আজ আমার বিয়ে

8373
0
Aj Amar Biye

বিয়ে বাড়ির ধূমধাম আজ আমাকে ছুতে পারছেনা। ভাবতে অবাক লাগছে কিন্তু
আজ আমার বিয়ে। বাবা মা খুব খুশি পুরো ফ্যামিলিইই খুব খুশি।
আমি খাটের উপর পুতুলের মত নিঃসাড় হয়ে বসে আছি। পার্লার থেকে কয়েকজন মেয়ে এসেছে সাজাতে। ওরা মহানন্দে আমাকে সাজাচ্ছে।
হাতে মেহেদির লাল টকটকে রং। ওরা হাসাহাসি করছে মেহেদির রং ঘন হলে নাকি বর বেশি ভালোবাসে…..ওদের এত হাসাহাসির মধ্যেও আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি…..
“আমি মা বাবার একমাত্র মেয়ে। মধ্যবিত্ত ভদ্র ঘরের মেয়ে। ছাত্রী হিসেবেও ভাল ছিলাম। পড়াশোনা শেষ করেছি ভালো একটা চাকরি ও করছি।বেশ ভালো বেতন। ছোট বেলা থেকেই বাবা মার স্বপ্ন তাদের মনের মত একটা ছেলে দেখে আমার বিয়ে দেবে। তাই ই হচ্ছে।
শুধু পূরন হচ্ছেনা আমার না বলা কিছু চাওয়া। নিজের সাথেও কথা গুলো শেয়ার করতে ভয় করে আমার।
হ্যাঁ আমি একটি ছেলে কে ভালোবাসি। ছেলেটা জানেনা। পৃথিবীর দ্বিতীয় কোন প্রানীও এই খবর জানেনা। শুধু আমার খুব যত্ন করে লুকিয়ে রাখা ডায়েরির পাতা গুলো জানে তাকে আমি কত ভালোবাসি। এখন সেই পাতা গুলোও নেই।ছিড়ে ফেলেছি।
ভালোবাসা কি বোঝার আগে থেকে আমি শুধু তাকেই ভালবাসি। ক্লাস 9 থেকে একটা ছেলে ছাড়া কিছু বুঝতাম না। কিন্তু দুনিয়া কখোনো আমার ভালোবাসার খবর পাবেনা। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। মা। বাবার অনেক স্বপ্ন ছিলো আমাকে নিয়ে। সবমিলিয়ে আমি সাহস করতে পারিনি আমার ভালোবাসা প্রকাশ করার।
আজ আর এইটা বলতেও খারাপ লাগছেনা যে
ছেলেটি আর কেউ না। আমারই বেস্ট ফ্রেন্ড। শেষের দিকে ছেলেটিকে আমি আমার ভালোবাসা বোঝানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি হয়তো। অথবা সে বুঝেও না বোঝার ভান করেছে….
যাইহোক আজ আমার বিয়ে। হবু বরের নাম রাইয়ান চৌধুরি । এখন পর্যন্ত আমি আমার হবু বরকে দেখিনি। হঠাৎ করেই বিয়ে। আমাকে কোথায় জানি দেখে বরের মার খুব পছন্দ হয়েছে।আব্বুর পরিচিত। ছেলে নাকি খুব ভালো। ফোনে কথা হয়েছে ২ বার। বেশি কিছুনা। তার ভারি গলায় সে জিজ্ঞেস করেছে আমি কেমন আছি কি করছি। আর একবার আমতা আমতা করে বলেছে যে বিয়েতে আমার মত আছে কিনা…..
বাসায় আমার মতামত জানার প্রয়োজন হয়তো কারো নেই। কেনোনা আমার নিজের বলতে কোন মতামত কখনোই ছিলোনা। সবসময় আব্বু আম্মু যা বলেছে তাই করেছি। আজো করছি।
কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছে। একটা খুব অন্যায় ইচ্ছা চেপে বসছে ঘাড়ে। দোড় দিয়ে আমার ভালোবাসার মানুষটার বুকে ঝাপ দিতে ইচ্ছা করছে। আমি জানি সব রাস্তা বন্ধ।কিছু করার নেই।কিচ্ছুনা।
জানিনা আব্বু আম্মুর পছন্দের ভালো ছেলেটার সাথে আমি কতটা সুখী হব। তবে আমার আব্বু আম্মুর উপর ভরসা আছে। আমি জানি আমার জন্য যা ভালো হয় তারা তাই করবে।”
আমার ভাবনায় বেঘাত ঘটলো।
“বর এসেছে বর এসেছে….”
