জার্মানিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন

জার্মানিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন

যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করেছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জার্মানি। এ উপলক্ষে রোববার জার্মানির মাইন্স শহরের স্থানীয় একটি অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জার্মান আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জার্মানির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ইউনুস আলী খানের সভাপতিত্বে এবং ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সাংবাদিক হোসাইন আব্দুল হাই-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আসমা খান সিমা, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জার্মানির প্রধান উপদেষ্টা মাহবুবুল হক, জার্মান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জার্মানির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম নুরুল ইসলাম।

এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জার্মানির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুল আলম, জার্মান আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাকিম টিটু, ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি শেখ মতিন, ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি বদরুল ইসলাম, জার্মান আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমান, জার্মান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ভুঁইয়া, জার্মান-বাংলা প্রেস ক্লাব-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা খান লিটন, জার্মান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্বাস চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ খালেক এবং জার্মান গ্রিন দলের নেতা হামিদুল খান উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় হলেও দেশবাসী প্রকৃত বিজয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন ১০ জানুয়ারি বাঙালি জাতীর অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে।

১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় এবং পাকিস্তানি শত্রুবাহিনীর আত্মসমর্পণের পর বাংলাদেশের মানুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। তারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

বক্তারা একাদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী করার জন্য বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ নবগঠিত মন্ত্রিসভার প্রতি অভিনন্দন জানান এবং বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. মোমেনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

সভার শুরুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রয়াত সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা কণা ইসলামের পরিচালনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পী জালাল আবেদীন, স্থপতি নাইমুল হক এবং লিমা হক গান পরিবেশন করেন।