মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে ১০টি প্রাকৃতিক উপায়

460
0

মাইগ্রেন! যাদের এই সমস্যা রয়েছে তাদের কাছে রীতিমতো আতঙ্কের নাম। একমাত্র ভুক্তভোগীরাই মাইগ্রেনের ব্যথার তীব্রতা বুঝতে পারেন। মাইগ্রেন সাধারণত একটি মাঝারি বা গুরুতর মাথাব্যথা যা মাথায় যন্ত্রণার মতো অনুভূত হয়। বেশিরভাগ সময়ই এই ব্যথা মাথার একপাশে হয় এবং এটি টানা ২-৩ দিন পর্যন্ত থাকে। মাঝে মাঝে ব্যথা এত তীব্র হতে পারে যে এটা দৈনন্দিন কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটায়।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, মাইগ্রেন একটি সাধারণ স্বাস্থ্যগত অবস্থা যা প্রতি ৫ জন মহিলার মধ্যে ১ জন এবং প্রতি ১৫ জন পুরুষের মধ্যে ১ জনের হয়৷ অবাক হওয়ার বিষয় হলো মাইগ্রেনের ব্যথা একেবারে কমাতে এখন পর্যন্ত কোন নির্দিষ্ট ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। আর যেসব ওষুধ বাজারে পাওয়া যায় তাতে হাতেনাতে ফলও সবসময় মেলে না। তবে কিছু ওষুধ মাইগ্রেন প্রতিরোধ করতে এবং ব্যথা কম বেদনাদায়ক করতে সহায়ক হতে পারে।  

সত্যি বলতে এই ওষুধগুলো মাইগ্রেন এর ব্যথা একেবারে নির্মূল করতে পারে না। তবে সঠিকভাবে জীবনধারায় পরিবর্তনের সাথে মিলিত করে ঔষধগুলো শুধুমাত্র সহায়ক হতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয়, কোনো প্রাকৃতিক উপায়ে যদি মাইগ্রেনের মাথাব্যথা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাওয়া যায়। চলুন আজকে শিখে নেয়া যাক এমনই কয়েকটি প্রাকৃতিক পদ্ধতি, যা মাথাব্যথা সারাবে মাত্র অল্প সময়েই। তার আগে মাইগ্রেন কি ও মাইগ্রেন হওয়ার সম্ভাব্য কারণগুলো জেনে নেই।

মাইগ্রেন কি?

মাইগ্রেন হলো একটি জিনগতভাবে প্রভাবিত জটিল ব্যধি যা মাঝারি থেকে গুরুতর মাথাব্যথার কারণ হয়ে থাকে। মাইগ্রেন শব্দটি মূলত গ্রিক শব্দ ‘হেমিক্রানিয়া’ থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যা পরে ল্যাটিন ভাষায় ‘হেমিগ্রানিয়া’ হিসাবে রূপান্তরিত হয়েছিল।  এই ধরনের একটি শব্দের ফরাসি অনুবাদ হলো ‘মাইগ্রেন।’ মাইগ্রেনের আক্রমণ হলো কয়েক ঘন্টা মস্তিষ্কে একটি জটিল যন্ত্রণা দেয়। এমনকি এই যন্ত্রনা তীব্র থেকে তীব্র গতিতে বাড়তে বা কমতে পারে। 

বিভিন্ন রকমের মাথাব্যথা। Image Source: healthily.com

মাইগ্রেন হওয়ার কারণসমূহ

এখন পর্যন্ত মাইগ্রেনের সুস্পষ্ট কারণ জানা যায়নি। তবে চিকিৎসকের ধারণা জেনেটিক্স এবং পরিবেশগত কারণেও হয়ে থাকে। এছাড়াও ব্রেনস্টেমের পরিবর্তন এবং ট্রাইজেমিনাল নার্ভের সাথে এর মিথস্ক্রিয়া করে মাইগ্রেনের ব্যাথা হতে পারে। আবার মস্তিষ্কের রাসায়নিকগুলিতে ভারসাম্যহীনতার জন্যও হতে পারে।

