আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিকের নিজস্ব শনাক্তকরণ ডকুমেন্ট হিসাবে নিজের দেশ থেকে জারি করা একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। সেই সাথে থাকতে হবে ভ্রমণ ভিসা, যা গন্তব্য দেশ দ্বারা জারি করা হয় এবং এটি অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে একটি অপরিহার্য হাতিয়ার হিসাবে বিবেচিত হয়।
সাধারণত, অন্য দেশে ভ্রমণ করার সময় যে অফিশিয়াল ডকুমেন্টসগুলো প্রয়োজন হয়:
- পাসপোর্ট
- ট্রাভেল ভিসা
- ন্যাশনাল আইডি কার্ড
পাসপোর্ট
পাসপোর্ট হলো একটি শনাক্তকরণ ভ্রমণ ডকুমেন্ট, যেখানে পাসপোর্টের সাথে একটি ভিসা সংযুক্ত থাকে, যা দেখিয়ে যেকোন ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট দেশে প্রবেশের অনুমতি পেয়ে থাকেন। দুই বছরের কম বয়সী শিশুসহ সকল বয়সের যাত্রীদের নিজস্ব পাসপোর্ট প্রয়োজন। তবে ভ্রমণ করাকালীন সময়ে পাসপোর্টটি বৈধ হতে হবে।
পাসপোর্ট এবং ভিসার মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো একটি পাসপোর্ট ব্যক্তির নিজ দেশ থেকে জারি করা হয়, আর ভিসা সাধারণত গন্তব্য দেশ থেকে জারি করা হয়। একটি পাসপোর্ট প্রায় দশ বছরের জন্য জারি করা হয়, যেখানে একটি ভিসার সময়কাল কম হয়, সাধারণত কয়েক মাস কিংবা কয়েক বছর। অনেক দেশেই আগমনকারীর প্রয়োজন অনুসারে ভিসার মেয়াদ ভ্রমণ শেষের পরেও অতিরিক্ত ৩ বা ৬ মাসের জন্য বৈধ থাকে।
ভিসা
বিদেশগামী যাত্রীদের নির্বাচিত গন্তব্য দেশে প্রবেশ করার জন্য ভিসার প্রয়োজন হতে পারে, এর উপর নির্ভর করে:
- ব্যক্তির জাতীয়তা
- ভ্রমণের উদ্দেশ্য
- সংযোগকারী ফ্লাইট
ভিসা হলো এমন একটি ভ্রমণ ডকুমেন্ট যা বিদেশ গমনকারী যাত্রীদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি বিদেশি দেশে প্রবেশ করতে দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, দেশ ভ্রমণের আগে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। ভিসা সাধারণত পাসপোর্টে লাগানো অবস্থায় থাকে এবং নির্দিষ্ট ব্যক্তি কতক্ষণ গন্তব্য দেশে থাকতে পারবেন তা উল্লেখ থাকে।
বেশিরভাগ দেশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসাবে বিদেশী নাগরিকদের জন্য ভিসার প্রয়োজনীয়তা আরোপ করে। অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করতে, ভিসা একটি প্রতিরক্ষামূলক প্রচেষ্টা হিসাবে ব্যবহার করা হয়; যাতে যেকোন দেশ নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে।
ভ্রমণ পাসপোর্ট এবং ভিসার একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
ভিসা শব্দটি আধুনিক ল্যাটিন ‘চার্টা ভিসা’ থেকে এসেছে, যার অর্থ যাচাইকৃত কাগজ বা যে কাগজটি দেখতে হবে। পূর্বে, ভিসা ছিল পৃথক ডকুমেন্ট যা আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সময় পাসপোর্টের সাথে হাতের মুঠোয় চলে যেতো। কিন্তু আজকাল, বেশিরভাগ ভিসাই পাসপোর্টের সাথে স্ট্যাম্প বা স্টিকার হিসেবে সংযুক্ত থাকে।
৪২০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, প্রথম ভ্রমণ ডকুমেন্টস-এর (পাসপোর্ট এবং একটি ভিসা) উল্লেখ পাওয়া যায় হিব্রু বাইবেলে। (১৩৮৬-১৪৪২) সময়কাল ছিল রাজা পঞ্চম হেনরির শাসনামল—যাকে প্রথম পাসপোর্ট তৈরির কৃতিত্ব দেয়া হয়। ১৬৪৩-১৭১৫ সাল হলো ফ্রান্সের রাজা লুই চতুর্দশের শাসনামল, যিনি ব্যক্তিগতভাবে স্বাক্ষরিত ভ্রমণ ডকুমেন্টস ইস্যু করতে পছন্দ করতেন এবং যাকে তিনি ‘পাস পোর্ট’ বলে ডাকতেন।
