১৮৯১ সালের এক ভোরবেলা। সূর্য তখনো আড়মোড়া ভাঙ্গতে আরো খানিকটা বাকি। সাদা শুভ্র তুষারে ঢাকা চারপাশ। তুষারের চাদরে ঢেকে গিয়েছে সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা পাইন বন। বনের পাশেই তাবু থেকে বেরিয়ে এলো সে। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সামনের দিকে। ট্রেনটি তখন তার চোখ ছাড়িয়ে ছুটে চলেছে সূদুরে! ঝলমলে এক ফড়িংয়ের মত উড়ে বেড়াচ্ছে স্বপ্নগুলো ট্রেনের চাকা ঘেষে। দূর থেকে তাকিয়ে আছে লোকটা। এক তীব্র তৃপ্তিদায়ক সেই চাহনী। সামনে রয়েছে নিজের হাতে একটু একটু করে গড়ে উঠা রেলপথ। রেলের কাজ শেষ হয়ে ট্রেন গড়াতে এখনো বিস্তর কাজ বাকি! কিন্তু স্বপ্ন গড়াতে সময় লাগেনি।
এশিয়ার বিশাল গোবি মরুভূমির চোখ ঝলসানো রূপের মাঝে সুপ্রাচীন ঐতিহাসিক ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথ এভাবেই আজ বিচরণ করছে সেদিনের সেই শ্রমিকের কল্পনার বাস্তব রূপ নিয়ে। ঐতিহাসিক ট্রেনের এই ভ্রমণ জীবনের সমস্ত সৌন্দর্যানুভূতিতে পূর্ণতা এনে দেয়। ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্ক হল পৃথিবীর দীর্ঘতম রেলওয়ে নেটওয়ার্ক। যা রাশিয়ার দূরবর্তী ও প্রত্যন্ত অঞ্চল সাইবেরিয়ার সাথে মস্কোকে যুক্ত করেছে।
ইতিহাসের দিকে তাকালে, উনিশ শতকে রাশিয়ার সামরিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থে সাইবেরিয়ার বিকাশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যা রাশিয়া নিজেও তখন বিশ্বাস করত। জার আলেকজান্ডার তৃতীয় মূলত তার রাজত্বের সময় ১৮৯১ সালে ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলওয়ে নির্মাণ শুরু করে। প্রায় ২৫ বছর লেগেছিল রেলপথটি সম্পূর্ন হতে। ১৯১৬ এর দিকে পূর্ণাঙ্গভাবে রেলপথটির কাজ শেষ হয়। রাশিয়া এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অর্থনৈতিক, সামরিক এবং রাজনৈতিক ইতিহাসেও ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই রেলওয়েটি সাতটি অঞ্চলের স্থলভাগ জুড়ে অতিক্রম করে; যা শীতে ঠাণ্ডার মাত্রাকে পূর্ণভাবে বোঝাতে সক্ষম। রাশিয়ার ভাষায় এই রেলপথটিকে বলা হয় Transsibirskaya Zheleznodorozhnaya Magistra। প্রায় ৯২৯০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট পৃথিবীর দীর্ঘতম এই রেলপথটি দুটি শাখার মাধ্যমে তিন দেশকে যথাক্রমে চীন, মঙ্গোলিয়া ও উত্তর কোরিয়াকে যুক্ত করেছে। নির্মাণের সমাপ্তি বছর মানে ১৯১৬ সাল থেকে ট্রান্স সাইবেরিয়া রেলপথ মস্কোকে ভ্লাদিভস্টক এর সাথে সংযুক্ত করেছে। এমনকি এখনো পর্যন্ত এই রেলপথটিকে বর্ধিত করার কাজ চলছে।
মূলত, অতীতে রুশরা ট্রান্সবাইকাল অঞ্চল থেকে ভ্লাদিভস্টক পর্যন্ত সরাসরি মাঞ্চুরিয়া জুড়ে একটি লাইন নির্মাণের জন্য চীনাদের অনুমতি নেয়। ১৯০১ সালের দিকে এই ট্রান্স-মাঞ্চুরিয়ান লাইনটি সম্পন্ন হয়েছিল। ১৯০৪-০৫ সালে রুশ-জাপান যুদ্ধের রাশিয়া আশঙ্কা করে জাপান হয়ত মাঞ্চুরিয়া দখল করে নেবে। ফলশ্রুতিতে, ভ্লাদিভোস্টক হয়ে আমুর রেলওয়ে দিয়ে একটি দীর্ঘ এবং কঠিন বিকল্প রুট তৈরি করতে রাশিয়া অগ্রসর হয়। এই লাইনটি ১৯১৬ সালে সম্পন্ন হয়ে ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলপথের সূচনা হয়।
রেলপথটি সাইবেরিয়ার ইতিহাসে একটি টার্নিং পয়েন্ট চিহ্নিত হয়েছে। শোষণ, বসতি স্থাপন এবং শিল্পায়নের জন্য বিশাল দ্বার খুলে যায় এ রেলপথ স্থাপনের মাধ্যমে।
