Don’t forget the struggle.
Leila Khaled
বছর পাঁচেক আগের কথা। ২০১৭ সালে ইসরাইল জেরুজালেমকে রাজধানী ঘোষণা করে। শুরু হয় পৃথিবীব্যাপী সঙ্কটের। যদিও এই সঙ্কট নতুন নয়। প্রায় সাইত্রিশ বছর আগে ১৯৮০ সালেও ইসরাইল জেরুজালেমকে রাজধানী হিসেবে ঘোষনা করে। মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ শহর জেরুজালেম জুদাইয়ান পর্বতমালা ও ভূমধ্যসাগরের মধ্যবর্তী মালভূমিতে অবস্থিত। মূলত ইসলাম, ইহুদি, আর খ্রিস্টান এই তিন ধর্মের মিশ্রণে জেরুজালেম ধারণ করে সহস্র বছরের প্রাচীন ইতিহাস।
একটু ইতিহাসের দিকে তাকালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে বাল্টিক সাগর জার্মানির দখলে থাকলে ব্রিটিশরা অস্ত্র তৈরির জন্য তিমি শিকার করতে ব্যর্থ হয়। তখন ব্রিটিশ ইহুদি নৌপ্রকৌশলী চিম ওয়াইজম্যান ‘এসিটোন’ নামক এক ধরনের বিস্ফোরক আবিষ্কার করলে ব্রিটিশ সেনাদের মনোবল বেড়ে যায়। ১৯১৭ সালে ব্রিটিশরা লর্ড এলেনবিরের নেতৃত্বে অটোম্যান সাম্রাজ্য থেকে প্যালেস্টাইনকে দখল করে নেয়। এর পুরষ্কারস্বরূপ ১৯১৭ সালে চিম ওয়াইজম্যানকে লন্ডনে সংবর্ধনা দেয়া হয়। আর এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ওয়াইজম্যান ফিলিস্তিনে ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি করেন।
দাবি অনুযায়ী তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রসচিব মিস্টার আর্থার বেলফোর ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর তারিখে ব্রিটিশ ইহুদি যাজক ব্যরন রথচাইল্ডকে উদ্দেশ্য করে একটি পত্র লিখেন বিশ্ব ইহুদি কংগ্রেসের মাধ্যমে। যে পত্রে স্পষ্ট করে লেখা থাকে ফিলিস্তিনে একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আর এটি ঐতিহাসিক বেলফোর ঘোষণা বলে পরিচিত। পত্রটি দেওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন নেওয়া হয়। এরপর ব্রিটেন, ফ্রান্স ও ইতালি অনুমোদন দেয়। আর ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয় বেলফোর ঘোষনার ৩১ বছর পরে, ১৯৪৮ সালে। ফিলিস্তিনকে দ্বিখণ্ডিত করতে এর আগের বছর মানে ১৯৪৭ সালে গৃহীত হয় নিরাপত্তা পরিষদের ১৮১ নম্বর প্রস্তাব।
ফিলিস্তিনের বুকে তৈরি হওয়া নতুন এই ইসরায়েল রাষ্ট্রের অধীনে দখল হতে থাকে একের পর এক ফিলিস্তিনের স্বাধীন শহরগুলো। এমনই করে একসময় দখল হয়ে যায় হাইফা শহর। হাইফাতে লাখ লাখ স্থানীয় আরব মুসলিমরা বাস্তুচ্যুত হয়। কিছু আরব মুসলিম এসব নির্যাতন সহ্য করেও মাটি কামড়ে পড়ে থাকে নিজের বাপ-দাদার ভিটায়। এই হাইফার মাটিতেই জন্ম নেয় লায়লা খালিদ৷ ফিলিস্তিনের সেই তরুণী যে প্রথম ইসরাইলের বিমান হাইজ্যাক করে।
১৯৪৪ সালের ৯ এপ্রিল ফিলিস্তিনের হাইফা শহরে লায়লার জন্ম। ছোট্ট ছিমছাম আর বেশ পরিপাটি শহর ছিল হায়ফা। তখন স্বাধীন ছিল শহরটি। চার বছর পরেই শহরটির উপর নেমে আসে পরাধীনতার চাবুক। সন্তান আর পরিবারের কথা চিন্তা করে লায়লার পিতা সিদ্ধান্ত নিলেন স্ত্রী-সন্তানকে দক্ষিণ লেবাননে পাঠিয়ে দেবেন। আর নিজে থেকে যাবেন হাইফায়।
