু ধর্মীয় চেতনা ও ধর্মনিরপেক্ষতার যে ভেতরকার দ্বন্দ্ব তুরস্কে বিরাজমান তা থেকে তাকে মুক্তি দেবে কে?

১৯৯৭ সালে জনসাধারনের সামনে চার লাইনের একটি কবিতা, যেখানে তিনি মসজিদকে তুরস্কের জনগনের ব্যারাক, গম্বুজকে হেলমেট আর মিনিয়ারকে বেয়োনেট বলে উল্লেখ করেন, তার জন্য তাকে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে শুধু মেয়র পদ থেকে অপসারণ নয়, ১০ মাসের জন্য জেলেও প্রেরণ করা হয়। শেষ পর্যন্ত ৪ মাস জেলে থাকার পর ১৯৯৯ সালে তিনি মুক্তি পান।

তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ওঠা

এরদোয়ান জেলে গেলেও তুরস্কের সাধারণ জনগণ তাকে ভুলে যায়নি। সেই ডাকে সাড়া দিয়েই গণতান্ত্রিক পরিবেশে ২০০১ সালে পূর্বের রাজনৈতিক যোদ্ধাদের সাথে নিয়ে ‘এ কে’ পার্টি গঠন করেন। জনপ্রিয়তার কারণে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োজিত হন।

জনগণের আস্থা থাকার কারণে খুব তাড়াতাড়ি ‘এ কে’ পার্টি একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দলে পরিণত হলো। এরই ফলস্বরূপ ২০০২ সালের নির্বাচনে সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিশ্চিত করে ‘এ কে’ পার্টি সরকার গঠনে সক্ষম হয়। এরদোয়ান শাসনকার্য শুরু করেন ২০০৩ সাল থেকে।

২০০৪ সালের নির্বাচনে জয়ের পরে এরদোয়ান। Image Source: Dweche welle

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এরদোয়ানের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল তার ব্যাপারে পশ্চিমাদের যে বিরোধী মনোভাব তা কাটিয়ে ওঠা, যা ছিল তুরস্কের ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য হবার পথে প্রধান বাধা। সেজন্যই আগের সকল সরকারের বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও তিনি চেষ্টা করেন ইরাক যুদ্ধে তুরস্কে মার্কিন যুদ্ধঘাটি স্থাপনের অনুমতি দিতে। বস্তুত এটা ছিল এরদোয়ানের জন্য একটি কূটনৈতিক কৌশল। যদিও তার দেশের ভেতরকার বিরোধিতার কারনে তা বাস্তবায়ন করা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি।

এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৪ সালে তিনি জাতিসংঘের সাহায্য নিয়ে গ্রিস এবং তুরস্কের সাইপ্রাসের সীমানা বিষয়ক সমস্যার সমাধার চেষ্টা করেন, যা ছিল ১৯৭৪ সালের গৃহযুদ্ধের পরে এই ধরনের প্রথম পদক্ষেপ। ২০০৭ সালের দিকে তুরস্কের ধর্মনিরপেক্ষতার সাথে ধর্মীয় চেতনার সেই পুরনো দ্বন্দ্ব আবার হাজির হয় যখন বিরোধী দল একজন ধর্মীয় চিন্তাধারা ধারণ করা ব্যাক্তি তুরুস্কের প্রেসিডেন্ট হতে পারার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সংসদ বয়কট করে। এরদোয়ান সেই বার তোপের মুখ থেকে বেঁচে যান এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেন।

কিন্তু সেই বছরেই হিজাব পরিধানের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার জন্য সংসদে সংশোধনী পাশ হবার পর আবার বিরোধী দলের সমালোচনার পাত্র হন এরদোয়ান। তার দলকে তুরস্কের ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য হুমকি হিসেবে ধরা হয়। জুলাইয়ে ‘এ কে’ পার্টির সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম পাঁচ বছরের জন্য বন্ধ করার দাবিতে সংসদের ভোটাভোটিতে অল্পের জন্য এরদোয়ানের দল ‘এ কে’ পার্টি রক্ষা পায়।

