মুসলমান ধর্মালম্বীদের কাছে মসজিদ শুধুমাত্র একটি প্রার্থণালয়ই নয়। বরং মসজিদকে বলা হয় আল্লাহর ঘর। হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে মসজিদ মুসলমানদের ধর্মীয় উপাসনালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই, মসজিদ নির্মাণে পবিত্রতার পাশাপাশি সৌন্দর্যের দিকে বিশেষ নজর দেয়া হয়ে থাকে। যেন একজন মুসল্লি মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে যে প্রশান্তি লাভ করে তা যেন একজন দর্শকের চোখেও বাহ্যিক দৃষ্টিতে প্রকাশ পায়। তাই, শুধু ধর্মীয় সংস্কৃতি কিংবা স্মৃতি বিজড়িত হিসেবেই নয় বরং দৃষ্টিনন্দন মসজিদ আকর্ষিত করে বিশ্বের নানান প্রান্তের মুসলিম-অমুসলিম সর্বস্তরের মানুষজনদের।
মসজিদ শুধু ধর্মীয় কাঠামোই নয় বরং অনেকাংশেই এটি একটি শহরের সাংস্কৃতিক পরিচয় এবং ভৌগলিক প্রতীক হিসেবে কাজ করে। তাই, স্থাপত্যশৈলী এবং শিল্পকলাও অনেকাংশেই জড়িয়ে আছে মসজিদের ইতিহাসের সঙ্গে। জটিল কারুকার্যমণ্ডিত মোজাইক করা সিলিং, মার্বেল কলামগুলোতে ফুলেল আঁকিবুঁকি, সুউচ্চ গম্বুজ বা মিনার, এসব কেবলই ইসলামী বিশ্বাস নয়; বরং ইসলামিক কারুশিল্প ও শৈল্পিকতারও বহিঃপ্রকাশ। আজকের আয়োজনে থাকছে সৌন্দর্যের বিচারে বিশ্বের সেরা ১০টি সুন্দর মসজিদ।
আল হারাম মসজিদ
মক্কা, সৌদি আরব
সৌদি আরবের মক্কা শহরে অবস্থিত মসজিদুল হারাম ইসলাম ধর্মের অন্যতম প্রধান মসজিদগুলোর একটি। এই মসজিদ আরেকটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ। সম্পূর্ণ মসজিদ প্রাঙ্গণের একদম মধ্যভাগে আছে কাবাশরীফ বা কাবাঘর। সেইজন্যই মসজিদুল হারামকে সবচাইতে পবিত্র মসজিদ বলে আখ্যা দেয়া থাকে। তাছাড়া, বিশ্বের বৃহত্তম মসজিদ হিসেবেও এর খ্যাতি রয়েছে। ৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করছে মুসল্লিরা। প্রায় ৩,৫৬,৮০০ বর্গমিটারের বিশাল জায়গা নিয়ে এই মসজিদ কমপ্লেক্স। যেই কারণে হজ্ব এবং ওমরাহ্ এর মৌসুমে প্রায় ৪০ লক্ষ বা ৪ মিলিয়ন মানুষ একত্রে নামাজ আদায় করতে পারে এই মসজিদে। বর্তমানে মসজিদটির তৃতীয় সম্প্রসারণের কাজ চলছে, যা মসজিদটিকে বর্ধিত করে ৪,০০,৮০০ বর্গমিটার করবে। ফলে আরো ২৫ লক্ষ মানুষের জায়গা হবে।
সুলতান আহমেদ মসজিদ বা ব্লু মসজিদ
ইস্তাম্বুল, তুরস্ক
অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতান আহমেদ প্রথমের উদ্যোগে ১৬০৯ থেকে ১৬১৬ সালের মধ্যে নির্মিত হয় সুলতান আহমেদ মসজিদ। বসফরাস প্রণালীর তীর ঘেঁষে ইসলামিক স্থাপত্যশৈলীর নান্দনিক সৌন্দর্য নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ব্লু মসজিদ। হ্যাঁ, সুলতান আহমেদ মসজিদকে অনেকেই ব্লু মসজিদ বলে আখ্যা দিয়ে থাকে। নীল রঙের ইজনিক টাইলস দিয়ে অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যের কাজ করা হয়েছে বলেই একে ব্লু মসজিদ বলা হয়। আবার, অনেকে বলে এর নীল রঙের গম্বুজের কারণে এটাকে ব্লু মসজিদ বলা হয়। তবে অনেকেই এই মসজিদটিকে আয়া সোফিয়া ভেবে ভুল করে থাকে। আয়া সোফিয়া ঠিক ব্লু মসজিদের উলটো দিকেই অবস্থিত। মসজিদের ছয়টি সুউচ্চ ও সুদৃশ্য মিনার রয়েছে এবং রয়েছে অলঙ্কৃত কয়েকটি গম্বুজ। যা এর সৌন্দর্যকে পরিপূর্ণ করেছে। আর তাই ভোর বা সন্ধ্যার নরম আলোয় এর ছবি তোলার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকে ফটোগ্রাফাররা। যদিও এটি বর্তমানে মসজিদ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়; তবে প্রার্থণার সময় ব্যতীত অন্য সময়ে দর্শনার্থীদের ঘুরে দেখার সুযোগ রয়েছে।