লায়লার বাবা শপথ নেয় জীবন বিসর্জন দিয়ে হলেও আমৃত্যু লড়ে যাবেন দখলদারিত্ব ইসরাইলের বিরুদ্ধে। বেঁকে বসলেন লায়লার মা। স্বামীকে রেখে এক মুহুর্তের জন্যেও তিনি হাইফা ছাড়বেন না। যদি যেতেই হয় তবে সবাই যাবে। স্বামী অনিশ্চয়তার মাঝে থাকবেন আর তিনি সন্তান-সন্তানাদি নিয়ে লেবাননে নিরাপদ জীবন যাপন করবেন, এটা কিছুতেই তিনি মানতে পারবেন না। লায়লার বাবা মিনতি করে বলেন,
‘এই অনিরাপদ শহর তোমাকে ছাড়তে হবে অন্তত আমাদের বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্য। এরা বড় হয়ে আবার ফিরে আসবে, এই ভূমি তাদেরই উদ্ধার করতে হবে। কিন্তু তোমার সঙ্গে যদি আমিও চলে যাই তাহলে তো এটা প্রিয় জন্মভূমির সঙ্গে গাদ্দারি হবে। আমাকে থাকতে হবে। দখলদার বাহিনীর সঙ্গে আমৃত্যু আমি লড়াই করে যাব। ততদিনে আমার ছেলেমেয়েকে তুমি ফিলিস্তিন পুনরুদ্ধারের জন্য যোগ্য করে গড়ে তোলো।’
অবশেষে স্বামীকে এই দুর্গম পথে ফেলে তিনি পাড়ি দেন দক্ষিন লেবাননে। সময় বয়ে যেতে লাগলো তার আপন গতিতে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে উঠছিলেন লায়লাও। কিন্তু লায়লা জানতেন না তার বাবা কোথায় আছেন। হাইফা ছাড়ার পর বাবার কোনো খবর পৌঁছায়নি তাদের কাছে। বাবা বেঁচে আছেন নাকি শহীদ হয়ে গেছেন কিছুই জানে না তারা।
ফিলিস্তিনের প্রত্যেকটি বাস্তহারা সন্তানের মতো লায়লার ভেতর সেই ছোটকাল থেকেই একটা ঘৃনা জন্ম নিয়েছিল ইসরায়েলিদের প্রতি। লায়লা মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন তিনি বাবার মতো হবেন। বাবার মতো নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে ইসরায়েলিদের মোকাবেলা করবেন। কিন্তু বাবার মতো হারিয়ে গিয়ে নয় তার প্রতিজ্ঞা তিনি যেভাবেই হোক পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিন ইসরাইলিদের দখলদারি থেকে উদ্ধার করবেন।
সেই প্রতিজ্ঞা লায়লা খালেদ তার তারুণ্যে এসে বাস্তবতায় রূপ দেন। ১৯৬৭ সালে লায়লা যোগ দেন ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন।’ সংগঠনটি পিএফএলপি (PFLP) নামে পুরো বিশ্বে আলোড়ন তুলে। আর এই আলোড়নের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন লায়লা খালেদ। পিএফএলপিতে যোগদানের অল্পদিনের ভেতরে তিনি সশস্ত্র প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেন। একজন নারী হয়ে সশস্ত্র প্রশিক্ষণে লায়লা যে যোগ্যতা দেখান পিএফএলপির পুরো কমান্ডার বাহিনী হতবাক হয়ে যান।
সবাই বুঝতে পারে ভেতরে আগুন পোষা এই তরুণীকে দিয়ে ভয়ংকর সব অপারেশনেও সফল হওয়া সম্ভব। লায়লাকে পিএফএলপি আলাদা একটা গুরুত্ব দিতে থাকে। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে তিনি দুঃসাহসিক বিভিন্ন অভিযানে অংশ নেন। যুদ্ধে চরম উৎকর্ষতার পরিচয় দেয় লায়লা খালিদ। সবাই ভাবে দুঃসাহসী কোনো অপারেশন চালাতে হবে এই তরুণীর দ্বারা। কিন্ত কি হতে পারে দুঃসাহসিক অপারেশন?