২০১০ সালে সংসদে এরদোয়ানের পার্টির উত্থপিত কয়েকটি সংশোধনীর প্রস্তাব গৃহীত হয়। এর মধ্যে সামরিক প্রশাসনের শাসন বিভাগের কাছে জবাবদিহি এবং সংসদের বিচারক নিয়োগের অধিকারের প্রস্তাব উল্লেখযোগ্য। এতকিছুর মধ্যেও এরদোয়ানের সর্বাত্মক চেষ্টা ছিল তুরস্কের জনগনের কাছে তার গ্রহনযোগ্যতা টিকিয়ে রাখা।

২০১১ সালে এরদোয়ান তৃতীয়বারের মতো বিপুল ভোটের ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হোন। তুরস্কে এরদোয়ানের জনপ্রিয়তার কারণ হিসেবে যে বিষয়টি বারবার উঠে আসে তা হলো তুরস্কের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহির্বিশ্বের হস্তক্ষেপ রোধ করা এবং আন্তর্জাতিকভাবে তুরস্কের প্রভাব বৃদ্ধি করা।

প্রেসিডেন্টরূপে এরদোয়ান 

এরদোয়ানের আজকের অবস্থানে পৌঁছানোর পেছনে যে ক্ষমতা লাভের আকাঙ্ক্ষা কাজ করেছে সে কথাও এড়িয়ে যাওয়া যায় না। যেহেতু তুরস্কে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবার সুযোগ নেই তাই তাঁর নতুন লক্ষ্য হয়ে উঠল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের নেতৃত্ব ধরে রাখা। ভাগ্যও তাঁর পক্ষে ছিল। ২০০৭ সালের সংশোধনী অনুসারে সরাসরি জনগনের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পথ খোলা ছিল। এরদোয়ান সেটা ব্যবহার করে ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো সংসদীয় পদ্ধতির বাইরে থেকে সরাসরি জনগনের ভোটে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পরপরই সংবিধানের পরিবর্তনের জন্য সংসদে প্রস্তাব উত্থাপন করেন এরদোয়ান।

বিষয়টি অনেকেই বুঝতে পেরেছিল যে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার উদ্দেশ্য নিয়েই এই প্রস্তাব। যদিও সেবার অল্পের জন্য সেবার তার প্রস্তাব গৃহিত হয় না। অনেকে এটাকে এরদোয়ানের ক্ষমতা সম্প্রসারনের ক্ষেত্রে একটি বড় চপেটাঘাত হিসেবে ভাবছিল। কিন্তু ২০১৫ সালের নভেম্বরেই সেই প্রস্তাব আবারও সংসদে উত্থাপিত হয় এবং এবার ‘এ কে’ পার্টি সংসদীয় ভোটাধিক্য অর্জনে সক্ষম হয়।

এরদোয়ানের এমন প্রস্তাব গৃহীত হবার কারণ হিসেবে দেখতে গেলে একটা বিষয় সময়েই সামনে চলে আসে যে তুরস্কে এরদোয়ানের নেতৃত্বের বিপরীতে যোগ্য প্রতিপক্ষ তৈরি না হওয়া। তাছাড়া, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্বের উদাহরণও তুরস্কের ইতিহাসে এর আগেও ছিল। যার জন্য এরদোয়ানের পক্ষে খুব সহজেই সম্ভব হয় বিরোধী দলের প্রতি জনগনের অনাস্থা সৃষ্টি করা।

সামরিক অভ্যুত্থান দমন 

সামরিক অভ্যুত্থানের ইতিহাস তুরস্কে নতুন নয়। কিন্তু সামরিক অভ্যুত্থান যে জনগনের সরাসরি সমর্থন ব্যাতিত অপরিকল্পিতভাবে কখনো সফল হয় না একথাও এরদোয়ান ভালোভাবেই জানতেন। একারণেই ২০১৫ সালে যখন সামরিক প্রশাসনের একটি সংখ্যালঘু দল টিভি সেন্টার দখল করে ইস্তাম্বুল এবং আঙ্কারার রাস্তা অবরোধ করে সরকার পতনের চেস্টা করে এরদোয়ান সর্বপ্রথম যার আশ্রয় নেন তা হলো নাগরিক সাংবাদিকতার।

২০১৫ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের সময়ে স্কাইপে তুরস্কের জনগনের প্রতি ভাষণ দিচ্ছেন এরদোগান। Image Source: bbc.com