অন্যদিকে অনেক গবেষকেরা মাইগ্রেনের ব্যথায় সেরোটোনিনের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন। তাদের ধারণা ক্যালসিটোনিন জিন-সম্পর্কিত পেপটাইডসহ (সিজিআরপি) অন্যান্য নিউরোট্রান্সমিটার মাইগ্রেনের ব্যথায় ভূমিকা পালন করে। তবে এই সবই শুধু ধারণা মাত্র।

আবার স্বাভাবিক কিছু কারণে মাইগ্রেন হতে পারে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মাথাব্যথা, ক্ষুধা হ্রাস, রাত জাগা ইত্যাদি। তবে যারা ইতিমধ্যে রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও রক্তে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত তাদের এবং অন্যান্য রোগে ভুগছেন তাদের মাইগ্রেন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

এছাড়া মাইগ্রেনের আরও বেশ কয়েকটি সাধারণ কারণ থাকতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে:

  • মহিলাদের মধ্যে হরমোনের পরিবর্তন। ইস্ট্রোজেনের ওঠানামা, যেমন পিরিয়ডের আগে বা চলাকালীন সময়ে। এছাড়াও  গর্ভাবস্থা এবং মেনোপজ-এ অনেক মহিলার মাথাব্যথা শুরু মনে করা হয়।
  • হরমোনজনিত ওষুধ বা গর্ভনিরোধক ওষুধে মাইগ্রেনের ব্যথা আরও তীব্র করতে পারে।  
  • যেসব পানীয়গুলোতে অ্যালকোহল বেশি বিশেষ করে, ওয়াইন এবং অত্যাধিক ক্যাফেইন গ্রহণ যেমন কফি ও মাইগ্রেনের উপর প্রভাব ফেলে। 
  • মানসিক চাপের জন্য কর্মক্ষেত্রে বা বাড়িতে বাড়তি চাপের কারণে মাইগ্রেন হতে পারে।
  • উজ্জ্বল আলো অথবা উচ্চ শব্দ মাথাব্যথা তীব্র করে মাইগ্রেনের দিকে নিয়ে যায়। অন্যদিকে তীব্র গন্ধ যেমন পারফিউম, পেইন্ট থিনার ইত্যাদি মাইগ্রেনের জন্য দায়ী।
  • পুরানো পনির এবং প্রক্রিয়াজাত নোনতা খাবার মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। তাই এই খাবারগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে।
  • জাঙ্ক ফুড ও বাজারের খোলা খাবার এবং অতিরিক্ত মশলাদার খাবার থেকেও মাইগ্রেন এর সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
মাইগ্রনের ৪টি ধাপ। Image Source: americanmigrainefoundation.com

মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পেতে প্রাকৃতিক উপায় 

সৌভাগ্যবশত কোনো ব্যথানাশক বা অন্যান্য অ্যালোপ্যাথিক ঔষধ না খেয়েও প্রাকৃতিক উপায়ে কিছুটা হলেও মাইগ্রেনের ব্যথা উপশম করা যায়। সুতরাং এখানে মাইগ্রেনের মাথাব্যথা কমাতে ১০টি প্রাকৃতিক প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করবো যা কিছুটা হলেও যন্ত্রণাদায়ক মাইগ্রেনের সাথে মোকাবিলা করতে সহায়তা হতে পারে। 

১. ব্যথা কমাতে আইস প্যাকের ব্যবহার 

বরফ বা আইস প্যাকের ব্যবহার মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সহায়ক হতে পারে। কারণ বরফ একটি প্রদাহ বিরোধী পদার্থ তাই এটি মাইগ্রেনের আক্রমণের কারণে প্রদাহ বা জ্বালা প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে। যন্ত্রণাদায়ক মাইগ্রেনের আক্রমণ থেকে তাৎক্ষণিক উপশমের জন্য কপাল, মাথা বা ঘাড়ে একটি বরফের প্যাক প্রয়োগ করতে পারেন। এতে কিছুটা হলেও ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

২. পেপারমিন্ট অয়েল ব্যবহার করুন 

পেপারমিন্ট বা পুদিনাপাতায় রয়েছে দারুণ ঔষধি গুণ। বিশ্বজুড়ে অসংখ্য চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকরা দাবি করেছেন যে পেপারমিন্ট থেকে তৈরি তেল একজন ব্যক্তির রক্ত​​​প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং সেই সাথে ভালো অক্সিজেন চলাচলের  জন্য সাইনাসগুলিকে অবরুদ্ধ করে।

পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল ব্যাথা নাশক হিসেবে কাজ করে। Source :Medical News Today.