দিনটি ছিল ১৯৬৯ সালের ২৯ আগস্ট। রোম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের জন্য অপেক্ষমান অন্য যাত্রীদের সঙ্গে বসে আছে গৌরবর্ণের গোলগাল চেহারার শান্তশিষ্ট এক আরব তরুণী। ভেতরে ভেতরে তরুণীর উত্তেজনায় ফেটে গেলেও চেহারায় তার বিন্দুমাত্র স্পর্শ নেই। তরুণীটির নাম লায়লা খালিদ। ক্ষণিক পরেই এক ভয়ঙ্কর অপারেশনে নামতে হবে তাকে।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে তরুণীটি অনেক কায়দা করে তার শরীরে স্বয়ংক্রিয় বোমা ও অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে। একটু দূরেই আরেকটি বেঞ্চে বসে আছে এক আরব যুবক। দেখলে মনে হবে দুজনের কোনো আলাপ-পরিচয় নেই। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। যুবকটি লায়লার অপারেশনের সহযোগী। সন্দেহের চোখ এড়াতেই একজন আরেকজন থেকে আপাতত দূরত্ব বজায় রেখেছে। বোর্ডিং পাসসহ বিমানের যাবতীয় কাজ শেষ। সবাই বসে আছে বিমানের জন্য।
একটু পরই নিউইয়র্ক থেকে আসা টিডব্লিউএ ৮৪০:৭০৭ বোয়িং বিমানটি বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। সেখান থেকে যাত্রী নিয়ে বিমানটি আবারো উড়াল দেবে আকাশে। এথেন্সে একটি যাত্রা বিরতি করে চলে যাবে গন্তব্য ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবে। লায়লা আর তার সহযোগী এই বিমানটির জন্যেই বসে আছে। ভিসা-পাসপোর্ট-টিকিটে লায়লার নাম ‘ক্যাপ্টেন শাদিয়া আবু গাজালা’ এবং তার সহযোগী তরুণের নাম ‘সেলিম ইসায়ি।’ আর এই বিমানে করে ফেরার কথা ইসরাইলের আমেরিকান রাষ্ট্রদূত আইজ্যাক রবিনের।
নির্ধারিত সময়ে ৭০৭ বোয়িং বিমানটি রোম বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করলো। যাত্রীদের উঠানামা শেষ হলে খানিক পর আবার উড়াল দিল আকাশে। বিমানটিতে তখন ১৪০ জন যাত্রী। তাদের মধ্যে ক্যাপ্টেন শাদিয়া ও তার সহযোগী সেলিম ইসায়িও আছে। কিন্তু তাদের মূল স্বীকার আইজ্যাক রবিন এই বিমানে আসেননি।
টার্গেট মিস হয়ে গেলেও তারা সিদ্ধান্ত নেয় বিমান ছিনতাই করবেই। অন্তত পুরো বিশ্বে একটা হইচই ফেলা দিয়ে বিশ্বকে জানিয়ে দেওয়া যাবে, ফিলিস্তিনিরা তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য যে কোনো ভয়ঙ্কর পন্থা অবলম্বন করতেও পিছপা হয় না।
এথেন্স অভিমুখে উড়াল দেওয়ার এক সময়ে দুজনই নিজ নিজ আসন থেকে উঠে সোজা চলে যায় বিমানের ককপিটে। পাইলটের কাঁধে অস্ত্র তাক আর বিমানের সাউনবক্সে গিয়ে লায়লা খালিদ ওরফে ক্যাপ্টেন শাদিয়া বলে,
‘সম্মানিত যাত্রী মহোদয়গণ, অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে আমরা আপনাদের দুঃসংবাদ দিচ্ছি যে বিমানটি এখন ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি)-এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে । তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য আমরা এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছি। ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের দাবি মেনে নেয়, তবে আপনাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই। অন্যথায় পরিণতি কি হবে, সময় বলে দেবে।’
মুহূর্তেই পুরো দুনিয়ায় চাউর হয়ে গেল ফিলিস্তিনি এক নারীর দুঃসাহসিক অভিযানের কথা। বিমান তখন ফিলিস্তিনের আকাশে। বিমানটিকে চারপাশে ইসরাইলি দুইটি জঙ্গিবিমান ঘিরে রেখেছে। চরম উত্তেজনা যাত্রীদের মাঝে। মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসে। যদিও লায়লার তেলআবিবে অবতরণের তেমন ইচ্ছে ছিল না। তাদের উদ্দেশ্য ছিল পৃথিবীর বুকে ফিলিস্তিনের তীব্র প্রতিবাদের গর্জন পৌঁছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। এখন আর বৈতরণ নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা নেই।