আজিয়ান সাগর তীরে পরিবারকে নিয়ে ছুটি কাটাতে যাওয়া ঘটনার আকস্মিকতায় মোটেও ঘাবড়ে যাননি। তিনি জনগনকে রাস্তায় নেমে আসতে আবেদন জানান এবং খুব দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা এরদোয়ানের আহবান ছড়িয়ে যায়। অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই সামরিক সাহায্য ও জনগনের সরাসরি অংশগ্রহনে অভ্যুত্থানের পতন হয়।

সব মিলিয়ে সংঘর্ষের তিন শতাধিকেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। অভ্যুত্থান দমনের অংশ হিসেবে সামরিক অভ্যুত্থানের সাথে সম্পর্কিত প্রায় দশ হাজার মানুষের চাকরিচ্যুতি ঘটে যার মধ্যে সামরিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আমলা, শিক্ষক অনেকেই ছিলেন। এর মধ্যে কারাগারে পাঠানো হয় একটা বড় অংশকে।

সমসাময়িক সময়ে এরদোয়ানের শাসন

২০১৫ সালের সামরিক অভ্যুত্থান দমনের সময় থেকেই এরদোয়ান একটা ব্যাপারে অবহিত হতে পেরেছিল সেটা হচ্ছে এই দেশের মানুষের তার প্রতি আস্থা কতটুকু। সেই আস্থার কথা মাথায় নিয়েই ২০১৭ সালের এপ্রিলে তিনি সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর পদ লোপ এবং প্রেসিডেন্টের হাতে দেশের কার্যনির্বাহীর দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রস্তাব দেন। সকলের প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গিয়ে তার এই প্রস্তাবও গৃহীত হয়। এরদোয়ান ২০১৮ সালের নির্বাচনে জনগনের সরাসরি ভোটে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বিচিত হন।

২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর হাস্যোজ্জ্বল এরদোয়ান। Image Source: bbc.com

সমসাময়িক সময়ে তুরস্কের অবস্থা যে সুবিধাজনক তা বলা যাবে না। সিরিয়ার যুদ্ধে তুরস্কের হস্তক্ষেপের জন্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জন্য দেশে মুদ্রার মান কমে যাচ্ছে। যার দরুণ পুরো ২০১৯ সাল ব্যাপী তুরস্কের অর্থনীতি ছিল স্থবির। ফলে ২০০৪ সালের সরকার গঠনের পরে প্রথমবারের মতো ইস্তাম্বুল, আঙ্কারা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ শহরে জনসমর্থন হারায় এরদোয়ান। কিন্তু এরদোয়ান এত সহজে পিছু হটার লোক নন।

কোভিড পরিস্থিতির সময়ে দেশের ব্যাঙ্কিং সেক্টরে পরিবর্তন এনে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন মুদ্রা মানে দরপতন ঠেকাতে। এছাড়া, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বাড়ছে এরদোয়ানের প্রভাব। সিরিয়ার প্রায় দুই মিলিয়নের বেশি শরনার্থী গ্রহন করেছে তুরস্ক।

উত্তর সিরিয়ার ভুখন্ডের উপর তার অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যাচ্ছে এরদোয়ান। এই বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহায়তা চাচ্ছে এরদোয়ান। আর ইউক্রেন ইস্যুতে তুরস্কের অবস্থান এখন পর্যন্ত কিছুটা মধ্যমপন্থী বলা চলে। সবমিলিয়ে এরদোয়ানের শাসন কোথায় শেষ হয় বলা মুশকিল কিন্তু একটা শিক্ষা এরদোয়ানের জীবন থেকে আমার নিতেই পারি। জীবনে সমস্যাকে এড়িয়ে গিয়ে তার সমাধান হয় না, সমাধান হয় মোকাবেলায়।

 

Feature Image: cnn.com
References:

  • Recep Tayyip Erdogan, World Leaders Forum, Columbia University https://worldleaders.columbia.edu/directory/recep-tayyip-erdogan
  • Recep Tayyip Erdogan, Biography Britannica                                         https://www.britannica.com/biography/Recep-Tayyip-Erdogan
  • Biography of Political Figures.                                                                    https://www.biography.com/political-figure/recep-tayyip-erdogan