বর্তমানে এটি ভ্লাদিভস্টক থেকে আরো ১৫২ কিলোমিটার বর্ধিত হয়েছে। এখন এটি ভ্লাদিভস্টক এর সাথে নাখোদকা পোর্ট স্টেশনকেও যুক্ত করেছে। মূলত খুব পরিকল্পিতভাবেই ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথটিকে প্রধান আন্তঃমহাদেশীয় রেলপথটির সাথে জড়িয়ে ফেলা হয়। যা রাশিয়ার ইউরোপ ও এশিয়া অংশের ছোট বড় অনেক শহরকে যুক্ত করেছে। এছাড়া, এই রেলপথটি মস্কোর সাথে পূর্ব সাইবেরিয়ার দুর্গম অঞ্চলসমূহকে যুক্ত করেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ট্রান্স-মাঞ্চুরিয়ান লাইনটি সম্পূর্ণ চীনা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তখন এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় চীনা চ্যাং-চুন রেলওয়ে। পৃথিবীর গভীরতম হৃদ বৈকাল হ্রদের ১০০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত তার্সকায়া থেকে শুরু হয়ে ট্রান্স-মাঞ্চুরিয়ান দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এগিয়ে গিয়ে চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে প্রবেশ করেছে, যেখান থেকে একটি রূট বেইজিংকে সংযুক্ত করেছে। এই রুটটি চীন থেকে পুনরায় বের হয়ে ভ্লাদিভস্টকের উত্তরে আবার সাইবেরিয়ায় এসে সংযুক্ত হয়েছে। এই রেলপথটিই ভ্লাদিভস্টকের ইতিহাসে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ও পুরাতন রেলপথ।
সোভিয়েত শাসনের দীর্ঘ বছরগুলোতে প্রধান ট্রান্স-সাইবেরিয়ান লাইন থেকে বিকিরণ করে বেশ কয়েকটি স্পার লাইন তৈরি করা হয়। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত একটি বড় বিকল্প রুট হিসেবে বৈকাল-আমুর মেইন লাইনে থেকে তৈগা, পারমাফ্রস্ট এবং জলাভূমির এলাকা জুড়ে বিস্তৃত পথ নিয়ে গঠিত হয়। পৃথিবীর দীর্ঘতম এই রেলপথটি আটটি টাইম জোন অতিক্রম করেছে।
রেলপথ সৃষ্টি হওয়ার আগের প্রেক্ষাপট বেশ কষ্টসাধ্যই ছিল। তৎকালীন সময়ে সাইবেরিয়াসহ রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দূরবর্তী স্থানগুলোতে যাতায়াত ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে যোগাযোগ মারাত্মক ব্যাহত হত। গ্রেট সাইবেরিয়া রুট ছাড়া কোনো রাস্তা ছিল না যান চলাচলের। ফলে ঐ অঞ্চলের প্রায় পাঁচ মাস নদী পথই যোগাযোগ চলত। আর বাকী প্রায় অর্ধেক বছরে অর্থাৎ শীতকালে বরফের উপর দিয়ে ঘোড়ায় টানা স্লেজ গাড়িতে করে পণ্য আনা-নেয়া ও যাত্রী-বহনের কাজ করা হতো। ফলে দেখা যেত যে, ধীর গতির ও অনুন্নত যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে রাশিয়ার এই অঞ্চল সমূহের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছিলো। এরপর বিভিন্ন পর্যালোচনার ভিত্তিতে ১৮৯১ থেকে ট্রান্স সাইবেরিয়া রেলপথের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
এই রেলপথটি ওই সময়ে শুধু রাশিয়া নয় বরং পৃথিবীর মধ্যেই একটি বিস্ময়কর ও বিশাল প্রজেক্টের কাজ ছিল। আজ প্রায় শত বছর পরে এসেও ট্রান্স সাইবেরিয়া রেলপথটি ইউরোপ ও এশিয়াকে যুক্ত করার মাধ্যমে এর মূল উদ্দেশ্য সাধন করে যাচ্ছে। বর্তমানে ট্রান্স সাইবেরিয়া রেলপথটি একটি শক্তিশালী ডাবল ট্র্যাকের বিদ্যুৎ চালিত রেলপথ; যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১০,০০০ কিলোমিটার। ট্রান্স সাইবেরিয়া রেলপথে ভ্রমণের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ মূলত রাশিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