চারিদিকে যেনো এক উৎসব হচ্ছে। আমেজটা শুধু ছুতে পারছেনা আমাকে। বর এসেছে শুনে বুকের মধ্যে ফাকা হয়ে গেলো।
এদিকে আমাকে সাজানো ও শেষ। আব্বু ঘরে ঢুকলো। আমি বিয়ের আসরে যাওয়ার জন্যে উঠে দাঁড়িয়েছি। আব্বু আমাকে বুকে নিয়ে বললো “মারে সবকিছু কি খুব তাড়াহুড়াতে করে ফেল্লাম? তবে আমি জানি তুই খুব সুখী হবি।” আমি মিষ্টি করে হাসলাম কাউকে বুঝতে দেওয়া যাবেনা আমার মনে কি চলছে একদম না। আব্বু একটু জোরে জড়িয়ে ধরে বলল,”তুই চলে সত্যি চলে যাবি মা? বুঝতেই পারিনি কবে এত বড় হয়ে গেলি”আমি আব্বুর দিকে না তাকিয়েও বুঝতে পারছি আব্বুর চোখে জল চলে এসেছে। আমি আব্বুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম। আব্বু আমার হাতের বাঁধন থেকে নিজেকে মুক্ত করে তাড়াতাড়ি ঘর থেকে চলে গেলেন। বুঝলাম চোখের জল তিনি মেয়েকে দেখাতে চাননা।
আব্বুর আর আমার কষ্ট টা কি একি রকম না?? ২৭বছর ধরে অতি যত্নে মানুষ করা মেয়ে হারানোর কষ্টে আব্বু কাতর। আর আমি কাতর ১২ বছর ধরে লুকিয়ে ভালবেসে যাওয়া মানুষটাকে হারানোর বেদনায়।
কিছু করার নাই। বিয়ের আসনে বসানো হয়েছে আমাকে। আমার আসন টা আমাদের উঠানের মাঝ বরাবর আর বরের আসন করা হয়েছে বাইরে।
মা এসে পাশে বসে ভেজাভেজা কন্ঠে আমাকে বলল,”ভালো হয়ে থাকিস মা। খুব সুখি হো…খুব ভাল থাকবি তুই।”
কাজী চলে এসেছে। প্রথমে আমার বিয়ে পড়িয়ে তারপর ছেলেকে বিয়ে পড়ানো হবে। আমার জান ধুকধুক করছে। হারানোর বেদনায় আমার চোখে পানি চলে এসেছে আমি আর ধরে রাখতে পারলাম না। ঝরঝর করে কেঁদে দিলাম।
আব্বু আম্মু ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আব্বু আম্মু জানেনা আমি কেনো কাঁদছি। কিন্তু তারা মেয়ের চোখের জল দেখতে রাজিনা।
আমাকে চেপে জিজ্ঞেস করল কাঁদছি কেনো?
কি করে বলব আমি কেন কাঁদছি?? এখন যে অনেক দেরি হয়ে গেছে। আমি যে আমার ভালোবাসাকে হারিয়ে ফেলেছি। আমি যে সারাজীবন যার বউ হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি যাকে এত ভালবেসেছি সে যে আমার জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে…..
খুব কষ্টে কান্না চাপিয়ে করুণ একটা হাসি দিয়ে বল্লাম,”নিজের বাড়ি বাপের বাড়ি হয়ে যাচ্ছে কাঁদবোনা?” আব্বু হেসে মাথা নেড়ে বললো, “পাগলি মেয়ে আমার। কাঁদিসনা”বলে চলে গেল। কাজী বিয়ে পড়ানো শুরু করলো।
আমি মনমরা হয়ে আছি। এর মধ্যে একজন এসে বললো বর নাকি খুব সুন্দর দেখতে….আমি বিষাদের সাগরে ভেসে চলেছি আর এরা বরের চেহারা নিয়ে পড়ে আছে….
কাজী আসরে বসে বললো,”মা এখন পড়াবো??” আমি ঘাড় নাড়লাম।
কাজী টেনে টেনে সুর করে বিয়ে পড়াচ্ছে। আমি শুনে যাচ্ছি। দুনিয়ায় যেনো অন্ধকার হয়ে আসছে আমার। আমি যেনো কিছু দেখছিনা।
“রাজশাহীর দূর্গাপুর নিবাসী কাবির শাহরিয়ারের একমাত্র উত্তরাধিকারী রাইয়ান চৌধুরি মৃন্ময় এর সাথে রাজশাহীর মোঃআসিফ আহমেদের বড় মেয়ে মেহজাবিন মোয়ানা, ___টাকা মহরানা বাবদ আপনি কি বিয়ে করতে ইচ্ছুক?? রাজি থাকলে বলুন মা ‘কবুল'”আমি আউট অফ ব্রেইন। ….কাজী এগলা কি বলছে???? মাথা ঠিক আছে??? মনেহয় সারাদিন ওর কথা ভেবে ভেবে আমি ভূল শুনছি।
বড় বড় করে চোখ করে তাকালাম আমি কাজীর দিকে। …নাঃ কাজী তো এই কথায় বলছে আমি কাঁপা গলায় আস্তে আস্তে ৩ বার কবুল বললাম। আমি সত্যিই জানিনা এগুলো কি হচ্ছে….