তীব্র ব্যথার সময় তাৎক্ষণিক উপশমের জন্য ঘাড়ের পেছনে পেপারমিন্ট অ্যাসেনশিয়াল অয়েল ম্যাসেজে কিছুটা ব্যথা কম অনুভব হয়। আবার গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা পেপারমিন্ট অ্যাসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে পানির বাষ্পের শ্বাস নিলে এতে করে  দ্রুত ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে।

৩. নিয়মিত যোগব্যায়াম

যোগব্যায়ামের উপকারিতা এখন সবারই জানা। এটি একটি পুরানো এবং গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা নিরাময়ের জন্য সবচেয়ে বিশ্বস্ত কৌশল বা শৃঙ্খলাগুলির মধ্যে একটি। এই ব্যায়াম সবচেয়ে ভালো জিনিস হলো এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

তাই মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে নিয়মিত মেডিটেশন এবং যোগব্যায়াম করা উচিত। নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে শরীরের চাপ কমে যাবে এবং হতাশা দূর হবে। তবে মনে রাখতে হবে, যোগব্যায়ামের আগে সেই স্থানে পর্যাপ্ত সকালের সূর্যের আলো আছে এমন স্থানে অনুশীলন করতে হবে।

যোগ ব্যায়াম
যোগ ব্যয়াম হওয়া উচিত মাইগ্রেন আক্রান্ত ব্যক্তির প্রতিদিনের রুটিন। : Source :The Economic Times.

৪. আদা 

আদার স্বাস্থ্য গুনাগুনের কথা সবারই জানা আছে । আদার অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি (anti-inflammatory) উপাদান মাইগ্রেন ব্যথা কমাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর উপকারী উপাদানগুলো রক্তপ্রবাহ ঠিক রেখে মাইগ্রেন এর মাথা ব্যথায় খুব দ্রুত আরাম দেয়।

মাথাব্যথা শুরুর সাথে সাথে আদা চা খেতে পারেন কারণ আদা চা’কে প্রদাহরোধী বলে মনে করা হয় এবং এটি তীব্র মাথাব্যাথা উপশম করতে পারে। সুতরাং, এটা নিশ্চিত আদার ব্যবহার করে মারাত্মক মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

৫. ম্যাসেজ থেরাপি  

গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে মাইগ্রেনের রোগীরা যারা ঘন ঘন ম্যাসেজ থেরাপি বেছে নেয়, তাদের মাথাব্যথা তীব্র হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। এমন অনেক ম্যাসেজ থেরাপি রয়েছে যা একজন মাইগ্রেন আক্রান্ত রোগী তার প্রয়োজন এবং পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন। সেগুলো হলো লিম্ফ্যাটিক ম্যাসেজ, ডিপ টিস্যু ম্যাসেজ, রোলফিং, শিয়াতসু, রিফ্লেক্সোলজি, সুইডিশ ম্যাসেজ ইত্যাদি।

মাইগেনের ব্যথা কমাতে ম্যসেজ এর বিকল্প নেই। www.apcphysio.co.nz

৬. ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ 

ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি যন্ত্রণাদায়ক মাথাব্যথার জন্ম দিতে পারে। আবার আরেকটি গবেষণা বলছে যে ম্যাগনেসিয়ামের নিয়মিত ব্যবহার মাইগ্রেনের আক্রমণের ফ্রিকোয়েন্সি এবং তীব্রতা কমাতে সহায়ক হতে পারে। ম্যাগনেসিয়ামের কিছু সহজ উৎস যা আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করতে পারেন তা হলো তিল, বাদাম, কাজু, ওটমিল, চিনাবাদাম মাখন, সূর্যমুখী বীজ, দুধ, ডিম ইত্যাদি।