নাসির আল-মুলক মসজিদ বা গোলাপি মসজিদ
শিরাজ, ইরান
ইরানের প্রাচীনতম শহরে অবস্থিত নাসির আল মুলক মসজিদ, এর নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী এবং প্রাণবন্ত শৈল্পিক রূপের জন্য বিশেষভাবে খ্যাতি অর্জন করেছে। ধর্মীয় এই প্রার্থণালয়টিকে গোলাপি মসজিদ নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। কেননা, ব্লু মসজিদের মতোই এই মসজিদের অভ্যন্তরীণ সিলিং এবং অ্যারাবেস্ক ধারার ধনুকাকৃতির খিলানগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে গোলাপি রঙের কারুকার্যমণ্ডিত টাইলস। ভোরের প্রথম আলো যখন এই মসজিদের কারুকার্যমণ্ডিত রঙিন জানালার কাচ গলে পার্সিয়ান কম্বল পাতা মেঝেতে এসে পড়ে, তখন মসজিদের অন্দরমহলে আলোআঁধারি আর রঙের এক বিভ্রম সৃষ্টি হয়। যা প্রার্থণালয়ের অলৌকিকতা এবং মাহাত্যকে আরো কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয়। কাজার রাজবংশের অধিপতি মির্জা হাসান আলী নাসির আল মুলকের আদেশে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৮৭৬ সালে। এক যুগ অর্থাৎ, ১২ বছর পর ১৮৮৮ সালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে তা জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। একজন দর্শনার্থীর সংস্কৃতি বা ধর্ম যাই হোক না কেন, নাসির আল-মুলক মসজিদ বা গোলাপি মসজিদ সবসময়ই নিজের সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়ে সবার জন্যই উন্মুক্ত।
সুলতান কাবুস গ্র্যান্ড মসজিদ
মাসকট, ওমান
ওমানের রাজধানী মাসকট যাওয়ার পথে ওমান সুলতানাতের নিদর্শনস্বরূপ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সুলতান কাবুস গ্র্যান্ড মসজিদ। ওমানের সবচেয়ে বড় এবং গ্র্যান্ড এই মসজিদ একদিকে যেমন ওমান সুলতানাতের ঐতিহ্য বহন করছে ঠিক তেমনই আবার নান্দনিক সোন্দর্য্যে করছে দর্শনার্থীদের বিমোহিত। সুলতান কাবুস গ্র্যান্ড মসজিদ ওমানের সবচাইতে জনপ্রিয় ও পবিত্র স্থান এবং এর রাজসিক অবকাঠামোর খ্যাতি দিগন্তজোড়া বিস্তৃত। ১৯৯২ সালে ওমানের তৎকালীন সুলতান কাবুস বিন সাইদ আল সাইদ, তার রাজত্বের ৩০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে ওমানের একটি গ্র্যান্ড মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দেন। ১৯৯৪ সালে মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০০১ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হলে খুলে দেয়া হয় মসজিদ প্রাঙ্গণ। সুলতান কাবুস গ্র্যান্ড মসজিদের পাঁচটি মিনার মূলত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভকে নির্দেশ করে। মসজিদের নকশায় ইসলামিক আভিজাত্যের ছোঁয়া আনতে ব্যবহার করা হয়েছে কারুকার্যমণ্ডিত মোজাইক, সূক্ষ্ম স্ফটিক এবং হস্তনির্মিত আরো বিশদ কিছু। ক্ল্যাসিকাল পার্সিয়ান তাবরিজ, কাশান এবং ইসফাহান স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণও চোখে পড়ে। তবে সুলতান কাবুসের মসজিদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এর অভ্যন্তরে থাকা হাতে তৈরি বিশাল কার্পেট; যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাটাবিহীন কার্পেট। নারীদের নামাজ পড়ার জায়গাসহ প্রায় ২৫,০০০ মানুষ একসঙ্গে এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারে। রয়েছে দর্শনার্থীদের ঘুরে দেখার সুযোগ।
শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ
আবু ধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবু ধাবিতে অবস্থিত, শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ ইসলামিক স্থাপত্যশৈলীর এমন এক বিস্ময়কর নিদর্শন; যা বিশ্বের সব ইসলামিক কালচারের এক নান্দনিক প্রতিচ্ছবি যেন। বিশ্বের বৃহত্তম মসজিদগুলোর একটি হিসেবে, ৮২টি ঝকঝকে শুভ্র গম্বুজ, ১ হাজার সাদা কলাম, ৯৬টি মণিমুক্ত খচিত অভ্যন্তরীন কলাম, ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণে মোড়া দৃষ্টিনন্দন ৭টি ঝাড়বাতি, টলমলে স্বচ্ছ পানির লেক এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাতে বোনা কার্পেট এটিকে প্রার্থণালয়ের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন এক স্থাপত্যিক নিদর্শনে রূপ দিয়েছে। প্রায় ৪০ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই মসজিদ ইসলামিক শিল্পকলার এক মাস্টারপিস যা পৃথিবীর নানান প্রান্তের মানুষজনদের আকৃষ্ট করে।
দ্বিতীয় হাসান মসজিদ
ক্যাসাব্ল্যাঙ্কা, মরক্কো
সাগরের পাড়ে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দ্বিতীয় হাসান মসজিদ মরক্কোর বৃহত্তম এবং বিশ্বের অন্যতম এক বৃহত্তম মসজিদ। মরক্কোর ক্যাসাব্ল্যাঙ্কায় অবস্থিত দ্বিতীয় হাসান মসজিদ আফ্রিকারও বৃহত্তম মসজিদগুলোর একটি। ফরাসি এক স্থপতির ডিজাইনে মসজিদটির নির্মাণ সময় লেগেছে প্রায় ৬ বছর। ১৯৯৩ সালে মসজিদটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। হস্ত-খোঁদাই শিল্পের বিস্তৃত কাজ, সরু কারুকার্যমণ্ডিত মার্বেলের দেয়াল এবং ২১০ মিটার উঁচু দৃষ্টিনন্দন মিনার; যা বিশ্বের দ্বিতীয় সুউচ্চ মিনার – দ্বিতীয় হাসান মসজিদকে নান্দনিক এক স্থাপত্যশৈলীতে রূপান্তর করেছে। আটলান্টিক মহাসাগরকে উপেক্ষা করে নিজের সৌন্দর্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই মসজিদ প্রাঙ্গণে রয়েছে একটি মাদ্রাসা, একটি হাম্মামখানা, একটি বিস্তৃত যাদুঘর এবং একটি গ্রন্থাগার। অমুসলিমদের জন্য রয়েছে ঘুরে দেখার সুযোগ তবে তা অবশ্যই প্রার্থণার সময় বাদে।
গ্রেট জিয়ান মসজিদ
জিয়ান, চীন
চীনা স্থাপত্যশৈলী এবং ইসলামিক শৈল্পিকতার এক অপূর্ব নিদর্শন হচ্ছে চীনের জিয়ান শহরের গ্রেট জিয়ান মসজিদ। চারটি প্রাঙ্গণ মিলিয়ে সর্বমোট ২০টিরও বেশি ভবন রয়েছে এই মসজিদ কমপ্লেক্সে; যা এটিকে চীনের বৃহত্তম মসজিদে রূপান্তর করেছে। ৭৪২ অব্দে ত্যাং রাজবংশের সময়কালে এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে সং, ইউয়ান, মিং এবং কিং রাজবংশের সময়কালে এই মসজিদ কমপ্লেক্সের সম্প্রসারণ হয়। যেজন্য এই প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীতে কয়েকটি রাজবংশের স্থাপত্যিক সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। চারটি প্রাঙ্গণ মিলিয়ে পুরো মসজিদ কমপ্লেক্সটি প্রায় ৬ হাজার বর্গমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। ঐতিহ্যবাহী চৈনিক স্থাপত্যশৈলী এবং ইসলামিক শিল্পকলার এক অপূর্ব নিদর্শন হচ্ছে গ্রেট জিয়ান মসজিদ। অমুসলিম এবং দর্শনার্থীদের রয়েছে ঘুরে দেখার সুযোগ।