যদিও ‘পাসপোর্ট’ নামের উৎপত্তি কোথায় তা নিয়ে এখনো অনেক বিতর্ক রয়েছে। ১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষে, পাসপোর্টগুলি আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য বাধ্যতামূলক অফিশিয়াল ডকুমেন্ট-এ পরিণত হয়েছিল এবং প্রায়শই ভিসার সাথে যুক্ত ছিল।
১৯২২-১৯৩৮ সালে প্যারিসের ‘লীগ অফ নেশনস’ জাতীয়তা হারানোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ‘ন্যানসেন পাসপোর্ট’ প্রতিষ্ঠা করে যার প্রয়োজনীয়তা বহু শরণার্থী প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে অনুভব করেছিল।
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে, বিশ্বব্যাপী অভিবাসনের একটি ভারী ঢেউ চলমান ছিল এবং কঠোর সীমান্ত টহল প্রয়োজন ছিল। আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভ্রমণ ডকুমেন্টস হিসেবে ভিসা এবং পাসপোর্ট উভয়ই বাধ্যতামূলক ছিল।
উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসার কিছু ধরন
ট্যুরিস্ট ভিসা: ট্যুরিস্ট ভিসা হলো বিনোদনমূলক উদ্দেশ্যে জারি করা প্রবেশের অনুমতিপত্র। ট্যুরিস্ট ধরনের ভিসা স্বল্পমেয়াদী, সাধারণত তিন মাসের জন্য বৈধ। কোন ব্যক্তি ট্যুরিস্ট ভিসায় থাকাকালীন কোন কাজ করতে পারবেন না।
মেডিকেল ভিসা: একটি বিদেশী দেশে চিকিৎসার জন্য স্বল্পমেয়াদে চিকিৎসা ভিসার জন্য আবেদন করা যেতে পারে। এই ধরনের ভিসা প্রাপ্তির যোগ্যতা অর্জনের জন্য আবেদনকারী ব্যক্তিকে প্রমাণ দিতে হবে যে, তিনি গন্তব্য দেশে একটি হাসপাতাল এবং একজন ডাক্তার পেয়েছেন যিনি প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াটি সম্পাদন করবেন।
স্টুডেন্ট ভিসা: স্টুডেন্ট ভিসা শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে জারি করা হয় এবং সাধারণত ছাত্র-ছাত্রীর অধ্যয়ন প্রোগ্রামের সময়কালের জন্য বৈধ। ফলস্বরূপ, স্টুডেন্ট ভিসা বিভিন্ন স্টাডি কোর্সের উপর নির্ভর করে এক থেকে চার বছর বা তারও বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে।
ওয়ার্কিং ভিসা: যদি কোন ব্যক্তি একটি বিদেশী দেশে কাজ খুঁজে পান, তাহলে তাকে অবশ্যই ওয়ার্কিং ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ওয়ার্কিং ভিসা সাধারণত এক থেকে চার বছরের জন্য দীর্ঘমেয়াদী উদ্দেশ্যে জারি করা হয়। তবে এটি ব্যক্তির কাজের চুক্তির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। ওয়ার্কিং ভিসা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্থায়ী বসবাসের জন্য অনুমতির পথ হিসেবে কাজ করে।
অফিসিয়াল ভিসা: অফিসিয়াল ভিসা প্রাপ্ত ব্যক্তিগণ বিদেশে দেশের প্রতিনিধি হিসাবে কূটনৈতিক কাজ করার অনুমতি পেয়ে থাকে।
আশ্রয় ভিসা: যদি কেউ নিজ দেশে ধর্মীয়, জাতিগত, বা রাজনৈতিক কারণে নির্যাতিত হয় তাহলে শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী ভিসার জন্য আবেদন করা যেতে পারে। শরণার্থী অবস্থা আছে এমন ব্যক্তিদের থাকার জন্য প্রতিটি দেশ তাদের নিজস্ব ভিসা জারি করে।
অবসর ভিসা: এটি বিদেশীদের জন্য জারি করা হয় যারা তাদের দেশের বাইরে অবসর নিতে চান। এটি শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা অবসরের বয়সে পৌঁছেছেন এবং তাদের একটি আবাসিক পারমিট আকারে দেয়া হয়।
তীর্থযাত্রা ভিসা: তীর্থযাত্রা ভিসা তাদের জন্য জারি করা হয় যারা অন্য দেশে একটি ধর্মীয় ভ্রমণ সম্পূর্ণ করতে চান। তীর্থযাত্রার ভিসার একটি উদাহরণ হলো সৌদি আরব কর্তৃক ইস্যু করা হজ ভিসা, মুসলিমদের যারা মক্কায় হজের পবিত্র যাত্রা সম্পন্ন করতে চান। এই ধরনের ভিসা সাধারণত একজন ব্যক্তির পরিবর্তে একদল লোকের জন্য জারি করা হয় এবং শুধুমাত্র তীর্থযাত্রা সম্পূর্ণ করতে যে সময় লাগে তার জন্য বৈধ।
ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ
ভ্রমণের জন্য সবার ভিসার প্রয়োজন হয় না। অনেক দেশের ভিসা মওকুফ চুক্তি রয়েছে, যার অর্থ তারা কয়েকটি নির্বাচিত দেশের নাগরিকদের সংক্ষিপ্ত ভ্রমণের জন্য ভিসা-মুক্ত প্রবেশের অনুমতি দেয়। পশ্চিমা দেশগুলির পাসপোর্টধারীরা (যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং ইউরোপিয়ান রাজ্যসমূহ) ভিসা ছাড়াই বেশিরভাগ জায়গায় ভ্রমণ করতে পারে।
ভিসা-মুক্ত থাকার জন্য অনুমোদিত সময় কয়েক দিন থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত নির্ধারিত থাকে। তবে, ভিসা ছাড়াই কোনো দেশে ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে সেখানে কোন কাজ নেয়া যাবে না বা কোনো পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করা যাবে না।
ভ্রমণ ভিসার জন্য আবেদনের উপায়
সাধারণত, নিম্নলিখিত উপায়গুলির মধ্যে যেকোন একটির মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করা হয়ে থাকে:
- দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ভিসার জন্য আবেদন
- অনলাইন ভিসা আবেদন (ইলেকট্রনিক ভিসা)
- আগমনের উপর ভিসা।
আবেদনের পদ্ধতি নির্দিষ্ট দেশ এবং দেশটির নাগরিকদের জাতীয়তার উপর নির্ভর করে।
দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ভিসার জন্য আবেদন
যদি একটি নির্দিষ্ট দেশে ভ্রমণের জন্য কোন ব্যক্তির ভিসার প্রয়োজন হয়, তবে তিনি সরাসরি সেই দেশের দূতাবাস বা কনস্যুলার অফিসে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন যেভাবে:
- একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে হবে
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর একটি সেট সংগ্রহ করতে হবে
- ভিসা প্রসেসিং ফি প্রদান করতে হবে
- একটি ভিসা ইন্টারভিউ লিখতে হবে।
কনস্যুলার অফিসাররা আবেদন পত্রটি পর্যালোচনা করবেন এবং সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে ভিসা দেবেন কিনা তা সিদ্ধান্ত নেবেন। ভিসার প্রকারের উপর নির্ভর করে, আবেদন প্রক্রিয়াকরণে কয়েক দিন থেকে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
অনলাইন ভিসা আবেদন
অনলাইনে ভিসার জন্য খুব সহজেই আবেদন করা যায়। ইলেকট্রনিক (অনলাইন) ভিসা সাধারণত প্রিন্টযোগ্য ডকুমেন্ট হিসাবে জারি করা হয় এবং ব্যক্তির পাসপোর্টে সংযুক্ত করা হয় না। যদি কোনো দেশ ইলেকট্রনিক ভিসা ইস্যু করে, তাহলে একটি অফিসিয়াল অ্যাপ্লিকেশন ওয়েবসাইট থাকবে, সেখানে যা করতে হবে:
- একটি অনলাইন ভিসা আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর ইলেকট্রনিক কপি সংযুক্ত করতে হবে।
- ভিসা ফি প্রদান করতে হবে।
অনলাইন ভিসা আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত শুনতে কয়েক মিনিট থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
আগমনের উপর ভিসা
ভ্রমণকারী যে দেশে ভ্রমণ করছেন তিনি সেই দেশের বিমানবন্দর বা প্রবেশের অন্য পয়েন্টে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এটি আগমনের ভিসা (VOA) নামে পরিচিত। এক্ষেত্রে, প্রবেশের স্থানে ভিসা কাউন্টার থাকবে, যেখানে আবেদন করতে হবে, ফি দিতে হবে এবং তারপর সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