আমি বোকার মত করে বসে আছি। মৃন্ময় এর সাথে আমার বিয়ে মানে? আমি কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করতেও ভয় পাচ্ছি। কারন আমাকে বরের সাথে দেখা করতে বলেছিল আমিই যাইনি। বলেছি “দেখ তোমরা সব ঠিক কর আমি কোথাও যাবোনা।” মনে মনে কে জানি বলছে এইটা অন্য মৃন্ময়। সবকিছু এত সহজ নয়। তোর ১২ বছরের ভালবাসা না।….
আমার মাথার মধ্যে কেমন ঘুরাচ্ছে সব কিছু….মৃন্ময়ের আব্বুর নামটাও যে কেন মনে পড়ছেনা মাথা….!
মা প্লেটে করে খাবার আনলো আমি খেতে পারলাম না। তখন পর্যন্ত ও আমি বরকে দেখিনি। আমার দুশ্চিন্তায় শ্বাস কষ্ট করতে লাগছে….আমার যাওয়ার সময় হল। সবাই অনেক দোয়া করে দিলো। মা খুব কাঁদল আমিও কেঁদেছি।….
আমার খালা আমাকে জড়িয়ে আদর করছে ঠিক তখনি বাইরে থেকে একজন চিৎকার করে বললো, “ঘোড়ার গাড়ি ঘোড়ার গাড়ি….মোয়ানা আপুকে ভাইয়া ঘোড়ার গাড়িতে নিয়ে যাবে…..”””
আমি মোটামুটি সিউর যে আমি স্বপ্ন দেখছি। নিজের গায়ে চিমটি মারতে হবে। কিন্তু মারতে ইচ্ছা করছেনা। কারন এত সুন্দর স্বপ্ন আমি ভাঙতে চাইনা।
ছোট বেলা থেকে শখ আমার বর আমাকে ঘোড়ার গাড়িতে করে নিয়ে যাবে। এইটা কাকপক্ষী ও জানেনা। এতো কোইন্সিডেন্স এক সাথে সম্ভব না। এটা নিশ্চয় স্বপ্ন। প্রকৃতি মানুষকে স্বপ্ন ছাড়া এত অদ্ভুত জিনিস দেখায়না…
বাইরে থেকে সবাই তাড়া দিচ্ছে। এবার আমাকে যেতে হবে….
রাত ৯.৩০বাজছে। কিন্তু বিয়ে বাড়ির রসোনায় চারিদিকে দিনের মত আলো। আমাকে বাইরে নেওয়া হল। এবার গাড়িতে উঠতে হবে বর আগেই গাড়িতে উঠেছে….
আমাত হাতপা কাঁপছে। কে আছে ভেতরে?? কে আছে???…
ঘোড়া গাড়ির নিচে দাঁড়িয়ে আছি উঠার জন্যে যে হাতলটা ধরতে গেছি গাড়ির মধ্য থেকে একটা হাত বাইরে এসে থামলো এবং ইশারায় ঐ হাতটা ধরতে বললো আমি কাঁপা হাতে ঐ হাতটা ধরে মাথা তুলে তাকিয়ে যা দেখলাম তারজন্যে প্রস্তুত ছিলাম না…..
হ্যাঁ এইটা আমার মৃন্ময় …বরের সাজে দাঁড়িয়ে যে ও…তাহলে ওর সাথেই বিয়ে হল আমার? আমার মাথা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে আমি ওর দিকে তাকিয়েই আছি…ও হাসছে। ইশ কত সুন্দর ও! এত সুন্দর কেন?নজর লেগে যাবে যে…..
জমকালো শেরওয়ানি আর ভারি পাগড়িটায় ওকে এত মানাবে আমি কখনো ভাবিনি। যেন আমার নতুন বর না ও। মোঘল কোনো সম্রাট….
আমি উঠে বসলাম। হ্যাঁ ওর পাশেও বসলাম।
আমার বিশ্বাস হচ্ছেনা আর এইসব আমি নিজেকেই চিমটি মেরে বসলাম…..
“উফফ লাগালো তো!! নিজেকে এভাবে চিমটাচ্ছিস কেন??” মৃন্ময় চিৎকার দিলো।
আরে হ্যাঁ সত্যিই আমার লেগেছে তার মানে যা হচ্ছে সব সত্যিই হচ্ছে।
আমি কাঁপা গলায় মৃন্ময় কে জিজ্ঞেস করলাম এসব কি হচ্ছে????????