৭. প্রচুর পানি পান 

একটি সাধারণ মাইগ্রেনের কারণ হলো শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় কম পানি পান করা। এমনকি মাঝারি ডিহাইড্রেশনও মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। সুতরাং মাইগ্রেন হতে রক্ষা পেতে পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরী। কারণ হাইড্রেট শরীরে মাইগ্রেন সহজে আক্রমণ করতে পারে না। সুতরাং ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান নিশ্চিত করতে হবে।

৮. ভালো ঘুম 

দীর্ঘদিন ধরে যদি মাইগ্রেনের সমস্যা থাকে, তাহলে বুঝতে হবে তাদের পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতি আছে। সুতরাং মাইগ্রেন থেকে বাচঁতে অবশ্যই ভালো ঘুম হওয়া খুবই জরুরি। ঘুমের স্বল্পতা মাইগ্রেনের ব্যথাকে আরও তীব্র করতে পারে। সুতরাং, যাদের ভালো ঘুম হচ্ছে না এবং মাইগ্রেনের ব্যথার সম্মুখীন হচ্ছেন, তাহলে অবশ্যই ভালো এবং সময়মতো ঘুমানো শুরু করতে হবে। তাছাড়া, মাইগ্রেনের ব্যথার সময় একটি ভালো ঘুম তাৎক্ষণিকভাবে মাইগ্রেনের মাথাব্যথা উপশম করে।

৯. ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল  অয়েলের ব্যবহার

অনেক গুরুতর মাথাব্যথা কমাতে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল  অয়েল খুব কার্যকর যার অনেক পরীক্ষিত প্রমাণ পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুসারে, ভেজালমুক্ত ল্যাভেন্ডার অয়েল থেকে শ্বাস নেওয়া হলে ব্যথা কমে। এটি তীব্র মাইগ্রেনের চিকিৎসার অন্যতম নিরাপদ এবং সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

এই তেল শ্বাসনালী পরিস্কার করতে সহায়তা করে এবং মাথা ব্যথা কমাতেও অনেক কার্যকর। Source : healthline.com

ইউরোপীয় নিউরোলজিস্টদের দ্বারা প্রস্তুত ল্যাভেন্ডার অয়েল একটি কার্যকর পন্য। একজন প্রাপ্তবয়স্ক যখনই মাইগ্রেন ব্যথায় ভুগতে থাকেন তখন গরম পানিতে দুই তিন ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল দিয়ে শ্বাস নিতে পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ছোট বাচ্চা বা শিশুদের ল্যাভেন্ডার দেওয়ার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করতে হবে।

১০. নিজেকে চাপ দেওয়া বন্ধ করুন 

যাদের খারাপ মাইগ্রেন থাকে তবে তাদের অবশ্যই যেকোনো ধরনের মানসিক চাপ এড়াতে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, মানসিক চাপ সবসময় মাইগ্রেনকে আরও খারাপ করে তুলবে। কোলাহলপূর্ণ বা জনাকীর্ণ জায়গায় থাকা, অত্যধিক কাজ করা, ব্যক্তিগত সমস্যাগুলি সম্পর্কে অতিরিক্ত চিন্তা করা ইত্যাদির মতো বিষয়গুলি এড়িয়ে চলা উচিত।

চাপমুক্ত জীবনে মাইগ্রেনের প্রভাব কম দেখা যায় :The Ray and the Ro

মাইগ্রেন নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা না করে ঘরোয়া উপায়ে চেষ্টা করা উচিত। উপরের উল্লেখ্য প্রাকৃতিক উপায়গুলো কিছুটা হলেও মাইগ্রেনের ব্যথাকে সাময়িকভাবে নিরাময় করতে পারে। এরপরেও যদি মনে করেন যে এই কৌশলগুলি অবস্থার উন্নতিতে সাহায্য করছে না, তাহলে অবশ্যই সেগুলি উপেক্ষা করতে হবে। আর কার্যকর চিকিৎসার জন্য উচিত একজন ভালো নিউরোলজিস্ট ডাক্তারের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করা।

 

Feature Image: brainandlife.org

01. Migraine Headache. 
02. Migraines Headaches. 
03. Migraine Headache.