হঠাৎ লায়লার ইচ্ছে হলো প্রিয় জন্মভূমি হাইফাকে দেখার। পাইলটকে আদেশ করল, খুব নিচু করে হাইফার আকাশে যেন বিমান চালিয়ে নেয়। হাইফা বর্তমান ইসরাইলের শহর। সেই চার বছর বয়সে এই শহর থেকে বিতাড়িত হয়ে তার পরিবারের সঙ্গে হিজরত করে এসেছিল, তারপর আর কখনো সেখানে যাওয়া হয়নি। হাইফার আকাশে যথাসম্ভব নিচু হয়ে শহরকে দুবার প্রদক্ষিণ করল ৭০৭ বিমানটি। হাতে সদ্য গ্রেনেড নিয়ে দুনিয়ার সকল ধ্বংসলীলা ভুলে গিয়ে বিমানের জানালায় মুখ লাগিয়ে তাকিয়ে থাকে লায়লা খালিদ। চাতকের স্বরে আর্তনাদে বলে উঠে, ‘আহ! প্রিয় জন্মভূমি।’
মাতৃভূমিকে প্রাণভরে দুচোখে দেখার পর এবার দামেস্কের উদ্দেশ্যে বিমান চালানোর নির্দেশ দিল লায়লা। বিমান ঘুরে গেল দামেস্কের দিকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দামেস্ক বিমানবন্দরে অবতরণ করল লায়লার অপহরণকৃত বিমান। পিএফএলপি ইসরায়েলি দুই যাত্রীকে আটক করে বাকিদের ছেড়ে দিল। পরবর্তী সময়ে এই দুই ইসরায়েলিকে জিম্মি করে ইসরাইলের সঙ্গে বন্দি বিনিময় করে পিএফএলপি। এরপর আবারও লায়লা খালিদ বিমান ছিনতাই করেন।
দ্বিতীয় বার ছিল ১৯৭০ সালে। ইসরায়েলি আরেকটি বিমান। বিমানের আরোহী ছিলেন ইসরাইলের বড় এক জেনারেল। জেনারেলকে বিমানেই হত্যা করেন প্রতিশোধের আগুনে দগ্ধ এই দুঃসাহসী তরুণী। এই অপারেশনের জন্য লায়লা খালিদ প্লাস্টিক সার্জারি করে নিজের মুখের গড়নও পরিবর্তন করে ফেলে। কারণ, এথেন্সের ঘটনায় বিশ্ব মিডিয়ায় লায়লা খালিদ তখন পরিচিত মুখ। পুরো বিশ্ব দ্বিতীয়বারের মতো অবাক হয়েছিল ফিলিস্তিনের এই আগুনকন্যার দুঃসাহস দেখে।
সুইডিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা লিনা ম্যাকবাউল ১৯৭০ এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৫৮ মিনিটের একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণ করেন। ‘লায়লা খালেদ: হাইজ্যাকার’ নামে এই ডকুমেন্টারিটি ২৮ জানুয়ারি ২০০৬ সালে মুক্তি পায়। এই ডকুমেন্টারিতে লায়লা খালেদের ভূমিকায় লিনা ম্যাকিবাউল নিজেই অভিনয় করেন। এছাড়া, লায়লাকে নিয়ে অটোবায়োগ্রাফী করেন জর্জ হার্জার ‘মাই পিপল শেল লিভ’ শিরোনামে।
এক সময়ের রক্ত শীতল করা চাঞ্চল্যকর বৈপ্লবিক অভিযানের মূল নায়িকা লায়লা খালিদ আজ বার্ধক্যে উপনীত। কিন্তু তার সংগ্রাম আজও থামেনি। নিজের সবটুকু বিলিয়ে আজও তিনি সংগ্রাম করে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনকে ইহুদীদের দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করার জন্য।
দুর্দশার অতলেই এভাবে হাজার হাজার লায়লা খালিদ প্রতিদিন জন্মে ফিলিস্তিনের বুকে। লায়লাকে নিয়ে লেখা একটা কথাই মনে বাজে,
She proved that she is a freedom fighter more equal to any man.
Feature Image: Palestine Poster Project
References:
leila khaled is one of the strongest woman in this era. Her courage and integrity for nation is beyond the border.
Actually it is true that She proved that she is a freedom fighter more equal to any man.
What an article! Starting is outstanding with the narration. More power to you, writer.
লায়লা খালিদ,একজন স্বাধীনচেতা তরুনির গল্প।অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছে লেখিকা।এতোগুলো ভালোবাসা❤️
অসাধারণ একটি লেখা।এরকম লেখা আরো পড়তে চাই।।
এক বৈপ্লবিক উত্থানের নাম লায়লা খালিদ। শুরুতে প্যালেস্টাইনের দুর্দশা শুরুর সূচনার ইতিহাস চমৎকার গুছিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। এটা ফিচারের সাথে চমৎকার খাপে খাপ হয়েছে। লেখিকাকে নিয়মিত লেখার অনুরোধ করছি। উনার লেখাতে বুদ্ধিদীপ্ত আর আবেগের চমৎকার বন্ধন হয়।