“তবে কি এই জন্যেই সেদিন তুই বরের সাথে দেখা করতে যেতে মানা করলি???” “আমি আর্তনাদ করে উঠলাম,” কিন্তু তোর সাথে আম-আমার বি-বিয়ে মানে কিভাবে আমি কিছু বুঝছিনা”….মৃন্ময় আমার কাছে সরে এসে আমার কোলের উপর রাখা হাত দুটি শক্ত করে ধরে বললো,”বোকা মেয়ে এতো ভালবাসিস একটাবার মুখ ফুটে বলতে কি হয়েছিলো??” “আমি,”কি-কিন্তু তুই কিভাবে জা-জানলি এইসব কথা?? প্লিজ খুলে বল…””দাঁত কপাটি কেলিয়ে আমার নতুন বর আমাকে বললো,”জানবোনা ক্যান?? একটা ছোট কাজও ঠিক করে করতে পারিস না আর এত বড় কথা কিভাবে লুকাবি???” “রেগে যেয়ে বললাম,”হেয়ালি বন্ধ করে সব খুলে বল,” ও আমাকে কাছে টেনে হাত দুটি আরো শক্ত করে বললো,”আমার সোনা বেস্ট ফ্রেন্ড নতুন বউ ডায়েরির পাতা ছিড়ে কোথায় ফেলেছিলে মনে আছে??” হুট করে সবকিছু যেন আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেলো। কিন্তু তাও জোট লেগে রইলো….
আমাকে আমার এক ফ্রেন্ড বাইরে যাওয়ার জন্যে তাড়া দিচ্ছিলো তাড়াহুড়াতে পেইজ গুলো ছিড়ে আমার ব্যাগের একটা পকেটে রেখেছিলাম। এবং পরের দিন ফেলেদিয়েছিলাম। তবে ফেলার আগে মৃন্ময় এর সাথে দেখা হয়েছিল।আসার পথে আমি তা ফেলে দিয়েছিলাম নর্দমায়।, “কি-কিন্তু আমি তো ওগুলো নর্দমায় ফেলে দিয়েছিলাম,,,,,,” মৃন্ময় হে হে করে হেসে বললো,”আমি যা চালাক…”আমি বিষ দৃষ্টিতে তাকাতেই ও নিজেকে সামলে বললো, তুই তো জানিস আমার তোর ব্যাগ খোঁজার স্বভাব আছে।সেদিন যখন তুই রেস্টুরেন্ট এ আমার কাছে ব্যাগ রেখে অর্ডার চেঞ্জ করতে গেছিলি আমি টাকার জন্যে তোর ব্যাগ খুজছিলাম। হঠাৎ ব্যাগের বাঁ পকেটে এগুলো আবিষ্কার করি।কিছু না লেখা পেইজ ও ছিল ওখানে। আমি লেখা পেইজ গুলো নিয়ে নিয়েছিলাম….হে হে….””আমি বলছি,”তার মানে তুই ঘোড়ার গাড়ীর কথা….””””হুম বউ…ঐ পেইজের একটাতেই লেখা ছিলো….ভাগ্যিস পেইজ গুলা পাইচিলাম। নাহয় এতো ভালবাসার একটা মানুষকে হারিয়ে ফেলতাম। ইশশ এতো ভালবাসিস ক্যান আমাকে?? পেইজ গুলো পড়তে গিয়ে আমি তোর প্রেমে পড়ে গেছি মোয়ানা….”””পরক্ষনে­ই হাত চেপে আমাকে কাছে টেনে ও বলল,”I love you,Moana ….”আমিও ওর হাত চেপে ধরলাম…একটু পর ওকে তাড়া দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,”এত কিছু করলি কি করে? আর আমাকে জানালি না ক্যান??? “ও বললো,”জীবনের বড় সারপ্রাইজ টা দিতে চেয়েছিলাম তোকে। এত বড় সুযোগ মিস করা যায়….আর কিভাবে কি করছি অত শুনে তোর লাভ নাই….”আমি আর পারলাম না। ওকে জড়িয়ে ওর বুকে মাথা চেপে কাঁদতে কাঁদতে বললাম “তুই এতো ভাল ক্যান? আমি তোক অনেক ভালোবাসি”….ঐ আমাকে শক্ত করে বুকে চেপে ধরে বললো”আমিও”….ততক্ষন­ে ঘোড়ার গাড়ি ছুটতে শুরু করেছে। গাড় অন্ধকারে ছুটে চলেছে দুইজন মামুষের ভালবাসার ফোয়ারা। কত স্বপ্নই না দেখেছিলাম তোকে নিয়ে সোনা। আজ আজ সব সত্যি হল। আগলে রাখবো তোকে।জান দিয়ে আগলাবো…..

লেখাঃ Wahida anjum rista