প্রায় ৯,৩০০ কিলোমিটারে বিশ্বের এই দীর্ঘতম রেলপথের দিকে নতুন করে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। কারণ করোনা ভাইরাস মহামারীর ফলে বিশ্বব্যবস্থার বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। এয়ার কার্গোর তীব্র সংকট, সমুদ্রগামী মালবাহী টার্মিনালগুলিতে জট এবং এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে মাল পরিবহনে ক্রমবর্ধমান খরচ এর অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই প্রসঙ্গে রাশিয়ান রেলওয়ের পূর্ব সাইবেরিয়ান শাখার একজন প্রকৌশলী সের্গেই ফুরসভ বলেছেন,
রেলের সেবা বৃদ্ধির জন্য গতির উন্নতি সাধন অপরিহার্য। তবে আমাদের লাইনচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিও কমাতে হবে, যা ট্রেনগুলি দ্রুত এবং বিশাল হওয়ার কারণে ঘটে থাকে।
২০২০ সালে ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলওয়ে এবং বৈকাল-আমুর মেইন লাইনে মোট মাল পরিবহন ক্ষমতা ছিল ১৪৪ মিলিয়ন টন। যা পূর্ব সাইবেরিয়া এবং রাশিয়ান পূর্ব- উত্তর এবং টিএসআরের আয়ের সমান। যেটি ২০১২ সালের আয় অপেক্ষা ৫০% বৃদ্ধি পায়।
রেলপথের সংস্কার নিয়ে উপ-পরিচালক ভ্লাদিমির গনচারভ বলেন, “সম্প্রসারণের লক্ষ্য বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলিতে আমদানি রপ্তানিকে অবদান রাখা। আমরা চীন, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় সম্পদ রপ্তানির সম্প্রসারণকে সমর্থন করি। এটি রেললাইনের পাশ্ববর্তী এলাকার উন্নয়নের জন্যও একইভাবে কার্যকর হবে।”
ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলওয়েতে আরো আধুনিক এবং সম্প্রসারণ করার পাশাপাশি এর কার্যক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার ফলে এর থেকে সম্ভাব্য দূষণ থেকে পরিবেশকে রক্ষা করার জন্যও প্রচেষ্টা চলছে।
বর্তমানে ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলপথ ভ্রমনপিয়াসুদের জন্য এক উপভোগ্য মাধ্যম। এখানে প্রথম শ্রেণির টিকিটের মূল্য ৫১১ পাউন্ড। দ্বিতীয় শ্রেণির ২৬১ পাউন্ড এবং তৃতীয় শ্রেণির টিকিট ১১৪ পাউন্ড। রেলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি। যা অর্থনৈতিক ভাবে বেশ কিছু মানুষের জীবিকার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। আধুনিকতার সাথে সম্মিলন ঘটিয়ে এটি ব্যাপ্তি পেয়েছে সাশ্রয়ী, নিরাপত্তা এবং আরামদায়ক ভ্রমনের উপকরণ হিসেবে। এখানে এমনও ট্রেন আছে যার মধ্যে লাইব্রেরি, জিমনেসিয়াম, গ্রান্ড পিয়ানো, মার্বেল বাথরুম এবং মনোরম রেস্তোরাঁও রয়েছে।
একটি বিশেষ বিভাগ রয়েছে যেখানে রেলপথের ট্র্যাক বৈকাল হ্রদের সাথে মিলিত হয়েছে। এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব প্রাকৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থান বলে পরিচিত। একে বলা হয় “সাইবেরিয়ার মুক্তা”। ইউরোপ এই লালিত প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষার প্রতিও গভীর মনোযোগ দিচ্ছে।
২০১৬ সালে একশ বছর উদযাপিত হয় ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথের। এই রেলপথ নিয়ে কিছু বিচিত্র তথ্য সামনে উপস্থাপিত করা হল।
১) রেলপথটি সমাপ্ত হতে পঁচিশ বছর লেগেছিল। বলা হয়ে থাকে রাশিয়ার জার শাসকরা সম্পূর্ণ নিজ অর্থায়নে এটি করতে চেয়েছিল ওই সময়ে। ফলশ্রুতিতে, অনেক বিদেশি কোম্পানি অর্থায়নের জন্য এলেও তারা গ্রহণ করেনি!
২) ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রুটের দীর্ঘতম টানেলটি দুই কিলোমিটার দীর্ঘ! একটা রেলপথের টানেল এত দীর্ঘ ভাবতেই অন্যরকম শিহরণ জেগে উঠে।
৩) মঙ্গোলিয়া এবং রাশিয়ার রেলওয়ে সিস্টেমগুলি চীনের তুলনায় ভিন্ন। এখানে এক ধরনের গেজ ব্যবহার করা হয়। যার ফলে চীন থেকে বা সীমান্ত অতিক্রম করার সময় ট্রেনের প্রতিটি বগিকে লিফট করা হয়। এবং যাত্রা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বগি পরিবর্তন করা হয়!
৪) রেলপথ নির্মাণে বিশাল আর্থিক সঙ্কটের কারণে এটির নির্মাণের সময় কিছুটা ফাকিঝুকি ছিল! যার ফলে এটি যখন চলতে শুরু করে বিলম্ব এবং বেশ কিছু জটিলতা দেখা যায়। যদিও এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯১৬ সালে শেষ হয়েছিল; আদৌতে রেলের কাজ এবং রক্ষণাবেক্ষণ যেন সত্যিই কখনই সম্পূর্ণ হওয়ার নয়!
নিকোলাস অস্ত্রভস্কির ইস্পাত উপন্যাসটি এখনো পৃথিবীর এক বিস্ময়কর পাঠ। অস্ত্রভস্কির বইটির সেই সময়ে এই রেলপথের উত্থান। ইস্পাতে উল্লেখ পাওয়া এই সুপ্রাচীন রেলপথটি আজো কাব্যের মতো মানুষের মনে গেঁথে আছে। যার ফলশ্রুতিতে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষের বিচরণ দেখা যায় এখানে। ছবির মত গ্রাম আর দিগন্ত বিস্তৃত বরফের মাঝে খোলা মাঠ। অথবা দেবদারুর সারি এবং অবারিত পাইনের বন জুড়ে এক পথ। সব মিলিয়ে এই রেলপথের অবস্থান ভূস্বর্গ সাইবেরিয়ার উপাখ্যান জুড়ে মুক্তোর মতো।
Feature Image: Kiwi.com
References:
1. 10 interesting facts about the trans siberian railway.
2. New improved trans-siberian railway a gateway to asia.
3. Golden Eagle trans-siberian railway.
4. Trans-Siberian.
5. Trans-Siberian railroad.
ছবির মত সৌন্দর্যে ভরপুর লেখা। শুরুটা বরাবরের মতই অনবদ্য। তথ্য মিশ্রণের পরিমিত ব্যবহার বেশ ভাল লেগেছে। অজস্র শুভকামনা লেখিকা এবং আমাদেরপ্যারিসের জন্য।
এ লেখাটি অনেকদিন বেশ কয়েকবার করে পড়লাম। লেখার মধ্যে লেখিকার প্রতিচ্ছবি যেন দেখতে পেলাম। স্বচ্ছ, আলোকিত, অমায়িক আর অসম্ভব নিরংহকারী একজন মানুষ! বন্ধুত্বের সূত্র ধরে তাই লেখাটি তার চোখে ভেসেই দেখতে সক্ষম হলাম। আমাদেরপ্যারিস আর লেখিকার এ যাত্রাপথ খুব পছন্দের হয়ে রইলো।
সামনে আরো নতুন টপিক্সে দারুণ সব লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
খুব সুন্দর গল্পের মতো লেখা। শুরুটা দারুণ, ঘোরের মত। তথ্যগুলো ভীষণ উপভোগ্য লেগেছে পড়তে। শুভেচ্ছা রইলো।