সব দেশ আগমনে ভিসা দেয় না। এমনকি যেসব দেশ ভিসা অন অ্যারাইভাল (VOA) ইস্যু করে সেগুলো সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু জাতীয়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। আগমনের ভিসা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট বিমানবন্দর বা এন্ট্রি পয়েন্টে পাওয়া যায়।
ভিসা অস্বীকারের সাধারণ কারণ
ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হতে পারে এমন কিছু সাধারণ কারণ হলো:
পাসপোর্টের বৈধতা: বেশিরভাগ দেশে ভ্রমণের সময় কমপক্ষে তিন বা ছয় মাসের মেয়াদসহ একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। বিদেশে প্রবেশ করা বা প্রস্থান করার ক্ষেত্রে এই বৈধ সময়কাল শুরু হবে কিনা তা ভ্রমণের গন্তব্যের উপর নির্ভর করে।
পাসপোর্টের ফাঁকা পৃষ্ঠা: পাসপোর্টে প্রয়োজনীয় ফাঁকা পৃষ্ঠার সংখ্যা দেশ ভেদে ভিন্ন, তবে এটি সাধারণত দুই থেকে চার পৃষ্ঠার হয়। পাসপোর্ট এবং ভিসা স্ট্যাম্প করার জন্য যথেষ্ট জায়গা থাকে বিধায় ফাঁকা পৃষ্ঠাগুলি প্রয়োজন।
অপরাধমূলক রেকর্ড: অপরাধমূলক রেকর্ডসহ একটি ভিসা প্রাপ্তি প্রায় অসম্ভব; শুধুমাত্র কয়েকটি নির্বাচিত দেশ, যেমন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা, কোন ব্যক্তির অপরাধমূলক রেকর্ডের জন্য একটি ছাড় দিতে পারে।
ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা: সমস্ত সরকারের ক্ষমতা আছে একজন ব্যক্তিকে ‘ব্যক্তিত্বহীন’ ঘোষণা করার। ফলস্বরূপ, কূটনীতিক এবং অ-কূটনীতিকদের একটি নির্দিষ্ট দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
ভিসার মেয়াদ
নিম্নলিখিত সময়কাল এবং বৈধতার জন্য ভিসা জারি করা যেতে পারে:
স্বল্প-স্থায়ী: একটি স্বল্প-স্থায়ী ভিসা কয়েক দিন থেকে কয়েক মাসের মধ্যে যেকোন জায়গায় জারি করা যেতে পারে। এই ধরনের ভিসা সাধারণত পর্যটকদের, ব্যবসায়ীদের জন্য বা অন্যান্য স্বল্পমেয়াদী উদ্দেশ্যে জারি করা হয়, যেমন- চিকিৎসার খোঁজ নেয়া বা পরিবারের সাথে দেখা করা।
দীর্ঘস্থায়ী: একটি দীর্ঘস্থায়ী ভিসা কয়েক মাস বা বছরের জন্য জারি করা যেতে পারে। কখনো কখনো, আবাসিক অনুমতিপত্রকে দীর্ঘস্থায়ী ভিসা হিসাবেও উল্লেখ করা হয়।
একক-প্রবেশ: একটি একক-প্রবেশ ভিসার মাধ্যমে, নির্দিষ্ট দেশ বা এলাকায় শুধুমাত্র একবার প্রবেশ করা যায়। অর্থাৎ, প্রবেশ করে বের হয়ে আসার পর পুনরায় যাওয়া যাবে না।
মাল্টিপল-এন্ট্রি: মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসার মাধ্যমে, একটি দেশ বা এলাকায় একাধিকবার প্রবেশ করা যায়, যতক্ষণ ভিসা বৈধ থাকে।
বিদেশ ভ্রমণের সময়, একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা অপরিহার্য। অনেক ভ্রমণকারী বুঝতে পারেন না যে, বেশিরভাগ দেশ পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের ক্ষেত্রে নিয়ম প্রয়োগ করে। তাই বিদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা করার সময় সর্বদা পাসপোর্টের বৈধতার প্রয়োজনীয়তা এবং পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ পরীক্ষা করে দেখা গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিমানবন্দরে বা গন্তব্য দেশে অভিবাসনের ক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যাগুলি এড়াতে সহায়তা করবে। সুতরাং, একটি বৈধ পাসপোর্ট এবং প্রাসঙ্গিক ভিসা নিয়ে ভ্রমণ করা নিশ্চিত করতে হবে।
Feature Image: Internationa Citizen Group References: 01. Passports and Visas. 02. The Most Important Travel Documents for Your Trip. 03. Worldwide Travel Visa Guide.