দিল্লী জামে মসজিদ
দিল্লী, ভারত
মোঘল স্থাপত্যশৈলী এবং ইসলামিক শিল্পকলার এক অনন্য নিদর্শন দিল্লী জামে মসজিদ। ১৬৫০ থেকে ১৬৫৬ সালে মুঘল সম্রাট শাহ জাহান কর্তৃক নির্মিত এই মসজিদ প্রাঙ্গণে একসঙ্গে প্রায় ২৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে। রয়েছে দুটি সুউচ্চ ও সুদৃশ্য মিনার; যা মসজিদের সৌন্দর্যকে আরো বৃদ্ধি করেছে। মূল প্রার্থণা কক্ষের প্রবেশপথে ফার্সি আর আরবী ক্যালিগ্রাফিগুলো মসজিদের অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যকে করেছে আরো বেশি আকর্ষণীয়। লাল বেলেপাথর আর সাদা মার্বেলের সমন্বয়ে নির্মিত এই মসজিদ প্রায় ৪০০ বছর ধরে গৌরবের সাথে টিকে আছে। নামাজ ছাড়াও দর্শনার্থীদের রয়েছে ঘুরে দেখার রয়েছে সুযোগ।
তিল্লা কারি মসজিদ
সমরকান্দ, উজবেকিস্তান
প্রাচীন শহর সমরকান্দের প্রাণকেন্দ্র তাসখন্দ সড়কে অবস্থিত তিল্লা কারি মসজিদ ও মাদ্রাসা ৩০০ বছরের বেশি সময়ের ঐতিহ্য ও ইতিহাস নিয়ে টিকে আছে এখন অবধি। নীল রঙের কারুকার্যমণ্ডিত মোজাইক এবং সোনার পাতে মোড়ানো গম্বুজ, এই মসজিদের খ্যাতি ছড়িয়েছে বিশ্বব্যাপী। রেগিস্তান স্কয়ারের তিনটি ঐতিহাসিক ভবনের শেষ ভবন হচ্ছে এই মসজিদ ও মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ। ১৬৪৬ সালে এই কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শুরু হয় জালানতুস বাহাদুরের অধীনে। আর নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৬৬০ সালে। তৎকালীন সিল্ক রোডের সম্পদের প্রতীক বিবেচনা করা হতো এই প্রাঙ্গণকে। উনিশ শতক অবধি মাদ্রাসা এবং মসজিদের উদ্দেশ্যে চালু থাকলেও বিংশ শতকের প্রাক্কাল থেকেই এটি ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
সুলতান ওমর আলী সাইফুদ্দিন মসজিদ
বন্দর সেরি বেগাওয়ান, ব্রুনাই
ব্রুনাইয়ের রাজধানী বন্দর সেরি বেগাওয়ানে অবস্থিত সুলতান ওমর আলী সাইফুদ্দিন মসজিদ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সবচাইতে সুন্দর মসজিদ বলেই খ্যাত। কৃত্রিম হৃদের উপর নির্মিত হওয়ায় সোনালী গম্বুজের প্রতিচ্ছবি এক দৃষ্টিনন্দন আর মায়াকাড়া দৃশ্যের সৃষ্টি করে। কৃত্রিম হৃদের উপর ষোড়শ শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী জলযান মাহলিগাই (রাজকীয় বার্জ) এর একটি প্রতিকৃতি নির্মিত রয়েছে; যা ধর্মের পাশাপাশি সংস্কৃতিকেও ধারণ করেছে। ব্রুনাইয়ের ২৮ তম সুলতান, তৃতীয় ওমর আলী সাইফুদ্দিন এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ১৯৫৮ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া এই মসজিদ ব্রুনাইয়ের ইসলামিক স্থাপত্যের পাশাপাশি ইসলামিক ধারণা ও বিশ্বাসের এক প্রতিফলন। মসজিদের মূল গম্বুজটি পুরোটাই সোনায় মোড়ানো; যা এটিকে একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী করে তুলেছে।
Feature Image: islamicity.org
তথ্যসূত্রসমূহ:
- The Most Breathtaking Mosques Around the World.
- 10 of the world’s most beautiful mosques.
- The World’s 10 Most Beautiful Mosques.